মে ২৯, ২০২৩ ১৫:৪৩ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ২৯ মে সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • মহাখালীতে উড়ালসড়ক থেকে পড়া রড মাথায় ঢুকে প্রাণ গেল শিশুর-প্রথম আলো
  • মার্কিন নতুন ভিসানীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে: ওবায়দুল কাদের-মানবজমিন
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিশ্বের কারো সমর্থন নেই : তথ্যমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • ঢাবির পরীক্ষায় প্রত্যেক ছাত্রীকে কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে-ইত্তেফাক
  • ডিসিদের প্রতি অসন্তোষ হাইকোর্টের এ দেশেই থাকতে হবে, লুট করে আমেরিকা নিলে সব রেখে দেবে-যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • খুন হতে পারি’, পুলিশি হাজিরা এড়াতে সাফাই ‘ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ পরিচালকের?-‘সংবাদ প্রতিদিন
  • বাইরনকে নিয়ে ৩ মাসেই সাগরদিঘি ‘পুনরুদ্ধার’ তৃণমূলের, বিধানসভায় ফের শূন্য হল কংগ্রেস!-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ফের মৃত্যু মণিপুরে, সফর শুরু করছেন শাহ-গণশক্তি

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

মহাখালীতে উড়ালসড়ক থেকে পড়া রড মাথায় ঢুকে প্রাণ গেল শিশুর-প্রথম আলোর এ শিরোনামের মর্মান্তিক খবরে লেখা হয়েছে, রাজধানীর মহাখালী উড়ালসড়কের ওপর থেকে পড়া রড মাথায় ঢুকে এক শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ১২ বছর। পরনে ছিল কালো রঙের প্যান্ট ও ফুলহাতা সবুজ গেঞ্জি। আবদুল কাদের ইমন নামের এক পথচারী ওই শিশুকে উদ্ধার করেন। তিনি ও পথচারীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ ও পথচারীরা বলছেন, সকালে উড়ালসড়কের নিচ দিয়ে যাওয়ায় সময় শিশুটির মাথায় ওপর থেকে রড পড়ে। রডের টুকরাটি শিশুটির মাথায় ঢুকে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বেলা সোয়া একটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশু মারা যায়। হাসপাতালে নিয়ে আসা আরেক পথচারী মুরাদ হোসেন বলেন, ছেলেটাকে বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় হাঁটাহাঁটি করতে দেখি। তাঁর বাড়ি কোথায়, কোথায় থাকে এসব জানা যায়নি।

ডিসিদের প্রতি অসন্তোষ হাইকোর্টের এ দেশেই থাকতে হবে, লুট করে আমেরিকা নিলে সব রেখে দেবে-যুগান্তর

বারবার সময় দেওয়ার পরও বরিশালের সন্ধ্যা নদী দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন না দেওয়ায় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দেশ এটাই, এখানেই থাকতে হবে। কেউ যদি লুট করে আমেরিকা নিয়ে যায়, কোনো লাভ হবে না, সব রেখে দেবে। তাই পরিবেশটা ঠিক রাখতে বলেন। কোনো কোনো ডিসি আদালতের আদেশ মানেন না। তাহলে এই আদেশ দিয়ে কী লাভ হবে? রোববার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিসির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এসব কথা বলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিয়া আক্তার। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। জুলফিয়া আক্তার আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিসির পক্ষে আবারও সময় চান। তিনি বলেন, আমাদের সময় দিন, আমরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করব। রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদেশ নিয়ে ডিসি এক ধরনের খেলা করেন। তখন আদালত বলেন, যা দেখবে তাই তো শিখবে। সচিবরাও তো তাই করে। আদালত অবমাননার হাজার হাজার মামলা পড়ে আছে।

মনজিল মোরসেদ বলেন, আমরা তাহলে কোথায় যাব? আদালত বলেন, আপনারা কনটেম্পট (আদালত অবমাননা) কোর্টে যান। মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের আদেশ মানাতে হলে সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা (আদালত অবমাননা সংক্রান্ত) সেটা চর্চা করতে হবে। সেটা না করলে আইনের শাসন থাকবে না। জনগণও কোনো বিচার পাবে না। রাষ্ট্র কলাপস করলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কাছে প্রতিবেদন না দেওয়ার কারণ জানতে চান হাইকোর্ট। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের সর্বশেষ আরও একটু সময় দিন। এ সময় মনজিল মোরসেদ পাশ থেকে বলেন, ৫ বছর চলছে। তখন আদালত বলেন, আপিনও বোঝেন-জানেন দেশের পরিস্থিতি, আদালতের অবস্থা। তারা (রাষ্ট্রপক্ষ) চেষ্টা করে।

সুপ্রিমকোর্টে মামলার সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৪২ লাখ মামলার পাহাড়-যুগান্তর

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাতক্ষীরার মাস্টার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে রাজধানীর একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে নোয়াখালীর শাওন নামে এক যুবক। ঘটনার তিন মাস পর ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ওই যুবককে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী। পরবর্তী সময়ে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতে। মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে (ফৌ. কা. বি. ২৬৫(গ) ধারা) উচ্চ আদালতে আপিল করেন শাওন। শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি আপিলটি নিষ্পত্তি করে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রায়ের কপি হাইকোর্টের ডিসপ্যাচ শাখা থেকে ১২ এপ্রিল পাঠানো হলেও আজ পর্যন্ত ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ পৌঁছেনি। ফলে মামলার বিচারকাজ শুরু করতে পারছেন না আদালত। জানা যায়, আপিলটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে মর্মে আসামিপক্ষের আইনজীবীর একটি প্রত্যয়নপত্র বিচারিক আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এদিকে মামলার একমাত্র আসামি শাওন এখন জামিনে রয়েছেন; আর ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিচারের জন্য আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। হাইকোর্ট বেঞ্চের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অফিসার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু এ মামলা নয়, এমন অনেক মামলা রয়েছে বছরের পর বছর সাক্ষ্যগ্রহণের অভাবে বিচারকাজ আটকে আছে। মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্বের কারণের মধ্যে রয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ, দেরিতে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া এবং সাক্ষী হাজির না হওয়া। ফলে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা।

সুপ্রিমকোর্ট সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে সারা দেশের আদালতগুলোয় (সুপ্রিমকোর্টসহ) মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬ লাখ। আর বর্তমানে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ লাখে। সাড়ে চার বছরে মামলা বেড়েছে ছয় লাখ।

এই ৪২ লাখ মামলা নিরসনে দেশের আদালতগুলোয় বিচারক রয়েছেন মাত্র দুই হাজার।

এদিকে মামলাজট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সম্প্রতি মেহেরপুরে এক সভায় বলেন, দেশে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার জট কমাতে বিচারক এবং আইনজীবীরা একসঙ্গে চেষ্টা করছেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিমকোর্টে গত বছর ৮২ হাজার মামলা ফাইল হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ নিষ্পত্তি হয়েছে শতকরা ৯৫ ভাগ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের ৪০ লাখ মামলার জন্য জজের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এটা খুবই অপ্রতুল। আমরা চেষ্টা করছি নতুন বিচারক নেওয়ার। ইতোমধ্যে দু-একজন বিচারক নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এ বছরের মধ্যেই তাদের নিয়োগ দিতে পারব। এছাড়া ১০০ জজ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আশাবাদী, বিচারকরা পরিশ্রম করেই মামলাজট সুরাহা করতে পারবেন।

ভারত কখনোই আ.লীগের হয়ে দেন দরবার করবে না-যুগান্তর

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে চাপে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এ চাপ মোকাবিলায় সরকার কি ভারতকে পাশে পাবে? ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত মনে করেন, ভারত সরকার কখনোই মার্কিন সরকারের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না।

বিবিসি বাংলাকে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দিল্লির ওপর ভরসা করে এবং এখনও করবে, কিন্তু ভারতেরও কিছু সমস্যা রয়েছে। ভারত কি আমেরিকাকে বলবে বাংলাদেশ নিয়ে তোমরা যা করছ সেটি ঠিক নয়? আমার মনে হয় না ভারত তা করবে।

তিনি বলেন, এটা ঠিক যে কূটনীতি বিভিন্ন চ্যানেলে হয়, ভারত হয়তো ট্র্যাক টু বা ট্র্যাক থ্রি চ্যানেলে এ কথা তুলবে। কিন্তু ভারত সরকার কখনোই মার্কিন সরকারের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না।

শ্রীরাধা দত্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের চাপ থাকলেও রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও ভারত মিয়ানমার সরকারের ওপর কখনোই খোলাখুলিভাবে কোনো চাপাচাপি করেনি। তবে তিনি স্বীকার করেন ভারত চায় আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে থাকুক। কারণ তার মতে, নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগগুলো সবসময় শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছেন, যা নিয়ে দিল্লি কৃতজ্ঞ। এ কারণে তিনি বলেন, পরপর দুটো নির্বাচন নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠলেও ভারত চোখ বুজে ফলাফলকে মেনে নিয়েছে।

এ বিশ্লেষক বলেন, এটা ঠিক যে ভারত আওয়ামী লীগকে অন্ধের মতো সমর্থন করেছে। কিন্তু আমেরিকা এখন যেভাবে ক্ষেপে উঠেছে সেটা ভারতের জন্য চিন্তার জায়গা তো বটেই, মনে হচ্ছে না আমেরিকা পেছাবে। সেখানে ভারত কী করতে পারবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান। এর আগে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও ভারত যে আওয়ামী লীগ সরকারের হয়ে আমেরিকার সঙ্গে জোরালো কোনো দেন-দরবার করেছে তারও কোনো প্রমাণ নেই।

শ্রীরাধা দত্ত বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা নিয়ে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে সম্প্রতি চাপ তৈরি হয়েছে। ভারত যতই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবুক না কেন তাদের তো অনেক জায়গাতেই যুক্তরাষ্ট্রকে প্রয়োজন।

মার্কিন নতুন ভিসানীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে: ওবায়দুল কাদের-মানবজমিন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, নীলনকশা অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। তাই বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিএনপি না এলে নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক বিবেচিত হবে না’ গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শপরিপন্থি এমন অপপ্রচার মুখ থুবড়ে পড়েছে। আজ দুপুরে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করার জন্য বিএনপি মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে নতুন নতুন নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি বলেন, কোথাও নিজেরাই মারামারি করে আহত হয়ে তার দোষ চাপাচ্ছে সরকারের ওপর। কোথাও সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উসকানি দিচ্ছে। আবার কোথাও পুলিশের ওপর নিজেরাই বিনা উসকানিতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিশ্বের কারো সমর্থন নেই : তথ্যমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি বিশ্বজুড়ে কারো কোনো সমর্থন নেই। অন্তত আন্তর্জাতিকভাবে এ নিয়ে আর কিছু বলার সুযোগ নেই বিএনপির। এটি তাদের ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে। আজ সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মার্কিন ভিসানীতির কারণে বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত কিংবা বর্জন করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভিসানীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে একটি স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছেন, এটি তার জন্য সহায়ক হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সঙ্ঘাতে নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী : প্রধানমন্ত্রী-নয়া দিগন্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে এবং শান্তির জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করবে। সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আন্তর্জাতিক জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো সঙ্ঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অস্ত্র প্রতিযোগিতা চাই না। কারণ নারী, শিশু ও প্রতিটি পরিবার এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে। তাই তাদের এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য।’

সরকার বলেন, বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা অতীতের চেয়ে এখন বেশি কঠিন। কারণ অশুভ শক্তি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের জীবনের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির সাম্প্রতিক বিকাশ ও অগ্রগতির সাথে সাথে অশুভ শক্তির নতুন হুমকি বাড়ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তি মানুষকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে সুযোগ দিচ্ছে। কিন্তু এর পাশাপাশি আমরা এটাও দেখছি যে অপশক্তিগুলোও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং মানুষের জীবনের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে। কাজেই জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষীদের জটিল বহুমাত্রিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন যে ‘আর এজন্য, উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে শান্তিরক্ষা মিশনকে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

ঢাবির পরীক্ষায় প্রত্যেক ছাত্রীকে কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে-ইত্তেফাক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (২৯ মে) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী ২ মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইন নোটিশ দেওয়া হয়। তবে সে নোটিশের জবাব না পেয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে ঢাবি ভিসি, বাংলা বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে ঢাবিতে ছাত্রীদের কান-মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা যাবে না বলে জানান আইনজীবীরা। একইসঙ্গে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

খুন হতে পারি’, পুলিশি হাজিরা এড়াতে সাফাই ‘ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ পরিচালকের?-সংবাদ প্রতিদিন

দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর ট্রেলার নিয়ে মারাত্মক সরগরম নেটদুনিয়া। আইনি নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে পরিচালক সানোজ মিশ্রকে। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ১৫৩এ, ৫০১, ৫০৪, ৫০৫, ২৯৫এ ধারা-সহ আরও বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে পরিচালকের বিরুদ্ধে। তবে প্রাণের ভয়ে নাকি কলকাতায় পা রাখতে পারছেন না সানোজ, আতঙ্কের সুরে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

‘দ্য় কেরালা স্টোরি’ বিতর্কের আবহেই বাংলার উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখিয়ে ইতিমধ্য়েই আইনি জটিলতায় পড়েছেন ‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ (The Diary of West Bengal) নির্মাতারা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে এই ছবির বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় পরিচালক সানোজ মিশ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর এবার মুখ খুললেন তিনি। আগামী ৩০মে-র মধ্যে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। তবে পুলিশি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন সানোজ। কেন? এবার তার কারণ স্পষ্ট করলেন।

ইন্ডিয়া টুডে-র কাছে ‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ পরিচালক জানিয়েছেন, “আমি সন্ত্রাসবাদী নই। কোনও অসাংবিধানিক কাজ করিনি। সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি তৈরি করেছি। ওরা আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে। বাংলায় আমাকে খুন করা হতে পারে।”

প্রসঙ্গত, পরিচালক সানোজ মুম্বইবাসী। মুম্বইয়ের ওসিওয়াড়া থানার পুলিশের হাত দিয়েই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে পরিচালককে। ‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির ট্রেলারে বাংলায় গণহত্যা, রাজনৈতিক অশান্তি, সংখ্যালঘু তোষণ, ধর্ষণের ঘটনা দেখাতেই বাংলার পুলিশের তরফে দ্রুত জবাব চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছ থেকে। তবে ২৯মে অবধি পুলিশি হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। সামোজের দাবি, বাংলায় ঢুকলেই তাঁকে হত্যা করা হতে পারে।

বাইরনকে নিয়ে ৩ মাসেই সাগরদিঘি ‘পুনরুদ্ধার’ তৃণমূলের, বিধানসভায় ফের শূন্য হল কংগ্রেস! আনন্দবাজার পত্রিকা

শেষ পর্যন্ত তৃণমূলে যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। জয়ের তিন মাসের মধ্যে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিলেন তিনি। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন বাইরন। বিধানসভায় কংগ্রেসের এক মাত্র বিধায়ক ছিলেন বাইরন। ফলে তিনি দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতাতেও পড়বেন না। বাইরনের দলবদল নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘বিধানসভায় জয়ের পর বাইরনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। জনসংযোগ যাত্রাতেও আমাদের কথা হয়েছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই সর্বাত্মক করতে বাইরন তৃণমূলে যোগ দিলেন। আমি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছি। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে জোর গলায় লড়াই করবেন।’’ দলত্যাগ নিয়ে বাইরনের বক্তব্য, ‘‘আরও বেশি মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সাগরদিঘির সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই এই পদক্ষেপ।’’ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়েছিল সাগরদিঘি আসনটিতে। এর পর গত ২ মার্চ সাগরদিঘির ফল ঘোষণা হয়। ওই আসনে বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। তার ফলও পায় হাতশিবির। বাইরনের হাত ধরে সাগরদিঘি জয় করে কংগ্রেস। ২০২১ সালে বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। বাইরনের হাত ধরে এ বার তারা বিধানসভায় প্রবেশ করেছিল। ওই উপনির্বাচনে জয়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ঘোষণা করেছিলেন যে, তৃণমূলকে ‘বধিবে যে’ সাগরদিঘিতে ‘বাড়িছে সে’। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বাইরন দলবদল করলেন সোমবার। তাতে জোর ধাক্কা খেল বাম এবং কংগ্রেসের জোট।

কর্ণাটক মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি দাদুর, আবদার করে রাহুল গান্ধীকে ‘মিষ্টি’ চিঠি নাতনির!-সংবাদ প্রতিদিন

সদ্যই ভোটে জিতে কর্ণাটকের শাসনক্ষমতার ভার কাঁধে তুলে নিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। রবিবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে ঠাঁই পাননি বর্ষীয়ান বিধায়ক টিবি জয়চন্দ্র। তা নিয়ে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় দাদুকে শান্ত করতে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কাছে চিঠি লিখল নাতনী! ছোট্ট মেয়ের আবদার, দাদুকে মন্ত্রী করে দেওয়ার। যদিও দলের তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও মতামত জানানো হয়নি।

এরপর বন্ধ্যা হয়ে যাবেন! স্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে খুনি স্বামীকে ৯০ দিনের জন্য মু্ক্তি আদালতের-সংবাদ প্রতিদিন

আইন মেনে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় কয়েদিদের। পরিবার অথবা বন্দি নিজে সেই আবেদন জানান। বিহারের (Bihar) এই ঘটনাতেও তেমনটা ঘটেছে। স্ত্রীর দাবিতে স্বামীকে ৯০ দিনের ‘ছুটি’ দিয়েছে আদালত। তবে মুক্তির কারণ অভিনব। আদতে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের জন্য খুনের আসামি যুবককে মুক্তি দিল আদালত। তরুণী আবেদন করেছিলেন, এখনই স্বামীকে মুক্তি না দেওয়া হলে তাঁদের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তাঁর আশঙ্কা, এরপর তিনি বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।

স্বামীর মুক্তির জন্য পাটনা হাই কোর্টে (Patna High Court) দরবার করেছিলেন রঞ্জিতা প্যাটেল। নালন্দায় এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল তাঁর স্বামী ভিকি আনন্দ প্যাটেলের। জেলবন্দি হওয়ার পাঁচ মাস আগেই রঞ্জিতা-ভিকির বিয়ে হয়েছিল। অর্থাৎ ওই পাঁচ মাসই ছিল উভয়ের বিবাহিত জীবন। এর পর দীর্ঘ সাত বছর কেটে গিয়েছে। জেলে বন্দি রয়েছেন ভিকি। সম্প্রতি রঞ্জিতা পাটনা হাই কোর্টে আবেদন করেন, স্বামীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেননি। ভবিষ্যতে বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারেন। অতএব, মানবিকতার খাতিরে স্বামীকে কিছু দিনের জন্য ‘ছুটি’ দেওয়া হোক। ভিকি এবং তাঁর বিবাহ যে বৈধ সেকথাও আদালতকে জানান রঞ্জিতা।

শনিবার পাটনা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজীব রঞ্জন সিং এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। কয়েদিকে ৯০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মাস তিনেকের জন্য হলেও স্বামীকে কাছে পাবেন জেনে বেজায় খুশি রঞ্জিতা। উল্লেখ্য, একজন গর্ভবতী কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেও তাঁকে জেলে পাঠানো হয় না, এই যুক্তিতে যে তাঁর পেটের সন্তান নির্দোষ। এক্ষেত্রে বিয়ের পরেই জেলে যায় ভিকি, যাতে আবেদনকারীর রঞ্জিতার কোনও দোষ নেই। একথা বিবেচনা করেই স্বামীকে মুক্তি দিয়েছেন বিচারক।

ফের মৃত্যু মণিপুরে, সফর শুরু করছেন শাহ-গণশক্তি

 

পরপর হত্যা এবং অস্ত্র লুটের আবহে মণিপুরে শফর শুরু করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার পৌঁছে বুধবার পর্যন্ত উত্তর-পূর্বের হিংসা কবলিত এ রাজ্যে থাকার কথা তাঁর। শাহের সফরের ঠিক মুখে এক পুলিশ আধিকারিক সহ পাঁচ নাগরিক নিহত হয়েছেন সশস্ত্র আক্রমণে। 

রবিবার মণিপুরের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বলেন যে চল্লিশ জন ‘সন্ত্রাসবাদীকে’ হত্যা করা হয়েছে দু’দিনে। সুরক্ষা বাহিনীর গুলিতে নিহতরা কুকি উগ্রপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। কিন্তু হিংসা থামেনি।

রবিবার রাতে, শাহের সফরের ঠিক মুখে, মণিপুরে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। এক বিধায়কের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। মণিপুর রাইফেলসের অস্ত্রাগার থেকে প্রায় ১ হাজার অস্ত্র, অন্যান্য সরঞ্জাম লুটের খবর এসেছে। আইনের শাসন কোথায়, মণিপুরে এই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ নাগরিকরা।

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা! কথাবার্তার আজকের আসর এখানেই গুটিয়ে নিচ্ছি। আবারও কথা হবে আগামী আসরে ততক্ষণ সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৯

ট্যাগ