বসনিয়ার কসাই রাতকো ম্লাদিচের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
(last modified Wed, 22 Nov 2017 16:19:49 GMT )
নভেম্বর ২২, ২০১৭ ২২:১৯ Asia/Dhaka
  • জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ম্লাদিচ
    জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ম্লাদিচ

বসনিয়ার সেব্রেনিৎসায় গণহত্যার নির্দেশ দেয়ার দায়ে যুগোস্লাভিয়ার সাবেক সার্ব জেনারেল রাতকো ম্লাদিচকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল। ১৯৯৫ সালে সেব্রেনিৎসায় ম্লাদিচের নির্দেশে আট হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোরকে হত্যা করা হয়। কৌঁসুলিরা ৭৪ বছর বয়সী এ কসাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছিলেন।

ম্লাদিচের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ (বুধবার) সেসব অভিযোগের বিষয়ে রায় পড়ে শোনান বিচারক আলফোন্স অরিয়ে। এ সময় ম্লাদিচকে অনেকটা নিরুদ্বেগ দেখা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেব্রেনিৎসা গণহত্যা ছিল ইউরোপের সবচেয়ে নিকৃষ্ট হত্যাকাণ্ড। বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো দখল ও ১১ হাজার বেসমারিক ব্যক্তিকে হত্যার জন্য তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধেরও অভিযোগ রয়েছে।

রায় ঘোষণার পর ম্লাদিচ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। গণহত্যার সময় তিনি বসনিয়ায় সার্ব বাহিনীর সেনা কমান্ডার ছিলেন।

বসনিয়ার  পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত সেব্রেনিৎসা যুদ্ধের সময় ছিল নিরাপদ অঞ্চল এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা হাল্কা অস্ত্র নিয়ে ওই এলাকা রক্ষার দায়িত্বে ছিল। কিন্তু বর্বর সার্ব বাহিনী ১৯৯৫ সালের ১১ জুলাই ওই এলাকায় হামলা চালালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা আত্মসমর্পণ করে এবং সেখানে সার্ব সেনারা গণহত্যা চালায়।

সাবেক যুগোস্লাভিয়া থেকে বসনিয়া-হারজেগোভিনাকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর খ্রিস্টান সার্বরা বসনিয়ার মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ বর্বরতা চালায়। সে সময় বসনিয়ার সার্ব নেতা ছিলেন রদোভান কারাদজিচ এবং সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন স্লোবোদান মিলোসেভিচ। এই দুই ব্যক্তির সমর্থনে ম্লাদিচ বসনিয়ার মুসলমানদের ওপর জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালায়।#

পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/২২