ওয়াশিংটনে গুলিবর্ষণ; ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি জোরদার করার হাতিয়ার
-
• ইরানের প্রেসিডেন্ট ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
পার্সটুডে- হোয়াইট হাউসের কাছে গুলিবর্ষণের ঘটনাটি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা এবং অভিবাসন বিধিনিষেধ কঠোর করার জন্য অজুহাত হয়ে উঠেছে।
২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যদের উপর সিআইএ-এর প্রাক্তন সহযোগী "রহমানুল্লাহ লক্ষনওয়াল" কর্তৃক গুলিবর্ষণের ঘটনাটি দ্রুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনাটি কেবল ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি আবারো সামনে টেনে এনেছে তাই নয়, একইসাথে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতিকে ন্যায্যতা দেওয়ার একটি হাতিয়ারও হয়ে উঠেছে।
পার্সটুডে অনুসারে, আফগানিস্তানে প্রাক্তন মার্কিন মিত্র লক্ষনওয়ালের একটি জটিল পটভূমি রয়েছে। তিনি ২০১১ সাল থেকে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সাথে সহযোগিতা করে আসছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পেয়েছিলেন।
ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে এই ঘটনাটি ব্যবহার করে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেন এবং এটিকে "অভিবাসন পরীক্ষায় শিথিলতার ফলাফল" বলে অভিহিত করেন। এই অভিযোগের পর, বর্তমান প্রশাসন আফগানিস্তান এবং ভেনেজুয়েলাসহ ১৯টি দেশের নাগরিকদের সকল অভিবাসন আবেদন বন্ধ করার নির্দেশ জারি করে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানের মধ্যে দ্বন্দ্ব। একদিকে, ট্রাম্পের প্রথম রাষ্ট্রপতিত্বকালে লখনউকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, এবং অন্যদিকে, এই প্রশাসনই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছিল। এখন ট্রাম্প তার অভিবাসন নীতি এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই ঘটনাটি ব্যবহার করছেন।
মনে হচ্ছে ওয়াশিংটনে গুলি চালানোর ঘটনাটি নিরাপত্তার ঘটনার পরিবর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন লক্ষ্যগুলিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এই পদ্ধতির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক অবস্থানের পাশাপাশি আফগানিস্তানে তার প্রাক্তন মিত্রদের সাথে সম্পর্কের উপর সুদূরপ্রসারী পরিণতি হতে পারে।#
পার্সটুডে/এমআরএইচ/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।