মানুষের নৈতিক চরিত্র কোথায়!
'সহকর্মীকে যৌন হেনস্তা-সংসদের সেই কর্মকর্তার পদাবনতি'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ-প্রথম আলো
- স্মার্ট রাজনীতিতে দেশের স্বার্থ সবচাইতে আগে প্রাধান্য পাবে: শিক্ষামন্ত্রী-ইত্তেফাক
- রাশিয়াকে দ্রুত হারানোর কৌশল বের করলেন জেলেনস্কি-যুগান্তর
- চীনকে চারিদিক থেকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে সামরিক ঘাঁটির মালা-ইত্তেফাক
- সহকর্মীকে যৌন হেনস্তা সংসদের সেই কর্মকর্তার পদাবনতি-মানবজমিন
- ই-কমার্সের নামে ৪০০ জুয়ার সাইট-কালের কণ্ঠ
- ইসরায়েল নিয়ে মন্তব্যের জেরে কমিটি থেকে বাদ পড়লেন আমেরিকার সেই মুসলিম কংগ্রেসওম্যান-বাংলাদেশ প্রতিদিন
কোলকাতার শিরোনাম:
- শেয়ার পতনের জের, বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি ফের খতিয়ে দেখতে আদানি গোষ্ঠীকে চিঠি বাংলাদেশের-সংবাদ প্রতিদিন
- বিবিসির তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির মূল নথি জমা করুন, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের-আনন্দবাজার পত্রিকা
- ফের জেল হেফাজতে নওশাদ সিদ্দিকী, খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন -আজকাল
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির খবর বিশেষ গুরুত্বসহ ছাপা হয়েছে। সাম্প্রতিক টিআইবির রিপোর্ট ছিল বাংলাদেশের দুর্নীতির খবর ভালো না। আজ প্রথম আলোর খবর দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। খবরটিতে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। এখন এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম।১৬৭টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে এবারের সূচক তৈরি করা হয়েছে। সূচকে ১০-এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ৯৯। তবে গত কয়েকবারের মতো এবারও হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিভাগে রয়েছে বাংলাদেশ।এবারের গণতন্ত্র সূচকে শীর্ষ স্থানে আছে নরওয়ে।গণতন্ত্র সূচকে সবার নিচে রয়েছে আফগানিস্তান।
এদিকে মানবজমিনের একটি খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশে ওয়েবসাইট বন্ধ প্রসঙ্গে প্যাটেল সেন্সরশিপ বা চ্যানেল ব্লক করা গভীর উদ্বেগের। এ খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে শান্তি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার ভিত্তি হলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। এগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি অবিচ্ছেদ্যভাবে সংযুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। এ সময় একজন সাংবাদিক তার সামনে বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ২০০ ওয়েবসাইট সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি জানতে চান, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন কিনা। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, অবশ্যই যেকোনো রকম সেন্সরশিপ এবং তথ্যভিত্তিক চ্যানেল ব্লক করে দেয়া গভীর উদ্বেগের।
রাজনীতির খবর: ইত্ফোক লিখেছে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে। আমাদের যাতায়াত ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে মোবাইল। সত্যিই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। তবে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রায় আমরা মনিকরি, রাজনীতিকেও স্মার্ট হতে হবে। যেখানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থটাকে সবচাইতে আগে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে। মানুষ ও দেশ এটিই সবার আগে এবং সেখানে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মানুষকে পুড়িয়ে মারা এগুলো কখনো স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট রাজনীতির অংশ হতে পারে না। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা এবং কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে, অন্যেরা অর্থ বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলবে, স্মার্ট রাজনীতি এগুলো হতে দেবে না।
ইত্তেফাকের-অর্থ-বাণিজ্য খবর-আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পেলো বাংলাদেশ-এ খবরে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রথম কিস্তির ৪৭৬.১৭ মিলিয়ন ডলার পেলো বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই অর্থ। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.৬৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকালে বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে।প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪শে জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে বিভিন্ন দৈনিকের অর্থনীতি বিষয়ক খবরে বিশ্লেষকদেরকে বিদেশি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
বিশ্লেষণ: জাতীয় নির্বাচনও কি একই ‘মডেলে’ হবে-প্রথম আলো
সর্বশেষ গত বুধবার অনুষ্ঠিত ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একতরফা নিয়ন্ত্রণ অনেক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান ছিল। এরপরও ভোটাররা যেখানে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন, সেই পরিস্থিতির বিবেচনায় তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন বলা যায়। আলোচিত বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম খুবই কম ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন আওয়ামী লীগের শরিক জাসদের প্রার্থীর কাছে।
কোনো দলের ঢাল না থাকলেও হিরো আলম যে জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন, সেটি ক্ষমতাসীনদের জন্য বিব্রতকর কি না—এমন আলোচনাও উঠেছে। তবে সার্বিকভাবে এই উপনির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ না থাকার বিষয়টি নির্বাচন নিয়ে মানুষের অনাস্থা বা একধরনের প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকদের অনেকে।
ভোটের দিনের পরিস্থিতি এবং ফলাফলের যে চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে নির্বাচনের ব্যাপারে মানুষের আস্থা বাড়েনি, বরং কমেছে। বছরখানেক পর যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, সেই নির্বাচনও একইভাবে হবে কি না—মানুষের মধ্যে সেই সন্দেহ আরও বেড়েছে বলে মনে হয়।
বিরোধী বিএনপির নেতাদের অনেকে মনে করেন, এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলছুট প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে এবং কোনো কোনো আসনে শরিকদের ছাড় দিয়ে নতুন ‘মডেল’ আনছে। জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ তাদের এই কৌশল নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করতে পারে। সে ব্যাপারে বিএনপি সতর্ক রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নতুন কোনো মডেলের বিষয় মানতে রাজি নয়।
সহকর্মীকে যৌন হেনস্তা-সংসদের সেই কর্মকর্তার পদাবনতি-মানবজমিন নারী সহকর্মীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তার পদাবনতি হয়েছে। রফিকুল ইসলাম নামের ওই কর্মকর্তা আগে ছিলেন কমিটি অফিসার। বর্তমানে তার পদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। গত ২৫শে জানুয়ারি সংসদ সচিবালয়ের ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রিভিলেজ শাখা থেকে তার পদাবনতির আদেশ প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হয়। গত বছরের ১০ই এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক মানবজমিন। পরে সংসদ সচিবালয় ওই ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওই কর্মকর্তাকে নিচের পদে নামিয়ে দেয়া হয়। সংসদ সচিবালয়ের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা অনেকটা বিরল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তারা মানবজমিনকে বলেন, সংসদ সচিবালয়ে এ ধরনের ঘটনার উদাহরণ নেই বললেই চলে।তবে ওই কর্মকর্তার শাস্তি হওয়াতে এটা সবার জন্য একটি বার্তা বহন করবে বলে আমরা মনে করি। পাশাপাশি এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে যে কেউ পার পাবেন না তার নজিরও স্থাপন করলো সংসদ সচিবালয়ের প্রশাসন।
রাশিয়াকে দ্রুত হারানোর কৌশল বের করলেন জেলেনস্কি-যুগান্তর
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাদের প্রতিপক্ষ রাশিয়াকে হারানোর কৌশল বের করেছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় নির্ভর করছে দেশটিকে দ্রুত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আটকে ফেলায়। মস্কো যাতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটাতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া যাতে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা ইউরোপের একটি সাধারণ কাজ। এই কাজটা আমরা যত দ্রুত এবং যতটা ভালোভাবে করতে পারব, তত দ্রুত আমরা রাশিয়াকে পরাজয়ের মাধ্যমে আগ্রাসন ঠেকাতে পারব।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্প্রতি রাশিয়ার ওপর ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা আরোপের গতি মন্থর হয়ে গেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে ১০ম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করার মাধ্যমেই শান্তিপূর্ণ ইউরোপ নিশ্চিত করা সম্ভব।
ইসরায়েল নিয়ে মন্তব্যের জেরে কমিটি থেকে বাদ পড়লেন আমেরিকার সেই মুসলিম কংগ্রেসওম্যান-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ইলহান ওমর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রগতিশীল ও মুসলিম কংগ্রেসওম্যান হিসেবে পরিচিত তিনি। ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সমালোচনা, ফিলিস্তিনে দমনপীড়নের জন্য ইসরায়েলকে তিরস্কার ও কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্যদের কাছ থেকে ধর্মান্ধতার অভিযোগ ওঠায় তাকে মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে ২১৮-২১১ ভোটে তাকে পদ থেকে সরানোর প্রস্তাব পাস হয়। মার্কিন কংগ্রেসে যে দু’জন মুসলিম নারী সদস্য রয়েছেন, তাদের একজন ইলহান ওমর।
ইলহানের জন্মস্থান সোমালিয়া। ওই দেশ থেকে আসা প্রথম আমেরিকান-মুসলিম আইনপ্রণেতা তিনি। ২০১৬ সালে মিনেসোটা থেকে কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। অভিবাসী ও শরণার্থী ইস্যু নিয়ে কাজ করেন তিনি।
ই-কমার্সের নামে ৪০০ জুয়ার সাইট-কালের কণ্ঠ
ই-কমার্সের নামে দেশে চলছে সর্বনাশা জুয়ার আসর। ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে অনেক তরুণ। তরুণদের ডিজিটাল প্রতারকদের খপ্পর থেকে রক্ষা করতে ৩৩১টি ওয়েবসাইট সম্প্রতি বন্ধ করেছে সরকার। আরো ৬৯টি নতুন জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করতে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তালিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের টেকনিক্যাল কমিটি। অনলাইন জুয়া বন্ধে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছে কমিটি।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা সম্প্রতি এই তালিকা নিয়ে বৈঠক করেন। একই সঙ্গে ই-কমার্স গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের ক্ষেত্রে কারিগরি সমস্যার কথাও বৈঠকে উঠে আসে। যেসব গ্রাহক তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন, তাঁদের শনাক্ত করার উপায় নিয়েও আলোচনা হয়। অনলাইনে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠিও দিয়েছেন।
যেভাবে প্রতারণা :
দেশি-বিদেশি এসব সাইট বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ডলারসহ বিদেশি মুদ্রার মাধ্যমে জুয়া খেলতে প্ররোচিত করে গ্রাহকদের। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ২০০ ডলারের জন্য টাকা জমা দিলে ৫০০ ডলার ফেরত দেওয়ার লোভ দেখায়। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এ দেশে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগ করে। ওই এজেন্টরা জুয়ায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের ভার্চুয়াল চিপস সরবরাহ করে। সেই চিপস দিয়ে জুয়া খেলা হয়। কোনো কোনো এজেন্ট আবার স্থানীয় মুদ্রা টাকা গ্রহণ করে বিদেশে থাকা ব্যক্তির মাধ্যমে ডলার সাবমিট করে। আবার এই কাজে বিটকয়েন ব্যবহারের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
যেসব ব্যবস্থা :
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব অ্যাপ ও সাইটে জুয়া পরিচালনা করা হয়, তার বেশির ভাগই দেশের বাইরে থেকে নিবন্ধিত ও বিদেশি ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচালিত। ফলে এসব অ্যাপস বা সাইট বন্ধ করাও এখন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এক প্রতিবেদনের তথ্যে দেখা গেছে, শতাধিক অ্যাপস ও ওয়েবসাইট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সারা দেশে অবৈধ অনলাইন জুয়া কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে দেশি কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও রয়েছে, যারা পণ্য বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা ছেড়ে এখন অবৈধ জুয়ায় নেমেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ এমএলএম ব্যবসাও পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অ্যাপস ও ওয়েবসাইট বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই প্রতিবেদনে।
তবে বিদেশি সাইটগুলোর বিরুদ্ধে তারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এসব সাইট বন্ধের বিষয়টি নিয়েও টেকনিক্যাল কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে যেসব জুয়ার ওয়েবসাইট পরিচালিত হচ্ছে, তা দেশে দেখা যাবে না, সেই ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। দেশের ভেতর কিংবা বাইরে সেটা কোনো সমস্যা নয়। আমাদের কাছে কোনো সংস্থা যদি বলে এটা জুয়ার সাইট এবং আমরা দেখি এটা জুয়ার সাইট, তা বন্ধ করে দিচ্ছি। আমাদের রিপোর্টিং সিস্টেম আছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, তথ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রিপোর্ট করে। এরপর আমরা যাচাই করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
সংবাদ প্রতিদিনের খবর, হু হু করে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) শেয়ার পতনের জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে শেয়ার ব্যবসায়ীদের কপালে। আদানিদের একাধিক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশও (Bangladesh)। আগামী ২৫ বছর সে দেশে বিদ্যুৎ আমাদানির জন্য আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার মাধ্যমে তা বাংলাদেশে সরবরাহ করার কথা। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আদানি গোষ্ঠীকে চিঠি পাঠাল বাংলাদেশ। দৈনিকটির অপর একটি শিরোনামে বলা হয়েছে, আদানি ইস্যুতে খোঁচা, বাজেট নিয়েও কেন্দ্রকে ফের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর।
বিবিসির তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির মূল নথি জমা করুন, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এর লিঙ্ক দেওয়া টুইটগুলি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের মূল খসড়া জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং এমএম সুন্দ্রেশের একটি ডিভিশন বেঞ্চ প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহের সময় দিয়েছে। এপ্রিলে এই মামলা নিয়ে পরবর্তী শুনানির হবে বলেও জানানো হয়েছে।ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘‘আমরা নোটিস জারি করছি। তিন সপ্তাহের মধ্যে নথি-সহ হলফনামা জমা করতে হবে। তার পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে তথ্যচিত্র নিয়ে আপত্তির কারণ জানাতে হবে।’’
কেন্দ্রের তরফে দেশে এই তথ্যচিত্র নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দু’টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।
বিজেপির শীর্ষনেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ নওশাদের! হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে বলা হয়েছে, ধৃত আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে বিজেপির শীর্ষনেতার স্পষ্ট যোগাযোগের অভিযোগ। নওশাদের সঙ্গে বিজেপির এক শীর্ষনেতার হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাটে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাওয়ালার টাকার লেনদেন-সহ বেশ কিছু অনিয়ম সামনে এসেছে। অন্যদিকে মেঘালয় নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন জঙ্গি নেতা! লড়বেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বলে বেশ কয়েকটি দৈনিক খবর দিয়েছে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩