বাংলাদেশ ও ভারতের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবর
বৈশ্বিক চাল সরবরাহে ঘাটতি খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা
শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। ৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:
- চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা মোতায়েন: দৈনিক কালেরকণ্ঠ
- ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু, তার ৭৯% ঢাকায়: প্রথম আলো
- গণতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে: ওবায়দুল কাদের: দৈনিক যুগান্তর
-
সাইবার নিরাপত্তা আইন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের: মানবজমিন
- সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিতর্কিত ধারাগুলো বহাল থাকছে!: নয়াদিগন্ত
- বৈশ্বিক চাল সরবরাহে ঘাটতি খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা: দৈনিক বণিকবার্তা
ভারতের পত্রপত্রিকার শিরোনাম
- বাইডেনের দিল্লি সফরের আগেই মানবাধিকার খোঁচা আমেরিকার- সংবাদ প্রতিদিন
- অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে আসতে পারে প্রস্তাব, জল্পনা রাজ্য বিধানসভার অন্দরে: আনন্দবাজার
- দলিত আদিবাসী ও মুসলমান সমাজের যৌথ উদ্যোগে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ: দৈনিক পুবের কলম
বিশ্লেষণের বিষয়:
১. গণতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে হলে বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে। কথাটি বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কীভাবে দেকছেন এ বক্তব্য?
২. মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার যেকোন অপকর্মের জবাব দেবে ইরান। একথা বলেছেন আইআরজিসি’র মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামেজান শরীফ। সেটা কী সম্ভব হবে ইরানের পক্ষে?
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত
ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু, তার ৭৯% ঢাকায়: প্রথম আলো
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর দেশে এখন পর্যন্ত ৩২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোতেই মারা গেছেন ২৫৮ জন। অর্থাৎ ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু, তার প্রায় ৭৯ শতাংশই ঢাকায় হচ্ছে।
আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬৯ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে এই হিসাব পাওয়া গেছে।
অবশ্য ঢাকার বাইরে থেকেও অনেকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নেন। বিশেষ করে সংকটাপন্ন রোগীদের ঢাকার হাসপাতালগুলোতে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে গত রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও ১৪ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছেন ১০ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে মারা গেছেন আরও চারজন। গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জুলাই এক দিনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গুতে।
এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ঢাকাতেই বেশি। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ঢাকায় মোট ৩৬ হাজার ৭২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭৬৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৪৮৩ জন। এর মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৫১ জন।
আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আক্রান্ত ১৭ হাজার ৬৫১ জনের মধ্যে ১০ হাজার ১৩১ জন ঢাকার বাইরের। একই সময়ে ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫২০ জন।
চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা মোতায়েন: দৈনিক কালেরকণ্ঠ
একটানা চারদিনের ভারি বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা দেখা দিয়েছে। এই বন্যা ও ভূমিধস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, দেশের দুই জেলা চট্টগ্রাম এবং বান্দরবানে বন্যা ও ভূমিধস পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করবে সেনাবাহিনী।
এদিকে, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। কক্সবাজারে পৃথক স্থানে পাহাড়ধসে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে তিনজন শিশু ও একজন নারী।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভিলিজার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জান্নাত আরা (২৮) ও তার মেয়ে মাহিম আক্তার (২)। বাকি দুই শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে, বান্দরবান সদরে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধসে একই পরিবারের মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন।
প্লাবিত হয়েছে হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। বান্দরবান-থানচি সড়কের ১২ মাইল এলাকায় পাহাড়ধসে সড়কে গাছ পড়ে বান্দরবান থেকে রুমা-থানচি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ফেনী, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এসব অঞ্চলের নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকতে পারে। অবনতি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতির। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
গণতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে: ওবায়দুল কাদের: দৈনিক যুগান্তর
গণতন্ত্রকে নিরাপদ রাখতে বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকালে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তর থেকে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এ দেশে শুরু হয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর সহচর জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলা যার প্রধান টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইভি রহমানসহ ২৩ জনের জীবন চলে গেল। এই সমুদয় ইতিহাসের পেছনে একটা দল বিএনপি। এই দলটি বাংলাদেশে হত্যা, ষড়যন্ত্রের হোতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে নিরাপদ এবং অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিএনপি নামক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পরে যখন শাসক দল হিসেবে ক্ষমতায় ছিল তখন থেকে এই দলটি মূলত বাংলাদেশে হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির হোতা। তাদের পরাজিত করতে হবে। আজকে এটাই আমাদের অঙ্গীকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে স্মরণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর জীবনের এই উত্তরণ। স্বাধীনতা সংগ্রাম। এই সমুদয় সংগ্রামে বেগম মুজিব তার শুধু সহধর্মিণী নন, তিনি ছিলেন তার নিবেদিতপ্রাণ সহযোদ্ধা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একেবারেই কাছের একজন বিজয় লক্ষ্মী নারী। তার আজ ৯৪তম জন্মদিন। জন্মের আনন্দ বেদনার অশ্রুতে ঢেকে যায়। সে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি।
সাইবার নিরাপত্তা আইন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের: মানবজমিন
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র একে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের কথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এ সময় তিনি আইন সংস্কার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানান। একজন সাংবাদিক বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। আগেও আমরা বলেছি, সমালোচকদের গ্রেপ্তার, আটক ও তাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার জন্য এই আইনকে রিভিউ করার জন্য সব পক্ষকে সুযোগ দিতে এবং তাদের মতামত এতে তুলে ধরতে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা উৎসাহিত করি।
সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিতর্কিত ধারাগুলো বহাল থাকছে!: নয়াদিগন্ত
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ নামে যে আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে সেটি আসলে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিবর্তন আনবে না বলে মনে করছেন মানবাধিকারকর্মী এবং আইন বিশেষজ্ঞরা।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাস্তি কমানোর মতো বিষয়টি নতুন আইনে অন্তর্ভূক্ত করা হলেও এটি আসলে খুব একটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়। বরং যেসব ধারা নিয়ে বিতর্ক ছিল সেগুলো এখনো বহাল তবিয়তেই রয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের যে জায়গাগুলো নিয়ে তাদের আপত্তি ছিল সে জায়গাগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও রয়ে গেছে। যার ফলে এটি অপপ্রয়োগেরও সুযোগ রয়েছে এবং এটি দিয়ে নিবর্তনমূলক কার্যক্রম করারও সুযোগ রয়ে গেছে।
বাংলাদেশে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে তার জায়গায় সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে ভিন্ন একটি আইন আনার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়া হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন এনে এই আইনটি করা হচ্ছে। অনেকগুলো ধারায় জরিমানার ব্যবস্থা তুলে দেয়া হয়েছে, কোনো কোনো ধারায় কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে দেয়া হয়েছে বা কারাদণ্ড বাতিল করে জরিমানার বিধান আনা হয়েছে, দ্বিতীয়বার অপরাধ করলে দ্বিগুণ জরিমানা বা সাজার যে বিধান ছিল, সেটা পুরোপুরি তুলে দেয়া হয়েছে।
আগামী সেপ্টেম্বরে এই আইনটি পাসের জন্য আদালতে তোলা হবে।
বৈশ্বিক চাল সরবরাহে ঘাটতি খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা: দৈনিক বণিকবার্তা
বিশ্বে প্রধান উৎপাদক দেশগুলো চাল বাণিজ্য ও সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় চালের দাম বেড়েছে। প্রধান খাদ্য হিসেবে চালের ওপর নির্ভরশীল অনেক দেশে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলে।
বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক ভারত। গত মাসে দেশটি বাসমতি ছাড়া অন্য চালের ওপর রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত ও চালের দাম স্থিতিশীল রাখা। অন্যদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাল রফতানিকারক থাইল্যান্ড ভূগর্ভের পানি সংরক্ষণের জন্য ধান চাষ কমাতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের জাতীয় পানি প্রশাসন প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ কম হচ্ছে, যা পানি ঘাটতির উচ্চঝুঁকি তৈরি করে। বিষয়টি কৃষকদের বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। যেসব ফসল কম পানিতে ও দ্রুত উৎপাদন করা যায়, সেসব ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় চালের প্রধান আমদানিকারক ও পুনঃরফতানিকারক। অন্যান্য দেশেও চাল সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রয়টার্স নিউজ এজেন্সি ১ আগস্ট জানিয়েছে, থাই ও ভিয়েতনামের রফতানিকারকরা আগস্টে শিপমেন্টের জন্য পাঁচ লাখ টন চাল বিক্রির চুক্তিমূল্য পুনর্বিবেচনা করার তাগিদ দিয়েছেন।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে আসতে পারে প্রস্তাব, জল্পনা রাজ্য বিধানসভার অন্দরে: আনন্দবাজার
অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব আনার কথা কেরল সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্বয়ং এই প্রস্তাবটি বিধানসভায় পেশ করতে পারেন বলেই প্রাথমিক খবর। সেই সূত্রে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অন্দরেও জল্পনা শুরু হয়েছে এই মর্মে যে, বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে এই ধরনের প্রস্তাব আনতে পারে রাজ্যের শাসক তৃণমূল।
২০১৪ সালে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লাগাতার সংঘাত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির সমালোচনা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরসি-সিএএ থেকে শুরু করে তিনটি কৃষিবিলের বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী প্রস্তাব পাশ করিয়েছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক সংযোজন, মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আলোচনা। গত ৩১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব এনেছিল শাসকদল। সেই প্রস্তাবের পক্ষে বক্তৃতা করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাই বিধানসভার অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে— বিধানসভার বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিরোধী প্রস্তাব আনা হতে পারে। ওই অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা আগামী ২২ অগস্ট।
বাইডেনের দিল্লি সফরের আগেই মানবাধিকার খোঁচা আমেরিকার- সংবাদ প্রতিদিন
মণিপুর থেকে হরিয়ানা। ভারতে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। এবার ফের দিল্লিকে মানবাধিকার খোঁচা দিল মার্কিন বিদেশ দপ্তর।
সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “যে দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে তাদের সঙ্গে মানবাধিকার প্রসঙ্গে আমরা বরাবরই আলোচনা করি। অতীতেও ভারতের সঙ্গে আমাদের মানবাধিকার প্রসঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী দিনেও এনিয়ে কথা হবে।”
ভারতে খ্রিস্টানদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মিলারকে। নয়াদিল্লিতে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভারত সফরে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। তখন মিলার পরিষ্কার বলেন, “শুধু ভারত নয়, বিশ্বের যে কোনও দেশে খ্রিস্টান বা যে কোনও সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের বিরোধিতা করবে আমেরিকা।”
উল্লেখ্য, আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বসতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসার কথা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। চিনের দাদাগিরি রুখতে একজোট হয়েছে আমেরিকা ও ভারত। তাই মোদি ও বাইডেন মুখোমুখি হয়ে চিনকে কী বার্তা দেন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল। এহেন পরিস্থিতিতে, আরও একটি বিষয়ে নজর থাকবে বিশ্লেষকদের। যা হল ভারতে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনায় মানবাধিকার প্রসঙ্গে আমেরিকা কোনও প্রশ্ন তোলে কি না। কারণ মার্কিন মুলুকে ভারতের মানবাধিকার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল গত জুন মাসে মোদির আমেরিকা সফরে। সে সময় মার্কিন সেনেট ও কংগ্রেসের সদস্যদের ৭৫ জন মিলে ভারতের গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাইডেনকে চিঠি দিয়েছিলেন। যদিও বাইডেন বলেছিলেন, “ভারত ও আমেরিকার একটাই বৈশিষ্ট্য- ধর্মীয় বৈচিত্র্য।”
দলিত আদিবাসী ও মুসলমান সমাজের যৌথ উদ্যোগে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ: দৈনিক পুবের কলম
বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে দলিত মুসলিম ও আদিবাসী নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ গঠিত হল। সোমবার কলকাতার শিয়ালদাহে মেমোরিয়াল হলে প্রতিষ্ঠা কনভেনশনের মাধ্যমে মঞ্চের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। মঞ্চের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দলিত নেতা সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস।
অন্যদের মধ্যে আছেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, আদিবাসী নেতা বীরেন মাহাতো, মাওলানা আব্দুল মাতিন, উৎপল মাহাতো, জাফরুল্লাহ মোল্লা, আলমগীর সরদার, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, উত্তম সরকার, বুজলে রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওহাব প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।কনভেনশনে সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস বলেন দেশ জুড়ে বিজেপির বিকল্প শক্তিকে মদত দিয়ে মোদি সরকারকে উৎখাত করায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন