পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর জরুরি বৈঠকে বসার ইঙ্গিত
ইরানের পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী দেশগুলো জরুরি বৈঠকে বসতে পারে বলে খবর দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনির মুখপাত্র মায়া কাসিয়ানচিচ রোববার ভিয়েনায় এ খবর জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষকারী দেশগুলো জরুরি বৈঠকে বসার বিষয়টি বিবেচনা করছে কারণ, ইরানের পক্ষ থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়ানোর ঘোষণায় এসব দেশে ‘গভীর উদ্বেগ’ তৈরি হয়েছে।
এ সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়া এবং ইউরোপের পক্ষ থেকে এটি বাস্তবায়নে গড়িমসি করার বিষয়টি চেপে গিয়ে কাসিয়ানচিচ বলেন, ইরানের নয়া ঘোষণার পর আসন্ন জরুরি বৈঠকে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী অবশিষ্ট দেশগুলো তাদের করণীয় নির্ধারণ করবে।
ইরান গত চার বছর ধরে পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করলেও ২০১৮ সালের মে মাসে আমেরিকা এটি থেকে অন্যায়ভাবে বেরিয়ে যায়। এরপর ইউরোপ ইরানকে এ সমঝোতা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও তা পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। পশ্চিমা দেশগুলোর এ ন্যক্কারজনক আচরণের প্রতিক্রিয়ায় ইরান গত ৮ মে পাশ্চাত্যকে ৬০ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়ে বলেছিল, এ সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। তা না হলে তেহরান এ সমঝোতায় নিজের দেয়া কিছু প্রতিশ্রুতি পালন স্থগিত রাখবে।
তেহরানের দেয়া সে সময়সীমা গতকাল ৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তার দেশ এখনো যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে এবং ইউরোপীয়রা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করলে ইরানও আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। #
পার্সটুডে/মো. মুজাহিদুল ইসলাম/৮