ইয়াজিদ বাহিনীর মক্কা অবরোধ ও কাবাঘর ধ্বংসের বার্ষিকী
বড় বড় পাথর নিক্ষেপের পর কাবা ঘর জ্বালিয়ে দেয় ইয়াজিদ বাহিনী
১৩৭৯ বছর আগে ৬৪ হিজরির ২৬ মহররমের এ দিনে পাষণ্ড ইয়াজিদের নির্দেশে তার বর্বর সেনারা (কারবালার মহাঅপরাধযজ্ঞ সম্পাদনের তিন বছর পর) পবিত্র মক্কা অবরোধ করে।
তারা মহান আল্লাহর ঘরে তথা পবিত্র কাবায় মিনজানিকের মাধ্যমে বড় বড় পাথর নিক্ষেপ করে ও জ্বলন্ত ন্যাপথালিনযুক্ত অগ্নি-গোলা নিক্ষেপ করে কাবা ঘর জ্বালিয়ে দেয়। ফলে মক্কার বিশিষ্ট সাহাবীদের কাছে ইয়াজিদের খোদাদ্রোহী চরিত্রের বিষয়টি আবারও স্পষ্ট হয়।
এর আগে মুসলিম বিন উকবা আল-মাররির নেতৃত্বে ইয়াজিদ সেনারা পবিত্র মদীনায় হামলা চালায় এবং সেখানে তিন দিন ধরে লুণ্ঠন ও গণ-ধর্ষণে লিপ্ত হয়েছিল। এ যুদ্ধে নিহত হয়েছিল শত শত বিশিষ্ট সাহাবীসহ প্রায় সাড়ে বার হাজার মদীনাবাসী। জন্ম নিয়েছিল হাজার হাজার অবৈধ সন্তান। (বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন ভারত উপমহাদেশের বিখ্যাত আলেম মাওলানা শাহ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলাভী-র. প্রণীত ‘কারবালার পর পবিত্র মক্কা ও মদীনায় ইয়াজিদি তাণ্ডব’ শীর্ষক প্রবন্ধ)
ইয়াজিদ বাহিনী কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.)’র অন্যতম ঘাতক হাসিন ইবনে নুমাইরের নেতৃত্বে মক্কায় হামলা চালানোর জন্য অগ্রসর হতে থাকার সময় মদীনায় অপরাধযজ্ঞ ও গণহত্যা অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী ইয়াজিদ-সেনাদের প্রধান মুসলিম বিন উকবা আকস্মিকভাবে মৃত্যুর শিকার হয়ে জাহান্নামবাসী হয়। মক্কায় পৌছার আগেই একটি বিষাক্ত বৃশ্চিক বা বিছা তাকে কামড় দিলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আবদুল্লাহ ইবনে যোবায়েরকে বন্দী বা হত্যা করাই ছিল মক্কায় ইয়াজিদ বাহিনীর হামলার লক্ষ্য। কিন্তু প্রায় দুই সপ্তাহ পর মক্কা অবরোধ ও পবিত্র কাবাঘরে রক্তপাতের অবসান ঘটে যখন খবর আসে যে কুখ্যাত নরপশু ইয়াজিদ মারা গেছে।
বিশ্বনবী (সা.)’র প্রিয় নাতি হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)সহ নবী পরিবারের বহু সদস্যকে কারাবালায় শহীদ করা এবং মক্কা ও মদীনাকে বিধ্বস্ত করা ছিল খোদাবিমুখ পাষণ্ড ইয়াজিদের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলের তিনটি বড় কুকীর্তি।
পার্সটুডে/০৫