ট্রাম্পের বিজয়: কেন ব্যর্থ হলো মার্কিন মতামত জরিপ সংস্থাগুলো?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত বিজয়ে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দেশটির মতামত জরিপ শিল্পে জড়িত সংস্থাগুলো। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
বেশিরভাগ মতামত জরিপে অল্প ভোটের ব্যবধানে হিলারি ক্লিনটনের বিজয়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ইলেক্ট্রোরাল কলেজের জয়ের মাধ্যমে ট্রাম্প বিজয়ী হবেন -এমন আভাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে মতামত জরিপকারী সংস্থাগুলো।
এ প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে কোন কোন মতামত জরিপকারী সংস্থা টিকে থাকবে? পাশাপাশি এ প্রশ্নও উঠেছে, এ রকম আরেকটি মারাত্মক ভুল এড়ানোর জন্য কী ধরণের রদবদল করতে হবে! অবশ্য এরইমধ্যে অনেক মতামত জরিপকারী সংস্থা উঠে গেছে। সংবাদ সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অর্থপ্রাপ্তি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব সংস্থা বিলুপ্ত হয়েছে।
আমেরিকার ২০টি গুরুত্বপূর্ণ মতামত জরিপকারী সংস্থার মধ্যে কেবল মাত্র সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডোর্নসেইফ/লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস বা ইউএসসি/এলএ টাইমস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতামত জরিপ ছিল ব্যতিক্রমধর্মী। এ সংস্থা জরিপের ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে ট্রাম্পের এগিয়ে থাকার কথা বলেছে।
নির্বাচনের দিনে অর্থাৎ ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রিয়ালক্লিয়ার পলিটিক্স জরিপের ভিত্তিতে বলেছিল, গড়ে হিলারি ৩.৩ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকবেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মতামত জরিপ সম্প্রদায়কে সামষ্টিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়েছে।
মতামত জরিপে নিয়োজিত বেশিরভাগ সংস্থাই নির্বাচন পূর্ব নমুনা-জরিপের ওপর ভরসা করেছে। এটাই ছিল তাদের মারাত্মক ভুল। ট্রাম্পের সমর্থকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুখ বন্ধ রেখেছিলেন। তারা মতামত জরিপকে এড়িয়ে গেছেন। এ কথা বলেছেন, ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর পলিটিক্সের প্রধান ল্যারি সাবাটো।
তিনি আরো বলেন, গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক হারে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে তুলনামূলকভাবে আফ্রো-আমেরিকান এবং তরুণ মার্কিনিরা গেছেন কম।
মতামত জরিপের জন্য সম্ভাব্য ভোটারদের যে মডেল ব্যবহার করা হয়েছে তাতেই সমস্যা ছিল বলে মনে করছেন আইপোস পাবলিক অ্যার্ফেয়ার্সের সভাপতি ক্লিফ ইয়ং। কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল পূর্বাভাসের চেয়ে কম। আর এটিই রিপাবলিকান প্রার্থীদের অনুকূলে গেছে।#
পার্সটুডে/মূসা রেজা/১০