জুন ২৮, ২০২৩ ১৯:৫৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ২৮ জুন বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • মার্কিন প্রতিবেদন-আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম মানদণ্ড বাংলাদেশ পূরণ করেনি - প্রথম আলো 
  • পদ্মা সেতুতে রেকর্ড ৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার টোল আদায় -যুগান্তর
  • ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেলা বাড়লেও কমেনি গাড়ির চাপ -ইত্তেফাক
  • মত-মতান্তর বাইডেন-মোদি বৈঠকে উঠলো না বাংলাদেশ প্রসঙ্গ -মানবজমিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ৬৪ হাজারে সেনসেক্স, ১৯ হাজারে নিফটি! -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • দুর্যোগের দরুন জরুরি অবতরণ হেলিকপ্টারের, পায়ে-কোমরে চোট মমতার -সংবাদ প্রতিদিন
  • উপাচার্য নিয়োগে ধাক্কা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল- গণশক্তি

 এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

অর্থনীতির খবর-মার্কিন প্রতিবেদন-আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম মানদণ্ড বাংলাদেশ পূরণ করেনি-প্রথম আলোর এ খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে যেসব দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার ন্যূনতম মানদণ্ড পূরণ করেনি, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। বাংলাদেশ এই সময়ে আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে বড় কোনো অগ্রগতিও অর্জন করেনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টের জন্য ১৪১টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, ৭২টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতা পূরণে ন্যূনতম মানদণ্ড পূরণ করেছে। তবে ৬৯টি দেশ এই মানদণ্ড পূরণ করেনি, তবে এদের মধ্যে ২৫টি দেশ আর্থিক স্বচ্ছতার মানদণ্ড পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।বাংলাদেশের ব্যাপারে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচ্য সময়ে সরকার তার নির্বাহী বাজেট প্রস্তাব তৈরি করেছে এবং অনলাইনসহ জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে। এতে আরও বলা হয়, সরকার বছর শেষের প্রতিবেদন একটি যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি।বাংলাদেশের আর্থিক স্বচ্ছতা ভালো করা জন্য ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে ছয় দফা পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

এমন চলতে থাকলে দেশের মানুষের হাতে রাজনীতি থাকবে না : জি এম কাদের-ইত্তেফাক

রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, দেশের অবস্থা এমন চলতে থাকলে সামনের দিকে দেশের মানুষের হাতে রাজনীতি থাকবে না। সরকার পরিবর্তন না হলে একটি দল এবং তাদের একটি নেতা চিরস্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উপক্রম হবে বলে মন্তব্য করেছেন। জি এম কাদের বলেছেন, বর্তমানে বিদেশি প্রেসার কাজ করছে। আমরা তাকিয়ে আছি, অন্য রাজনৈতিক দলগুলো চেষ্টা করছে। এই রকম সুযোগে সবাই যদি মিলেমিশে কিছু করতে পারে তাহলে দেশের মানুষ উদ্ধার হবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সামনের দিকে দেশের মানুষের হাতে রাজনীতি থাকবে না। রাজনৈতিক দলও থাকবে না।

কুরবানির পশু কেনাবেচা হাটে ঘাটে রাস্তায় নীরব চাঁদাবাজি-যুগান্তর পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনার পরও কুরবানি পশুর হাট এবং পশুবাহী ট্রাকে নীরব চাঁদাবাজি হচ্ছে। কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্য ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা বেপারিরা প্রতিনিয়ত তাদের খপ্পরে পড়ছেন। তবে অনেকেই মুখ খুলছেন না। ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীদের অনেকেই বলছেন, পথে পথে চাঁদার টাকা না দিলে গরু আরও কম দামে বিক্রি করতে পারত। এদিকে, এবার পশুর হাট ও সড়কে কোনো চাঁদাবাজি নেই বলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এর এক সপ্তাহের তথ্য অনেকেই ভাবিয়ে তুলেছে।

 মত-মতান্তর বাইডেন-মোদি বৈঠকে উঠলো না বাংলাদেশ প্রসঙ্গ-মানবজমিন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার স্বপ্নে যা আশা করেছিল, হোয়াইট হাউস তাই  দিয়েছে। ২০০২-এর গুজরাট দাঙ্গার পর  মোদি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বহীন এক ব্যক্তি  ছিলেন। ভারতের বর্তমান সরকারের হিন্দুত্ববাদ নীতির সাথেও বাইডেন প্রশাসনের নীতির অনেক পার্থক্য রয়েছে, বিশেষ করে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে তো সরাসরি বিরোধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও মোদির আমেরিকা সফরে সেসব ভূমিকাকে অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের পতনের পর থেকে বিশ্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে চীনের উত্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই অঞ্চলে একটি শক্তিশালী মিত্র খোঁজা প্রাসঙ্গিক  করে তুলেছে। ভারত কিছু ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের চাহিদা পূরণ করেছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মতো সংকটময় সময়ে ভারতকে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে দেখা গেছে।

ভারত তার  প্রয়োজনে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়ার তেল কিনেছে। সেই ইউএসএসআর-এর  যুগ থেকে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি ঐতিহাসিক যোগসূত্র রয়েছে। রাশিয়া ও চীন দুই মহাযুদ্ধের পর থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমের আধিপত্যের বিরুদ্ধে বিকল্প গঠনে ব্যস্ত। এদিকে ট্রাম্প যুগ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অসন্তুষ্ট ভারত, তবে ভারত অসুখী হলেও চীনের কথা মাথায় রেখে পারস্পরিক বোঝাপড়ার  রাস্তা খোলা ছিলো।

তাই পশ্চিমা- বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করার বিরুদ্ধে চীনকে একটি বার্তা পাঠানোর জন্য ভারতকে পশ্চিমা জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে ওয়াশিংটনকে অনেক কিছু করতে হয়েছিল। এই কারণেই মোদিকে এমন রাষ্ট্রীয় সফরের   আমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল যা সাম্প্রতিককালে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও বিশ্ব নেতাকে দেয়নি।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটি বিশাল রাষ্ট্রীয় ভোজ এবং কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার মতো সম্মান দেওয়া হয়েছে । প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি হোয়াইট হাউসে একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজে মোদির  সাথে মিলিত হন । এখানেই শেষ নয় , ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন স্টেট ডিপার্টমেন্টে একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। ৫৮-পৃষ্ঠার যৌথ বিবৃতিতে  যদিও চীন এবং তার উত্থান নিয়ে  উদ্বেগ হবার কোনো বিষয় প্রতিফলিত হয়নি । কারণ, ওয়াশিংটন ভারতকে তার দিকে নিয়ে আসা এবং একটি নরম শক্তি হিসাবে চীনের সাথে মোকাবিলা করার পন্থা  বেছে নিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে-গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, মানবাধিকার, আইনের শাসন, বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলগুলিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের সাথে সংযুক্ত করার উপর ব্যাপকভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে ।  

ওয়াশিংটন  প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় ভারতকে বড় ধরনের ছাড় দিয়েছে। ভারতের মাটিতেই  GE F-414 জেট ইঞ্জিন তৈরি করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা , এটি এমন একটি ছাড় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ঐতিহ্যগত মিত্রদেরও দেয়নি। দুই নেতা এই সিদ্ধান্তকে একটি "ট্রেলব্লেজিং উদ্যোগ" বলে অভিহিত করেছেন যা  আগের চেয়ে মার্কিন জেট ইঞ্জিন প্রযুক্তি  ভারতে  আরও বেশি স্থানান্তর করতে সক্ষম করবে। বিষয়টি চীনকে কতটা নাড়া দিতে পারে তা অনুমেয়। তা সত্ত্বেও, ওয়াশিংটন সামিট চীনকে বড় ধরনের ধাক্কা দেবে না বলে মনে করেন  বিজেপি নেতা ডঃ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর  এই সফরের নিটফল কার্যত  “শূন্য”। স্বামী  ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন কারণ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের টেবিলে  ভারতের বিরুদ্ধে চীনা আগ্রাসনের প্রতিফলন করতে ব্যর্থ হন , যেখানে চীন ৪০২৫ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে ।

স্বামী তাই ভারতীয়দের  নরেন্দ্র মোদির প্রতি  ওয়াশিংটনের এই রাজকীয় আচরণে প্রতারিত না হতে অনুরোধ করেছেন। নরেন্দ্র মোদির  তথাকথিত ঐতিহাসিক সফরের উপসংহার টানতে গিয়ে অর্থনীতিবিদ স্বামী একজায়গায় বলেছেন -''এটি  মোদির মতো একজন বাঘ-কে বাগে আনার একটা  কৌশল ছিলো মাত্র  ''।যদিও যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে ভারতীয়রা খুশি হবে। পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছিল।  এদিকে মোদির সফর নিয়ে  বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে অনেক প্রত্যাশা ছিল। তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে আওয়ামী লীগের প্রতি মনোভাব  নরম করার জন্য হয়তো অনুরোধ করবেন। অতি-উৎসাহী কলকাতার সাংবাদিকরা এমনকি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে নরেন্দ্র মোদি নিজে থেকে  টানা ৪ বারের মেয়াদের জন্য আওয়ামী লীগের  প্রসঙ্গ টানবেন । কিন্তু শীর্ষ সম্মেলনে কোনোভাবেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠলো না !

বিষয়টি  আওয়ামী লীগ সমর্থকদের  অসন্তুষ্ট করেছে । যৌথ বিবৃতিতে , ভারত সর্বজনীনভাবে  স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, অন্তর্ভুক্তি, বহুত্ববাদ এবং সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সমর্থন করতে সম্মত হয়েছে।  এই  ব্যাখ্যার মাধ্যমে ভারত আসলে  বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য   ওয়াশিংটনের উদ্যোগকে সমর্থন করতে সম্মত হয়েছে। এই শীর্ষ সম্মেলনটি এমন কিছু কেড়ে নিয়েছে যা এই অঞ্চলে নয়া দিল্লি এবং অত্র প্রতিবেশীদের  জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আমেরিকা ৯/১১ এর পরে ভারতকে তার পক্ষে দক্ষিণ এশিয়া  দেখাশোনা করার জন্য অলিখিত ক্ষমতা দিয়েছিল। যার জন্য পাকিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি  নয়াদিল্লি মারফত  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। শীর্ষ সম্মেলনে নীরবতার মাধ্যমে এই ক্ষমতা ভারতের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

কোনো প্রসঙ্গ উত্থাপন না করে মোদি-বাইডেন  শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশকে আসলে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছে। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার,   বহুত্ববাদ এবং সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ- এর ভিত্তিতে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন যাতে সংঘটিত হয়  ৩৬ নং অনুচ্ছেদ মারফত  নয়াদিল্লিকে সেই প্রতিশ্রুতিতেই বেঁধেছে আমেরিকা ।

লেখক : জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত

 এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

দুর্যোগের দরুন জরুরি অবতরণ হেলিকপ্টারের, পায়ে-কোমরে চোট মমতার-সংবাদ প্রতিদিন

দুর্যোগের দরুন জরুরি অবতরণ মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারের। উপযুক্ত ব্যবস্থার অভাবে কোমরে ও পায়ে মারাত্মক চোট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার সকালে পঞ্চায়েতের প্রচারে জলপাইগুড়িতে জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্যোগের কবলে পড়ে তাঁর হেলিকপ্টার। সেবকের এয়ারবেসে জরুরি অবতরণের সময় চোট লাগে তাঁর। কলকাতায় ফিরেই এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এর আগেও পায়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে তাঁর আঘাত কতটা গুরুতর, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।

উডবার্ন ব্লকের এমআরআই ইউনিটে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। জানা গিয়েছে, তাঁর বাঁ পায়ের লিগামেন্টে চোট রয়েছে। হাসপাতালে রেখে চিকিৎসারই পক্ষপাতী ছিলেন চিকিৎসকরা। তবে পঞ্চায়েতের ব্যস্ততার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে চাননি মমতা। তিনি বাড়ি ফিরতে চান বলেই জানিয়েছেন। তাই বাড়িতে থেকেই তাঁর চিকিৎসা হবে।

এদিন ফোন করে মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে এই ঘটনা নিয়েও জারি রাজনৈতিক চাপানউতোর। ভোট এলেই কেন মুখ্যমন্ত্রী পায়ে আঘাত পান, সেই প্রশ্নে সরব বিজেপি ও বামেরা।

অন্য জাতের ছেলের সঙ্গে প্রেম, মেয়েকে খুন করলেন বাবা, খবর পেয়ে আত্মঘাতী প্রেমিকও-সংবাদপ প্রতিদিন

অন্য জাতের ছেলেকে পছন্দ করে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ই বাবার হাতে খুন হলেন তরুণী। এই মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন তরুণীর প্রেমিকও। সম্মানরক্ষার্থে খুন বা ডিজঅনার কিলিংয়ের এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের (Karnataka) কোলারে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তরুণীর বাবাকে। খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম কীর্তি। ২০ বছর বয়সি কীর্তির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল গঙ্গাধর নামে এক যুবকের। কিন্তু দু’জনের সম্পর্ক মেনে নিতে চায়নি কীর্তির পরিবার। ভিন জাতের ছেলের সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে দিতে হবে, কীর্তিকে সাফ জানিয়ে দেন তাঁর বাবা কৃষ্ণমূর্তি। তা সত্ত্বেও বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকেন যুগল। সেই কথা জানতে পেরেই মেয়ের সঙ্গে বচসায় জড়ান কৃষ্ণমূর্তি।

বুধবার সকালে মেয়েকে ডেকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এক্ষুনি এই সম্পর্ক শেষ করে ফেলতে হবে। কিন্তু সেই দাবি মানতে চাননি কীর্তি ফলে আবারও বচসা শুরু হয় বাবা-মেয়ের মধ্যে। রাগের মাথায় মেয়ের গলা টিপে খুন করেন কৃষ্ণমূর্তি। পরে মেয়ের মৃতদেহ ফ্যানে বেঁধে ঝুলিয়ে দেন, যাতে মনে হয় কীর্তি আত্মহত্যা করেছেন। তবে প্রথম থেকেই পুলিশের সন্দেহের তির ছিল কৃষ্ণমূর্তির দিকে। পরে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হন তিনি।

 ৬৪ হাজারে সেনসেক্স, ১৯ হাজারে নিফটি! ‘ষাঁড়ের গুঁতো’য় দালাল স্ট্রিটে শুরু উৎসব-আনন্দবাজার পত্রিকা

শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছিল মঙ্গলবার থেকেই। সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল বুধে। বুধবার সকাল থেকেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল শেয়ার বাজার। সময় যত পেরিয়েছে ‘অশ্বমেধের ঘোড়া’ ততই ছুটেছে। দুপুর ১টা ৩২ নাগাদ ইতিহাসে প্রথম বার ৬৪ হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করে সেনসেক্স।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৮


 

ট্যাগ