সংঘর্ষের সুযোগে ত্রিপোলির কারাগার থেকে ৪০০ বন্দির পলায়ন
https://parstoday.ir/bn/news/world-i64000-সংঘর্ষের_সুযোগে_ত্রিপোলির_কারাগার_থেকে_৪০০_বন্দির_পলায়ন
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির কাছে একটি কারাগার থেকে অন্তত ৪০০ বন্দি পালিয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শহরে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সুযোগে এসব বন্দি পালিয়ে যায়।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮ ০৫:২৯ Asia/Dhaka
  • বন্দিরা পালিয়ে যাওয়া পর \\\'আইন জারা\\\' কারাগারের ভেতরের একটি দৃশ্য
    বন্দিরা পালিয়ে যাওয়া পর \\\'আইন জারা\\\' কারাগারের ভেতরের একটি দৃশ্য

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির কাছে একটি কারাগার থেকে অন্তত ৪০০ বন্দি পালিয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শহরে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সুযোগে এসব বন্দি পালিয়ে যায়।

ত্রিপোলির নিকটবর্তী আইন জারা কারাগারের বন্দিরা জেলখানার দরজা ভেঙে সদলবলে বেরিয়ে যায়। পুলিশ আরো জানিয়েছে, কারাগারের নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রাণভয়ে পলায়নরত বন্দিদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেননি।

সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকার নগরীতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।

ত্রিপোলিতে চলমান সংঘর্ষের দৃশ্য 

আইন জারা কারাগারে আটক বন্দিদের বেশিরভাগ সাবেক লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুসারী বলে জানা গেছে। ২০১১ সালে গাদ্দাফি বিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের সময় এসব ব্যক্তি বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০১১ সালের শেষদিকে গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গাদ্দাফি সরকারের পতনের পর দেশটিতে বহু সশস্ত্র গোষ্ঠীর জন্ম হয় এবং এসব গোষ্ঠী এক একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। বর্তমানে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি সরকার রাজধানী ত্রিপোলির ক্ষমতায় থাকলেও লিবিয়ার বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। #

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/৩