এপ্রিল ২৩, ২০২৩ ১৫:০৩ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২৩ এপ্রিল রোববারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • যুবলীগ নেতা জেম হত্যা: পৌর মেয়রসহ ৪৮ জনের নামে মামলা-মানবজমিন
  • আজ শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ, সোমবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন মো. সাহাবুদ্দিন –ইত্তেফাক
  • শেরপুরের আলু রফতানি হবে মালয়েশিয়া-রাশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় -নয়া দিগন্ত
  • আর ভোট চুরি করতে দেওয়া হবে না: প্রিন্স - বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • দুর্ভিক্ষ চলছে বিএনপির রাজনীতিতে : সেতুমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • ঈদের দিন ৫ খুনসহ নিহত ১৯-যুগান্তর
  • সুনামগঞ্জে হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু-প্রথম আলো

কোলকাতার শিরোনাম:

  • পাঠ্যক্রম থেকে বাদ মুঘল থেকে গান্ধীহত্যা! প্রতিবাদে নিজেরাই বই ছাপানোর হুঁশিয়ারি কেরলের-সংবাদ প্রতিদিন
  • গ্রেপ্তার অমৃতপাল সিং-গণশক্তি
  • তিন দিন আগে আটক স্ত্রী, সেই টানেই কি ধরা দিলেন অমৃতপাল? গুরুদ্বারের সামনে আত্মসমর্পণ-আনন্দবাজার
  • আনন্দবাজার পত্রিকার অপর এক খবরের শিরোনাম-আতিক আহমেদের খুনের বদলা নেওয়া হবে, ভারতে হামলার হুমকি দিল আল কায়দা!
  • শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা হাজেরা বললেন, ‘এমন দিন আমার সন্তানদের যেন না আসে’। দৈনিক প্রথম আলোর শিরোনাম এটি। কী বলবেন আপনি?

২. 'ফিলিস্তিনিদের সাহায্য এবং তাদেরকে শক্তিশালী করা মুসলিম বিশ্বের প্রধান কৌশল হওয়া উচিত'। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই বক্তব্য দিয়েছেন ঈদের খোতবায়। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

দুর্ভিক্ষ চলছে বিএনপির রাজনীতিতে : সেতুমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। শহর থেকে মানুষ গ্রামে যাচ্ছে। যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করছে তা মির্জা ফখরুল বা বিএনপির পছন্দ নয়। মানুষ যে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসব উদযাপন করছে, তা সব সময়ই বিএনপির গাত্রদাহ তৈরি করে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নেতিবাচক বক্তব্য তাদের সেই চিরাচরিত গাত্রদাহের প্রতিফলন।

গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের 'দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে'- এমন বক্তব্যের জবাবে আজ রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আর ভোট চুরি করতে দেওয়া হবে না: প্রিন্স-বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, অতীতে প্রহসনের নির্বাচন করে আবারও একই চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। আর ভোট চুরি করতে দেওয়া হবে না। জনগণ এই সরকারের পদত্যাগ চায়। দাবি না মানলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আজ দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 প্রিন্স বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষ দিশেহারা। প্রতিটি দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কাপড়ের দাম বাড়ায় গরিব মানুষ ঈদে নতুন কাপড় কিনতে পারেনি। সরকার মিথ্যা অজুহাতে সারের দাম বৃদ্ধি করেছে। দুর্নীতিকে আড়াল করতে বিশ্ববাজারে সারের মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশেও সারের দাম বৃদ্ধি করেছে। ধানের যে দাম নির্ধারণ করেছে সরকার তাতে কৃষক লাভবান হবে না, লাভ হবে সরকারের। কৃষকের সঙ্গে সরকার প্রতারণা করেছে।

তিনি বলেন, ঈদের আগেও সরকার মিথ্যা মামলা অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী সত্যের অপলাপ করেছেন। মানুষের মনে ঈদের আনন্দ নেই। শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা বললেও গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। দশ-বারো ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না গ্রামে, কৃষিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন সূত্র জানায়, নতুন ও বড় জাতের আলুর চাহিদা দেশ-বিদেশে। আলু দিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক চিপস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। এ বছর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২০০ টন শেরপুরের আলু রফতানি হবে মালয়েশিয়া, রাশিয়া ও শ্রীলঙ্কায়। চলতি বছরে পাঁচ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও এবার তার চেয়েও বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। জেলা সদর, নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় পাঁচ হাজার ২২২ হেক্টর জমিতে ৮৮ হাজার ৭৭৪ টন আলুর ফলন হয়েছে। আর উৎপাদিত এসব আলুর বাজারমূল্য ১৮৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা হবে বলে জানায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

এখন চরাঞ্চলের সড়কে সারি-সারি মালবাহী টমটম গাড়ি, গাড়িতে বস্তাভর্তি আলুবোঝাই করে নিচ্ছে বেপারিরা, মাঠে কৃষক-কৃষাণির স্বপরিবারে আলু তোলার দৃশ্য, সবার মুখে আনন্দের হাসি আলুর ফলন ভালো হওয়ায়। কম খরচে অধিক মুনাফা পাওয়ায় দিন-দিন আলু চাষে ঝুঁকছেন শেরপুরের কৃষক। মৌসুমের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহ ও বৈরী আবহাওয়া থাকলেও এবার আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন জানায়, উৎপাদিত এসব নতুন ও বড় জাতের আলুর চাহিদা বেশি-বিদেশে। কারণ এসব আলু দিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক চিপস ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। তাই এ বছর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২০০ টন শেরপুরের আলু রফতানি হবে মালয়েশিয়া, রাশিয়া ও শ্রীলঙ্কায়। জেলায় এ বছর অন্যান্য জাতের পাশাপাশি ডায়মন্ড, এডিসন, বারি ৪০, বারি ৪১, সানসাইন, সান্ত্বনা, রশিদা, ক্যারোলা জাতের নতুন জাতের আলুর চাষ বেশি হয়েছে।

সদর উপজেলার কামারের চরের কৃষক শামছুল হক বলেন, ‘আমি এবার এক একর জমিতে আলু চাষ করেছি। ৭০ দিনের মধ্যে আলু উঠছে হয়েছে। পাইকাররা আমার এক একর জমির আলু ক্ষেত আগেই কিনে নিছে। খরচ বাদে এবার আমার ৪০ হাজার টাকার কাছাকাছি লাভ হয়েছে।

কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা হাজেরা বললেন, ‘এমন দিন আমার সন্তানদের যেন না আসে’-প্রথম আলো

‘ঈদের সকালে ঘুম থেকে ডেকে তুলে সন্তানকে গোসল করাতাম। নতুন জামাকাপড় পরিয়ে চুল আঁচড়ে বারবার দেখতাম কেমন লাগে। সেমাই ও পিঠা মুখে তুলে দিয়ে পরম যত্নে খাওয়াতাম। পকেটে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে নামাজে পাঠাতাম তাকে। আজকে আমার সেই সন্তানকে মনে পড়ছে, যার সঙ্গে এখন আর দেখা হয় না।’

কথাগুলো বলতে বলতে আঁচলে নিজের কান্না লুকাতে চেষ্টা করছিলেন হাজেরা খাতুন। তিনি থাকেন গাজীপুর সদর উপজেলার বিশিয়া কুড়িবাড়ি এলাকার বয়স্ক পুনর্বাসনকেন্দ্রে (বৃদ্ধাশ্রম)। সন্তানের স্মৃতি মনে করে শেষ পর্যন্ত চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না হাজেরা খাতুন। কাঁদতে কাঁদতে একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমার পেট তো বড়। আমাকে লালনপালন করলে সন্তানের লস। এই যে আমি ঈদের দিন একা একা খাই, নিঃসঙ্গ বসে থাকি—এমন দিন আমার সন্তানদের যেন কখনো না আসে। আমি চাই না আমার সন্তান আমাকে ভেবে কষ্ট পেয়ে কান্না করুক।’

গতকাল শনিবার ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে বয়স্ক পুনর্বাসনকেন্দ্রে গিয়ে হাজেরা খাতুনের মতো অনেকের জীবনের মর্মস্পর্শী গল্প জানা গেল। পরিবার নিয়ে কারও কণ্ঠে শোনা গেল অভিমানের সুর। কেউ প্রকাশ করলেন ক্ষোভ। কেউ আবার বুকের ভেতর চাপিয়ে রাখা দীর্ঘশ্বাসকে আড়ালের চেষ্টা করলেন হাসিতে।

মধুর স্মৃতি হাতড়ে যন্ত্রণাকে ভুলে থাকতে চেষ্টা করছেন চার ছেলে ও এক মেয়ের মা আয়েশা খাতুন (৮০)। তিনি বলেন, ছেলেদের স্ত্রীরা তাঁর দায়িত্ব নিতে চান না। তাই এক স্বজনের সহায়তায় বৃদ্ধাশ্রমে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বৃদ্ধাশ্রমে আসার পর তাঁর এক ছেলে মাঝেমধ্যে খোঁজখবর রাখেন। কিন্তু পরিবারে ফিরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা।

‘ঈদের দিন ভাবছিলাম আমার ছেলে আইবো। কিন্তু আহে নাই। একটাই ছেলে আমার। আমি আর কারও অপেক্ষা করুম না।’ বলছিলেন আছিয়া বেগম (৮৫)। বৃদ্ধাশ্রমে আছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে। ঈদে সব থাকলেও স্বজনদের কাছে না থাকা উৎসব আনন্দময় হয় না বলে কণ্ঠে আক্ষেপ ছিল তাঁর।

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত;

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

পাঠ্যক্রম থেকে বাদ মুঘল থেকে গান্ধীহত্যা! প্রতিবাদে নিজেরাই বই ছাপানোর হুঁশিয়ারি কেরলের-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ইতিহাস বই থেকে মুঘল যুগ সংক্রান্ত যাবতীয় অধ্যায় বাদ দেওয়ার পর এবার কোপ পড়েছে বিজ্ঞান বইয়েও। সিবিএসই (CBSE) বোর্ডের দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে চার্লস ডারউইনের (Charles Darwin) বিবর্তনবাদের তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞরা। একের পর এক এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে এহেন বিতর্কের আবহে কেরলের বাম সরকারের হুঁশিয়ারি, এবার তারা নিজেরাই পাঠ্যবই ছাপানো শুরু করবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবনকুট্টির দাবি তেমনই। তাঁর মন্তব্য, কেন্দ্র যদি মুছে দেওয়া অধ্যায় পড়ানোর অনুমতি না দেয় তাহলে তাঁরা এমনই পথে হাঁটবেন।

কোচিতে এক জনসভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, মুঘল যুগ থেকে গুজরাট দাঙ্গার মতো বিষয়কে বাদ দেওয়া অন্যায়। ইতিমধ্যেই কেরল সরকার এই বিষয়ে তাদের তীব্র আপত্তির কথা জানিয়েছে কেন্দ্র ও NCERT’কে। শিবনকুট্টির কথায়, ”কেরল চিরকাল ধর্মনিরপেক্ষ ও সাংবিধানিক মূল্যবোধের পক্ষে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যে অধ্যায়গুলিকে বাদ দেওয়া হয়েছে সেগুলিও স্কুলে পড়ানো দরকার। এভাবে ইতিহাসকে ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে না। আমরা চিন্তাভাবনা করছি কীভাবে সেটা শেখানো হবে। আমরা আলাদা করে টেক্সট বইও ছাপাতে পারি। NCERT যা করেছে আমরা সেটা কোনওভাবেই মেনে নিচ্ছি না। অধিকাংশ শিক্ষকই এর বিরোধিতা করেছেন।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুঘল যুগ সংক্রান্ত অধ্যায় বাদ পড়েছে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যক্রম থেকে। এদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে গান্ধীহত্যার প্রসঙ্গও। একই ভাবে গুজরাট দাঙ্গা থেকে ডারউইনের বিবর্তনবাদ- বাদ পড়েছে সেগুলিও। এনসিইআরটির এহেন পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা দেশজুড়ে। ডারউইনের বিবর্তনবাদ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ১৮০০ বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞ। এর মধ্যেই আলাদা টেক্সট বই ছাপানোর হুঁশিয়ারি কেরলের (Kerala)।

ধর্মের নামে ভাগাভাগি করতে দেব না।ইদের দিনে এনআরসি রোখার ডাক মমতার। এদিকে শাহকে ফোন ইস্যুতে থামছে না বিতর্ক। তৃণমূলের পাঠানো আইনি নোটিসের জবাব শুভেন্দুর। জাতীয় দলের স্বীকৃতি খোয়ানো নিয়ে তোপ। পালটা তৃণমূলের।তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি ঘিরে সরগরম বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। মিথ্যে অভিযোগ তোলার কারণে শুভেন্দুকে আইনি নোটিস পাঠানো হয় তৃণমূলের তরফে। তার জবাবে এবার পালটা চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতার তরফে তাঁর আইনজীবী জানালেন, ‘অল ইন্ডিয়া’ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী তৃণমূল এখন আর জাতীয় দল নেই। তাই এই নামের কোনও দল বা সেই দলের চিঠির আইনি বৈধতা নেই বলে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুর আইনজীবী। এর পর তাঁর বিষয়ে অপমানজনক কোনও মন্তব্য করা হলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে পালটা দিতে ছাড়েনি ঘাসফুল শিবিরও। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের তোপ, “নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করে জাতীয় তকমা ছিনিয়ে নেওয়া মানে এই নয়, দলের নাম বদলে যায়। এই ন্যূনতম জ্ঞান না থাকলে বিরোধী দলনেতার রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করা উচিত।” সব মিলিয়ে বিরোধী দলনেতার বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

গ্রেপ্তার অমৃতপাল সিং-গণশক্তি

অমৃতপাল সিং-কিরণদীপ কউর

অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন অমৃতপাল সিং। রবিবার ভোর সাড়ে ছয়টা নাগাদ পাঞ্জাবের মোগা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ প্রায় এক মাস তিনি পুলিশের নাগাল এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে রবিবার  তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলো পাঞ্জাব পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল।

প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবের নতুন করে খালিস্তানি আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনমত গঠন করছিলেন অমৃতপাল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, অমৃতসর  লাগোয়া আজনালা থানায় হামলা চালানোর। এই ঘটনার পরে কিছুদিন নিষ্ক্রিয় থাকলেও, ১৮  মার্চ থেকে অমৃত পাল এবং তার সংগঠন ওয়ারিশ দি  পাঞ্জাব এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পাঞ্জাব পুলিশ।পাঞ্জাব পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ অমৃত পাল এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই  অশান্তি পাকানোর অভিযোগে একশোর উপর  ওয়ারিশ দি  পাঞ্জাব কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত মোগার এই রোডে গ্রামেই খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম মূল  হোতা জার্নেল সিং ভিন্দ্রেনওয়ালের জন্ম। পুলিশের দাবি, ভিন্দ্রেনওয়াল সম্পর্কিত আবেগ উস্কে দিতেই রোডে গ্রামকে বেছে নিয়েছিলেন অমৃতপাল। 

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর, তিন দিন আগে আটক স্ত্রী, সেই টানেই কি ধরা দিলেন অমৃতপাল? গুরুদ্বারের সামনে আত্মসমর্পণ?

অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপ কউরকে মাত্র তিন দিন আগেই আটক করা হয়েছিল। অমৃতসর বিমানবন্দরে প্রথমে তাঁকে আটকানো হয়। তিনি লন্ডনে যাচ্ছিলেন। কিরণদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুল্ক দফতর। তার পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে তাঁকে আটক করা হয়। সেই ঘটনার তিন দিন পরেই ধরা পড়লেন পলাতক নেতা। অনেকের প্রশ্ন, তবে কি স্ত্রীর টানেই অবশেষে হার মানলেন অমৃতপাল? নিজে থেকেই পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন?

 

Image Caption

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন সাংসদ এবং বিধায়ক তথা ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদের খুনের বদলা নেওয়ার হুমকি দিল আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট (একিউআইএস)। শুধু তাই-ই নয়, ভারতে হামলা চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি।

ইদ উপলক্ষে সাত পাতার একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছে আল কায়দা। তাতে আতিক আহমেদকে ‘শহিদ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে ওই পত্রিকাতে। এমনকি মুসলিম ভাইবোনেদের ‘মুক্ত’ করার প্রতিজ্ঞাও করেছে জঙ্গি সংগঠনটি।

গত ১৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজ হাসপাতালে কড়া পুলিশি পাহারায় শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে। হাসপাতালে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন দুই ভাই। সেই সময় আচমকাই সাংবাদিকদের ভিড়ে মিশে থাকা আততায়ীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে প্রথমে আতিকের মাথায় এবং পরে আশরফকে পর পর গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আতিক এবং আশরফের।

এই ঘটনায় জড়িত তিন আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হল লবলেশ, সানি এবং অরুণ। সকলেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। আতিক খুনের নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কি না, খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠেন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৩

ট্যাগ