মোসাদের এজেন্ট থেকে ট্রাম্পের বন্ধু : ইরানি নেটিজেনদের আলোচনায় এপস্টিন
https://parstoday.ir/bn/news/world-i154346-মোসাদের_এজেন্ট_থেকে_ট্রাম্পের_বন্ধু_ইরানি_নেটিজেনদের_আলোচনায়_এপস্টিন
পার্সটুডে : ইরানি এক্স (টুইটার) ব্যবহারকারীরা জেফরি এপস্টিনের যৌন কেলেঙ্কারি মামলার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেছেন। বিশেষ করে ট্রাম্প ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের এই কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন।
(last modified 2025-11-23T12:23:49+00:00 )
নভেম্বর ২৩, ২০২৫ ১৮:০৫ Asia/Dhaka
  • জেফরি এপস্টিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
    জেফরি এপস্টিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

পার্সটুডে : ইরানি এক্স (টুইটার) ব্যবহারকারীরা জেফরি এপস্টিনের যৌন কেলেঙ্কারি মামলার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেছেন। বিশেষ করে ট্রাম্প ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের এই কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন।

২০১৯ সালে মৃত্যুবরণ করা আমেরিকার বিলিওনিয়ার জেফরি এপস্টিন তার জটিল সম্পর্কের কারণে আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদ এবং সেলিব্রিটির মাঝে অনেক বেশি আলোচিত ছিলেন। তাকে যৌন নির্যাতন ও মানব পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। একাধিক ফাঁস হওয়া তথ্যের মাধ্যমে দেখা গেছে, এই মামলায় অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি ও আমেরিকার শীর্ষ রাজনীতিবিদ জড়িত।

পার্সটুডে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানি এক্স ব্যবহারকারীরাও এপস্টিন মামলা নিয়ে সরব হয়েছেন এবং এর বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেছেন।

এই প্রসঙ্গে ব্যবহারকারী শাহরাম তোরাবি লিখেছেন:  "আমার মনে হয় এপস্টিন শেষ পর্যন্ত মোসাদের গুপ্তচর এজেন্টে পরিণত হয়েছিলেন। এই শাসকগোষ্ঠী (ইসরাইল) এপস্টিনের ফাইলগুলো ধামাচাপা দিচ্ছে। যেন আমরা বোকা!"

পিশিনিয়া লিখেছেন:  "ট্রাম্প এপস্টিনের ফাইল প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন কিন্তু এটা একটা চাল! কিছু নাম ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র নামে লুকিয়ে রাখা হবে, যার মধ্যে তার নিজের নামও আছে!"

ডক্টর আয়হান ফিকরাত নামে আরেক ইরানি এক্স ব্যবহারকারী মনে করেন:  "১৯৯০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এপস্টিন আর্থিক, রাজনৈতিক, একাডেমিক ও শিল্পী মহলে অবাধ যাতায়াত করতেন— এমন জায়গায় যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু এই বন্ধুত্বপূর্ণ হাসি ও দামি পোশাকের আড়ালে শতাব্দীর সবচেয়ে অন্ধকার যৌন শোষণের নেটওয়ার্ক লুকিয়ে ছিল।"

মোহাম্মদ সোলাইমানি লিখেছেন:  "ইসরাইল, মোসাদ আর ট্রাম্পের নাম যেখানেই ছিল সব কালো করে দেওয়া হয়েছে। রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য বলেছেন: ট্রাম্প সরকার এপস্টিনের পুরো ফাইল কালো করে দিয়েছে যাতে আমরা বুঝতে না পারি আসলে কী হয়েছিল।»

রোয়া লিখেছেন:  "একটা যৌন কেলেঙ্কারি যা আমেরিকার ক্ষমতার ভিত্তি কাঁপিয়ে দিচ্ছে। আমেরিকায় পাবলিক পলিসি গবেষক ইউসুফ আজিজি বলেছেন: যদি এপস্টিনের পুরো ফাইল প্রকাশ পায়, তাহলে আমেরিকার রাজনীতি, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে এবং আমেরিকার রাজনৈতিক কাঠামোতে গভীর আঘাত লাগবে।"

পশ্চিমা সমাজে নারীকে পণ্যে পরিণত করার বিষয়টি তুলে ধরে যেইনাব বলেছেন: 

"পশ্চিমে একশো বছরের বেশি সময় ধরে নারীর শরীর প্রদর্শন চলছে, কিন্তু এখন নারীর মূল্যই কমে গেছে— নারী হয়ে গেছে যৌন পণ্য। ট্রাম্প রাজনীতিতে আসার আগে এপস্টিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন: ‘ট্রাম্প আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু'।"

চ্যাট-ডিডি লিখেছেন: "এপস্টিনের ঘটনা প্রমাণ করেছে যে,  ক্ষমতা, অর্থ ও লিঙ্গ-বৈষম্যের জঞ্জাল কীভাবে যৌন সহিংসতার শিকারদের কণ্ঠকে বছরের পর বছর অদৃশ্য করে রাখতে পারে। সমাজের পুনরাবৃত্ত প্যাটার্ন একই: সন্দেহ, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য এবং ভিকটিম ব্লেমিং।"

দ্য লারিসিস্ট সংক্ষেপে লিখেছেন: "ট্রাম্প— শিশু নির্যাতনকারী এবং জেফরি এপস্টিনের বন্ধু।"

সবশেষে, হোসেইন নূরী প্রশ্ন তুলেছেন:  "এপস্টিন, ট্রাম্প এবং ব্রিটেনের রাজার ভাইয়ের দুর্নীতি নেটওয়ার্ক কোন ধরনের লালন-পালনের ফল, যারা কন্যা শিশুদের ধর্ষণের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। প্রতিদিন পশ্চিমে একটি নৈতিক কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাচ্ছে, মনে হচ্ছে এটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।"#

পার্সটুডে/এমএআর/২৩