রংধনু আসর
ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
রংধনু আসরের শিশু-কিশোর বন্ধুরা, কেমন আছো তোমরা? আশা করি যে যেখানে আছো ভালো ও সুস্থ আছো। আজকের আসরে তোমাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি নাসির মাহমুদ এবং আমি আকতার জাহান।
বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে, ১৯৭৯ সালের ১২ বাহমান বা ১ ফেব্রুয়ারি ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনি (রহ.) ১৫ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে তেহরানে ফিরে আসেন। তাঁর দেশে ফেরার ১০ দিনের মাথায় অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিপ্লবের চূড়ান্ত বিজয় ঘটে।
ইমাম খোমেনীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আমরা একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এতে আমরা ইরানে ইসলামী বিপ্লবের প্রেক্ষাপট, ইমাম খোমেনীর ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব এবং ইমামের শিশুপ্রীতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব। আমাদের আজকের অনুষ্ঠানটিও তৈরি করেছেন আশরাফুর রহমান।
কাস্পিয়ান সাগরের তীরে আলবোর্জ পাহাড়ের পাদদেশে এশিয়া মহাদেশের একটি সুন্দর দেশের নাম ইরান। নানারকম প্রাকৃতিক অবস্থান ও আবহাওয়ার কারণে দেশটি যে কাউকেই আকৃষ্ট করে। এখানে যেমন আছে মরুভূমি, তেমনি সবুজ গাছ-গাছালির সমারোহ, আছে বরফাচ্ছাদিত এলাকা, পারস্য উপসাগরের বিস্তৃত উপকূল এবং ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থান।
এই দেশের একজন শাসকের নাম ছিল রেজা শাহ পাহলভী। রেজা শাহ'র পিতা ছিল রেজা খান। তারা দুজনই ব্রিটিশদের কথামত দেশ চালাতো। দেশের সম্পদকে তারা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো ভোগ করতো এবং বিদেশিদের দিয়ে দিত।
রেজা শাহ এমন কয়েকটি দেশকে, নিজ দেশের সম্পদ দিতো যারা ছিল, ইরান ও ইসলামের শত্রু। তাছাড়া শাহর আমলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল মদের দোকান। দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী ও যুবসমাজ অন্যান্য দেশের খারাপ, অশ্লীল চাল-চলন আর সংস্কৃতি অনুসরণ করত।
তবে এই অবস্থায়ও ইরানে একদল যোগ্য আলেম ছিলেন যারা মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকতেন এবং রেজা শাহর অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন। যেসব আলেম শাহ সরকারের জুলুম নির্যাতন আর অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতেন ইমাম খোমেনী (রহ.) ছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে যোগ্যতম ব্যক্তি।
শাহ সরকার কিভাবে দেশের মানুষকে অত্যাচার করছে ও বিদেশিদের কথামত দেশ চালাচ্ছে তিনি তা 'কাশফ উল আসরার' বা 'রহস্যের উদঘাটন' নামক একটি বইয়ে ফাঁস করে দেন। ইমামের এই বই প্রকাশের পর জনগণ রেজা শাহর প্রতি ক্ষেপে যায় এবং ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
১৯৬৩ সালে ইমাম খোমেনী (রহ.) যখন কোমের ফায়জিয়া মাদ্রাসায় দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বক্তৃতা করেন, তখন শাহের সৈন্যরা তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইরানের জনগণ খুব ক্ষোভ প্রকাশ করে। জনতার মিছিলে রেজা শাহর সিংহাসন কেঁপে ওঠে। জনগণের বিক্ষোভকে দমন করার জন্য রেজা শাহর সৈন্যরা গুলি চালিয়ে শুধু তেহরানেই ১৫ হাজার মানুষকে হত্যা করে।
কিন্তু এরপরও রেজা শাহর ভয় দূর হয় নি। সে ইমাম খোমেনীকে দেশ থেকে বের করে তুরস্কে নির্বাসনে পাঠায়। তুরস্ক ছাড়াও তিনি ইরাক ও ফ্রান্সে নির্বাসনে ছিলেন। নির্বাসনে থাকা অবস্থায় ইমাম তার ছাত্রদের মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে বাণী পাঠাতেন। একসময় দেশের আলেম সমাজ ও জনগণ প্রবল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে।
জনতার আন্দোলন যখন ভয়াবহ রূপ নেয় তখন ১৯৭৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ইমাম খোমেনী ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ইমামের আসার কথা জানতে পেরে সরকার তাঁকে বিমানবন্দরেই হত্যার ষড়যন্ত্র করে। শুধু তাই নয়, ইমাম যাতে দেশে ফিরতে না পারে সেজন্য সরকার বিমানবন্দর বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বিমান বন্দরের কর্মচারীরা সরকারের নির্দেশ অমান্য করে তাকে ইরানে আসার সুযোগ করে দেয়।
বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, ইমামকে বরণ করার জন্য সেদিন প্রায় ৬০ লাখ নারী পুরুষ বিমানবন্দর এলাকায় উপস্থিত হয়েছিল! সমবেত জনতার যে মানববন্ধন তৈরি হয়েছিল, সেটি ছিল প্রায় ৩৩ কিলোমিটার লম্বা! বিশ্বের ইতিহাসে অন্য কোন নেতা এর আগে এতবড় সংবর্ধনা পাননি!
ইমাম যখন ইরানে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তেহরানের একটি দেয়ালে কাঁপা কাঁপা হাতে রক্ত দিয়ে একটি দেয়া লেখা ছিল- "স্বাগতম হে খোমেনী।" ইমামকে স্বাগত জানাতে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের গুলি খেয়ে শহীদ হবার পূর্বে একটি বালক ওই কথাটি লিখে গিয়েছিল।
এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, ইরানের শিশু-কিশোররাও ইমামকে নিজেদের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো। মূলত ইমামের দেশপ্রেম, জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও পরগেজগারীর কারণেই অসংখ্য মানুষ তাঁর জন্য জীবন দেন এবং অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেন। ইমাম দেশে ফেরার ১০ দিন পর অর্থাৎ ১১ই ফেব্রুয়ারি ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হয়।
বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে রয়েছে একটি ফার্সি গান। ইমাম খোমেনীর আগমনের পর ইরানে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছিল তা বর্ণনা করা হয়েছে এই গানে।
ছোট্ট বন্ধুর কণ্ঠে চমৎকার একটি গান শুনলে। এই গানে বলা হয়েছে-
ইমাম যখন এলেন, ইরান হলো ফুল্ল কানন
শুকিয়ে যাওয়া পাপড়িগুলো হাসলো খুলে নয়ন
বার্তাবাহকের মতো তাঁর ঠোঁটে ছিল ঋদ্ধ বাণী
আমাদের হৃদয় বাগান করেছেন নূরাণি
রোপণ করে করে বিমূর্ত খোদায়ি নূর
তিনি এলেন বাগানের ফুলগুলো পেল সুগন্ধি সুর
ইসলামী ইরান পূর্ণ হলো যেন আত্ম-বিশ্বাসে
মুক্তির বার্তা পেয়ে নবীন সাঙ্গীতিক নিঃশ্বাসে
সত্যিই বলতে কী, ইরানে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবার পর মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কমতে থাকে। স্কুল-কলেজ, পত্রপত্রিকা, রেডিও-টিভি, সিনেমা সবকিছুই ইসলামের আলোকে নতুন করে সাজানো হয়। সমাজে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থনৈতিক দিক থেকে দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। কিন্তু যিনি নিজের জীবনকে বিপন্ন করে দেশের জন্য এতো কিছু করলেন, তাঁর অবস্থা যেমনটি ছিল তেমনই থেকে যায়।
ইমাম তেহরানে যে বাড়িতে বাস করতেন সেটি দুইকক্ষ বিশিষ্ট একতলা বাড়ি। বাড়ির বড় রুমটির মাঝখানে পর্দা দিয়ে একপাশে ইমাম ও তাঁর স্ত্রী ঘুমাতেন। আর অপর পাশে কয়েকটি সাদা কভারের সোফা, কুরআন-হাদিস রাখার কিছু তাক, একটি আয়না, একটি টেলিভিশন ও একটি রেডিও রাখা হতো। বাসার ছোট রুমটিতে তিনি মেহমানদের সাথে কথা বলতেন। একটি দেশের সর্বোচ্চ নেতা হয়েও ইমাম খোমেনীর সাধারণ জীবনযাপন ইসলামের প্রাথমিক যুগের মুসলমানদের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। আর এজন্যই ইরানের আপামর জনসাধারণ ইমামকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন।
ইমামকে কেন ভালোবাসো- জানতে চেয়েছিলাম ইরানের কোম শহরের রওশানগার স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী যাহরা ফাতেমি সাকিনার কাছে। সে বলল:
বাংলাদেশি বন্ধু যাহরা খুব সুন্দর করে বলল- সে কেন ইমাম খোমেনীকে ভালোবাসে। বন্ধুরা, তোমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা সবকিছু রুটিনমাফিক করতে ভালোবাসে। পড়ালেখা, খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলা, বিশ্রাম সবকিছু রুটিনমাফিক করা হলে জীবনে সফলতার দেখা পাওয়া যায়। ঠিক এমনটিই করেছিলেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনী। তিনি রাত-দিনের পুরো সময়টা রুটিনমাফিক চলতেন। নামাযের আগে তিনি কুরআন তেলাওয়াত করতেন। মাগরিব ও এশার নামায আদায়ের পর তিনি ঘরের উঠানে গিয়ে কিবলামূখী হয়ে হাতের আঙুলের ইশারায় প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে নিরবে দোয়া পড়তেন। তিনি প্রত্যেক রাতে তাহাজ্জুদের নামায পড়তেন। এজন্য তিনি ফজরের নামাযের প্রায় দুই ঘন্টা ঘুম থেকে জাগতেন।
এ প্রসঙ্গে ইমামের বিশিষ্ট সহচর ইমাম আনসারী বলেছেন, "পঞ্চাশ বছরের মধ্যে ইমামের তাহাজ্জুদ নামায কখনো বাদ যায়নি। যে রাতে তিনি প্যারিস থেকে তেহরানে আসেন সে রাতে বিমানের সকল যাত্রী নিদ্রিত ছিল কিন্তু ইমাম একাকী বিমানের দ্বিতীয় তলায় নামায আদায়ে মশগুল ছিলেন।" ফজরের নামায আদায়ের পর বিদেশি বেতারের খবর শুনতেন এবং ইরানের টেলিভিশনের পর্দায় দেশ-বিদেশের সংবাদ দেখতেন।
কেবল নিয়মানুবর্তিতা নয়, তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে ও অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন এবং অপব্যয় থেকে দূরে থাকতেন। কখনো কখনো দেখা গেছে, ইমাম বসা থেকে উঠে কোনো দিকে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল, তিনি অপ্রয়োজনীয় একটি বাতি নিভিয়ে দেয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।
কেবল তাই নয়। পানি পান পান করার পর যদি গ্লাসে অর্ধেক পানি থেকে যেত তাহলে তিনি গ্লাসটি একটি কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখতেন এবং পরবর্তীতে পিপাসা হলে তা পান করতেন।
বন্ধুরা, তোমরা জেনে খুশি হবে যে, শিশুদের সাথে ইমাম খোমেনীর ব্যবহার ছিল বন্ধুসূলভ ও স্নেহপূর্ণ। ছোটদের চপলতায় তিনি কখনও অসন্তুষ্ট কিংবা বিরক্ত হতেন না বরং তাদের সাথে সবসময় হাসিমুখে কথা বলতেন। তিনি দু'বছরের শিশুর সাথেও সম্মানের সাথে কথা বলতেন। ইমামের সামনে কোনো শিশুকে নিয়ে আসা হলে তিনি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। তার সাথে কথা বলতেন ও শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতেন।
শিশুদের দুষ্টুমি ও আমোদ-আহ্লাদ সম্পর্কে তিনি বলতেন, বাচ্চারা দুষ্ট, তারা অবশ্যই দুষ্টুমি করবে। যে বাচ্চা ঘরের কোণে পড়ে থাকে, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকে, সে হচ্ছে বৃদ্ধ বয়েসী শিশু। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বাচ্চারা যদি কখনো এক জায়গায় চুপ করে বসে থাকে তাহলে আপনাদের অবশ্যই দেখা উচিত যে, সে কেন বসে আছে।
বন্ধুরা, এবার আমরা শিশুদের সাথে ইমামের ব্যবহার সম্পর্কে তার পরিবারের এক শিশুর কাহিনী শুনব।
'একদিন আমি ইমামের ঘরে যাওয়ার জন্য তাঁর ঘরের দরজার সামনে দাঁড়ালাম। ইমামের ঘরের দরজা তখন বন্ধ ছিল। আমি দরজায় আঘাত না করেই ঘরে ঢুকে পড়ি। ভেতরে ঢুকে দেখি ইমাম বসে বসে বই পড়ছেন। তিনি আমাকে দেখার সাথে সাথেই বই বন্ধ করে আমার সাথে আলাপ শুরু করে দিলেন।'
কেবল নিজ পরিবারের সদস্যদের সাথে নয়, অপরিচিত শিশুদের সাথেও ইমাম খোমেনীর ব্যবহার ছিল অত্যন্ত অমায়িক। একবার শুজায়ী নামে এক ব্যক্তি তার পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে ইমামের সাথে দেখা করলেন। তার ছেলের নাম মজিদ শুজায়ী। ছেলেটি সুন্দর করে ছবি আঁকতো। ইমামের বাড়িতে ঢোকার সময় নিরাপত্তা রক্ষীরা তার অংকনের খাতাটি রেখে দিলে ছেলেটি খুব মন খারাপ করল।
ইমাম যখন ব্যাপারটি জানতে পারলেন, তখন খাতাটি আনালেন। তিনি আগ্রহ ভরে দেখলেন যে, ছেলেটি একটি ছবি এঁকেছে- দুটি বইয়ের নিচে চারটি পেন্সিল কাটার বসিয়ে অপর চিত্র দিয়ে পেন্সিল ঢুকিয়েছে। আর একটি শিশু ওপরে সেনাবাহিনীর ক্যাপ পড়ে দু'আঙুলের সাহায্যে বিজয়ের সংকেত দেখাচ্ছে। ছবিটি দেখে ইমাম মুচকি হাসলেন এবং শিশুটিকে উৎসাহ দেয়ার জন্য সাথে সাথে তাকে পুরস্কার দিলেন। বিশ্ববিখ্যাত একজন নেতার কাছ থেকে ক্ষুদ্র একটি কাজের পুরস্কার পেয়ে শিশুটি ভীষণ খুশি হলো।
বন্ধুরা, এ ঘটনা থেকে তোমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো যে, শিশু-কিশোরদের প্রতি ইমাম খোমেনীর ভালোবাসা, স্নেহ ও সহানুভূতি ছিল তুলনাহীন। আর তাইতো ইমামের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অকৃত্রিম শ্রদ্ধার কারণেই ইরানের শিশুরা আজও ইমামের চিন্তাধারা ও উপদেশবাণীকে সযত্নে লালন করে চলেছে।
তো বন্ধুরা, ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমাদের সকল আয়োজন এক এক করে ফুরিয়ে গেল। তোমরা বড় হয়ে এই মনীষীর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আরও বেশি জানার চেষ্টা করবে- এ আহ্বান রেখে গুটিয়ে নিচ্ছি রংধনুর আজকের আসর।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৪