অক্টোবর ০২, ২০২৩ ১৩:৪৪ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি আশরাফুর রহমান। ২ অক্টোবর (সোমবার) ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনের খবর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। তবে ভারতের বাংলা দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়াল: প্রথম আলো
  • ৪১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এল সেপ্টেম্বরে: দৈনিক বাংলা
  • ডলারের বিপরীতে ক্রমে দুর্বল হচ্ছে টাকা- মানবজমিন
  • নির্বাচনের আগে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়তে পারে : ডিএমপি কমিশনার- কালবেলা
  • 'খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ তাকে হত্যার মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ’-যুগান্তর
  • একাদশ সংসদ প্রত্যাশিত মাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারেনি: টিআইবি- সমকাল

কোলকাতার পত্রপত্রিকার শিরোনাম

  • শাহের পুলিশ ‘অতিসক্রিয়’, জবাব গান্ধীগিরিতে, বাপুর জন্মদিনে অহিংস পথেই লড়ার বার্তা অভিষেকের- আনন্দবাজার
  • অশান্ত মণিপুরে চলতি সপ্তাহেও বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা- আজকাল
  • ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের ডালি হাতে মোদি- পূবের কলম
  • ফেরাতে হবে পুরনো পেনশন পদ্ধতি, দিল্লিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরাট বিক্ষোভ সরকারী কর্মীদের- সংবাদ প্রতিদিন

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়াল : প্রথম আলো

নানা ধরনের ছাড় দিয়েও খেলাপি ঋণ কমাতে সফল হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। গত এপ্রিল-জুন সময়ে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। ফলে জুন শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এই খেলাপি ঋণ ব্যাংক খাতের বিতরণ করা ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

অথচ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন দেশে মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এখন তা দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়াল। অর্থাৎ ১৪ বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। এই সময়টা ছিল ঋণখেলাপিদের জন্য সুবর্ণ সময়।

৪১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এল সেপ্টেম্বরে: দৈনিক বাংলা

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বড় ধস নেমেছে সদ্যসমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৪১ মাসের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন প্রবাসী আয়। দেশের চলমান ডলার সংকটের মধ্যে রেমিট্যান্সের এই ধসকে অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ ভাবছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সদ্য শেষ হওয়া মাসে দেশের বাইরে থেকে প্রবাসীরা বৈধ পথে মোট রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার, যা তার ঠিক আগের মাস অর্থাৎ আগস্টে ছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার। এক মাসের ব্যবধানে প্রবাসী আয় কমেছে প্রায় ২৫ কোটি ডলার। এ ছাড়াও আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মোট প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ৪১ মাসের তথ্য বলছে, গত মাসেই সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

ডলারের বিপরীতে ক্রমে দুর্বল হচ্ছে টাকা- মানবজমিন

আশানুরূপ পণ্য রপ্তানি না হওয়া, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপসহ সবমিলিয়ে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে মার্কিন মুদ্রা ডলার। এর বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে দেশীয় মুদ্রা টাকার মান। গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি। আর দুই বছরের ব্যবধানে কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এক বছর আগে ১ ডলার কিনতে খরচ হয়েছে ৯৫-১০০ টাকা, ২ বছর আগে ৮৪-৮৬ টাকা। আর এখন ১ ডলার কিনতে ব্যয় হচ্ছে ১১০-১১৬ টাকা। ২ বছর আগে ১০০ ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছিল ৮৫০০ টাকার মতো। এখন ১০০ ডলার কিনতে খরচ হচ্ছে খোলা বাজারে প্রায় ১১৬০০ টাকা। এই হিসেবে ২ বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মানে প্রায় ৩০ শতাংশ পতন হয়েছে।

নির্বাচনের আগে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়তে পারে : ডিএমপি কমিশনার- কালবেলা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার (২ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন হাবিবুর রহমান। দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসলেন তিনি।

হাবিবুর রহমান বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় নয়।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ তাকে হত্যার মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ-যুগান্তর

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ রোববার বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের গুরুতর অসুস্থ চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আবেদন আইনমন্ত্রী কর্তৃক নাকচ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে খালেদা জিয়াকে হত্যার একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ হিসাবে তুলে ধরে বলেন, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া বক্তব্যেরই বাস্তবায়ন। ফ্যাসিবাদী শাসনে আইনমন্ত্রী যে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত দোসর হবেন এটাই তো স্বাভাবিক। বেগম খালেদা জিয়ার জীবন, বেঁচে থাকা এবং উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া সবকিছু প্রধানমন্ত্রী আর আইনমন্ত্রীর তামাশার হিংস্র বৃত্তে আটকে রাখা হয়েছে। দেশে এখন চলছে জয়বাংলার আইন। এই আইনে সুশাসন ও ন্যায়বিচার কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। অপপ্রচার, অসত্য ও বানোয়াট কাহিনী কুৎসিত প্রচারণা চালানোর পরেও দেশনেত্রীর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে তাঁর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মর্যাদায় চিড় ধরাতে না পেরে শেখ হাসিনা আক্রোশের নানামুখী প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন। আর এজন্য তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন এবং এখন তাঁর উন্নত চিকিৎসায় বাধা দিয়ে দুনিয়া থেকে সরানোর নীলনকশা বাস্তবায়ন করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আজ আইন মন্ত্রণালয়ের নেতিবাচক সিদ্ধান্ত মানবতা বিরোধী, বর্বর ইচ্ছা পূরণ ও অবিচারের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। এই সিদ্ধান্ত, ক্ষমতা জোর করে আঁকড়ে রাখতে শেখ হাসিনা পথের কাঁটা সরানোর দিগন্তবিস্তৃত লালসা পূরণের নিষ্ঠুর প্রজেক্ট। এটি পূর্বপরিকল্পিত এবং একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ।'  

একাদশ সংসদ প্রত্যাশিত মাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারেনি: টিআইবি- সমকাল

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, গত তিনটি সংসদের তুলনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলতি একাদশ সংসদে উন্নতি থাকলেও এটি প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পেরেছে, এমন বলার সুযোগ নেই। সরকারি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও কার্যকর বিরোধী দলের অভাবের কারণে মূলত সংসদ প্রত্যাশিত মাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারেনি।

আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংসদের কার্যকর ভূমিকার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি বন্ধ হয়েছে। কিন্তু এ জন্য অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়েছে। কারণ, এখন বাস্তব বিরোধী দলবিহীন সংসদ। বিরোধী দল পরিচয়ধারী যে দলটি এখন আছে, তারা আগের তুলনায় কিছুটা সক্রিয় ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা সার্বিকভাবে আত্মপরিচয়ের সংকটে ছিল। ফলে বিরোধী দলের প্রত্যাশিত ভূমিকা দেখা যায়নি।

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

শাহের পুলিশ অতিসক্রিয়, জবাব গান্ধীগিরিতে, বাপুর জন্মদিনে অহিংস পথেই লড়ার বার্তা অভিষেকের- আনন্দবাজার

অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশের ‘সক্রিয়তা’র জবাব গান্ধীগিরির মাধ্যমেই দিতে চায় রাজ্যের শাসক তৃণমূল। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গান্ধীর অহিংস পথেই চলতে চান তাঁরা। তবে মহাত্মার বিচার এবং সমানাধিকারের দাবিতে যে লড়াই, তাঁকেও অনুসরণ করার কথা বলেছেন অভিষেক। যা থেকে মনে করা হচ্ছে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘বঞ্চনা’কে সামনে রেখে যে লড়াইয়ের বার্তা দিচ্ছে তৃণমূল, তাকে অহিংস পথেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চান দলের সেনাপতি অভিষেক।

সোমবার অভিষেক এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “জন্মদিবসে বাপুকে স্মরণ করছি। তাঁর সত্য এবং অহিংসার আদর্শ শুধু আমাদের অতীতকেই তৈরি করে দেয়নি, ভবিষ্যতের পথকেও অলঙ্কৃত করে যাচ্ছে।” ভবিষ্যতের সেই পথ যে বিচার এবং সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার পথ, তা-ও উল্লেখ করেছেন অভিষেক। গান্ধীর আদর্শকে কাজে রূপায়িত করারও ডাক দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। আপাত ভাবে এটি নিছক গান্ধী-স্মরণ হলেও এর নেপথ্যে দলের ভবিষ্যতের পথনির্দেশিকা রয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের কেউ কেউ।

অশান্ত মণিপুরে চলতি সপ্তাহেও বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা- আজকাল

মেইতেই গোষ্ঠীর দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে আবারও অশান্ত মণিপুর। দফায় দফায় বিক্ষোভে ফের জ্বলছে ইম্ফল সহ গোটা রাজ্য। রবিবারেই দুই পড়ুয়ার মৃত্যুতে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। আটক করা হয়েছে আরও ২ জনকে। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ রুখতে আরও এক সপ্তাহ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করল মণিপুর সরকার।

আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। মণিপুরে অশান্তি রুখতে যাতে কোনও ধরনের ভুয়ো খবর, ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই কারণেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে।

ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের ডালি হাতে মোদি-পূবের কলম

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার মাত্র কয়েকদিন ভোটমুখী রাজ্যের রাজ্যবাসীকে বিরাট উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার তেলঙ্গানার মাহবুবনগর জেলায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ১৩,৫০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সোমবারও রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশেও উন্নয়ন ফেরি করবেন তিনি। এক্স বার্তায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন তেলেঙ্গানার জনগণ বিআরএসের দুর্বল শাসন দেখে ক্লান্ত এবং কংগ্রেসের প্রতিও তাদের সমান অবিশ্বাস রয়েছে।

এক্সে তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি ১৩,৫০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রাজ্যবাসীকে উপহার দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’ হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে নির্মিত পাঁচটি নতুন ভবনও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার আগে তেলেঙ্গানায় এটিই প্রধানমন্ত্রী মোদির শেষ সফর বলে বলছেন অনেকে।

কেবল ভোটমুখী তেলেঙ্গানার জন্যই উন্নয়নের ডালি সাজিয়ে ক্ষান্ত হননি প্রধানমন্ত্রী, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের জন্যেও তিনি সাজিয়ে রেখেছেন শিলান্যাসের ডালি।

ফেরাতে হবে পুরনো পেনশন পদ্ধতি, দিল্লিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরাট বিক্ষোভ সরকারী কর্মীদের- সংবাদ প্রতিদিন

লোকসভা ভোটের আগে অস্বস্তিতে মোদি সরকার। পুরনো পদ্ধতিতে পেনশনের দাবিতে দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিক্ষোভ সরকারি কর্মীদের। রবিবার গোটা দেশের একাধিক রাজ্যের সরকার কর্মীরা পুরনো পদ্ধতিতে পেনশনের দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হলেন রাজধানীতে। ন্যাশনাল মুভমেন্ট ফর ওল্ড পেনশন স্কিমের (NMOPS) নেতা বিজয় কুমার বন্ধু বলেন, “এই বিষয়ে কেন্দ্র অনুমোদন দিলেই রাজ্য সরকারের উপর আর কোনও দায় বর্তায় না।” যদিও সেই কাজ করছে না মোদি সরকার।

NMOPS এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি কেন্দ্রীয় সরকার ওল্ড পেনশন স্কিম (OPS) না ফেরায়, তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে “ওপিএসের জন্য ভোট” শিরোনামে প্রচার শুরু করবে তারা৷ ইতিমধ্যে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল কর্মচারী সংগঠনগুলির এই বিক্ষোভকে সমর্থন করেছে। NMOPS-এর প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন কংগ্রেস নেতা তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুদা, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। এছাড়াও বহুজন সমাজ পার্টির এক সাংসদকেও দেখা গিয়েছে রামলীলা ময়দানে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২

ট্যাগ