অক্টোবর ৩১, ২০২৩ ১৭:২৪ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • সব পক্ষ শর্তহীন সংলাপে বসবে, পিটার হাসের আশাবাদ-প্রথম আলো
  • রাইট টু ফ্রিডমের ওয়েবিনারে বক্তারা সরকারি প্ররোচনায় ২৮ অক্টোবরের সহিংসতা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একত্রে কাজ জরুরি-মানবজমিন
  • নির্বাচন যথাসময়ে হবে, কে চোখ রাঙালো তা পরোয়া করি না’-ইত্তেফাক
  • ইসরাইল আর বিএনপি-জামায়াতের হামলায় পার্থক্য নেই: প্রধানমন্ত্রী -যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • মহুয়া-রাহুলদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের-সঙ্গে এল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জবাবও-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ‘অ্যাপল ওই মেসেজ ১৫০টি দেশে পাঠিয়েছে’, ফোনে নজরদারি ইস্যুতে মহুয়াকে পালটা কেন্দ্রের-সংবাদ প্রতিদিন
  • বাতাসে বিষ! সুপ্রিম কোর্টের নজরে ৫ রাজ্য-সংবাদ প্রতিদিন
  • সরকারি ‘হ্যাকিং’-র বার্তা ইয়েচুরিকেও, দাবি বিশদ ব্যাখ্যার-গণশক্তি

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. রাজনৈতিক দলগুলোকে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানালেন পিটার হাস। আপনার কি মনে হয় শর্তহীন সংলাপে বসবে রাজনৈতিক দলগুলো?

২. গাজায় স্থলে অভিযান চালালে যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটবে এবং পরিস্থিতি এমন হলে ইসরাইলকে পুরোপুরি মুছে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাকেরি কানি। তার এ বক্তব্যকে কিভাবে দেখবেন?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীদলগুলোর ৭২ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচিতে গোটা দেশজুড়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। প্রথম আলোর শিরোনাম-অবরোধের সমর্থনে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটের বিক্ষোভ হয়েছে। অবরোধ চলাকালে ধামরাইয়ে দুটি ভাঙচুর, একজনকে আটক করা হয়েছে। গাজীপুরে আবারও পুলিশবক্সে হামলা পোশাক শ্রমিকদের, শোরুম ও পিকাপে আগুন দিয়েছে। রাজধানীতে প্রেসক্লাবের সামনে বাসে আগুন দিয়েছে। 

প্রথম আলোর আরোও খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমাবেশে সহিংসতার খবরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উদ্বিগ্ন।

গতকাল সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়।বাংলাদেশের সব পক্ষকে সহিংসতা, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বা নির্বিচার আটক থেকে বিরত থাকতে জাতিসংঘ মহাসচিব আহ্বান জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তাঁর মুখপাত্র।

মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমাবেশে সহিংসতার খবরে জাতিসংঘের মহাসচিব উদ্বিগ্ন, যে সহিংসতায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, পুলিশ এখনো প্রধান বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। তাঁর প্রশ্ন হলো, যখন বিরোধীদের আক্রমণ করা হচ্ছে, শীর্ষ নেতাদের, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে; তখন মুখপাত্র কীভাবে বিশ্বাস করবেন যে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হবে?

সব পক্ষ শর্তহীন সংলাপে বসবে, পিটার হাসের আশাবাদ-প্রথম আলো

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের বলেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো পক্ষের সংঘাতের জায়গা নেই। তিনি আশা করেন, বাংলাদেশে উদ্বেগ প্রশমন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজতে সব পক্ষ শর্তহীন সংলাপে বসবে।

আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে দেখা করতে যান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ওই বৈঠক শেষে পিটার হাস সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। পিটার হাস বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনকালে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া ভোট গ্রহণের বেশ আগে থেকেই শুরু হয়। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সরকার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভোটার, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব রয়েছে।

পিটার হাস আরও বলেন, সহিংসতা, জনগণের জমায়েত ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার বাধাগ্রস্ত করা, ইন্টারনেট অ্যাকসেস (অভিগম্যতা) বাধাগ্রস্ত করাসহ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে অবমূল্যায়ন করে এমন যেকোনো কাজ সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

এদিকে, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের হাতে কোনো অপশন নেই। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী কমিশনকে নির্বাচন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে অনেক অপশন থাকে। তারা একক বা জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে, আবার না-ও করতে পারে। কিন্তু কমিশনের হাতে এ ধরনের কোনো অপশন নেই। কমিশন নির্বাচনের জন্য দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে হত্যা, গ্রেপ্তার ও দমন–পীড়ন বন্ধ করতে হবে: অ্যামনেস্টি-প্রথম আলো

বাংলাদেশ সরকারকে সবার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে মনে রাখতে হবে, সরকারের প্রতি ভিন্নমত পোষণ করা কোনো অপরাধ নয়। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের সময় পুলিশ ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় এক পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক কর্মকর্তা ইয়াসাসমিন কাভিরত্নে ২৮ অক্টোবর ও পরবর্তী ঘটনা সম্পর্কে বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় জোরদার করার মধ্য দিয়ে আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগে ভিন্নমতাবলম্বীদের কঠোরভাবে দমনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে মনে রাখতে হবে, ভিন্নমত পোষণ করা অপরাধ নয়। প্রত্যেকের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকারের প্রতি অবশ্যই সম্মান দেখাতে হবে।

কে চোখ রাঙালো কে চোখ বাঁকালো যায় আসে না, নির্বাচন হবেই: প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কে চোখ রাঙালো কে চোখ বাঁকালো তাতে যায় আসে না। নির্বাচন হবেই।প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসবভন গণভবনে মঙ্গলবার বিকারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।  

বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের তাগিদ দিচ্ছেন বিদেশিরা, এমন সম্ভাবনা আছে কিনা প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, কাদের সঙ্গে বসব। ওরা মানুষের জাত নাকি? যেভাবে পিটিয়ে পুলিশ মারল ওইদিন (২৮ অক্টোবর), কোনো মানুষ এমনটা করতে পারে নাকি। ওরা মানুষের জাত নাকি? তাদের সঙ্গে কীসের সংলাপ।

প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, নির্বাচন হবেই। কোনো সহিংসতা করে লাভ হবে না। ২০১৩ সালে পারে নাই, ২০১৮ সালে পারেও নাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  যে হাত দিয়ে মানুষ পোড়াবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। এ খবরে লেখা হয়েছে, ২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশ ঘিরে বিএনপি যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তাতে জনগণের ধিক্কার ছাড়া দলটির আর কিছুই জুটবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যে সন্ত্রাসী এবং বিএনপি যে একটা সন্ত্রাসী দল সেটাই তারা ২৮ অক্টোবর পুনরায় প্রমাণ করল।

বিএনপি-জামায়াতের চলমান আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, সন্ত্রাসীদের যেভাবে শিক্ষা দেওয়া যায়, সেটাই আমরা দেব। তবে যে হাত দিয়ে মানুষ পোড়াবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে বুঝতে পারবে পোড়া মানুষের কষ্ট। এটাই হবে তাদের সঠিক শাস্তি। আমি দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাব, দেশবাসী যেন এ বিষয়ে সতর্ক থাকে, যেভাবে ২০১৪ সালে সতর্ক থেকে প্রতিরোধ করেছিল।

মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে তিন দিনের সরকারি সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছিলেন আমাদের সরকার কিছু তাদের কোনো বাধা দেয়নি। তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না। তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা-বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখে বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটাল- এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছুই জুটবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলা চালানো ইসরাইলের সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের হামলার কোনো পার্থক্য নেই। আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

পুলিশের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড কাপুরুষোচিত: রিজভী-যুগান্তর

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজ বিএনপির অবরোধ চলাকালে ছাত্রদলের দুই নেতাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। পুলিশের এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড কাপুরুষোচিত।রিজভী বলেন, নানাভাবে বলার পরেও নিহত দু’জনের লাশ এখনো তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়নি। অবিলম্বে নিহত রেফায়েত উল্লাহ ও বিল্লাল মিয়ার লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জোর আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিক রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি আট হাজার কোটি টাকার বেশি-প্রথম আলো

নানামুখী চাপে আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক-কর আদায় নিয়ে বিপাকে রয়েছে সংস্থাটি। একদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত—চলতি অর্থবছরে স্বাভাবিকের চেয়ে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক-কর আদায় বাড়াতে হবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দ্বন্দ্ব–সংঘাতের আশঙ্কায় ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্লথগতির শঙ্কা। তাতে অতীতের মতো রাজস্ব আদায় কমতে পারে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায়ে ৮ হাজার ২০৮ কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে। এ সময়ে সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৬ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। যদিও আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৮৪ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরু থেকেই শুল্ক-কর আদায়ে পিছিয়ে আছে এনবিআর।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

‘অ্যাপল ওই মেসেজ ১৫০টি দেশে পাঠিয়েছে’, ফোনে নজরদারি ইস্যুতে মহুয়াকে পালটা কেন্দ্রের-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ফোন ও ইমেল হ্যাক করার চেষ্টা করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। বেশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদের বিস্ফোরক দাবি উড়িয়ে দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, অ্যাপলের যে ‘থ্রেট নোটিফিকেশন’ তথা বিপদসূচক বার্তার কথা বলছেন বিরোধীরা, তা ১৫০টি দেশেই পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টিকেই কোনও ‘ভুয়ো সতর্কবার্তা’ বলে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন তিনি।মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) নিজের ফোনের দুটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। দেখা যায় সেখানে লেখা, ‘রাষ্ট্রের মদতে আপনার ফোনে নজরদারি চলছে।’ গোটা বিষয়টিকে জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ। পরে তাঁর মন্তব্যে সুর মিলিয়ে শশী থারুরের মতো কংগ্রেস সাংসদরাও একই দাবি করেন। এবার এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় মুখ খুলল কেন্দ্র। জানিয়ে দিল, এমন বার্তা পেয়েছে ১৫০টি দেশ। এটিকে কোনও ‘ভুয়ো সতর্কবার্তা’ বলেই সন্দেহ মোদি সরকারের।

বাতাসে বিষ! সুপ্রিম কোর্টের নজরে ৫ রাজ্য-সংবাদ প্রতিদিন

ক্রমেই ধারালো হচ্ছে বায়ুদূষণের থাবা। এভাবে চললে আগামী প্রজন্মের উপরে এই দূষণের প্রভাব পড়বে সাংঘাতিক। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সঙ্গে বায়ুদূষণের ছোবলে অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে পড়া পাঁচটি রাজ্যের কাছে আলাদা করে জানতে চাইল দূষণরোধে তারা কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

সিঙ্গুর রায় নিয়ে হাই কোর্ট না কি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ? –আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, সিঙ্গুর নিয়ে টাটা গোষ্ঠীকে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে যে নির্দেশ দিয়েছে সালিশি আদালত (আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনাল), সেই নির্দেশকে কি চ্যালেঞ্জ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার? রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ আমলা মঙ্গলবার আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করা হবে, না কি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হবে, সে বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে সূত্রের খবর।

পাক-চিন সীমান্তে অত্যাধুনিক রুশ এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন ভারতের-সংবাদ প্রতিদিন

লৌহ বর্মে ঢাকল ভারতের আকাশ। পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করল ভারতীয় বায়ুসেনা। ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির ৩টি স্কোয়াড্রন কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে খবর।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৩১

ট্যাগ