ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪ ১৫:২৫ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • আতঙ্কে বাড়ি ছাড়ছেন সীমান্তের বাসিন্দারা, ৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ-ইত্তেফাক
  • স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার-প্রথম আলো
  • ধর্ষণকাণ্ডে উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-ডেইলি স্টার বাংলা
  • পোশাক ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব আমিনুল-মানবজমিন
  • বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ সদস্য -যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • পাকিস্তানের কাছে সেনার তথ্য পাচার! গ্রেপ্তার মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী-সংবাদ প্রতিদিন
  • হিন্দুত্ববাদী আদর্শকেই স্বীকৃতি দিয়ে ' ভারতরত্ন' আদবানিকে-গণশক্তি
  • দাবি আলাদা রাজ্যের, লোকসভা ভোটের আগে তিনটি সুখবর পেতে পারে লাদাখ-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ভুয়ো গণবিবাহের আসর, গ্রেপ্তার ১৫-আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. স্বামীকে আটকে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা আটক, উত্তপ্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। কী বলবেন আপনি?
২. ইয়েমেনের ৪৮টি স্থানে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী নতুন করে হামলা চালিয়েছে। এতে কী আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস।-ডেইলি স্টার বাংলা, যুগান্তর শিরোনাম করেছে এরকম, জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ, উদ্বিগ্ন মানবাধিকার কমিশন

আর প্রথম আলোর শিরোনাম-স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাভার মডেল থানার পুলিশ ও আশুলিয়া থানার পুলিশ যৌথভাবে এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। পলাতক আছেন ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত মো. মামুনুর রশিদ এবং স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা ও মারধর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগ) মো. আবদুল্লাহিল কাফী।

সংবাদ সম্মেলনে মামলায় উল্লিখিত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামী আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে একই বাসায় পাশাপাশি কক্ষে ভাড়া থাকতেন মামুনুর রশিদ। গতকাল মুঠোফোনে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীকে মামুন জানান, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে তাঁর পরিচিত মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে কিছুদিন থাকবেন। পরে তিনি ওই ব্যক্তিকে ক্যাম্পাসে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ভুক্তভোগীর স্বামী ক্যাম্পাসে এলে হলের একটি কক্ষে মুস্তাফিজ ও মুরাদের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। একপর্যায়ে মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে জানান, সাভারের একটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে তাঁরা কিছু টাকা পাবেন, তবে দোকানদার টাকা দিতে চাচ্ছেন না। ওই টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে বাসার জন্য টিভি, ফ্রিজসহ অন্যান্য আসবাব নিতে বলেন এবং সমপরিমাণ টাকা মামুনকে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কিছুদিন ক্যাম্পাসে থাকবেন বলে ভুক্তভোগীর স্বামীকে মামুনের কাপড় নিয়ে ক্যাম্পাসে আসার জন্য স্ত্রীকে বলতে বলেন। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকে আনেন। রাত ৯টার দিকে ওই নারী ক্যাম্পাসে আসেন। ভুক্তভোগীর স্বামী, মামুন, মুস্তাফিজ ও মুরাদ মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে আসেন। একপর্যায়ে মুরাদ ভুক্তভোগীর স্বামীকে হলের এ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে নিয়ে বেঁধে ফেলেন ও মারধর করেন। পরে মুস্তাফিজ ও মামুন ওই নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রথমে তাঁরা আশুলিয়া থানায় এবং পরে সাভার মডেল থানায় যান।

এ ঘটনায় সাভার মডেল থানা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে বলে জানান মো. আবদুল্লাহিল কাফী। তিনি বলেন, আসামিদের পালিয়ে যাওয়ায় সহায়তা করার অভিযোগে তিনজনকে ক্যাম্পাস থেকে আটক করা হয়। সাভার থানা এলাকা থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। 

যুবকের ৯ টুকরা লাশ কারও নাম উল্লেখ না করে হত্যা মামলা, আরেকজনকে আটক-প্রথম আলোর অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মার চরের চারটি জায়গা থেকে মিলন হোসেন (২৭) নামের এক যুবকের লাশের ৯ টুকরা উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহত মিলন হোসেনের মা শেফালি খাতুন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা কতজনকে আসামি করা হয়েছে, সেটাও উল্লেখ করা হয়নি।

এ ঘটনায় এর আগে আটক ছাত্রলীগ নেতাসহ পাঁচজনকে আজ রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তবে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরেকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) সাজু মহন সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। তারপর গ্রেপ্তার দেখানো হবে। ঘটনার সঙ্গে আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদের ধরতে অভিযান চলছে।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে মিলন হোসেনের লাশের টুকরাগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্স সরদারের ছেলে। তিনি স্ত্রী মিমি খাতুনকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ই ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকতেন। টেক্সটাইল প্রকৌশলে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। গত বুধবার সকালে এস কে সজীব নামের এক যুবকের ফোন পেয়ে তিনি শহরের ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ওই দিন সন্ধ্যায় মিলনের স্ত্রী কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ঘটনার বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, চাঁদার দাবিতে মিলন হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। জড়িত কয়েকজনকে আটকের পর তাঁদের দেখানো জায়গা থেকে লাশের ৯টি টুকরা উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ সদস্য-যুগান্তর

বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে ফের গোলাগুলি হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাতের গুলি এসে পড়ে দুজন গুলিবিদ্ধ আহত হয়েছেন। বিদ্রোহীদের তোপের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ১৪ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমারে অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরাকান আর্মির তুমুল লড়াই চলছে। রোববার সকাল থেকে লাগাতার চলছে গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ। মিয়ানমারের ওপার থেকে ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক। তারা হলেন— হিন্দুপাড়ার বাসিন্দার পবীন্দ্র ধর ও এক নারী। 

সীমান্তবাসী জানান, লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেটল্যান্সার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয়, গুলির শিষা ও রকেটল্যান্সার উড়ে এসে পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসতঘরের ওপর। এ ঘটনায় কোনো হতাহত না হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। অনেকেই আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত ঘরে বসেই কাটিয়েছেন। ভয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এ ছাড়া কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজ করতেও ভয় পাচ্ছে এলাকাবাসী।

পোশাক ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব আমিনুল-মানবজমিন

রাজধানীর কলাবাগানের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম। তিনি ভাই-ভাই ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। দীর্ঘদিন ধরে পাথর সরবরাহ করে আসছিলেন। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে পাথর সরবরাহ করে প্রশংসা পেয়েছেন। তবে আমিনুল এক পোশাক ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে পথে বসে গেছেন। অর্থের অভাবে ব্যবসা বন্ধ করে এখন তিনি আদালতে ঘুরছেন সুবিচার পাওয়ার জন্য। তাকে ফাঁদে ফেলে লাভবান হয়েছেন অ্যাসরোটেক্স গ্রুপ নামের পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আসাদুল ইসলাম ও তার সহযোগী আমির হোসাইন। তাদের নামে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত ইতিমধ্যে প্রতারণা ও স্বাক্ষর জালের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবরে লেখা হয়েছে, পাকিস্তানে হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী। জানা গিয়েছে, মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের ওই ব্যক্তি। নিজের পদমর্যাদাকে কাজে লাগিয়েই ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে। সূত্র মারফত ওই ব্যক্তির কার্যকলাপ জানতে পারে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসদমন শাখা। রবিবার উত্তরপ্রদেশ থেকে ভারতীয় দূতাবাসের ওই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। 

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রধান খবরে লেখা হয়েছে, লোকসভা ভোটের আগেই কি লাদাখ নিয়ে নতুন করে চাপের মুখে কেন্দ্র? আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দাবি করে পথে নামল আমজনতা। দিনভর হরতালে সাড়াও মিলেছে।২০১৯ সালের অগস্ট মাসে সাবেক জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য থেকে লাদাখকে পৃথক করে সেটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়।

আলাদা রাজ্যের দাবিতে এ বার লাগাতার আন্দোলনে নামার ইঙ্গিত দিল লাদাখ।হিমালয়ের কোলে থাকা এই পার্বত্য অঞ্চলটির অধিবাসীদের অধিকাংশের দাবি, লাদাখকে আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, আরও তিনটি দাবির পক্ষেও সুর চড়িয়েছেন তাঁরা।আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে আগেই বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল লাদাখ অ্যাপেক্স বডি (ল্যাব) এবং কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ)।লেহ-তে পূর্ণ হরতাল পালিত হয়। কার্গিলেও হরতাল ডাকে কেডিএ। এই দুই সংগঠনের ডাকা বন‌্‌ধে ভাল রকম সাড়াও মিলেছে বলে দাবি।শনিবার লাদাখের লেহ জেলায় প্রতিবাদ মিছিল বার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাতে লেখা প্ল্যাকার্ডে মোট চারটি দাবির কথা জানান তাঁরা।

মোদিকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তুলনা রাজ্যপাল বোসের, পালটা কুণালের

এবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা। রামমন্দির উদ্বোধনের জন্য প্রশংসাও করলেন তিনি। বিতর্কে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে পালটা খোঁচা তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে মনীষীদের সঙ্গে তুলনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও একাধিক নেতা-মন্ত্রীর মুখে বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছে। সেই একই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন রাজ্যপাল। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে জোরাল আক্রমণ করেন।

আজকাল পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, সরকারি টাকা পেতে যোগীরাজ্যে ভুয়ো গণবিবাহের আসর। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় রাজ্যে।ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, গণবিবাহের আসরে পাত্র নেই। মাথায় ঘোমটা টেনে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কনেরা। নিজেরাই নিজেদের গলায় মালা পরিয়ে বিয়ে করছেন।ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায়। 

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৪

ট্যাগ