‘কয়েকটি দেশের আচরণে বিস্মিত হয়েছে রাশিয়া’
(last modified Wed, 02 Nov 2016 03:00:01 GMT )
নভেম্বর ০২, ২০১৬ ০৯:০০ Asia/Dhaka
  • রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু
    রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু

ভূমধ্যসাগর অভিমুখী রুশ নৌবহরকে কোনো কোনো দেশ তাদের বন্দরে ভিড়তে না দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে রাশিয়া। সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়ার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী রুশ নৌবহর ভূমধ্যসাগরে পৌঁছার পর দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এ বিস্ময় প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “আমাদের যুদ্ধজাহাজগুলো আমাদের পশ্চিমা সহযোগীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করার বিষয় ছিল, আমেরিকা ও ন্যাটোর চাপের মুখে সুনির্দিষ্ট কিছু দেশ প্রকাশ্যে তাদের বন্দরে আমাদের জাহাজ ভিড়তে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।”

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “এসব দেশের এই অসহযোগিতার কারণে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে আমাদের অসুবিধা হয়নি। তবে আমাদের পশ্চিমা সহকর্মীরা সন্ত্রাসবাদ নাকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে সে বিষয়ে তাদেরকে স্থির ধারণায় আসতে হবে।”

জেনারেল শোইগু বলেন, “এ বিষয়ে আমার একজন কবির কথা মনে পড়ে গেল যিনি বলেছিলেন, একই ব্যক্তির পক্ষে একই সময়ে দু’টি ট্রেনে চড়া সম্ভব নয়।”

রুশ নৌবহরটি গত সপ্তাহে স্পেনের সিউটা বন্দর থেকে জ্বালানি নেয়ার জন্য দেশটির কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু মাদ্রিদ ওই অনুরোধে সাড়া না দেয়ার পর তা প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া।  

রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্পেনের কাছে অনুরোধ জানানোর পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের পক্ষ থেকে রুশ রণতরীগুলোকে জ্বালানি না দেয়ার জন্য মাদ্রিদের ওপর চাপ তৈরি করা হয়। ন্যাটোর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়। এরপর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এটির নৌবহরের প্রধান বিমানবাহী রণতরী অ্যাডমিরাল কুজনেত্‌সভের জন্য জ্বালানি গ্রহণের কোনো অনুরোধ স্পেনের কাছে পাঠানো হয়নি। গন্তব্যে পৌঁছার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি রুশ রণতরীগুলোতে রয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, স্পেনের সঙ্গে থাকা চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া তার জাহাজগুলোকে বাণিজ্যিক কাজে কিংবা মেরামতের জন্য সিউটা বন্দরে পাঠাতে পারে। সিরিয়া যাওয়ার পথে সেই চুক্তিই ব্যবহার করতে চেয়েছিল মস্কো।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/২

ট্যাগ