নভেম্বর ২৯, ২০২২ ১৭:০৫ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের-যে বুলেট বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের এতিম করেছে, সেই বুলেট খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে-প্রথম আলো

  • জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই-যুগান্তর
  • ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী- দৈনিক ইত্তেফাক
  • জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: বাংলাদেশে সোয়া কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতির শঙ্কা-কালের কণ্ঠ
  • যুক্তরাষ্ট্র-ইরান লড়াইয়ের আগেই টানটান উত্তেজনা -মানবজমিন
  • স্ত্রীকে হত্যার পর ফেলা হয় পুকুরে, মৃগী রোগী বলে প্রচার - বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ‘চাওয়ালা’র আমলে ভারত বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অর্থনীতি, মনমোহনের আমলে… তুলনা টানলেন মোদি -সংবাদ প্রতিদিন
  • আলাদা জেলা 'সুন্দরবন', ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর -আজকাল
  • তৃণমূলের প্রস্তাবে বিজেপির সমর্থন! বিধানসভা থেকে প্রতিনিধি দল যাচ্ছে মোদীর দরবারে -আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার প্রশ্ন (২৯ নভেম্বর)

১. জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জনিয়েছে হাইকোর্ট। কীভাবে দেখছেন বিষয়টি?

২. ইরানি পতাকা বিকৃত করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ গ্রেগ বারহাল্টার। এই ক্ষমা চাওয়াই কী যথেষ্ট?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের-যে বুলেট বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের এতিম করেছে, সেই বুলেট খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে-প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একটা কথা মনে রাখবেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে এতিম করেছে যে বুলেট, সেই বুলেট বেগম খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে। এটা বিশ্বাসঘাতকতার পরিণতি। ইতিহাস কোনো স্বৈরাচারী প্রভুর রক্তচক্ষু ভয় করে না। ইতিহাসের আদালতের বিচার থেকে কেউই রক্ষা পাবে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আদালতের বিচারের রায় থেকে থেকে কেউ রক্ষা পাবেন না। অনেকেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। বিদেশে যাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের যে দণ্ড, সেটিও কার্যকর করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে জাতির দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালে চোখের পলকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। খন্দকার মোশতাক পলাশীর মীরজাফর। পলাশীর সেনাপতি লতিফ আর বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে খুনিচক্র তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) হত্যা করার দুঃসাহস পেত না বলে আমি মনে করি না। ইতিহাস বড়ই নির্মম। বাঁচতে পারেনি জেনারেল জিয়াউর রহমানও।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতা-কর্মীরা ষড়যন্ত্র করছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন। আমরা কাজ করে এর জবাব দেব। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছেন।’

আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব কোট খুনি খন্দকার মোশতাকও পরেছে। ৭৫-এর সেই বিশ্বাস ঘাতকেরা পরেছে। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: বাংলাদেশে সোয়া কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতির শঙ্কা-কালের কণ্ঠ

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে চলতি বছর ৭১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশে এক কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।   

ডাব্লিউএইচওর উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী তৃতীয় গ্লোবাল স্কুল অন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেন্ট হেলথ শীর্ষক অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ৭.১ মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা ২০৫০ সালের মধ্যে ১৩.৩ মিলিয়নে পৌঁছতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, দ্বন্দ্ব, বাণিজ্য এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি এই বাস্তুচ্যুত ও অভিবাসন সমস্যা বাড়াচ্ছে।

১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশ তিনটি বড় ধরনের অভিবাসী সমস্যা প্রত্যক্ষ করেছে। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের নাগরিকদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে, যাদের প্রত্যেকের খাবার, চিকিৎসা ও বসবাসের ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। শরণার্থী ও অভিবাসী স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলা, পেশাদার দক্ষতা ও সক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য দেশ ও অঞ্চলগুলোকে সহায়তা করতে পাঁচ দিনব্যাপী এই আয়োজন করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় ডাব্লিউএইচও।

জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই-যুগান্তর

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম কাদের) দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে রুলও জারি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত জিয়াউল হক মৃধা জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।  একই আদালতে মসিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জিএম কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এতে বলা হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়।

গত ৬ অক্টোবর জাতীয় পার্টির পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী এ আবেদন করেন। আবেদনে জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এর পর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী- দৈনিক ইত্তেফাক

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখের পরীক্ষা করান প্রধানমন্ত্রী। চোখ পরীক্ষা শেষে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে দেখেন এবং এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত রোগীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন, তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাস করেন, তাদের কাছে দোয়া চান এবং তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেও দোয়া করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা।

প্রধানমন্ত্রী তার চোখের চিকিৎসা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে করিয়ে থাকেন। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এখন আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন একটি বিশেষায়িত চক্ষু সেবা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে রয়েছে উন্নত মানের চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মানসম্মত চিকিৎসক।

স্ত্রীকে হত্যার পর ফেলা হয় পুকুরে, মৃগী রোগী বলে প্রচার - বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করার সময় মারা গেলে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। প্রচার করা হয় তিনি মৃগী রোগী। ওজু করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছেন। তদন্তে হত্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার এ রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ নম্বর আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।  দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমারডগা গ্রামের আবদুল কাদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাড. প্রদীপ কুমার দত্ত। এ রায়ে মামলার অন্য তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। 

রায়ের আদেশে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল কাদের বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। কনের পরিবার সে সময় নগদ ২০ হাজার টাকা দেয়। পরে বাকি ৩০ হাজার টাকার জন্য তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে প্রায়ই মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। ২০০৯ সালের ২৪ জুন রাতে আবদুল কাদের তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে মারধর করেন। এতে তিনি মারা গেলে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। প্রচার করা হয় তিনি মৃগী রোগী। ওজু করতে গিয়ে পুকুরের পনিতে ডুবে মারা গেছেন। 

এ ঘটনায় নিহত ঝর্ণা আক্তারের বড় বোন খালেদা বেগম বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত মঙ্গলবার আসামি আবদুল কাদেরকে ফাঁসির আদেশ দেন। 

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান লড়াইয়ের আগেই টানটান উত্তেজনা -মানবজমিন

পৃথিবীতে বিতর্ক ছাড়া কিছু হয় না। বিতর্ক হয় সদরে, অন্দরে। বিশ্বকাপও যে বিতর্কের ঊর্ধ্বে তা মোটেই না। ১৯৩০ থেকে ২০২২ বিতর্ক হয়নি এমন নয়। বহুবার বিতর্ক হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও অনেক দেশ বিশ্বকাপ বর্জন করেছে। তবে বিশ্বকাপে সাধারণত বিতর্ক হয় খেলার রেফারিকে নিয়ে। গ্যালারিতে মারপিট নতুন কোনো ঘটনা নয়। কাতার বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে গোড়া থেকেই বিতর্ক ছিল। তা আয়োজনে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

কিন্তু হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের এক রাজনৈতিক বিতর্ক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। দেশ দু’টির  সম্পর্কের অবনতি কয়েক যুগ ধরে। এবারের বিশ্বকাপে মঙ্গলবার দল দুটি বাঁচা-মরার এক লড়াইয়ে নামছে। খেলার আগেই টানটান উত্তেজনা। বিতর্কের সূত্রপাত ইউএস সকার  ফেডারেশনের একটি পদক্ষেপে। ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতীক ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়াতে জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করায় খেলা ঘিরেই সব বিতর্ক। ইরান বলেছে, জাতীয় পতাকা থেকে আল্লাহর নাম মুছে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা গর্হিত কাজ। ফিফা’র নীতি বিবর্জিত এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া যায় না। এর প্রতিবাদে ইরান ফিফা’র কাছে চিঠি লিখেছে। বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তত বিশ্বকাপের ১০টি খেলা থেকে বহিষ্কার করা হোক। আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ ও বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইটে ইরানের পতাকায় প্রতীকটি যুক্ত করা হয়। যদিও এতে বিতর্ক থামেনি। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম বিশ্বকাপে এটা একটি রাজনৈতিক বিতর্কে পরিণত হয়েছে। ফুটবল পণ্ডিতদের অনেকেই মনে করেছিলেন মাঠের বাইরের বিতর্ক হয়তো কাতার বিশ্বকাপের উপর কোনো ছায়া ফেলবে না। এটা কি সম্ভব? অতীতের অভিজ্ঞতা তো তা বলে না। খেলার ঊর্ধ্বেই যতসব রাজনৈতিক বিতর্ক। মঙ্গলবার আল থুমামা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটি দু’দেশের জন্য কঠিন এক চ্যালেঞ্জ।

এই লড়াইয়ে দু’দলকেই জিততে হবে। শেষ ১৬তে উঠতে যুক্তরাষ্ট্রের জেতা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আর ইরান জিতলে তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে উঠবে দেশটি। যদিও টাই হয়ে আছে। ইরান জিতলে ওয়েলস এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে যাই ঘটুক তাতে ইরান এগিয়ে যাবে। ইউএস সকার ফেডারেশন রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইরানের মহিলাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টগুলোতে সরকারি পতাকা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাছাড়া ইউএস পুরুষ দলের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ব্যানার প্রদর্শন করা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে ইরানের পতাকায় শুধুমাত্র সবুজ, সাদা এবং লাল রঙ। স্মরণ করা যায় যে, ১৯৯৮ সনে দেশ দুটি ফ্রান্স বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল। ওদিকে ইরানের বার্তা সংস্থা আইএসএনএ ইরানের ফুটবল ফেডারেশনের উপদেষ্টা সাফিউল্লার বরাতে জানিয়েছে, পতাকা সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপগুলো  ফিফা প্রতিযোগিতা আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। যুক্তরাষ্ট্রকে এজন্য দায়ী করা উচিত।

১৯৮০ সনে ইরান প্রজাতন্ত্রের প্রতীক ডিজাইন করা হয়। তার মধ্যে এক তলোয়ারসহ চারটি বক্র রেখা রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে পতাকার উপর ‘আল্লাহ মহান’  লেখা সংবলিত ২২টি শিলালিপি। দেখা যাক, বাইরের এই বিতর্ক খেলার মাঠে কোনো প্রভাব ফেলে কি-না। তবে এই খেলায় যাতে কোনো অঘটন না ঘটে এজন্য সতর্ক ফিফা, সতর্ক আয়োজক দেশ কাতার। এজন্য অবশ্য নিরাপত্তা  ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তায় কোনো ফাঁকফোকর নেই। দু’ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এবার বিশ্বকাপে মাঠের বাইরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, শান্ত।

‘চাওয়ালা’র আমলে ভারত বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অর্থনীতি, মনমোহনের আমলে… তুলনা টানলেন মোদি -সংবাদ প্রতিদিন

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh) ছিলেন একজন অর্থনীতিবিদ। তার আমলে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার বসেন এক ‘চাওলা’। বর্তমানে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। সোমবার রাজকোটে (Rajkot) গুজরাট বিধানসভা ভোটের (Gujarat Assembly Poll) প্রচারে গিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi।

গুজরাটের মোট ১৮২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ৮৯টি আসনে। ১ ডিসেম্বরে হবে ভোট। রাজকোটে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে নিজের সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শাসন আমলের তুলনা টানলেন মোদি। নিজের ভাষণে মোদি বলেন, “২০১৪ সালে আমি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার আগে ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস (Congress)। ২০০৪ সালে যখন নামী অর্থনীতিবিদ (মনমোহন সিং) প্রধানমন্ত্রী হন তখন ভারত ছিল বিশ্বের ১১তম অর্থনীতি। পরবর্তী দশ বছরের কাজের ভিত্তিতে দশম বৃহত্তম অর্থনীতি হয় ভারত। “

মোদি জানান, নিজেকে অর্থনীতিবিদ মনে করেন না তিনি, দেশবাসীর শক্তিকে বিশ্বাস করেন। বলেন, “২০১৪ সালে এক ‘চাওলা’কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন আপনারা। আমি কখন নিজেকে অর্থনীতিবিদ দাবি করিনি। কিন্তু দেশবাসীর শক্তির উপর আস্থা রেখেছি। গত ৮ বছরে দশম স্থান থেকে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।” আরও বলেন, “তাহলে আপনারাই তুলনা করুন। দশ বছরে দশ থেকে ১১তম স্থানে (কংগ্রেস আমলে) পৌঁছানো আর আট বছরে (বিজেপির শাসন আমলে) দশম থেকে পঞ্চম স্থানে।”

একদিকে যখন গুজরাটে প্রচার চালাচ্ছেন খোদি প্রধানমন্ত্রী মোদি, তখন ভোট প্রচারে দেখা  যাচ্ছে না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিকে। আগেই কানাঘুঁষো ছিল ভোটে দাঁড়াতে চান না বলে কার্যত জোর করেই মুচলেখা লেখান হয়েছিল রুপানিকে দিয়ে। সেই কারণেই নাকি ক্ষোভে ও অভিমানে প্রচারে গা লাগাচ্ছেন না বিজয় রুপানি (Vijay Rupani)। এমনকী নিজের ছেড়ে আসা কেন্দ্র রাজকোট (Rajkot) পশ্চিমে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দেখা যায়নি। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী যেদিন প্রচারে আসেন সেইদিন কিছু সময়ের জন্য হাজির হন। বক্তব্যও রাখেন।

আলাদা জেলা 'সুন্দরবন', ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর -আজকাল

সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই।

মঙ্গলবার তার ওপর সিলমোহর পড়ল। রাজ্যে নতুন জেলা হিসেবে সুন্দরবনের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করেন তিনি। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি সুন্দরবন জেলা করছি এইজন্য যে আপনাদের অনেক দূরে যেতে হয়। মানুষের চিকিৎসার যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য আমি অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র করছি।' 

দুদিনের সুন্দরবন সফরে, এদিন সকালেই হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

গোসাবা, কুলতলি, বাসন্তী-সহ সুন্দরবনের একটি বড় অংশই পড়ে বারুইপুর পুলিশ জেলায়। আবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমা জেলা সদর বারাসতের থেকে অনেকটাই দূরে। ফলে সদরে দরকার পড়লে বসিরহাটের মানুষকে অনেকটাই হ্যাপা পোহাতে হয়। আলাদা করে সুন্দরবন জেলা হওয়াতে একদিকে যেমন প্রশাসনিক কাজে সুবিধা হবে, তেমনই বাসিন্দাদেরও প্রশাসনিক এবং অন্যান্য সরকারি কাজের জন্য অনেক সময় বাঁচবে। 

তৃণমূলের প্রস্তাবে বিজেপির সমর্থন! বিধানসভা থেকে প্রতিনিধি দল যাচ্ছে মোদীর দরবারে -আনন্দবাজার পত্রিকা

ব্যতিক্রমী ছবিই বটে! রাজ্যে শাসক এবং বিরোধী দল এই প্রথম কোনও বিষয়ে সহমত। এখানেই শেষ নয়, নিজেদের দাবি নিয়ে তারা যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। মঙ্গলবার নদী ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব বিধানসভায় পেশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব সমর্থন করলেন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগগা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শাসক এবং বিরোধীরা একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাতে যাবে।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলে শাসক শিবিরকে জানাবেন মনোজ টিগগা। শাসকদলের কোন কোন বিধায়ক প্রতিনিধি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, তা ঠিক করার দায়িত্ব শোভনদেবকে দিয়েছেন স্পিকার। বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের নাম জানাবেন মনোজ।

 

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।