সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৬ ১৮:৩৯ Asia/Dhaka
  • মিনা ট্র্যাজেডির শোকের ছায়ায় মক্কায় শুরু হচ্ছে হজ-সমাবেশ

পুণ্যভূমি মক্কায় শুরু হয়েছে হজ-সমাবেশ যদিও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় এ বছর হজযাত্রীর সংখ্যা বিপুল হারে কমে গেছে।

 সৌদি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় গত বছরের মিনা ট্র্যাজেডিতে হাজার হাজার নিরপরাধ হজযাত্রীর প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে হজযাত্রীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। আগামীকাল শনিবার থেকে হজের মূল পর্ব বা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।   
সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে গতকাল (বৃহস্পতিবার) পবিত্র মক্কায় সমবেত হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ হজযাত্রী এবং আরও ১৫ লাখ হজযাত্রী শিগগিরই মক্কায় পৌঁছবেন।
সৌদি সরকার নানা ধরনের বাধা আরোপ করায় ও ইরানি হজযাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষার আশ্বাস না দেয়ায় চলতি বছরের হজে হজযাত্রী না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ইরানের ইসলামী সরকার।  
গত বছরের হজের সময় মিনায় ভিড়ের চাপে ইরানের অন্তত ৪৬৪ জন হজযাত্রীসহ সারা বিশ্বের প্রায় আড়াই হাজার হজযাত্রী প্রাণ হারান। কোনো কোনো দেশের হিসেব অনুযায়ী নিহত হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার বা তারও বেশি। এ ছাড়াও হজ শুরু হওয়ার আগে মসজিদুল হারামের আঙিনায় ক্রেন ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় প্রাণ হারান ১০০’রও বেশি হজযাত্রী। এ ঘটনায়ও নিহত হন ১১ জন ইরানি হজযাত্রী। 
সৌদি সরকার তার প্রাথমিক ঘোষণায় মিনায় ৭৭০ জন হজযাত্রী নিহত হওয়ার কথা ঘোষণা করে। পরে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকা সত্ত্বেও সৌদি সরকার এ ব্যাপারে মৃতের সংখ্যা যোগ করা বন্ধ করে রাখে। 
গত সোমবার হজ-বাণীতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামনেয়ী বলেছেন, গত বছরের মিনা ট্র্যাজেডি ও মক্কায় ক্রেন ভেঙে পড়ার দুটি ঘটনার জন্যই সৌদি শাসকরা দায়ী। পরে গত বছরের হজের সময় মিনা ট্র্যাজেডি ও পবিত্র মক্কায় ক্রেন ভেঙে হতাহত ইরানি হাজিদের পরিবারের সদস্যদেরকে দেয়া একা সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন  “সৌদি শাসকরা এতটাই নির্লজ্জ যে, যেসব দেশের হাজি নিহত হয়েছেন সেসব মুসলিম দেশের কাছে তারা মৌখিকভাবে ক্ষমা চাইতে পর্যন্ত অস্বীকার করেছেন।” তিনি বলেন গত বছরের ট্র্যাজেডিতে একথাও প্রমাণিত হয় যে, সৌদি শাসকরা মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্র দুটি স্থানের খাদেম হওয়ার যোগ্য নন। হজ ও মক্কা-মদিনার পরিচালনা ইসলামী সম্মেলন সংস্থার মাধ্যমে বা বহু-জাতিক ব্যবস্থাপনায় হওয়া উচিত বলে ইরান দাবি করে আসছে এবং এ ব্যাপারে মুসলিম জাতি ও সরকারগুলোকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে ইসলামী এই দেশটির নেতৃবৃন্দ।

মক্কা ও মদিনায় এবং এ দুই পবিত্র শহরে পৌঁছার পথগুলো নিরাপদ থাকলে প্রত্যেক সুস্থ ও আর্থিক সঙ্গতির অধিকারী মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ বা অবশ্য-পালনীয় কর্তব্য।#  

পার্সটুডে/মু.আ.হুসাইন/৯

ট্যাগ