সৌদিকে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ অস্ত্রের চালান দিচ্ছে আমেরিকা
সৌদি আরবের কাছে আরো ১১,৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে ইরানের প্রেস টিভি এ খবর দিয়েছে।
এ প্রস্তাবের আওতায় ওবামা সৌদি আরবকে অস্ত্রের চালানের পাশাপাশি সেসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পরিচালনার প্রশিক্ষণও দেয়ার কথা বলেছেন। রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের সঙ্গে আমেরিকার ৭১ বছরের মিত্রতার ইতিহাসে এটিই হতে যাচ্ছে অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান।
আমেরিকা-ভিত্তিক সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সৌদি আরবকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য আমেরিকা আলাদা ৪২টি চুক্তি করেছে যার মোট মূল্য হবে ১১,৫০০ কোটি ডলার। এসব অস্ত্রের বেশিরভাগই সৌদি আরবকে সরবরাহ করতে বাকি রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ২০০৯ সালে বারাক ওবামা ক্ষমতায় আসার পর থেকে সৌদি আরবকে ক্ষুদ্রাস্ত্র ও গোলাবারুদ থেকে শুরু করে ট্যাংক, অ্যাটাক হেলিকপ্টার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা জাহাজ এবং যুদ্ধজাহাজের মতো বড় সামরিক সরঞ্জাম সবই সরবরাহ করেছেন। এর পাশাপাশি সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীকে এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দিয়েছে আমেরিকা।
ইয়েমেনে সরাসরি সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে সৌদি আরব যখন নিরাপরাধ নাগরিকদের হত্যার করছে এবং সিরিয়া ও ইরাকে উগ্র সন্ত্রাসীদেরকে লেলিয়ে দিয়ে রক্তের নদী বইয়ে দিচ্ছে তখন দেশটির কাছে মার্কিন এই বিশাল অস্ত্রের চালান বিক্রির খবর বের হলো। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ও মানবাধিকার সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা সৌদি আরবের এসব কাজকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করলেও মানবাধিকারের কথিত ধ্বজাধারী আমেরিকার কাছে সৌদি আরবের তৎপরতা কোনো অন্যায় বলেই গণ্য হচ্ছে না।#
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/৮