সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩ ১৩:০০ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি আশরাফুর রহমান। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। অন্যদিকে কোলকাতার বাংলা দৈনিকগুলোতে দেশের নাম বদলে ভারত করার জল্পনা সংক্রান্ত খবর আজও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দুটি খবরের বিশ্লেষণ জানব সহকর্মী সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে।

ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • যুক্তরাষ্ট্রে ২৫২ বাড়ি আমলা-পুলিশের- ইত্তেফাক
  • বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি: জন কিরবি- যুগান্তর
  • বাংলাদেশ ওয়াশিংটন, লন্ডনের কথায় চলবে না, আমরা তাদের খাই না, পরি না- পরিকল্পনামন্ত্রী- মানবজমিন
  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে- বণিকবার্তা
  • সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৯ লাখ টাকা-প্রথম আলো
  • মমতাজে বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা-নয়াদিগন্ত
  • সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু সংক্রমণ বাংলাদেশে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডেইলি স্টার

কোলকাতার পত্রপত্রিকার শিরোনাম

  •  দেশ বিভাজনের চক্রান্ত, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের- আজকাল
  • ইন্ডিয়াই ভারত! সংবিধানের প্রসঙ্গ টেনে বিরোধীদের একহাত নিলেন জয়শঙ্কর- সংবাদ প্রতিদিন
  • 'ইন্ডিয়া’কে ভয় পাচ্ছে শাসকদল: খাড়গে- পূবের কলম
  • দেশের নাম বদলে ‘ভারত’ হলে কি স্বীকৃতি মিলবে? তুরস্কের উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা রাষ্ট্রপুঞ্জের- আনন্দবাজার

বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বাংলাদেশের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভারত, আমেরিকা, চীনের ভূমিকা কী হবে? এটা দৈনিক মানব জমিনের একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনের শিরোনাম। আপনার বিশ্লেষণ কী? 

২. তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে- কথাটি বলেছেন ইউক্রেনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা অ্যালেক্সি দ্যানিলভ। আপনারও কী তাই মনে হয়?

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

যুক্তরাষ্ট্রে ২৫২ বাড়ি আমলা-পুলিশের- ইত্তেফাক

দেশের টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কিনেছেন এমন ২৫২ জন আমলা, পুলিশসহ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। সরকারের শীর্ষ মহলে পাঠানো হয়েছে সেই তালিকা। এই তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই ২৫২ জনের মধ্যে অন্তত ৩০-৩৫ জন পুলিশের ওসি (ইন্সপেক্টর) রয়েছেন। এদের কারও আবার একাধিক বাড়িও আছে। যুক্তরাষ্ট্রে কারা বাড়ি কিনেছেন? এই বিষয় নিয়ে কয়েকমাস ধরে তদন্ত করছিল একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সেই রিপোর্টটি এখন সামনে এসেছে। এদের সবাই দেশ থেকে টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরকারের সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছাড়াও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাও আছেন এই তালিকায়। যারা সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। শুধু এই সরকারের আমলে নয়, বিগত সরকারগুলোর সময়ও আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ সরকারী কর্মকর্তারা বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। তখনও কয়েকশ’ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশে সম্পদ থাকার তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। এমন অনেকেই এখন বিদেশে নিজেদের সেই সব বাড়িতে অবস্থান করে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছে। ফলে জনগণের ভোট নিয়ে তাদের চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এসব অসৎ কর্মকর্তাদের কারণে দেশে বিদেশে প্রধানমন্ত্রীকেই নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। 

বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি: জন কিরবি- যুগান্তর

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়কারী জন কিরবি বলেছেন, বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি।

বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশি জনগণকে সমর্থন করি। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমাদের এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ ওয়াশিংটন, লন্ডনের কথায় চলবে না, আমরা তাদের খাই না, পরি না- পরিকল্পনামন্ত্রী- মানবজমিন

পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এমপি বলেছেন, ‘দেশে যে সকল বিষয়ে আমাদের মধ্যে ভিন্ন মত আছে, যারই ভিন্ন মত থাকুক, আসুন আমরা আলোচনা করি। আমরা দেশে বসে কথা বলে আমাদের সমস্যা সমাধান করব। ওয়াশিংটনে নয় লন্ডনে নয়, ওখানে আছে আমাদের বন্ধু, তারা আমাদেরকে পরিচালনা করে না, আমরা তাদের খাই না, তারা বরং আমাদের খেয়ে অতদূর এগিয়েছে। তাই বাংলাদেশ তাদের কথায় চলবে না। আমরা এখন চাই- আমাদের ঘরে আমরা যেন আমাদের মতো করে বাঁচতে পারি, আমাদের সম্মান নিয়ে, মর্যাদা নিয়ে একটা মানবিক উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি।’

বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ময়মনসিংহ গীতিকা প্রকাশনার শত বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে- বণিকবার্তা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৭ কোটি ২ লাখ ডলার। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৭২ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৪৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাত্র ১৭ কোটি ২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা একক মাসের হিসাব অনুসারে তিন বছরে সর্বনিম্ন। রেমিট্যান্স প্রবাহের দিক থেকে শীর্ষ তালিকার দ্বিতীয় স্থানটি টানা তিন বছর দখলে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জুলাই ও আগস্টে এসে তা চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় পতনের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারেননি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৯ লাখ টাকা-প্রথম আলো

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, তাঁর ছেলে, ভাই ও প্রয়াত বাবার কাছে প্রায় ৯ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাওনা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এসব বকেয়া জমেছে। মাসের পর মাস বিল পরিশোধ না করা হলেও পাওনা আদায়ে উদ্যোগী হচ্ছে না নেসকো।

মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন নেসকোর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান। দীর্ঘদিন বিল পরিশোধ না করায় মিটারগুলোর বিষয়ে মামলা বা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি বিদ্যুৎ–সংযোগগুলো বকেয়া বিল থাকার পরও চলমান থাকে এবং নিয়মিত বিল করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে এসব বিদ্যুৎ–সংযোগের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।

মমতাজে বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা- নয়াদিগন্ত

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী-এমপি মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে আবারো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক অলকেশ দাস এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এই মামলায় মমতাজের বিরুদ্ধে এর আগে তিনবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এর পর সঙ্গীতশিল্পী মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেন। উচ্চ আদালত ওই আবেদন খারিজ করে দেয়। বহরমপুর আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মমতাজকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। এর জবাবে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত জানান, তার মক্কেল আদালতের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।

সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু সংক্রমণ বাংলাদেশে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডেইলি স্টার

চলতি বছরে বাংলাদেশে ডেঙ্গু সংক্রমণকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনকে এ ধরনের মশাবাহীত রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী করে গতকাল বুধবার এই তথ্য জানায়।

জাতিসংঘের সংস্থাটি আরও জানায়, এপ্রিলে সংক্রমণ শুরুর পর পৃথিবীর অষ্টম জনবহুল দেশ বাংলাদেশে ১ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মোট ৬৫০ জন মারা গেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশে শুধু গত মাসেই ৩০০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে নিহত হয়েছেন। 'এই সংক্রমণ দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বড় আকারের চাপ প্রয়োগ করছে', যোগ করেন তিনি।

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

দেশ বিভাজনের চক্রান্ত, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের- আজকাল

নাম পরিবর্তন করে দেশ বিভাজনের চক্রান্ত। রাস্তায় নেমে তীব্র প্রতিবাদে সামিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতের সংবিধান হাতে মিছিলে সামিল হলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকরা। বুধবার সকালে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সংগঠিত হয় জেলা সদর চুঁচুড়ায়। হুগলির চুঁচুড়া ঘরির মোর থেকে শুরু হয় মিছিল, শেষ হয় খরুয়াবাজার এলাকায়। মিছিল থেকে সম্মিলিত প্রতিবাদ মুখরিত হয় শহরের কোনায় কোনায়। মিছিলে সামিল হয় মাদার যুব ছাত্র মহিলা বঙ্গজননী কর্মচারী সংগঠনের কয়েক হাজার কর্মীরা। এদিন বিধায়ক বলেছেন, 'ভারতবর্ষ এবং ইন্ডিয়া এই দুই নামেই পরিচিত আমাদের দেশ। যেহেতু কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া। তাই ইন্ডিয়া নাম নিয়ে বিজেপির এলার্জি দেখা দিয়েছে। অথচ ইন্ডিয়া নামের সঙ্গে বহু ইতিহাস এবং দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। ভারতের সংবিধানকে আমরা দ্য কনস্টিটিউশন অফ ইন্ডিয়া বলেই জানি। ইন্ডিয়া গেট শহীদ স্মারক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নামের সঙ্গে ইন্ডিয়া রয়েছে। ইন্ডিয়ান আর্মি থেকে শুরু করে রেল, আইআইটি, ইন্ডিয়ান অয়েল, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স সহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই ইন্ডিয়া নাম যুক্ত। হঠাৎ সেই নাম পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা কি? আসলে এইসবের মাধ্যমে দেশকে বিভাজন করতে চান নরেন্দ্র মোদি। ইন্ডিয়া জোটকে ভয় পেয়ে ইন্ডিয়াকেই বাদ দিতে চাইছেন। যা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। এটা করতে দেওয়া যাবে না। জোর করে করতে গেলে প্রতিবাদ আরও তীব্রতর হবে।'  

ইন্ডিয়াই ভারত! সংবিধানের প্রসঙ্গ টেনে বিরোধীদের একহাত নিলেন জয়শঙ্কর- সংবাদ প্রতিদিন

নাম বদলাচ্ছে দেশের। সাম্প্রতিক জল্পনায় উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। যদিও এ বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছুই ঘোষণা হয়নি। তবু রাষ্ট্রপতি ভবনের পাঠানো চিঠিতে ‘ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে ‘ভারত’ দেখে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। তবে শোনা গিয়েছে, এ বিষয়ে সংসদে নতুন বিল আনতে পারে কেন্দ্র। আর সেই সূত্র ধরে দেশের নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির তরফে পালটা জবাব এসেছে। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন খোদ বিদেশমন্ত্রী।

শুধু দেশ নয়, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও কোনও বিরূপ মন্তব্য সহ্য করেন না জয়শঙ্কর। বরাবরই দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে মোদি সরকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন বিদেশমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসাতেও সর্বদা পঞ্চমুখ থাকেন তিনি। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দেশের নাম বদল নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা মোটেও পছন্দ হয়নি জয়শঙ্করের। তাঁর সাফ ইঙ্গিত, বিরোধীরা ঠিকমতো সংবিধান না পড়েই অভিযোগ আনছেন। তাই সবার আগে দেশের সংবিধান পড়ে দেখার কথা বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’। অর্থাৎ ইন্ডিয়াই ভারত।

'ইন্ডিয়াকে ভয় পাচ্ছে শাসকদল: খাড়গে- পূবের কলম

'ইন্ডিয়া’ নাম শুনলে ভয় পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। ভয়  পাচ্ছে সৌভ্রাতৃত্ব ও স্বাধীনতার বার্তাকে। বুধবার ভিলওয়ারার গুলাবপুরায় আয়োজিত কিষান সম্মেলনে ‘ইন্ডিয়া’ নাম পরিবর্তন নিয়ে সুর গরম করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।

দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে খাড়গে বলেন, বিকল্প  বিন্যাসে ভয় পেয়েছে বিজেপি। অন্যদের মধ্যেও   ছড়িয়ে দিচ্ছে সেটা। একদিকে কংগ্রেস ভারত জোড়ো যাত্রার মতো কর্মসূচির সূচনা করছে। অন্যদিকে দেশের নামই পরিবর্তনে উদ্যত হয়েছে বিজেপি। ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল যে হারে জনসমর্থন পেয়েছিলেন তারপর থেকেই চাপের মধ্যে গেরুয়া শিবির। এবার বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরোধী জোটের ‘ইন্ডিয়া’ নাম। কংগ্রেসের মতো ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ সূচনা করতে পারছেন না বলেই হয়তো দেশের নামই বদলে দিতে চাইছেন তাঁরা।

দেশের নাম বদলে ভারত হলে কি স্বীকৃতি মিলবে? তুরস্কের উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা রাষ্ট্রপুঞ্জের- আনন্দ বাজার

দেশের নাম বদল নিয়ে চর্চার আবহেই এ বার এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সহকারী মুখপাত্র ফারহান হককে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট দেশের তরফে নাম বদলের বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করা হলে তারা সেগুলি খতিয়ে দেখে অনুমোদন দিয়ে থাকেন। এই প্রসঙ্গে তুরস্কের উদাহরণও টেনেছেন তিনি। গত বছরই তুরস্কের নাম বদলে তুর্কিয়ে করা হয়।

দেশের নাম বদলে ‘ভারত’ করা হতে পারে— সরকারি তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানানো না হলেও এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের অন্যতম শীর্ষ পদাধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। মহসচিবের সহকারী মুখপাত্র ফারহান তখন তুরস্কের উদাহরণ দিয়ে বলেন, “তুর্কিয়ার কথাই যদি ধরেন, প্রথামাফিক সরকারের তরফে আমাদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়। অবশ্যই আমরা সেই অনুরোধ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিই।” অবশ্য, অনেকেই মনে করছেন, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সিদ্ধান্ত কার্যত মানতে বাধ্য রাষ্ট্রপুঞ্জ।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৭

 

ট্যাগ