স্ত্রীর দেহ ৭০ টুকরো করে ছড়িয়েছিলেন স্বামী! কী নিষ্ঠুর!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুতিন আরও নিঃসঙ্গ-ইত্তেফাক
- সিলেট আওয়ামী লীগ নেতাদের তলব প্রধানমন্ত্রীর-যুগান্তর
- মতামত-আওয়ামী লীগ চাইলেও কি সুষ্ঠু ভোট সম্ভব -প্রথম আলো
- মন্ত্রিসভার বৈঠক তিন কারণে সংকটের আশঙ্কা মোকাবেলায় ৬ নির্দেশনা-কালের কণ্ঠ
- মন্দা ঠেকাতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর-মানবজমিন
- দুই জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘাত-নিহত ২- বাংলাদেশ প্রতিদিন
কোলকাতার শিরোনাম:
- কংগ্রেস সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়েই ‘নিজের টিম’ গড়লেন খাড়গে! -সংবাদ প্রতিদিন
- জামিনের আবেদন খারিজ, এসএসসি কাণ্ডে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ সহ ৭ জনের -আজকাল
- শ্রদ্ধার দেহের টুকরো ফয়েল খুলে খুলে কেন জঙ্গলে ছোড়ে আফতাব? পাকা মাথা দেখছে পুলিশ-আনন্দবাজার পত্রিকা
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য দলের নেতারা ডিএমপি কমিশনারকে জানিয়েছেন। আপনার কী মনে হয় বিএনপির এই অনুরোধ রাখবে ডিএমপি?
২. ইউক্রেনকে ক্ষতিপূরণ দিতে রাশিয়ার প্রতি জাতিসংঘ আহ্বান জানিয়েছে। এজন্য সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে কীভাবে দেখবেন আপনি?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
মতামত-আওয়ামী লীগ চাইলেও কি সুষ্ঠু ভোট সম্ভব-প্রথম আলো
বাংলাদেশে গত দুটি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু বা গ্রহণযোগ্য—কোনোটাই হয়নি। এ দুই নির্বাচনে বিজয়ী দল আওয়ামী লীগ বা তাদের সমর্থক বুদ্ধিজীবী মহলও নির্বাচন দুটিকে খুব জোর গলায় ‘গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে দাবি করেন না। আর জনগণ যেহেতু ভোট দিতে পারেননি, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অনিয়ম ও কারচুপি দেখেছেন, তাই তাঁরা নির্বাচন দুটিকে সুষ্ঠু বলে মনে করেন না।
এখানে বলে রাখা ভালো, ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচন ও ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলেও অনেক সময় ‘গ্রহণযোগ্য’ হয়। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি মূলত নির্ভর করে একটি দেশের নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির ওপর।
২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল। সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৫৪ জন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটসঙ্গীরা পেয়েছিল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই। বিএনপি যেহেতু নির্বাচন বর্জন করেছে, তাই সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়ার দায় বিএনপির ওপর অনেকটাই চাপানো যায়। আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থক বুদ্ধিজীবী মহল তখন একটি সুষ্ঠু বা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চেয়ে সংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার গুরুত্বকেই বড় করে দেখাতে চেয়েছে।
২০১৪ সালের গ্রহণযোগ্যতাহীন নির্বাচনের দায় না হয় বিএনপির ওপর চাপানো গেল, অথবা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার দোহাই দিয়ে জায়েজও করা গেল, কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের ক্ষেত্রে যুক্তি বা ব্যাখ্যা কী? এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। গ্রহণযোগ্য না হওয়ার দায় বিএনপির ওপর চাপানোর সুযোগ নেই। এ নির্বাচন সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারকাছ দিয়েও যায়নি, কারণ যে ভোট দিনে হওয়ার কথা তা হয়ে গেছে আগের রাতে। এ ধরনের অভিনব ও মাত্রাছাড়া অনিয়মের কারণে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ‘রাতের ভোট’ কথাটি প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনের লোকজনের মুখেও শোনা গেছে। (আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোট দিনেই হবে। রাতে কোনো ভোট হবে না।—নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান)। আবার সরকারি দলের লোকজনও যখন বলেন, আগামী নির্বাচন ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো হবে না, তখন বোঝা যায় সে নির্বাচনকে তাঁরা নিজেরও গ্রহণযোগ্য মনে করেন না।
আগেই বলেছি, ভোট সুষ্ঠু না হলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে। বিষয়টি এবার একটু ব্যাখ্যা করছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করত, অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি আসনে যদি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন না হতো এবং অনিয়ম-কারচুপির মধ্যেও সেই নির্বাচনে যদি বিএনপি ‘সম্মানজনক’ আসন পেত, তাহলে সেই নির্বাচন কোনো না কোনো মাত্রায় ‘গ্রহণযোগ্যতা’ পেত। আবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের মতো দেশে দলীয় সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন করা যে প্রায় অসম্ভব, সে অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে। ফলে, এমন নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলনও ঘটে না বা ঘটতে দেওয়া হয় না। এ বাস্তবতা মেনে নিয়ে অনেকে ধরে নিয়েছিল যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে অন্তত সম্মানজনক সংখ্যার আসনে জিততে দেওয়া হবে। যদি তা হতো, তবে ভোট দিনে বা রাতে যখনই হোক না কেন, সেই নির্বাচনও একধরনের গ্রহণযোগ্যতা পেত। আওয়ামী লীগ সেটা হতে দেয়নি বা দিতে পারেনি। সমালোচকেরা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্থানীয় পর্যায়ের ওপর দলের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কাজ করেনি। সরকারি দলের প্রার্থী ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসন মিলেমিশে কাজ সেরে ফেলেছে।
জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আশায় রয়েছেন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছেন। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সামনে যে নির্বাচন করতে চাইছে, সেখানে একটি ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচনের চেয়েও দলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচনের আয়োজন। অর্থনৈতিক সংকটে পড়া সরকারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের চাপ বাড়ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন বা জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা পূরণ হোক বা না হোক, সরকারকে এখন অন্তত বিদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
রাজনীতি
বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেটা ডিএমপি কমিশনারকে জানিয়েছি: আমান-মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশের ভেন্যু হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কের অনুমতি চেয়েছে দলটি। আজ সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ অনুমতি চায় বিএনপির প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের অনুমতি এবং সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দেয়াসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যেন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে জানিয়েছি।
সিলেটে বিএনপি নেতাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশির অভিযোগ-মানবজমিন
বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সিলেটে বিএনপি নেতাদের বাড়ি বাড়ি পুলিশি অভিযান চলছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা। তারা জানিয়েছেন, মহা গণসমাবেশের আগে বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপি’র সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামী শনিবার। সেই লক্ষ্যে বিএনপি’র তরফ থেকে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরে গেছে আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানের চর্তুদিকের এলাকা। নেতাকর্মীরা নিজেদের উদ্যোগে এসব এলাকায় ব্যানার ও বিলবোর্ড সাঁটিয়েছেন। আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে মঞ্চ নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা। সিলেটের এই গণসমাবেশের প্রস্তুতি চলছে প্রায় এক মাস আগে থেকেই।
শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার সংকুচিত হচ্ছে: আসক-মানবজমিন
বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে মানুষের অধিকার ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন এ কথা জানান। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকারের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলেও আছে। এর মাধ্যমে নাগরিক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চর্চা, মানবাধিকার এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্র তৈরি হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে এ অধিকার চর্চার ক্ষেত্র ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
সভা-সমাবেশের অধিকার সংকুচিত হওয়ার পেছনে পুলিশ ও সরকার দলীয় সমর্থকদের ভূমিকার বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এ অধিকারের চর্চায় রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরকেও প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন, সরকার দলীয় কর্মী কিংবা সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অধিকার লঙ্ঘন, আক্রমণ, সহিংসতা উদ্রেক ঘটানো এবং নানাভাবে হয়রানি-গ্রেপ্তার করার অভিযোগ তীব্রতর হচ্ছে।
আসক আরও বলেছে, সমাবেশ করতে গিয়ে বিএনপি যেমন নানা বিপত্তি বা বাধার সম্মুখীন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষকেও পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় কষ্ট। সমাবেশের কয়েকদিন আগে থেকেই পরিবহন মালিকরা গণপরিবহন বন্ধ করে দিচ্ছে। এ ধরণের অঘোষিত ধর্মঘটের কারণে জনদুর্ভোগ তীব্রতর হয়ে উঠছে। চিকিৎসাসহ নানা জরুরি প্রয়োজনে মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না। যে অল্প পরিসরে যানবাহন পাওয়া যায়, তার লাগামহীন ভাড়া জনগণকে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে।
বিদেশে শিক্ষা ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল খোলা বন্ধ, ব্যাপক প্রতিক্রিয়া-মানবজমিন
রেমিট্যান্স আর রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় রেকর্ড গড়েছে দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ। ফলে আমদানিতে লাগাম টানে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানির এলসি খোলায় বিভিন্ন শর্তও আরোপ করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্নমুখী তৎপরতায় আমদানি কিছুটা কমে এলেও বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল হয়নি। উল্টো দিন যত যাচ্ছে, সংকটও তত বাড়ছে। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশ যেতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। চলমান ডলার সংকটের কারণে দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংকই নতুন করে খুলছে না তাদের ফি পাঠানো-সংক্রান্ত প্রোফাইল। এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার আকাঙ্ক্ষা। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ডলার পাঠাতে না পারায় অনেকেরই ভর্তি বাতিল হয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। এতে শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনেচ্ছুদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
কংগ্রেস সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়েই ‘নিজের টিম’ গড়লেন খাড়গে! ব্রাত্য শশী থারুর-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, কংগ্রেস সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়েই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি অর্থাৎ ওয়ার্কিং কমিটির বদলে নিজের স্টিয়ারিং কমিটি গড়ে ফেললেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি। ৪৭ জনের এই কমিটিতে যথারীতি রয়েছেন গান্ধীরা। রয়েছেন জি-২৩ গ্রুপের সদস্যরাও। তবে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই কমিটিতে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে শশী থারুরকে। খাড়গে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়ম মেনেই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। ইস্তফা দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদকরাও। এটাই কংগ্রেসের দস্তুর। দলের নতুন সভাপতি যাতে নিজের টিম বেছে নিতে পারেন, সেকারণেই এই ইস্তফা। দলের পরবর্তী প্লেনারি সেশনে নতুন ওয়ার্কিং কমিটি বেছে নেবেন খাড়গে। মূলত এটি একটি অস্থায়ী কমিটি। কিন্তু ৪৭ জনের এই কমিটি গড়েই খাড়গে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি আগামী দিনে কাদের নিয়ে কাজ করতে চান।
প্রার্থী-ক্ষোভের আগুন গুজরাট কংগ্রেসে, প্রদেশ দপ্তরে ভাঙচুর-সংবাদ প্রতিদিন
বিজেপির (BJP) পর কংগ্রেস (Congress)। প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পরই ক্ষোভের আগুনে পুড়ছিল গুজরাটের (Gujarat) গেরুয়া শিবির। এবার আগুন লাগল কংগ্রসের অন্দরে। এমনকী, সোমবার ক্ষোভে প্রদেশ দপ্তরের ভাঙচুর চালাল একদল কংগ্রেস কর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেরুয়া শিবির একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে আমেদাবাদে পাঠিয়েছিল। একই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের। জোনভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি লোকসভাভিত্তিক একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল এআইসিসি। রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দলের অবস্থা দেখে উৎফুল্ল আম আদমি পার্টি (AAP)। কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হতেই গোষ্ঠীকোন্দল কার্যত রাস্তায় নেমে এসেছে। এদিন কয়েক হাজার কংগ্রেস কর্মী আমেদাবাদে পার্টির সদর দপ্তরে হামলা চালায়।
উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের, আটকে গেল কর্মশিক্ষকদের চাকরি-সংবাদ প্রতিদিন
এসএসসি মামলায় ফের নয়া মোড়। উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। মঙ্গলবার এক আবেদনকারীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই রায় দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই রায়ে আটকে গেল প্রায় ৭৫০ জনের চাকরি। কীসের ভিত্তিতে এই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছিল, এসএসসির (SSC) কাছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার। ততদিন পর্যন্ত কোনও চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্র দিতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন।
স্ত্রীর দেহ ৭০ টুকরো করে ছড়িয়েছিলেন স্বামী! শ্রদ্ধা-কাণ্ডের মতোই আরও এক নৃশংস এই খুন-আনন্দবাজার পত্রিকা
কলকাতার এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্বামী। এ কথা জানতে পেরেছিলেন তাঁর স্ত্রী। এ নিয়ে অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন করেছিলেন তাঁর স্বামী। আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, লিভ ইন সঙ্গীকে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছেন প্রেমিক। দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। তবে ভালবাসার মানুষের সঙ্গে এমন নৃশংসতার নজির আগেও দেখেছেন দেশবাসী। ১২ বছর আগে স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ ৭০ টুকরো করেছিলেন এক জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনাটি দেহরাদূনের। স্ত্রী অনুপমাকে হত্যার পর তাঁর দেহ ৭০ টুকরো করার অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে রাজেশ গুলাতি নামে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের। বর্তমানে দেহরাদূনের জেলে বন্দি রয়েছেন রাজেশ।
শ্রদ্ধার দেহের টুকরো ফয়েল খুলে খুলে কেন জঙ্গলে ছোড়ে আফতাব? পাকা মাথা দেখছে পুলিশ-আনন্দবাজার পত্রিকা
সন্ধে থেকেই শুরু হত নৈশ অভিযানের প্রস্তুতি। রাত গড়ালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ত আফতাব। তার পর কী হত? তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। ফ্রিজে শ্রদ্ধার কাটা মাথা, সেই বাড়িতেই মেয়েদের ডেকে আফতাব মাততেন উদ্দাম যৌনতায়!
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৫