লিবিয়া সংকট
তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়বে মিশর-আমিরাতের নৌ কমান্ডো ইউনিট
লিবিয়ার উপকূলে তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি যৌথ নৌ-কমান্ডো ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে। এই নৌ কমান্ডো ইউনিট লিবিয়ার উপকূলে তুর্কি স্বার্থে আঘাত হানবে বলে লক্ষ্য ঠিক করেছে।
মিশর এবং লিবিয়ার কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার লন্ডনভিত্তিক আরবি দৈনিক আল-আরাবি আল-জাদিদ বলেছে, যেসব পথে তুরস্ক লিবিয়ায় সামরিক সহযোগিতা পাঠায় সেগুলোকে বাধা দেয়া হবে এই সামরিক স্কোয়াডের মূল লক্ষ্য। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাজ করছে তুর্কি সরকার। লিবিয়ার এ সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফায়াজ আল-সেরাজ।
কয়েকটি সূত্র বলেছে, মিশরের নৌবাহিনীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে এরইমধ্যে ৫০ জন যোদ্ধা লিবিয়ার পূর্ব উপকূলের একটি নৌ ঘাঁটিতে ফিরেছে। ঘাঁটিটি তুরস্কের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সূত্র বলছে, তুরস্কের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত উন্নতমানের সামুদ্রিক বোট সরবরাহ করবে। এসব বোট লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের যোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তরের আগে মিশরের সামরিক বিশেষজ্ঞরা সার্বিক পরিস্থিতি তত্ত্বাবধান করবেন।
রাজধানী ত্রিপোলি দখল করার জন্য গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে ফায়াজ আল-সেরাজ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন খলিফা হাফতার। সেখানে তুরস্ক সরকার ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারকে সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে, খলিফা হাফতারকে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
খলিফা হাফতারের যোদ্ধাদের কাছে রয়েছে প্রিসিশন গাইডেড সেভেন অ্যারো মিসাইল। এ ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত সরবরাহ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসে লিবিয়ার বিদ্রোহীরা দাবি করেছিল, তারা তুরস্কের একটি কার্গো জাহাজ ধ্বংস করেছে যা গোলাবারুদ ও অস্ত্র নিয়ে ত্রিপোলি বন্দরে দিকে যাচ্ছিল।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১০