জর্দান, তুরস্ক ও আমিরাত লিবিয়ায় অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লংঘন করেছে: জাতিসংঘ
https://parstoday.ir/bn/news/world-i75089-জর্দান_তুরস্ক_ও_আমিরাত_লিবিয়ায়_অস্ত্র_নিষেধাজ্ঞা_লংঘন_করেছে_জাতিসংঘ
২০১১ সালে লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘ যে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তা নিয়মিতভাবে লংঘন করেছে জর্দান, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। জাতিসংঘের অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা গোপন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেন যা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র কাছে গতকাল (বৃহস্পতিবার) পৌঁছেছে।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
নভেম্বর ০৮, ২০১৯ ১৮:২৯ Asia/Dhaka
  • লিবিয়া সরকারের অনুগত একটি সশস্ত্র গেরিলা গোষ্ঠী
    লিবিয়া সরকারের অনুগত একটি সশস্ত্র গেরিলা গোষ্ঠী

২০১১ সালে লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘ যে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তা নিয়মিতভাবে লংঘন করেছে জর্দান, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। জাতিসংঘের অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা গোপন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেন যা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র কাছে গতকাল (বৃহস্পতিবার) পৌঁছেছে।

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা তাদের এক বছরের গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছেন, এই তিনটি দেশ নিয়মিতভাবে এবং কখনো অত্যন্ত নগ্নভাবে লিবিয়ার কাছে ছদ্মবেশে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। কূটনীতিকদের তথ্যমতে, লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের সেনাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জর্দান। গত এপ্রিল মাসে খলিফা হাফতার রাজধানী ত্রিপোলি দখলের জন্য অভিযান শুরু করেন।

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়াজ আল-সেরাজ

হাফতারকে সমর্থনকারী অন্যদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত বিরোধীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। রাজধানী ত্রিপোলির কাছের একটি অভিবাসী ডিটেনশন সেন্টারে ওই হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছিল। জাতিসংঘের গোপন রিপোর্টে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে হামলা চালিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

অন্যদিকে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়াজ আল-সেরাজের সরকারকে তুরস্ক প্রকাশ্যে সমর্থন করে এবং আঙ্কারার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা সরকারি বাহিনীকে আর্মর্ড ভেহিকেল থেকে শুরু করে ড্রোন পর্যন্ত সরবরাহ করেছে। এভাবে লিবিয়ার বিবদমান দুই গ্রুপ তুরস্ক, জর্দান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পেয়েছে। এছাড়া সুদান এবং চাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি শনাক্ত করেছে জাতিসংঘের তদন্তকারী দল।#

পার্সটুডে/এসআইবি/৮