জুলাই ১৩, ২০২৩ ১৮:২৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৩ জুলাই বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, কোনো দলকে উৎসাহ দিতে আসেনি-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রথম আলো
  • সংলাপ নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র: উজরা জেয়া-ইত্তেফাক
  • বিএনপি ভোট চুরি করেছে: আজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
  • শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কাছে বিএনপি ভেসে যাবে : সেতুমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • ডেঙ্গু মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতে সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যর্থ হয়েছে: ড্যাব-মানবজমিন
  • রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার–দ্যা ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • আমি অপরাধ করলে শাস্তি দিন, কিন্তু এত মিথ্যা কেন? আমি সাধারণ ঘরের মেয়ে বলে’, বললেন মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • তেপায়া জানোয়ার একশো মিটার রেসে দৌড়চ্ছে!’, মহারাষ্ট্র সরকারকে কটাক্ষ চিদাম্বরমের-সংবাদ প্রতিদিন
  • ভোট লুটকে ধিক্কার, প্রতিবাদ মিছিলের ডাক বামফ্রন্টের-গণশক্তি

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বিএনপি ভোট চুরি করেছে: আজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ‘নিশ্চিত করতেই’ তিনি রাজনীতি করেন। আর ভোটে ‘কারচুপি করে’ বিএনপি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বৃহস্পতিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গণভবনে এলে সরকারপ্রধান তাকে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেখেছি অতীতে বিএনপি কীভাবে ভোট কারচুপি করেছে। আমরা সংগ্রাম করে সেটি পরিবর্তন করেছি। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এটা আমরা চালু করেছি।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়। তারা কোনো দলকে উৎসাহ দিতে বাংলাদেশে আসেনি।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল বলেছে, আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়, সেটি তারা দেখতে চায়। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে। তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই কাজ করবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় তৈরি আছে। এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধিত হবে।

ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন‌কে সাম‌নে রে‌খে রাজ‌নৈ‌তিক দলগু‌লোর ম‌ধ্যে সংলাপ নি‌য়ে প্রত্যক্ষ কো‌নও হস্ত‌ক্ষেপ কর‌বে না ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মতামত নির্বাচনের ২০১৪ ও ২০১৮ মডেল, ভোটাধিকার এবং সংলাপ-সাংবাদিক কামাল আহমেদ তার এ মতামত কলামে লিখেছেন, আগামী নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে এখন ধীরে ধীরে উত্তাপ-উত্তেজনা বাড়ছে। দেশ-বিদেশে সবার কৌতূহলও বাড়ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেও যেন একধরনের মেরুকরণ দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর পক্ষ থেকে সুষ্ঠু, অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের তাগিদকে রাশিয়া, চীন ও ইরান অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে। এমনকি, ইউক্রেন দখলে সামরিক অভিযান পরিচালনাকারী রাশিয়া একে ‘নয়া উপনিবেশবাদী’ হস্তক্ষেপ বলতেও সংকোচ বোধ করেনি।

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছে। রাজনীতিতে যে স্থায়ী কোনো শত্রু–মিত্র নেই, তার একটি নজির বাংলাদেশ সম্পর্কে এসব দেশের অবস্থান। ভারত ও চীন ভূরাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনে বিপরীত অবস্থানে থাকলেও বাংলাদেশে কথিত স্থিতিশীলতার প্রশ্নে তাদের অবস্থান অভিন্ন।

২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচনে জেনারেল এরশাদকে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা গ্রহণ ছাড়াও সবার আগে তারাই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানানোয় এগিয়ে ছিল। ২০১৮ সালে রাতের ভোটের বিতর্কে যখন অন্যরা প্রশ্ন তুলছিল, তখন চীন সবার আগে প্রধানমন্ত্রীকে তৃতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দিত করে।

অনেকের ধারণা, ভূরাজনীতির সমীকরণে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র তার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ভারতের স্বার্থ উপেক্ষা করতে পারবে না। তাঁদের মতে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অবস্থান অভিন্ন। ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা’র অর্থ বাংলাদেশের সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা যাঁরা মনে করেন, তাঁদের সমীকরণ ঠিক হলে ক্ষমতাসীন সরকার ও আওয়ামী লীগের উদ্বেগের কিছু নেই।

কিন্তু সরকার ও দল উভয়ের প্রতিক্রিয়ায় যে রকম অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তাতে ইঙ্গিত মেলে যে তাঁরা বেশ উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সূত্র স্পষ্ট করেই বলেছে, তারা সাময়িক স্থিতিশীলতার বদলে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা চায়, যেটা কেবল কার্যকর গণতন্ত্রই নিশ্চিত করতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরানো তাই তাদের অগ্রাধিকার। সুতরাং, বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এক নয়। বিপরীতে চীন, রাশিয়া ও ইরানের স্বার্থ আর ভারতের স্বার্থ একই রকম।

সরকার ও আওয়ামী লীগে উদ্বেগ-অস্থিরতা না থাকলে তাদের বক্তব্য-বিবৃতি মোটামুটি একই রকম হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী ও নেতাদের বক্তব্যগুলো একেকজনের একেক রকম। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের চাপ সম্পর্কে একবার বলা হচ্ছে চাপ সরকারের ওপর নয়, বিএনপির ওপর; যাতে তারা নির্বাচনে অংশ নেয়।

কিন্তু পাশ্চাত্যের ওই চাপকে ইঙ্গিত করেই আবার বলা হয়েছে, নির্বাচন বানচাল করতে বিদেশিরা ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোর দৃষ্টান্তও তিনি টেনেছেন। কিন্তু দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনিই আবার বলেছেন, এবারের নির্বাচন সহজ হবে না। মন্ত্রীদেরও অনেকে খোলাখুলি বলেছেন, আগের মতো নির্বাচন এবার হবে না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ মডেল হতে পারে না।’ নির্দলীয় সরকার না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলায় আগামী নির্বাচন কেমন হবে, ২০১৪ সালের মতো, নাকি ২০১৮ সালের মতো—এ প্রশ্নের জবাবেই তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।

১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে বলছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন যেমন হওয়ার কথা, ২০১৮ সালে তা হয়নি; কিন্তু তাঁরা জোটে আছেন শুধু সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঠেকাতে। জোটের আরেক নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন কয়েক বছর আগে সংসদেই বলেছেন, ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি, কিন্তু তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হকও ২০১৪ সালে কীভাবে তাঁদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২০১৮ সালে রাতেই ভোটের বাক্স ভরার কথা সংসদে বলেছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মডেল আর চলতে পারে না, যদি সত্যিই সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের উপলব্ধি হয়, তাহলে তো বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন জোটের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার এক দফায় আপত্তির কিছু থাকে না। বিএনপি নির্বাচনের বিরুদ্ধে হলে ভোটাধিকারের কথা কেন বলবে? বিনা বাধায় ও নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটদানের অধিকার ফিরে পেতে মানুষ যে উন্মুখ হয়ে আছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রকৃত ভোটের মাধ্যমে যদি আওয়ামী লীগ পুনর্নির্বাচিত হয়, তাহলে নিশ্চয়ই তারা দাবি করতে পারবে যে দেশের মানুষ গত দুটি নির্বাচনের ভোটাধিকার হরণকে ক্ষমা করে দিয়ে তাদের উন্নয়নের মডেলকেই গ্রহণ করেছে। আর সরকার বদল হলে বর্তমান বিরোধীদের পরীক্ষা দিতে হবে যে তাঁরা বদলেছেন এবং রাজনীতিতে তাঁরা গুণগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম। না হলে ভোটাররাই আবার তাঁদের শিক্ষা দেবেন।

দেশে যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো ব্যবস্থা নেই, সেটা মোটামুটি দেশে-বিদেশে সবার কাছেই পরিষ্কার। না হলে যুক্তরাষ্ট্র যেমন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও গণতান্ত্রিক মানদণ্ড অনুযায়ী করার ওপর এতটা জোর দিত না, ইউরোপীয়রাও বলত না যে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে তখনই, যখন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। প্রশ্ন হলো, সবার ভোটাধিকার ফেরানোর পথ কী ও তা কীভাবে তৈরি হবে?

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন হয়েছে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসরণ করে দলীয় সরকারের অধীন। আইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এখন বিশ্বে যেসব দেশে ‘অসাংবিধানিক সংবিধান সংশোধন’-এর নজির তুলে ধরেন, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং তা ওই পঞ্চদশ সংশোধনী। এ ব্যবস্থার অকার্যকারিতা প্রমাণে দেশের মানুষ ও সরকারবিরোধীদের যে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে, তার প্রাপ্তি হচ্ছে কর্তৃত্ববাদের উত্থান। একমাত্র নির্বাচন কমিশন গঠনের একটি একতরফা আইন ছাড়া আগের অবস্থার সঙ্গে বর্তমানের কোনো ফারাক নেই।

দলীয় সরকারের সুবিধাভোগীদের নিয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিকভাবে অনুগত প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে চলা বিচার বিভাগ—সবই বহাল। এগুলো অপরিবর্তিত থাকলে ভোটাধিকার ফেরানোর কথা বলা হলেও নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার আশা পূরণের কোনো কারণ নেই। ভোট দিতে পারলেও তা যে গোনায় ধরা হবে, বিরোধ হলে যে নির্বাচন কমিশন কিংবা কমিশন ব্যর্থ হলে আদালত পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তার ন্যায্য সমাধান করবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

তেপায়া জানোয়ার একশো মিটার রেসে দৌড়চ্ছে!’, মহারাষ্ট্র সরকারকে কটাক্ষ চিদাম্বরমের-

মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ‘নাটক’ অব্যাহত। সম্প্রতি অজিত পওয়ার সেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে সেই নাটক যেন আরও জমে উঠেছে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) ‘তেপায়া জানোয়ার’ বলে কটাক্ষ করলেন মহারাষ্ট্র সরকারকে। ঠিক কী বলেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা? তাঁর কথায়, ”মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও দুই উপমুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রে ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার চলছে। দেখে তো মনে হচ্ছে কোনও তেপায়া জানোয়ার একশো মিটার রেসে দৌড়তে নেমেছে।” সেই সঙ্গে চিদাম্বরমের দাবি, মহারাষ্ট্রে নতুন শপথ নেওয়া ৯ জন মন্ত্রীর কোনও কাজ নেই, কেননা তাঁদের কোনও দপ্তর বণ্টনই করা হয়নি। আর এই বিষয়ে তাঁর কটাক্ষ, ”বাকি ২০ জন মন্ত্রী, যাঁদের মধ্যে ফড়নবিশও রয়েছেন, তাঁরা ওঁদের কোনও পোর্টফোলিও দিচ্ছেন না।

ভোটে জিতলে টাকাই টাকা, সেজন্য লড়াই?’, প্রশ্ন হাই কোর্টের বিচারপতি সিনহার-সংবাদ প্রতিদিন

পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) জিতলে টাকাই টাকা, পাঁচ বছরের চাকরি। তাই টাকার জন্য এই লড়াই? গণনা কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার ছড়াছড়ি সংক্রান্ত মামলায় এমনই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। অভিযোগ ছিল পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিন রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রিটার্নিং অফিসারের সই করা ব্যালট পেপার। যা নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা তলব করেন। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রিটার্নিং অফিসার এবং বিডিও এজলাসে হাজিরা দেন। ব্যালট পেপারও আদালতে পেশ করেন রিটার্নিং অফিসার।

আমি অপরাধ করলে শাস্তি দিন, কিন্তু এত মিথ্যা কেন? আমি সাধারণ ঘরের মেয়ে বলে’, বললেন মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা

পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্ব থেকে যে ‘হিংসা’র সূত্রপাত হয়েছিল, ভোটগণনা পর্বেও তাতে লাগাম পরানো যায়নি। বিরোধী দলগুলি যখন এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের সমালোচনায় মুখর, তখন ‘রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে’ বলে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘‘মালদা আর মুর্শিদাবাদ ছাড়া আর কোনও জেলায় কিছু ঘটেনি’’, ভোট গণনার দ্বিতীয় দিনে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ভোট-হিংসা প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য দুঃখিত। মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৩

ট্যাগ