ইসলাম জ্ঞান অর্জনের ওপর এতো বেশি গুরুত্ব দিয়েছে যে বলা হয়েছে, দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণ করো। ইসলামের এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে যাঁরা বাস্তবায়ন করেছিলেন তাঁদেরই একজন হলেন আবু রেইহান বিরুনি।

আহমাদ ইবনে সাহল আবু যেইদ বালখি একজন মুসলমান সাহিত্যিক, দার্শনিক এবং ভূগোলবিদ হিসেবে সুপরিচিত। জ্ঞানের আরো বিভিন্ন শাখাতেও তাঁর দক্ষতা ছিল।

বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম মনীষীগণ ভূগোল সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণা করেছেন।

আরবরা ইসলামের আবির্ভাবের আগে ভূগোবিদ্যার বিভিন্ন দিক বিশেষ করে 'আবহাওয়াবিদ্যা' সম্পর্কে সচেতন ছিল।তারা এই বিদ্যাকে স্থল এবং সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতেন। একইভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞান, গ্রহ নক্ষত্রের পরিভ্রমণ ইত্যাদিকে মরুপ্রান্তরে ভ্রমণ করা এবং সম্ভবত যুদ্ধের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতেন।

মুসলমান ইতিহাসবিদ এবং মনীষীদের সৃষ্টিকর্মের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের জীবনী রচনা বা সংকলন করা। খলিফা, শাসকবৃন্দ এবং মনীষীদের জীবনীই এতে বেশি স্থান পেয়েছে।

মুসলমানদের মাঝে "বংশ পরিচিতির" ভিত্তিতেও ইতিহাস রচনা ও ইতিহাস পাঠের একটি পদ্ধতির প্রচলন ছিল। বংশ পরিচয় বিদ্যার ইতিহাস বেশ প্রাচীন।

মুসলিম ইতিহাস লেখকগণ ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের স্টাইল বা পদ্ধতির অনুসরণ করেছেন। এইসব পদ্ধতির মধ্যে একটি হলো ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা।

ইসলামের আবির্ভাবের আগে অর্থাৎ আরব্য জাহেলিয়াতের যুগে ইতিহাস রচনার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে-এরকম কোনো গ্রহণযোগ্য তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না।

নিঃসন্দেহে মানুষ সকল সৃষ্টির সেরা এ কারণে যে তার রয়েছে বিবেক-বুদ্ধি এবং চিন্তাশক্তি। প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে নিজস্ব চিন্তা বা দৃষ্টিভঙ্গি। সে কারণেই বহুক্ষেত্রে দেখা যায় মানুষের সাথে মানুষের চিন্তা-চেতনা বা দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ রয়েছে।

সাফাভি আমলের বিখ্যাত মনীষী মুসলিম বিশ্বের নামকরা ফকিহ,কালাম শাস্ত্রবিদ এবং দার্শনিক হলেন মির্দামাদ।তাঁর আসল নাম ছিলো মির শাম্সুদ্দিন মুহাম্মাদ বাকের আস্তারাবাদী। হিজরি ১০২৫ সালে তিনি ইরানের ইস্ফাহানে জন্মগ্রহণ করেন।