‘কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের চেয়েও ৩য় বিশ্বযুদ্ধ কাছাকাছি’
১৯৬২ সালের ১৩ দিনের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের চেয়েও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরুর বিষয় আরো কাছাকাছি রয়েছে। ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রেডিও উপস্থাপক ডন ডিবার এ মন্তব্য করেছেন।
১৯৬২ সালে কিউবায় সোভিয়েত ইউনিয়ন পরমাণু বোমা মোতায়েন করলে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে মারাত্মক সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন সম্প্রতি জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, দেশের পরমাণু অস্ত্রের বোতামে যেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত যেতে না পারে। তিনি এ বক্তব্য দিয়ে মূলত বলতে চেয়েছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাাচিত হলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
হিলারির এ বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিশ্লেষক ডন ডিবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশংকা ব্যক্ত করেছেন। হিলারি আরো বলেছেন, ট্রাম্প হচ্ছেন অস্থির চিত্তের মানুষ; তাকে বিশ্বাস করা যায় না; তাকে ওভাল অফিসে বসানো যায় না।
ডিবার বলেন, বিশ্ব এরইমধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পথে চলেছে কিন্তু হিলারি ক্লিনটন সে বাস্তবতা উপেক্ষা করছেন। এরই অংশ হিসেবে রাশিয়ার প্রতিবেশী বাল্টিক সাগর এলাকার দেশগুলোতে ও কোরিয় উপত্যকায় ন্যাটো এবং মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। এসব সেনা মোতায়েনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়া ও চীনে অভিযান চালানো। এর পাশাপাশি ৪০ বছর আগে চুক্তির মাধ্যমে যেসব অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেসব অস্ত্রও রুশ সীমোন্তে মোতায়েন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি চলতি বছরের শুরু থেকে চীন ও রাশিয়া সীমান্তে বিশাল আকারের এবং দীর্ঘমেয়াদি সামরিক মহড়া চলছে। এসবই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জোরালো ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেন ডিবার।#
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/৩১