অক্টোবর ২৭, ২০২৩ ১৬:৪৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৭ অক্টোবর বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • মহাসমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী-প্রথম আলো
  • আলু-ডিম-পেঁয়াজে উপেক্ষিত সরকারের নির্দেশনা, মুরগির দাম চড়া-ইত্তেফাক
  • ঘরের আগুনে পুড়ছে আ.লীগ, নতুন মুখের সন্ধানে বিএনপি-যুগান্তর
  • ৫ বছরে স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ৮ লাখ-ডেইলি স্টার বাংলা
  • শুক্রবারও আদালতে বিচারপ্রার্থীদের উপচেপড়া ভিড়–মানবজমিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ৩১ অক্টোবর যাওয়া সম্ভব নয়, এথিক্স কমিটির তলবে সাড়া দিচ্ছেন না মহুয়া-সংবাদ প্রতিদিন
  • বালু-বাকিবুর যোগাযোগের ‘প্রমাণ মিলেছে’! ইডি সূত্রে দাবি, ভুয়ো সংস্থায় হয়েছে কয়েক কোটির বিনিয়োগ-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মমতাই দুর্নীতির শিরোমণি: সেলিম-গণশক্তি

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলা এবং নির্বিচারে ফিলিস্তিনীদের হত্যা সম্পর্কিত খবরে- ইত্তেফাকের শিরোনাম এরকম-গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৪৮০। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৮০ জন নিহতের খবর জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু।গাজা উপত্যকার উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব। গাজার প্রতিটি অংশ, প্রতিটি শহর, প্রতিটি এলাকায় বোমা বর্ষণ করছে তারা।

বাংলাদেশের রাজনীতির খবরে- প্রথম আলোর মতামত কলামের শিরোনাম '

জনগণ কোন পক্ষে'-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল তার এ কলামে লিখেছে, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বড় দুটো দলের সমাবেশ হচ্ছে। তাদের মধ্যে সংঘাতমূলক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন অনেকে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে অনেকে যৌক্তিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তবে কেউ কেউ এ পরিস্থিতিকে শুধু দুই দলের ক্ষমতার লড়াই হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, এখানে জনগণ কোনো পক্ষ নয়, দুই দলের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে সাধারণ মানুষের কোনো স্বার্থ বা স্টেক নেই। কিন্তু এটি পুরোপুরি সত্যি নয়। 

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বিরোধ মূলত ভোটাধিকারকেন্দ্রিক। কাজেই এখানে জনগণও একটি পক্ষ, তাদেরও স্বার্থ আছে এখানে। জনগণ ভোট দিতে চায়, তার রায় জানাতে চায়, সেই রায়ের ভিত্তিতে সরকার গঠিত হোক, তা চায়। এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ গত দুটো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। ২০২৪ সালে ভোট দিতে না পারলে এক যুগের বেশি সময় ধরে ভোটাধিকারবঞ্চিত থাকবে তারা। কোনো দেশের মানুষ এটা চাইতে পারে না। বিশেষ করে ভোটের রায় নাকচ হওয়ার ক্ষোভ থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া একটি দেশের মানুষ।বর্তমান সংকট তাই শুধু দুই দলের প্রতিযোগিতা নয়, এটি দুই পক্ষেরও প্রতিযোগিতা। এক পক্ষ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়, আরেক পক্ষ তা চায় না। দৈনিকটির অপর একটি মতামত কলামে লেখা হয়েছে, সেই ২৮ অক্টোবর এই ২৮ অক্টোবর।

এতে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর বিরোধী দল বিএনপি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ এখন উত্তপ্ত। দুটি দলই রাজধানী ঢাকায় খুব কাছাকাছি দূরত্বে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সমাবেশ থেকে সরকার পতনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সরকার বাধা না দিলে তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে-দলটির পক্ষ থেকে এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ একই দিন রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার কথা বলেছে। এরই মধ্যে বুধবার এক দলীয় কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘লগি-বইঠা’ নিয়ে আবারও গণতন্ত্র রক্ষা করব। (সমকাল অনলাইন, ২৫ অক্টোবর)। তাঁর এমন বক্তব্যের পর এ প্রশ্নগুলো ওঠা খুব স্বাভাবিক যে, গণতন্ত্র ‘রক্ষা’ করতে কেন লগি-বইঠা লাগবে? লগি-বইঠা দিয়ে কি আদৌ গণতন্ত্র রক্ষা হয়েছিল? তাহলে হঠাৎ করে তিনি কেন লগি-বইঠার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আগে থেকেই ২৮ অক্টোবর একটি আলোচিত দিন। ২০০৬ সালে দিনটি ছিল অনেক ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু। সে বছরের ২৮ অক্টোবর ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিন। এর কয়েক দিন আগে থেকেই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার কথা ছিল সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের। তিনি বিএনপির ‘সমর্থক’ এবং তাঁকে প্রধান উপদেষ্টা করার পূর্বপরিকল্পনা থেকেই সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের বয়স বাড়ানো হয়েছে—এমন অভিযোগ ছিল আওয়ামী লীগের।

কে এম হাসান যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব না নিতে পারেন সে জন্য আগে থেকেই আন্দোলন করছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো। ২৭ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে এক সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেদিন ঢাকার বাইরে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিএনপি এবং জামায়াত নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। (বিবিসি বাংলা, ২৮ অক্টোবর ২০২২)।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী-এ তিন দলেরই সমাবেশ ছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘লগি-বইঠা’ নিয়ে সেই সমাবেশে উপস্থিত থাকার বলা হয়েছিল। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ পল্টন ময়দানে, বিএনপি নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবস্থান নিয়েছিল। সেদিন দুপুর থেকে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় ‘লগি-বইঠা’ সদৃশ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার দৃশ্য পরবর্তীতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেদিনের সেই সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এর মধ্যে চারজন জামায়াতের এবং একজন ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মী। এ ঘটনার পর থেকে অনেকেই ২৮ অক্টোবরকে ‘লগি-বইঠার আন্দোলন’ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।

ঢাকার প্রবেশমুখে পুলিশের তল্লাশি জোরদার-এটি যুগান্তরের শিরোনাম। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২৮ অক্টোবর কোনো সংঘাতের আশঙ্কা করছি না তবে- ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান আ.লীগের।

প্রথম আলোর অর্থনীতির খবরে লেখা হয়েছে, প্রবাসী আয়ে গতি বেড়েছে, ২০ দিনে এসেছে ১২৫ কোটি ডলার। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, দেশে বৈধপথে প্রবাসী আয় আসার গতি কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে বাজার দরের খবরে ইত্তেফাক শিরোনাম করেছে এমন-আলু-ডিম-পেঁয়াজে উপেক্ষিত সরকারের নির্দেশনা, মুরগির দাম চড়া। এ খবরে লেখা হয়েছে, বাজার অস্বস্তিতে ভোগান্তির অন্ত নেই। নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। সবজির বাজার দীর্ঘদিন ধরে চড়া, যা এখন লাগামছাড়া। এরই মাঝে নতুন করে বেড়েছে দাম ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া।

৫ বছরে স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ৮ লাখ-ডেইলি স্টার বাংলা

প্রতি সপ্তাহে রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে খুবই সাধারণ একটি দৃশ্য দেখতে পান ঢাকার বাসিন্দারা। আর তা হলো- দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তরুণরা হয় ভিতরে ঢোকার জন্য প্রবেশপথে অপেক্ষা করছেন, অথবা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বেরিয়ে আসছেন।বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২ এ (এলএফএস) বেকার স্নাতকের সংখ্যা বৃদ্ধির এই ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে।

জরিপ বলছে, দেশে স্নাতক ডিগ্রিধারীর হার ২০১৭ অর্থবছরের ১১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, এই পাঁচ বছরে বেকার স্নাতকের সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, যা ২০১৭ অর্থবছরে প্রায় ৪ লাখ ছিল। ফলে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত যোগ্যতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অর্থনীতিবিদ ও জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল লেবার অফিসের কর্মসংস্থান বিভাগের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা রিজওয়ানুল ইসলাম বলেন, অনেক উন্নয়নশীল দেশের গড় হারের চেয়ে শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত 

মমতাই দুর্নীতির শিরোমণি: সেলিম-গণশক্তি পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী কেন দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি? সবটাই তো তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বে ঘটেছে, তাঁর নজরদারির মধ্যেই এইসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। তিনিও দোষী। তিনি কার উপরে দোষ দিচ্ছেন? উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটা দুর্নীতিতন্ত্র চলছে। মমতা ব্যানার্জি তার শিরোমণি। বললেন মহম্মদ সেলিম।সেলিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ইডি, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতেই পারেন, কিন্তু দুর্নীতি হয়েছে এবং তাঁর মন্ত্রী যুক্ত।

যৌনতার ফাঁদ পেতে ব্লাকমেইল, অতঃপর-এ শিরোনামটি এনডিটিভি অনলাইনের

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, যৌনতাকে ব্যবহার করে ভারতজুড়ে ফাঁদ পেতেছিল একটি চক্র। তারা বিভিন্ন জনকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করতো। হুমকি দিতো- অর্থ দাও নাহলে সেক্স ভিডিও প্রকাশ করে দেবো। এই চক্রের মূল হোতা মহেন্দ্র সিংকে হরিয়ানার মেওয়াত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েক বছর ধরে চক্রটি এই ফাঁদ পেতে মানুষকে ব্লাকমেইল করছিল। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, সম্প্রতি দিল্লির এক ব্যক্তি ব্লাকমেইল হওয়ার অভিযোগ করেন। এরপরই পুলিশের রাডারে ধরা পড়ে মহেন্দ্র সিং।অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি প্রথমে একজন নারীর কাছ থেকে ফোনকল পান। তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিওকল দেয়ার প্রস্তাব করেন ওই নারী। এরপর ফোনকলে অন্তরঙ্গ ভিডিও করা হতো।

সেই ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করা হতো ভিকটিমদের। 

তারপর নিজেকে এসিপি রাম পান্ডে পরিচয় দিয়ে মহেন্দ্র সিং ব্লাকমেইলের শিকার ওই ব্যক্তিকে ফোন দেয়। অন্তরঙ্গ ওই ভিডিও মুছে দিতে তার কাছে ৮ লাখ রুপি অর্থ দাবি করে। পুলিশ বলেছে, ওই ভিডিওতে ভিকটিম ছিলেন নগ্ন। ফলে মানসম্মান বাঁচাতে তিনি অর্থ পরিশোধ করেন। এরপর আবারও তার কাছে ফোন আসে। দাবি করা হয় ১৫ লাখ রুপি। যদি এই অর্থ দেয়া না হয়, তাহলে ভিকটিমের পরিবারকে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয় মহেন্দ্র। এতে ভিকটিম এত বেশি ভয় পেয়ে যান যে, তিনি প্রাথমিকভাবে বিষয়টি কারো কাছে বলেননি। কয়েকদিন পরে বন্ধুদের শেয়ার করেন বিষয়টি। তারা তাকে পুলিশে অভিযোগ দেয়ার অনুরোধ জানান। 

অভিযোগ পাওয়ার পর পরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কয়েকদিন ধরে মহেন্দ্রর সন্ধান করে। শেষ পর্যন্ত তাকে আটক করতে সক্ষম হয় তারা। 

তদন্তে দেখা যায়, একই পদ্ধতিতে অনেক মানুষকে ব্লাকমেইল করে শিকারে পরিণত করেছে মহেন্দ্র। ৩৬ বছর বয়সী মহেন্দ্র স্বীকার করেছে, সে এসিপি রাম পান্ডে পরিচয় দিয়ে ভিকটিমদের ফোন করতো অথবা নিজেকে একজন ইউটিউবার হিসেবে পরিচয় দিতো।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৭

ট্যাগ