বাংলাদেশ ও ভারতের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবর
আয়েশি-বিলাসী প্রকল্প না নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৮ নভেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
-
আয়েশি-বিলাসী প্রকল্প না নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর-মানবজমিন
- বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ওষুধ রপ্তানি মিয়ানমারে-কালের কণ্ঠ
- বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিবেশ তৈরির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের-প্রথম আলো
- চাকরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তার অভিনব ছিনতাই-ইত্তেফাক
- সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরব না : ফখরুল-বাংলাদেশ প্রতিদিন
-
আকুর দেনা ১৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ-রিজার্ভ কমে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে- যুগান্তর
ভারতের শিরোনাম:
- ‘কাবু করোনা ভাইরাস, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আক্রান্ত ৬২৫, মৃত্যুহীন দেশ-সংবাদ প্রতিদিন
- বাম জমানায় নিয়োগ হয়নি, কুণালের আশ্বাস পেয়ে ধর্না তুলে নিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক উত্তীর্ণেরা-–আনন্দবাজার পত্রিকা
- আমজনতাকে সিগারেট, মদ, গুটখা খেতে বললেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ! কেন?-আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার প্রশ্ন (০৮ নভেম্বর)
১. বিইউএইচএস'র গবেষণা: ৪২ শতাংশ রিকশাচালক কানে কম শোনা সমস্যায় ভুগছেন। বিষয়টি সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?
২. ইইউ'র পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়া সমর্থন করবে না হাঙ্গেরি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভুক্ত দেশটির এই অবস্থান সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিবেশ তৈরির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের-প্রথম আলো
বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে—এমনটাই প্রত্যাশা করে যুক্তরাষ্ট্র। তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ সবার জন্য কোনো রকম ভয়ভীতি-দমন ছাড়া শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশে সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার দুপুরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক প্রশ্নের উত্তরে এই আহ্বান জানান।
ব্রিফিংয়ে নেড প্রাইসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে নেড প্রাইস বলেন, বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কসহ পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই তারা নিয়মিতভাবে বিষয়গুলো আলোচনা তুলে থাকে। তারা বিষয়গুলো যেমন ব্রিফিং রুম থেকে প্রকাশ্যে বলে, তেমনি ব্যক্তিগত আলোচনায়ও নিয়ে আসে। এটা করার মধ্য দিয়ে তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সব বাংলাদেশির স্বার্থে আইনের শাসন, মানবাধিকারের সুরক্ষা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানান।
নেড প্রাইস বলেন, ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। আমরা আশা করি, নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জনগণ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের সরকার বেছে নিতে পারবেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এই লক্ষ্যের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, তাই বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ সব জনগণের জন্য কোনো রকম ভয়ভীতি-দমন ছাড়া শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ওষুধ রপ্তানি মিয়ানমারে-কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ থেকে গত অর্থবছরে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলার বা এক হাজার ৯৮২ কোটি টাকার (প্রতি ডলার ১০৫ টাকা) ওষুধ রপ্তানি হয়েছে। বিশ্বের ১৪০টি দেশে এ ওষুধ রপ্তানি হলেও সবচেয়ে বড় চালানটি গেছে পাশের দেশ মিয়ানমারে। দেশটিতে গত অর্থবছরে দুই কোটি ৭৬ লাখ ডলার বা ২৮৯ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি হয়েছে, যা মোট ওষুধ রপ্তানির প্রায় ১৫ শতাংশ। যদিও ওষুধ খাতে প্রায় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর মিয়ানমারের মোট চাহিদার মাত্র ৫ শতাংশের দখল বাংলাদেশের।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মিয়ানমারের ওষুধ খাতে বাংলাদেশের হিস্যা বাড়ানোর খুব ভালো সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।রোহিঙ্গা ইস্যু, জান্তা সরকারের আমলে সীমান্ত এলাকায় বিদ্রোহীদের দমন-পীড়নের মধ্যেও আগের অর্থবছরের তুলনায় (দুই কোটি ২৪ লাখ ডলার) মিয়ানমারে ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে ২৪ শতাংশের বেশি। কিন্তু মিয়ানমারের প্রতিবছর ওষুধের যে চাহিদা, সে তুলনায় বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র ৫ শতাংশ। জাতিসংঘের কমট্রেড ডাটা অনুযায়ী, ২০২১ সালে মিয়ানমার প্রায় ৫৫ কোটি ডলারের ওষুধ আমদানি করে। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করেছে ২৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা মোট আমদানির প্রায় ৫৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে গত অর্থবছরে ৩৪ আইটেমের পণ্য রপ্তানি হয়েছে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে। এ পণ্য থেকে আয় হয়েছে তিন কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে শুধু ওষুধ রপ্তানি হয়েছে দুই কোটি ৭৬ লাখ ডলারের, যা মিয়ানমারে মোট রপ্তানির প্রায় ৭১ শতাংশ।
আবার ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৪০টি দেশে মোট ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের ওষুধ রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওষুধ রপ্তানি হয়েছে মিয়ানমারে। ওষুধ রপ্তানিতে এর পরই আছে শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলোতে গত অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি হয়েছে যথাক্রমে দুই কোটি ৩২ লাখ, দুই কোটি ২৬ লাখ ও এক কোটি ৩৪ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরেও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রপ্তানির শীর্ষ দেশ ছিল মিয়ানমার। এ সময় দুই কোটি ২২ লাখ ডলারের ওষুধ রপ্তানি হয় দেশটিতে।
আকুর দেনা ১৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ-রিজার্ভ কমে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে- যুগান্তর
আমদানি ব্যয় বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে গেছে। সোমবার আকুর দেনা বাবদ ১৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে রিজার্ভ কমে তিন হাজার ৪৪০ কোটি ডলারে বা ৩৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ৫৭৫ কোটি ডলার। এছাড়াও আমদানি ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলোকে ডলারের জোগান দেওয়া হয়েছে। যে কারণে রিজার্ভ কমেছে। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখনো দেনা সমন্বয় করা হয়নি। আজ এটি সমন্বয় করা হতে পারে। সমন্বয় হলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ওই ডলার বাদ দেবে।
সূত্র জানায়, আকুর সদস্য দেশগুলো দুই মাসের বাকিতে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন করে। দুই মাস পরপর দেনা পাওয়া সমন্বয় করে। এবার সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসের দেনা সমন্বয় করা হয়েছে। আকুতে নয়টি দেশ বাকিতে লেনদেন করে। দেশগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার ও ইরান।
আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ প্রতি মাসেই রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করে। এ কারণে প্রতি কিস্তিতেই দেনা শোধ করতে হয়। এবার শোধ করা হয়েছে ১৩৬ কোটি ডলার। গত জুলাই আগস্টের দেনা গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধ করা হয়েছিল ১৭৩ কোটি ডলার। ওই দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল। এবার আমদানি কমায় দেনা অনেক কমেছে। কারণ ডলার সঙ্কটের কারণে আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করায় আমদানি কমেছে। এ কারণে দেনাও কমেছে।
সূত্র জানায়, আকুর দেনা বাবদ এক সঙ্গে বেশি পরিমাণ ডলার পরিশোধ করতে হয় বলে রিজার্ভের ওপর চাপ পড়ে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আকুর দেনা শোধের পর রিজার্ভ বেশি কমে যাচ্ছে। আগে কমে গিয়ে আবার বেড়ে যেত। এখন কমছে, কিন্তু বাড়ছে না।
চাকরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তার অভিনব ছিনতাই-ইত্তেফাক
রাজধানীর উত্তরায় দুবাই প্রবাসীর স্বর্ণের বার ছিনতাইকালে এক ভুয়া ডিবি পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরা পূর্ব থানাধীন জসিম উদ্দিনের ব্র্যাক ব্যাংকের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আরও দু'জন পালিয়ে যায়।
গ্রেফতার নূরে খোদা সিদ্দিকি (৩৭) নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার টেঙ্গা গ্রামের ইয়াকুব এয়ার খানের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর কচুক্ষেতে থাকেন। তিনি একসময় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে পুলিশ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
ভুক্তভোগী দুবাই প্রবাসী এবং টাঙ্গাইলের মির্জাগঞ্জ উপজেলার মৃত শহর আলীর ছেলে মো. হাসান ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে আমি দুবাই থেকে বিমানবন্দরে আসি। দুবাই থেকে আসার সময় আমি আমার দুটি স্বর্ণের বার নিয়ে আসি। কয়েকজনের কাছ থেকে দুই-তিন লাখ টাকা করে সংগ্রহ করে এসব স্বর্ণের বার কিনে নিয়ে আসা হয়েছিল।
ভুক্তভোগী বলেন, বিমানবন্দরে নামার পর সকালে স্বর্ণের দাম কম ছিল। যার কারণে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করি। পরে আমার ভাতিজা সেলিম ও শাহিনের (দুই সহোদর) একজন কাস্টমার স্বর্ণের রেট সব থেকে বেশি বলে। তাদের রেট ঢাকার তাতী বাজারের থেকেও ভরিতে ৩০০ টাকা করে বেশি ছিল। এতে অন্তত নয় হাজার টাকা বেশি লাভ হতো আমার।
হাসান বলেন, তখন আমি তাদের দেওয়া ঠিকানা জসিম উদ্দিনের ব্র্যাক ব্যাংকের আন্ডারগ্রাউন্ডে যাই। গিয়ে দেখি দু'জন রয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে আরও দু'জন মুখে মাস্ক লাগিয়ে আমাদের কাছে চলে আসে। পরে একজন আমাকে জিজ্ঞাসা করে, মাল কার কাছে দে। তখন আমি আমার পকেট থেকে বের করে স্বর্ণের বার দিয়ে দেই। সঙ্গে সঙ্গেই তারা এক হাতে পুলিশের আইডি দেখিয়ে আমায় বলেন, ‘আমি ডিবির লোক।’ আরেক হাতে হ্যান্ডকাফ বের করে আমার বাম হাতে লাগিয়ে দেয়। তখন তারা আমাকে বলেন, ‘এখানে কোনো কথা নয়, তোদেরকে থানায় যেতে হবে। থানায় গিয়ে বাকি কথা হবে।’ তখন আমি তাদেরকে বলি, স্যার আমি তো কোনো অন্যায় কাজ করিনি। আমি বৈধভাবে সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে স্বর্ণের বার নিয়ে আসছি। আমায় কোথায় যেতে হবে আমি যাব, কোনো সমস্যা নেই। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা ভাতিজা সেলিম তাদেরকে বলে উঠে, ‘আপনারা তো ভুয়া ডিবির লোক।’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা আমার হাতে হাতকড়া রেখেই দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
‘এ সময় আমরা ভুয়া ডিবি পুলিশ বলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাদের একজনকে ধরে ফেলে। বাকি দুজন পালিয়ে যায়। জনতা ধরে ফেলা নূরে খোদা সিদ্দিকিকে ধোলাইও দেয়। পরে থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে’- বলেন ভুক্তভোগী।
হাসান আরও বলেন, পালিয়ে যাওয়া দু'জন আমার দুটি স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেছি।
এদিকে, বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া নূরে খোদা সিদ্দিকি বাংলাদেশ পুলিশে ২০০৪ সালে কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি প্রমোশন পেয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হয়েছিলেন। কিন্তু কক্সবাজারের এক ফৌজদারি অপরাধের কারণে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় পুলিশ থেকে চাকরিচ্যুত হন। নূরে খোদা উত্তরা পূর্ব এবং সাবেক মডেল থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
উত্তরার বিভিন্ন বাসিন্দা ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, উত্তরায় কর্মরত থাকা অবস্থায়ও বেপরোয়া ছিলেন নূরে খোদা। প্রতিনিয়ত সাধারণ জনগণকে আটক করে বাণিজ্য করতেন। এক পর্যায়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি টের পেলে তাকে বদলি করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দুবাই প্রবাসীর স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেওয়ান আলী (৪২) ও শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের আরও দু'জন পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পলাতক দু'জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ভুয়া ডিবি পুলিশ সদস্য নূরে খোদা সিদ্দিকি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের টার্গেট মূলত প্রবাসীদের। তারা প্রবাসীদের কাছ থেকে স্বর্ণের বার কেনার নাটক হিসেবে ক্রেতা সাজতেন। পরে স্বর্ণের বার হাতে নিয়ে নেওয়ার পর ডিবি পুলিশ সদস্যের পরিচয় দিয়ে ছিনিয়ে নিতেন। দীর্ঘদিন ধরে এ চক্রটি এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
আয়েশি-বিলাসী প্রকল্প না নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর-মানবজমিন
আয়েশি-বিলাসী প্রকল্প না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ছোট গ্রামীণ প্রকল্প বা কল্যাণমুখী প্রকল্পে আপস করা যাবে না। তবে বড় বড় প্রকল্প নেওয়া যাবে না। বড় প্রকল্প গ্রহণে ফিজিবিলিটি স্টাডি গভীরভাবে দেখতে হবে। আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনাবাদি জমি খুঁজে বের করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহায়তায় এসব অনাবাদি জমি খুঁজে চাষযোগ্য করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি জমি ফেলে রাখা যাবে না। জমিতে নানা ধরনের চাষাবাদ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কেবিনেট সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিসিরা যেন অনাবাদি জমি খুঁজে বের করেন। তিনি জানান, যে কৌশলে পরিকল্পনা কমিশন এক বছর যাবৎ কাজ করছে এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুনিয়াব্যাপী মন্দা চলছে, অপচয় কমানোর পাশাপাশি মিতব্যয়ী হতে হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী একনেক বৈঠকে আবারও উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরব না : ফখরুল-বাংলাদেশ প্রতিদিন
দলীয় নেতা-কর্মীদের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এখন এক দফা, এক দাবি- এই সরকারের পদত্যাগ। এই সরকারের পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাব না। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে দলের এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ২০-দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন বিএনপি নেতারা। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভূতপূর্ব সমন্বয়ে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা হয়েছিল। নতুন করে আবার গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। এখন আমাদের একটাই দাবি, সরকারের পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, সংসদ বিলুপ্ত করুন।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। এই সরকারের পতনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মির্জা আব্বাস বলেন, আসুন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই লুটেরা সরকারের পতন করি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঢাকায় ১০ তারিখের সমাবেশের আগেই ঢাকার আশপাশে মামলা হামলা হচ্ছে। এভাবে জনগণের আন্দোলন স্তব্ধ করা যায় না। ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা জনগণের সরকার চাই, লুটপাট শাসন চাই না। আমরা এই সরকারের পতন ঘটাব। এর আগে সকালে ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ দলের সিনিয়র নেতারা। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করছি। বিএনপির প্রায় ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দিয়ে আসামি করা হয়েছে। তাদের মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছি।
বাম জমানায় নিয়োগ হয়নি, কুণালের আশ্বাস পেয়ে ধর্না তুলে নিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক উত্তীর্ণেরা-–আনন্দবাজার পত্রিকা
বাম জমানায় নিয়োগ হয়নি। এই অভিযোগ নিয়ে সোমবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা। কুণালের আশ্বাস পেয়ে মঙ্গলবার ধর্না তুলে নিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণেরা।
৩৭ দিন ধরে চাকরির দাবিতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। তাঁদের দাবি ছিল, আদালতে মামলাটির দ্রুত শুনানি হোক আর তাঁদের দাবিদাওয়া রাজ্য সরকারের নজরে আসুক। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, সোমবার কুণাল নিয়োগের বিষয়ে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানিও রয়েছে। এর পরেই তাঁরা ধর্না তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ওই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ধর্নায় বসেছিলেন দেবাশিস বিশ্বাস। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের প্রতিনিধি কুণাল ঘোষের সঙ্গে সোমবার দেখা করেছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। যে হেতু বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি রয়েছে, তাই আমরা ধর্না তুলে নিচ্ছি। এই সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’
আমজনতাকে সিগারেট, মদ, গুটখা খেতে বললেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ! কেন?-আজকাল
বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার বিজেপি সাংসদ জনার্দন মিশ্র।
জল সংকট নিয়ে সচেতন করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন গেরুয়া শিবিরের এই সাংসদ। আমজনতাকে মদ, সিগারেট, গুটখা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি জলসংকট ও সংরক্ষণ বিষয়ক একটি সভায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ জনার্দন মিশ্র। জল সংরক্ষণ যে জরুরি, সে দাবির পাশাপাশি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। এই বিষয়ে আমজনতার বিবেক জাগাতে মদ্যপান ও ধূমপানের মতো নেশাকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ জল ফুরিয়ে আসছে। তা বাঁচানো অত্যন্ত জরুরি। না হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বিরাট বিপদে পড়বে। মদ্যপান করুন, তামাক খান, ধূমপান করুন...কিন্তু জলের গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করুন দয়া করে।’ তাঁর বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির ওই সাংসদ আরও বলেছেন, ‘আপনি যদি অতিরিক্ত জল ব্যবহার করেন এবং ব্যবহৃত জলকে ভূগর্ভে ফেরানোর ব্যবস্থা না করেন, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জল থাকবে না।’ জল সংরক্ষণে সাধারণ মানুষকে অর্থ বিনিয়োগ করারও পরামর্শ দেন তিনি। বলে দেন, ‘আপনার অর্থ আপনি যেখানে খুশি অপচয় করুন, তবে জল সংরক্ষণে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দিন।’ যদিও নিজের বক্তব্যের শেষে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘নেশা করা ভাল নয়, কিন্তু বারণ করা হলেও লোকে কানে তোলেন না।’
‘কাবু করোনা ভাইরাস, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আক্রান্ত ৬২৫, মৃত্যুহীন দেশ-সংবাদ প্রতিদিন
করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) কাবু করে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে দেশ। ধারাবাহিকভাবে নিম্নমুখী দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফ। বিশেষত মঙ্গলবারের পরিসংখ্যানে এই আশা ক্রমশই উজ্জ্বল হচ্ছে, খুব শিগগিরই দেশ করোনামুক্ত হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৫ জন। সোমবার তা ছিল ৯৩৭। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের হার নামল অনেকটাই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়নি কারও। কমেছে অ্য়াকটিভ কেসও।
দেশের কোভিড পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে, এনিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৪, ৪৬,৬২,১৪১। কমেছে সক্রিয় করোনা রোগীর (Active Cases) সংখ্যা। এই মুহূর্তে তা ১৪ হাজার ২১।দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতিই একমাত্র উদ্বেগজনক। তবে টিকাকরণ পুরোদমে চলায় সুস্থতার দিকেই এগোচ্ছে দেশ।
পার্সটুডে/ বাবুল আখতার/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।