গাজাগামী ‘আস-সুমুদ’ বহরে যোগ দিল ইতালির জাহাজ ‘লাইফ স্পোর্ট’
-
আস-সুমুদ ফ্লোটিলা বহর
পার্সটুডে: বৈশ্বিক বহর ‘আস-সুমুদ ফ্লোটিলা’ জানিয়েছে , ইতালির মানবিক সাহায্য সংস্থা ‘ইমার্জেন্সি’ তাদের উদ্ধারকারী জাহাজ ‘লাইফ স্পোর্ট’-কে গাজার উদ্দেশ্যে যোগ দিতে এই বহরে পাঠিয়েছে।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, সাধারণত ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের উদ্ধার কার্যক্রমে ব্যবহৃত ৫১ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ‘লাইফ স্পোর্ট’ এবার গাজার মানুষের জন্য চিকিৎসা ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে। আস-সুমুদ বহরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ জাহাজটি বিশ্বের ৪৪টি দেশের শত শত মানুষ ও ডজনখানেক নৌযানের সাথে যুক্ত হয়ে গাজায় সাহায্য কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে।
এর আগে জানানো হয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়াত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ‘মানডেলা মানডেলা’-ও এই বহরে যোগ দিয়েছেন।
আস-সুমুদ বহরের প্রধান কাফেলা রবিবার স্পেনের বার্সেলোনা বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছে এবং সোমবার সকালে ইতালির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেনোয়া বন্দর থেকে আরেকটি কাফেলা এতে যোগ দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী রবিবার তিউনিসিয়া থেকেও একটি কাফেলা রওনা হবে, যা গাজার পথে এসে এই গ্রুপে যুক্ত হবে।
এই বহরে ফ্রিডম ফ্লোটিলা অ্যালায়েন্স (Freedom Flotilla Alliance), গ্লোবাল গাজা মুভমেন্ট, আস-সুমুদ ফ্লোটিলা এবং মালয়েশিয়ার আস-সুমুদ নুসান্তারা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হলো গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো এবং অবরুদ্ধ জনগণের পাশে দাঁড়ানো।
জাতিসংঘ এর আগে সতর্ক করেছিল যে, ইসরায়েলের আরোপিত সীমাবদ্ধতার কারণে গাজায় পৌঁছানো মানবিক সাহায্য প্রয়োজনীয় মাত্রার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল, যা মারাত্মক খাদ্য সংকট মোকাবিলা যথেষ্ট নয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দখলদার শাসকগোষ্ঠী একদিকে ধারাবাহিক বোমাবর্ষণ চালাচ্ছে, অন্যদিকে গাজার জনগণকে অনাহারের মুখে ঠেলে দিয়েছে। গত ২ মার্চ থেকে তারা সব সীমান্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা একেবারেই গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। এতে ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করেছে এবং পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ “মানবিক বিপর্যয়ে” রূপ নিয়েছে।