আগস্ট ১৩, ২০২৩ ১৫:১৪ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। ১৩ আগস্ট (রোববারের) ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম ও জন ড্যানিলোভিজ নিরপেক্ষ নন’: দৈনিক ইত্তেফাক
  • প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ড : ময়েজ ‘জামায়াতের ডাক্তার’, জনি-রনি সাবেক ছাত্রদল নেতা= দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নাটক: মির্জা ফখরুল: প্রথম আলো
  • বাংলাদেশ চীনের খপ্পড়ে পড়েছে কিনা, জানতে চেয়েছেন কংগ্রেস সদস্যরা: দৈনিক যুগান্তর
  • মমতাজের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের আদালতে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা- মানবজমিন
  • উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে আলেম-ওলামাদের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী: নয়াদিগন্ত

ভারতের পত্রপত্রিকার শিরোনাম

  • নৈরাজ্যের কাছে মাথা নুইয়েছে’, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল নিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা মমতার- সংবাদ প্রতিদিন
  • বাংলা হল পুকুর, ভারত হল নদী, আমাদের এখন নদীর কথা বেশি ভাবতে হচ্ছে, তৃণমূল-আপস নিয়ে অধীর: আনন্দবাজার
  • অসমে তালা লাগানো হল বদরপুরের ঐতিহ্যবাহী দারুল হাদিস মাদ্রাসায়: দৈনিক পুবের কলম

বিশ্লেষণের বিষয়:

কথাবার্তার প্রশ্ন (১৩ আগস্ট)
১. নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব আমুর। দৈনিক মানবজমিনের এ খবরে কী আপনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমাধানের কোনো ইঙ্গিত দেখছেন?
২. ডেনমার্কে আবার পবিত্র কুরআন অবমাননা করল একটি উগ্র গোষ্ঠী। শুধু তাই নয়, পুলিশি নিরাপত্তায় লাইভ সম্প্রচার করেছে। কী বলবেন আপনি?

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত 

আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নাটক: মির্জা ফখরুল: প্রথম আলো

চলমান এক দফা আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে সরকার জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নাটক সাজিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে এত বিস্ফোরক কোথা থেকে এলো, কারা আনল, কীভাবে আনল? যখনই আন্দোলন তুঙ্গে থাকে, তখনই এই জঙ্গি–নাটক অনুষ্ঠিত হয়।’

আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের (কোকো) ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। গতকাল শনিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অভিযান চালিয়ে এক চিকিৎসকের স্ত্রীসহ ১০ জনকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। জঙ্গি আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ৩ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ৫০টি ডেটোনেটসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। আলোচনা সভায় এই জঙ্গিবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার কূটকৌশলী। হঠাৎ কুলাউড়ায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। এত বিস্ফোরক, ডেটোনেটর—কী ভয়ানক ব্যাপার! হঠাৎ করে কোথা থেকে এলো, কারা আনল, কীভাবে আনল? চলমান এক দফা আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতেই এমন জঙ্গিবিরোধী অভিযান দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যখন আন্দোলন তুঙ্গে থাকে, তখনই এই জঙ্গি–নাটক অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমা বিশ্বকে জুজুর ভয় দেখাবে, যে দেখ আমরা না থাকলে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। নাটক করতে করতে সরকার এই জায়গায় এসেছে।’

সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম ও জন ড্যানিলোভিজ নিরপেক্ষ নন’: দৈনিক ইত্তেফাক

ঢাকায় অবস্থানরত সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম এবং জন ড্যানিলোভিজ 'নিরপেক্ষ নন' বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। গতকাল শনিবার ভিডিওসহ এক টুইটে এই দুই মার্কিন কূটনীতিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শাহরিয়ার আলমের টুইট করা ভিডিও স্টোরিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারির সঙ্গে সাবেক কূটনীতিকদের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।

ভিডিও-টুইটে শাহরিয়ার আলম বলেন, সবাইকে অবশ্যই জানা উচিত যে, এই সাবেক কূটনীতিকরা নিরপেক্ষ নন। তারা কখনই নিরপেক্ষ ছিলেন না, এমনকি যখন তারা ঢাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রশ্ন হলো তারা কি বিনা পয়সায় এটা করছেন? যদি না হয়, তাহলে কারা তাদের বেতন দিচ্ছেন? আমরা এই 'কেন'র উত্তর জানি।

এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই টুইটের জবাবে জন ড্যানিলোভিজ বলেছেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জানেন এটি একটি মিথ্যা এবং দুঃখজনক যে, তিনি চরিত্র হননের সঙ্গে জড়িত। আমি বুঝতে পারি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি যে তিনি এই ধরনের একটি মৌলিক বিষয় বেছে নিয়েছেন, যার জন্য তাকে কতটা চাপের মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশ এবং এর নাগরিকদের প্রতি আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা আছে। আমি সেখানে এবং সর্বত্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উন্নয়নে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।

উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে আলেম-ওলামাদের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী: নয়াদিগন্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারকে সাহায্য করার জন্য সকলকে বিশেষ করে আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে আপনাদের (আলেম-ওলামাদের) সহযোগিতা চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩-এর জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী হাফেজদের মাঝে পুরস্কার বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমাদের সন্তানরা বিপথে যেতে না পারে।’

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী আলেম-ওলামাদেরকে সকলের মাঝে ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণী ছড়িয়ে দিতে বলেন, যাতে কেউ কাউকে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পথে বিচ্যুত করতে না পারে এবং ইসলামের বদনাম করতে না পারে। কেননা ইসলাম পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং সর্বদা শান্তির কথা বলে।

প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ড : ময়েজ ‘জামায়াতের ডাক্তার’, জনি-রনি সাবেক ছাত্রদল নেতা= দৈনিক কালেরকণ্ঠ

পেশায় তারা চিকিৎসক, আবার কেউ কোচিং সেন্টারের মালিক। কিন্তু ২০০১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার অন্তত ১০ বার প্রশ্ন ফাঁস করেছে চক্রটি। এর মধ্য দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। 

গত ৩০ জুলাই থেকে ১০ দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত এমন সাত চিকিৎসকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এদের মধ্যে কেউ ‘জামায়াতের ডাক্তার’ হিসেবে পরিচিত। কয়েকজন ছাত্রদলের সাবেক পদধারী নেতা আছেন বলে জানিয়েছেন সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

সিআইডির প্রধান বলেন, দেশের মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্ন ফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ।

২০২০ সালে মিরপুর মডেল থানায় করা এক মামলায় সম্প্রতি চক্রের অন্তত ৮০ জন সক্রিয় সদস্য বিগত প্রায় ১৬ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধ উপায়ে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছে। প্রশ্ন ফাঁস করে মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন এমন শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম পেয়েছে সিআইডি। এর মধ্যে অনেকে পাস করে ডাক্তারও হয়েছেন। তাদের সবাই বিভিন্ন মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টার, নয়তো প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে প্রশ্ন ফাঁস করতেন।

বাংলা হল পুকুর, ভারত হল নদী, আমাদের এখন নদীর কথা বেশি ভাবতে হচ্ছে, তৃণমূল-আপস নিয়ে অধীর: আনন্দবাজার

তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর অবস্থান সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পুকুর এবং নদীর তুলনা টানলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। ‘ইন্ডিয়া টিভি’তে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ জানান, রাজ্য এবং দেশের পরিস্থিতি আলাদা। তবে রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণকে মাথায় রেখেও জাতীয় রাজনীতিই যে এখন তাঁর কাছে অগ্রাধিকার পাবে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা। লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া নিয়েও এই সাক্ষাৎকারে সরব হয়েছেন অধীর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক সম্পর্ক ‘মধুর’ বলেই জানে সকলে। সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পরে যা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। লোকসভায় অনাস্থা-বিতর্কের জবাবি ভাষণে মমতার সঙ্গে অধীরের বিরোধের বিষয়টি উস্কে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনাস্থা-বিতর্কের বক্তা হিসাবে প্রথম অধীরের নাম না থাকার বিষয়টিকে খোঁচা দিয়ে মোদী বলেছিলেন, ‘‘এই অনাস্থা-বিতর্কে এমন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে, যা আগে কখনও দেখিনি, শুনিনি, এমনকি কল্পনাও করিনি! বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতার (অধীর) নাম প্রথমে বক্তাদের তালিকাতেও ছিল না!’’ তার পরেই কংগ্রেস সাংসদদের লক্ষ্য করে মোদী বলেন, ‘‘আপনাদের দুর্বলতা কোথায়? কেন অধীরবাবুকে কোণঠাসা করছেন? জানি না, কলকাতা থেকে কোনও ফোন এসেছে কি না!’’ অর্থাৎ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁর সঙ্গে অধীরের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের এবং সুবিদিত, তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বকে অধীরকে বক্তা তালিকায় না-রাখার কথা বলেছেন কি না। 

নৈরাজ্যের কাছে মাথা নুইয়েছে’, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল নিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা মমতার- সংবাদ প্রতিদিন

 নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আর হাত থাকবে না প্রধান বিচারপতির। কেন্দ্রের পেশ করা সেই বিতর্কিত বিল নিয়ে এবার বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, যে সময় গোটা দেশের উচিত বিচারব্যবস্থার কাছে মাথা নত করা, সেসময় কেন্দ্র অরাজকতা আর নৈরাজ্যের কাছে মাথা নত করছে।

গত মার্চে এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানায়, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে মন্ত্রিসভার হাতে থাকবে না। এদের নিয়োগ করবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটি। এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। মূলত নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় ‘অকেজো’ করতে সংসদের বাদল অধিবেশনে একটি বিল পেশ করেছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। প্রস্তাবিত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (সংশোধনী) বিল অনুযায়ী, এবার থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির কোনও ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ করা মন্ত্রিসভার এক সদস্য। অর্থাৎ ৩ সদস্যের কমিটির দুই সদস্যই হবেন সরকারি প্রতিনিধি। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার পদে কারণ নাম নিয়ে বিরোধী দলনেতার আপত্তি থাকলেও সংখ্যাধিক্যের বলে সরকার তাঁকে উপেক্ষা করতে পারবে। কেন্দ্রের এই বিতর্কিত বিলের তীব্র বিরোধিতা করলেন মমতা। শনিবার এক টুইটে মমতার বক্তব্য,”যখন বিচারব্যবস্থার সামনে মাথা নত করা উচিত তখন বিজেপি নৈরাজ্যের কাছে মাথা নত করছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যে ৩ সদস্যের কমিটি রয়েছে তাতে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে প্রধান বিচারপতির বদলে ওই কমিটিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আনার তীব্র বিরোধিতা করছি। আসলে ওদের ভোট প্রভাবিত করতে অসুবিধা হচ্ছে। এভাবে বিচারব্যবস্থার অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত।”

অসমে তালা লাগানো হল বদরপুরের ঐতিহ্যবাহী দারুল হাদিস মাদ্রাসায়: দৈনিক পুবের কলম

রাজ্যের ৬৩০টি সরকারি মাদ্রাসা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পর ‘গর্বিত’ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কর্নাটকে ভোট প্রচারে গিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, অসমে আরও মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাঁর নজরে যে তিনশ কওমি বা বেসরকারি মাদ্রাসা রয়েছে সে কথাও তিনি বার কয়েক জানিয়েছেন। তারই শুরুয়াত বদরপুরের সুপ্রাচীন টাইটেল মাদ্রাসা থেকে। অবশেষে শুক্রবার সেই ঐতিহ্যবাহী বদরপুর দেওরাইল দারুল হাদিস মাদ্রাসায় তালা লাগিয়ে দিল অসম সরকার।

উল্লেখ্য, অসমে সরকারি মাদ্রাসাগুলি ইতিমধ্যে সাধারণ স্কুলে রুপান্তরিত করা হয়েছে। প্রি-সিনিয়র, সিনিয়র, টাইটেল ও আরবি কলেজ-সহ কয়েকশো মাদ্রাসা সরকারি নির্দেশে সাধারণ বিদ্যালয়ে পরিণত করা হয়েছে। এরই অঙ্গ হিসাবে বদরপুরের মাদ্রাসাকে শাহ বদরউদ্দিন হাইস্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। অসমে সরকারি মাদ্রাসা বিলুপ্তিকরণ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে ২০২১ সালে শুরু করা হয় এবং গেল বছর তা কার্যকরী করে প্রত্যেকটি মাদ্রাসাকে স্কুলে পরিণত করা হয়। এর প্রতিবাদ যদিও করা হয়েছে, কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তবে মাদ্রাসাগুলির জমি সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন।