অক্টোবর ১১, ২০২২ ১২:৪১ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আজ ১১ অক্টোবর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম

  • জ্বালানিসংকট বেড়েছে, সর্বোচ্চ লোডশেডিং-প্রথম আলো
  • ইসির বৈঠকে ডিসি-এসপিদের হইচই-বিব্রত ইসি রাশেদা সুলতানা-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • নির্বাচন-অর্থনীতি-কী ভাবছে মানুষ-মানবজমিন
  • যে কারণে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আবারও হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া-যুগান্তর
  • মায়ের বুকের দুধে প্লাস্টিক কণা পেলেন বিজ্ঞানীরা–ইত্তেফাক‘চেতনার’ নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, সভাপতি-সম্পাদক গ্রেপ্তার-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • আদালতে আত্মসমর্পণ, তারপরই জামিন মুসলিমদের হত্যার ডাক দেওয়া নরসিংহানন্দের-সংবাদ প্রতিদিন
  • দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়-আজকাল
  • হকের চাকরি চুরি হয়েছে, নিয়োগ চাই’, মানিকের গ্রেফতারিতেও খুশি হতে পারছেন না ‘বঞ্চিত’রা-আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি। 

বিশ্লেষণের বিষয়:

১. আলোচনায় ১০ই ডিসেম্বর, রাজনীতিতে উত্তাপ। দৈনিক মানবজমিনের এই শিরোনাম সম্পর্কে কি বলবেন, আসলে কি হতে যাচ্ছে?
২. সৌদি আরব ও আমেরিকার সম্পর্কে বেশ টানা পড়ে সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি কোথায় গিয়ে থামবে বলে আপনার মনে হয়?

বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:

জ্বালানিসংকট বেড়েছে, সর্বোচ্চ লোডশেডিং-প্রথম আলোর এ খবরে লেখা হয়েছে, অক্টোবর থেকে লোডশেডিং পুরোপুরি কমবে বলে জানিয়েছিল সরকার। উল্টো এ সময়ে এসে বেড়ে গেছে লোডশেডিং। জ্বালানির অভাবে চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। পড়ে থাকছে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা। আর ঘরে ও শিল্পে মানুষ ভুগছেন বিদ্যুতের অভাবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। এখন তা বেড়ে হয়েছে আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তিন থেকে চার ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না এখন। আর ঢাকার বাইরে কোনো কোনো এলাকায় ৭ থেকে ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।ডলার–সংকট জ্বালানি খাতকে কঠিন করে তুলেছে। এক মাস পর হয়তো স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। তবে আগামী গ্রীষ্মে (মার্চ-এপ্রিল) পরিস্থিতি কী হবে, ভাবা যাচ্ছে না বলেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম।

প্রথম আলোর মতামত কলামে মনোজ দে লিখেছেন, কায়দা করে টিকে থাকার পরের কায়দাটা কী?

তিনি লিখেছেন, ‘কায়দা করে বেঁচে থাকো’—বছর কয়েক আগে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সীমানাপ্রাচীরে এ রকম একটা দেয়াললেখন চোখে পড়ত। তখন করোনা মহামারি শুরু হয়নি, তবে এ দেশের গরিষ্ঠসংখ্যক মানুষ তখনো কায়দা করে বেঁচে থাকার সঙ্গে নানাভাবে পরিচিত ছিল। ইতিহাসে বারবার এখানে বহিরাগত শাসকদের বদল হয়েছে। লুণ্ঠনে, অপশাসনে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর একই ধরনের গল্প তাই ওপরতলার গুটিকয়েকের বাদ দিয়ে প্রায় সবারই। স্বাধীন দেশেও সেই চিত্র বদলায়নি। বলা চলে, অপশাসন, মারি, মড়ক, মন্বন্তরের সঙ্গে লড়তে লড়তেই মানুষকে এখানে কায়দা করে বেঁচে থাকার নানা কৌশল রপ্ত করে নিতে হয়েছে।

মহামারি শুরুর প্রথম দিকে বিশ্লেষকেরা তথ্য-উপাত্ত, বিশ্লেষণ, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও অকাট্য যুক্তি দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছিলেন, কত বড় মহাবিপর্যয় এ দেশের জনগণের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু কি যেন এক তুকতাকের বলে সেই আশঙ্কার বেশির ভাগটাই উড়িয়ে দিয়েছিলেন এ দেশের সাধারণ মানুষ। প্রায় কোনো ধরনের সহযোগিতা না পাওয়ার পরও কীভাবে উতরে গেছেন তাঁরা এত বড় একটা দুর্যোগ, তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। তবে এই তুকতাক আর কিছু নয়, কায়দা করে বেঁচে থাকা। কম খেয়ে, কম পরে কিংবা শিক্ষা, চিকিৎসা বা জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কাটছাঁট করে টিকে থাকার কৌশল।

মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় আঘাতটা জীবিকার ওপর গিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের নিম্নপুঁজির যেসব মানুষ স্বল্প পুঁজি নিয়ে কায়দা করে জীবন চালাতেন, তাঁরা এখন তাঁদের জীবিকার সম্বলটা টিকিয়ে রাখতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। তাঁরা কেউই জানেন না এর পরের কায়দাটা কী হতে চলেছে।

কায়দা করে বেঁচে থাকার এই কৌশল আপত্কালীন বা সাময়িক সময়ের জন্য হলে মানুষ তা সহ্য করে নিতে পারে, কিন্তু সেটা স্থায়ী রূপ পেলে, অনিবার্যভাবেই এর বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। করোনা মহামারিকালে এ দেশের সিংহভাগ মানুষ যেখানে কায়দা করে টিকে গিয়েছিল, এখন ইউক্রেন যুদ্ধপরবর্তী বাস্তবতায় সেখানে কায়দা করে বেঁচে থাকার পরের কায়দাটা কী হবে, তার চিন্তায় দিশাহারা। এবারেও যথারীতি লড়াইটা তাদের নিজেদের। বরং সরকার একলাফে তেলের দাম ৪০-৫০ বাড়িয়ে দেওয়ার মতো এমন সব তুঘলকি সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যে বালির বাঁধের মতো তাদের কায়দাগুলো ধসে পড়েছে।

আবার সরকারের নীতিগুলো গ্রিক পুরাণের সাইক্লপসের মতো এমন একচোখা যে তাতে তাদের ক্ষমতাতন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত লোকদের সম্পদ বাড়ে শনৈঃশনৈঃ করে। প্রতিবছরই গুণিতক হারে কোটিপতি বাড়ে। আর গুণিতকের বহু গুণিতক হারে সম্পদ হারাচ্ছে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তরা। ফলে যত দিন গড়াচ্ছে, ততই প্রান্তিক থেকে প্রান্তিকতম হয়ে পড়ছে দেশের মোট জনসংখ্যার বিপুল একটা অংশ। জ্বালানি তেলের একধাপে মূল্যবৃদ্ধি কিংবা সব ধরনের নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত কত মানুষ নিচের ধাপে নেমে পড়ছে, এর কোনো পরিসংখ্যান কিংবা জরিপ কি সরকার করছে? কিন্তু মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত হওয়ার প্রক্রিয়াটা এখন আশপাশে কারও সঙ্গে কথা বললেই যে কারোরই বুঝতে অসুবিধা হবে না।

নির্বাচন-অর্থনীতি

কী ভাবছে মানুষ-মানবজমিন

করোনা পরবর্তী সময়ে এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি মানুষ। সঙ্গে যোগ হয়েছে বৈশ্বিক অস্থিরতা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যে নাভিশ্বাস অবস্থা। সীমিত আয় দিয়ে বেঁচে থাকার নানা কৌশল খুঁজে নিচ্ছে মানুষ। তার ওপর জীবন আর চলছে না। সামনে আসছে নির্বাচন। এ নিয়ে অন্তহীন ভাবনায় মানুষ। কী হবে? কেমন হবে সেই নির্বাচন? নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতিই বা কেমন হবে? এমন নানা প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন সাধারণ মানুষ। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, স্থিতিশীল পরিবেশ তাদের প্রত্যাশা। চলমান পরিস্থিতি, রাজনীতি, নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।তারা জানিয়েছেন, তাদের ভাবনার কথা।

মুহাম্মদ সৈকত হাসান, শিক্ষার্থী: লোডশেডিংয়ে পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আগে ভার্সিটির লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়তাম এখন সেটা একদম পড়তে পারছি না। এতে পড়াশোনার ওপর একটা প্রভাব পড়ছে। একদিকে গরম অন্যদিকে অন্ধকার। তিন দিন ধরে আমার ফুফুর ডেঙ্গু জ্বর। তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি সেখানেও সমস্যা। ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না। তাকে অক্সিজেন দেয়ার যখন প্রয়োজন ছিল তখন কিন্তু দিতে পারছি না। দেশে রাজনৈতিক যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে সেটিতে নিজের নিরাপত্তা কোথায়? রাস্তা দিয়ে যে নিরাপদে বাসায় ফিরবো সেটিরও কোনো নিশ্চয়তা নেই। বাংলাদেশের রাজনীতি বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে। আগে ১০ কেজি চাল কিনলে এখন ৫ কেজি কিনতে হচ্ছে।

সাজেদুল ইসলাম সাজু, বেসরকারি চাকরিজীবী: মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক চাপটা সবার ওপরে পড়ছে। আমার যে হারে ব্যয় বাড়ছে সেই হারে বেতন বাড়ছে না। এতে নানামুখী সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আগে কিছু টাকা জমা করে রাখা যেত এখন মাস শেষ হওয়ার আগে টাকা শেষ হয়ে যায়। পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রোজী আক্তার, গৃহিণী: লোডশেডিংয়ে অবস্থা খারাপ। এদিকে দুই মাস ধরে গ্যাস থাকে না ঠিকমতো। এসব কী শুরু হলো দেশে। আমরা এই গরমে মধ্যবিত্তরা কীভাবে বাঁচি। অসুস্থ হয়ে যেতে হচ্ছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি। আমরা কী না খেয়ে মারা যাবো। রাতে ঠিকমতো ঘুমও হচ্ছে না। কোন মানবতার মধ্যে আমরা বসবাস করছি। না বাঁচতে, না পারি মরতে। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ সবকিছুতে আমাদের কষ্ট। দিনে ৫-৬ বার লোডশেডিং হচ্ছে। এদিকে মশার ভয়ে বাইরেও থাকতে পারি না। সরকার আমাদের ভালোবাসলে এসবের দিকে খেয়াল করতো। সে তো দুই বেলা না খেয়ে থাকতে পারে। সরকারের উচিত সন্তানের মতো করে জনগণের পাশে দাঁড়ানো। তাদের সুখ-দুঃখগুলো বোঝা। 

সৈয়দ আমানত আলী, গণমাধ্যমকর্মী: নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দেশের তো সবকিছু উৎপাদনের সক্ষমতা নেই। তেল, খাদ্যশস্য, গম, চাল এগুলো আমাদেরকে আমদানি করতে হয়। এই যুদ্ধের কারণে ডলারের মূল্যে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলো সমন্বয় না করতে পারলে দ্রব্যমূল্যে নিম্নমুখী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দেশে ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল এগুলো আমদানি করে কিন্তু সরকারের পলিসিটা সে কীভাবে করছে সেটি আসলে বোঝা কষ্টকর। কেন হঠাৎ করে এভাবে লোডশেডিং শুরু হলো। মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে আছে।

বেলাল হাসান, রিকশাচালক: ঢাকায় টিকে থাকা খুবই কষ্ট। ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। চার-পাঁচ ঘণ্টা ধরে বাসায় বিদ্যুৎ থাকে না। ডাল-ভাতের পয়সাও ঠিকমতো আয় করতে পারি না। যে টাকা আয় করি তাতে বাজারে গেলে ভয়ে থাকতে হয়। জিনিসপত্রের দাম কমলে সুন্দর করে জীবনযাপন করা যেতো। এখন যে পরিস্থিতি তাতে টিকে থাকা যাচ্ছে না। গত ১০ বছর ধরে ভোট দিতে পারি না। এদিকে ভোটকেন্দ্রে গেলে বলে আপনার ভোট হয়ে গেছে। দুইবার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ফিরে এসেছি। এখন তো রাস্তায় বেরোনো যায় না। রাস্তায় বের হলে মারামারি। সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে গরিব মানুষ কী হবে আমার। 

শেখ ফাহিম ফয়সাল, শিক্ষার্থী: বর্তমানে রাজনৈতিক অসহিষ্ণু মনোভাব পরিবর্তন প্রয়োজন। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ হওয়া চাই। তবে রাজনীতি, নির্বাচনের নীতি পরিবর্তন করা একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে সহজ নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে একাডেমিক উন্নয়নসহ শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না। 

নুরুল হক, রিকশাচালক: আমরা ভোট সেন্টারে যাওয়ার আগেই ভোট কাউন্ট হয়ে যায়। কি কারণে হয়, আমাদের ভোট কারা দেয়? সেন্টারে গেলে বলে তোমার ভোট হয়ে গেছে। তখন কে দিলো, কীভাবে দিলো তা আমরা জানি না। আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমি চাই, আমার ভোট আমি দিতে। 

ডিসি-এসপিদের হইচইয়ে বিব্রত ইসি রাশেদা-মানবজমিন

নির্বাচন ভবনে মতবিনিময় সভায় দেশের ৬১ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) হইচইয়ে বিব্রত হয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তবে এ ঘটনায় তিনি বিচলিত নন বলে জানান। তিনি বলেন, ইসি আনিছুরের কথার প্রক্ষেপণটা ওনাদের ভালো লাগে নাই, তবে কথাগুলো সত্য এবং অমূলক নয়। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।

ইসি রাশেদা বলেন, হইচই করাটা তাদের ঠিক হয় নাই, এটা সত্য কথা। এ পরিবেশ তৈরি হওয়াটা কোনোভাবেই ঠিক হয় নাই। সাময়িকভাবে বলব, মনে একটু খারাপ লাগছে। বিব্রত তো বটেই, কারণ ওরকম একটা ঘটনা কে চায়? মাথার মধ্যেই তো আনতে পারি নাই। ওরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। যেটা গেছে গেছে, ওটা নিয়ে আমরা এত বিচলিত না। বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।

জেলা পরিষদ ও গাইবান্ধা উপনির্বাচনসহ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটের মাঠের পরিস্থিতি জানতে দেশের ৬১ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সাথে  ঢাকায় গত শনিবার বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।

সেখানে বক্তব্যে বিগত নির্বাচন ও জেলা পরিষদ ভোটে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়টি তুলে ধরেন ইসি আনিছুর রহমান। তখনই সভাকক্ষে হইচই সৃষ্টি হয়। ডিসি-এসপিদের আপত্তির মুখে কমিশনার বলেন, আপনারা আমার বক্তব্য শুনতে চান কি না? জবাবে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নেতিবাচক সাড়া দিলে বক্তব্য থামিয়ে তিনি ডায়াসে ফিরে যান।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, হয়তো কথার প্রক্ষেপণটা ওনাদের ভালো লাগে নাই। যে প্রসঙ্গ নিয়ে হঠাৎ উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি হলো, প্রসঙ্গগুলো খুব যে মিথ্যে তা কিন্তু না। প্রসঙ্গগুলো যে আমাদের সমাজে নাই, তা কিন্তু না। প্রসঙ্গগুলো সত্য। হয়তো বলার ধরণটা ওনারা নিতে পারেন নাই।

যে কারণে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আবারও হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া-যুগান্তর

ক্রিমিয়ান ব্রিজে হামলার পর ইউক্রেনের অন্তত ১০টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, রাশিয়া আত্মরক্ষা করবে। এ বিষয়ে ‘কারও কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়’।

সোমবার সকালে পুতিন ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে একটি সুদূরপ্রসারী সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। 

এর পর রুশ যুদ্ধবিমানগুলো রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহরে সামরিক ও প্রশাসনিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে বিস্তৃত হামলা শুরু করেছে। রাশিয়ার হামলায় দেশব্যাপী অন্তত ৯ জন নিহত এবং একাধিক শহরে বিদ্যুৎ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা বন্ধ হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। 

পুতিন বলেন, এ হামলা একটি বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ছিল, যা সপ্তাহান্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাশিয়ান সেতুতে আঘাত করেছিল, যাকে তিনি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলেছেন। 

ইউক্রেন রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে থাকলে তিনি আরও হামলার হুমকি দিয়েছেন।

পশ্চিমে লভিভ থেকে দক্ষিণে মাইকোলাইভ এবং উত্তর-পূর্বে খারকিভ পর্যন্ত একাধিক হামলা শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্টতই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সুবিধাগুলোকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। বিস্ফোরণগুলোর মধ্য কিয়েভের বিল্ডিংগুলোর জানালাগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছে, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং এমন সময়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে, যখন অনেকে স্কুল বা কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। আক্রমণগুলো প্রমাণ করে যে, রাশিয়ার এখনো ইউক্রেনের গভীরে আঘাত হানার এবং নাগরিকদের আতঙ্কিত করার ক্ষমতা রয়েছে।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

আদালতে আত্মসমর্পণ, তারপরই জামিন মুসলিমদের হত্যার ডাক দেওয়া নরসিংহানন্দের-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে সংখ্যালঘু মুসলিমদের গণহত্যার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। তারপর বির্তকের জেরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। উগ্র হিন্দুত্বের ধ্বজাবাহকদের মধ্যে তাঁর প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার সেই যতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিনও পেয়ে যান তিনি।জানা গিয়েছে, সোমবার মুজফ্ফরনগরের আকটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের দাসনা দেবী মন্দিরের পুরোহিত নরসিংহানন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হিংসা ও আইন অমান্য করার আভিযোগ রয়েছে। এদিন শুনানি শেষে নরসিংহানন্দের জামিন অযোগ্য পরোয়ানা রদ করে দেয় আদালত। ২০ হাজার টাকার দু’টি বন্ডের বিনিময়ে জামিনও মঞ্জুর করেন বিচারক। অক্টোবরের ১৮ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিকে, মুজফ্ফরনগর দাঙ্গার অন্যতম আভিযুক্তের জামিন হওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলাছেন।

ইউক্রেনে যাবেন না, নাগরিকদের সতর্ক করে বার্তা ভারতীয় দূতাবাসের-আজকাল/সংবাদ প্রতিদিন

ইউক্রেনে হামলার ঝাঁজ বাড়িয়েছে রাশিয়া। সোমবার দেশটিতে আছড়ে পড়ে প্রায় ৮৫টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। হতাহত হন অনেকেই। সেই ঘটনার পরেই নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ইউক্রেনে যেতে বারণ করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের। ইউক্রেনের মধ্যে যাতায়াত নিয়েও সতর্ক করেছে দূতাবাস।বলে রাখা ভাল, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন থেকে অন্তত ২০ হাজার ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়া ও নাগরিকদের উদ্ধার করে নয়াদিল্লি। তবে এখনও সে দেশে বেশ কয়েকজন ভারতীয় রয়ে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

হকের চাকরি চুরি হয়েছে, নিয়োগ চাই’, মানিকের গ্রেফতারিতেও খুশি হতে পারছেন না ‘বঞ্চিত’রা-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, রেড রোডে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে চাকরির দাবিতে ধর্নায় বসেছেন এক দল টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী। সকলেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের ধর্না মঙ্গলবার ৫৬ দিনে পড়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অবস্থানরত এই চাকরিপ্রার্থীরা। ইডির পদক্ষেপে তাঁরা খুশি হয়েছেন ঠিকই, তবে চাকরিতে নিয়োগ না পেলে ধর্না চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।ধর্না মঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থী সোমা পাল বলেন, ‘‘মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। মানিক বলেছিলেন, যদি কোনও দুর্নীতি প্রমাণ হয়, আপনাদের সকলকে ডেকে ডেকে চাকরি দেব। আর এখন তিনি নিজেই ইডির হেফাজতে। দুর্নীতি হয়েছে তা তো ইডি বলছে। সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছে। তা হলে আমরা কী দোষ করলাম?’’ আর এক চাকরিপ্রার্থী সুখেন সরকারের কথায়, ‘‘শুধু শুনছি দুর্নীতি হয়েছে। দেখছি গ্রেফতার হচ্ছে। কিন্তু আমরা যেখানে ছিলাম, সেখানেই রয়ে গিয়েছি। আমাদের কবে নিয়োগ হবে? নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১১

ট্যাগ