সাতক্ষীরার ডিসির নজিরবিহীন দুর্নীতি!
'নির্বাচনে জেতাতে ঘুস নেন দেড় কোটি টাকা -অনুসন্ধানী প্রতিবেদন'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৮ মার্চ সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- বাংলাদেশি জাহাজে নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষা বাড়ছে- প্রথম আলো
- তিন দিনে কোথাও পণ্য কিনতে পারেননি ক্রেতারা পণ্যের দাম নির্ধারণ কেতাবে আছে, বাজারে নাই- ইত্তেফাক
- ডিসির নজিরবিহীন দুর্নীতি নির্বাচনে জেতাতে ঘুস নেন দেড় কোটি টাকা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন– যুগান্তর
- ভালো নেই জবি শিক্ষার্থী খাদিজা, যা বললেন অবন্তিকা সম্পর্কে-মানবজমিন
- সোনারগাঁয়ে ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ৪, আহত ১-ডেইলি স্টার বাংলা
কোলকাতার শিরোনাম:
- ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে ছয়, চলছে উদ্ধারকাজ, গার্ডেনরিচের ঘটনায় গ্রেফতার এক: ফিরহাদ-আনন্দবাজার পত্রিকা
- মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই গার্ডেনরিচে মুখ্যমন্ত্রী, ‘বেআইনি নির্মাণ’, কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ- সংবাদ প্রতিদিন
- ভোটযন্ত্র, ইডি, সিবিআই হলো মোদীর প্রাণভোমরা ন্যায় যাত্রার শেষে সমাবেশে রাহুল- গণশক্তি
- গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে মৃত ২, আহত ১৫, আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মেয়রের-আজকাল
শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে ভিন্ন খবরকে প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে। ডিসির নজিরবিহীন দুর্নীতি নির্বাচনে জেতাতে ঘুস নেন দেড় কোটি টাকা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন– যুগান্তর।
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। বিনিময়ে নগদে ঘুস নিয়েছেন দেড় কোটি টাকা। ব্যাগভর্তি বিপুল অঙ্কের এ টাকা জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়। নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য এভাবে ঘুস দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ-সদস্য এইচএম গোলাম রেজার পক্ষে এক নিকটাত্মীয়। কিন্তু ভোটের ফল উলটে যাওয়ায় বিষয়টি সামনে আসে।
অভূতপূর্ব চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গত সপ্তাহে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। তিনি সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালীগঞ্জ) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য। ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একান্ত সচিব হিসাবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
সাতক্ষীরার ডিসি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া অভিযোগের একটি কপি প্রতিবেদকের হাতে আসে। দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হিসাবে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোঙ্গর মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন ভুক্তভোগী গোলাম রেজা। ডিসি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির নির্বাচনে সহায়তা করার নামে কৌশলে এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন। ছেলে ও তার শ্বশুর বস্তায় ভরে এ টাকা জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনে পৌঁছে দেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাননি। বরং পদে পদে অসহযোগিতা করা হয়।
এ অবস্থায় ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি ডিসির কাছে এই টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে উলটো ৬ দিন পর এইচএম গোলাম রেজাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের নির্বাচনি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার মামলা দেওয়া হয়। এজাহারে বলা হয়, আগুনের ঘটনা ঘটেছে নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি। অথচ মামলাটি করা হয় ঘটনার ৩৬ দিন পর। রহস্যজনক ওই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ও মামলা নিয়ে জনমনে নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগের শেষদিকে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তসহ বিচার দাবি করেন। জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানান। ছেলের শ্বশুর ও ছেলের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা নেওয়ার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
যুগান্তরের অর্থনীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদনের শিরোনাম- ঘাটতি মেটাতে বন্ড ও ট্রেজারি বিলে নজর-সরকারের টানাপোড়েন সংসার। বিস্তারিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, সরকারের কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আয় বাড়ছে না। যতটুকু হচ্ছে এর মধ্যেই বড় অংশ চলে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে। বাকিটা দিয়ে চাকরিজীবীদের বেতন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয় সামাল দিতে ঋণের দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু নানা কারণে খুব বেশি সাড়া মিলছে না। গেল ছয় মাসে প্রতিশ্রুতির মাত্র ১০ শতাংশ পাওয়া গেছে বিদেশি ঋণ। আবার যেটুকু মিলছে তার বড় একটি অংশ চলে গেছে বকেয়া পরিশোধে। সঞ্চয়পত্র থেকে দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত এক টাকাও ঋণ আসেনি। ফলে অভ্যন্তরীণ ঋণের জন্য নজর দেওয়া হয়েছে বন্ড ও ট্রেজারি বিলের দিকে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সবচেয়ে বেশি ঋণ করছে বন্ড ও ট্রেজারি বিল থেকে। সব মিলে এক ধরনের টানাপোড়েন সংসার চলছে সরকারের। অর্থ বিভাগের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিদ্যুৎ খাতে ৪৩ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি পরিশোধ করতে সরকারি ও বেসরকারি ২৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে বন্ড ইস্যু করা হয়। এর মাধ্যমে বাজার থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়। এতে আর্থিক খাতের টানাপোড়েনের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। এই মোটা অঙ্কের দায় মেটাতে আগামী ১০ বছর বন্ডের আসল ও সুদ পরিশোধের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে। এছাড়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রথম ছয় মাসে যেখানে এক লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকার ব্যয়ের কথা। সেখানে শ্লথগতিতে মোট বরাদ্দের মাত্র ১৫ শতাংশ খরচ করা হয়।
এদিকে সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় সব সময় বেশি হয়। আর সেটি সামাল দিতে নেওয়া হয় ঋণ। কিন্তু এবার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আয় না হওয়ায় ঋণের খোঁজে নামলেও বিদেশ থেকে সাড়া মিলছে কম। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ মিলছে ২৩ হাজার ১১২ কোটি টাকা। এই অর্থ দিয়ে আগের নেওয়া ঋণের ১২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা পরিশোধে চলে গেছে। হাতে থাকা বাকি ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
ঋণের অন্য খাত ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বন্ড ইস্যুর বিক্রির মাধ্যমে ১০ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। আবার এই ঋণের অর্থ থেকেই বকেয়া স্বল্প মেয়াদের ঋণের দুহাজার ৬০৯ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। অর্থ সংকট সামাল দিতে গিয়ে মূলধনী ব্যয় কম করা হচ্ছে।
বাংলাদেশি জাহাজে নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষা বাড়ছে-প্রথম আলো
সোমালিয়ার উপকূলে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুই দিন ধরে একই অবস্থানে রয়েছে। জাহাজটির দস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষের এখনো যোগাযোগ হয়নি বলে দাবি করেছে মালিকপক্ষ। ফলে নাবিকদের মুক্তি নিয়ে অপেক্ষা বাড়ছে।
জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, গত শুক্রবার সোমালিয়ার উপকূলের কাছে সরিয়ে নেওয়ার পর শনিবারও একই অবস্থানে ছিল জিম্মি জাহাজটি। সর্বশেষ শনিবার রাতে যোগাযোগ করে জাহাজটি একই অবস্থানে থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছে মালিকপক্ষ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাবিকেরা সুস্থ আছেন, এতটুকু বলতে পারি। জাহাজও একই অবস্থানে রয়েছে। তবে দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি এখনো, যদিও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’
এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার উপকূলের একেবারে কাছেই রয়েছে। যুদ্ধ ছাড়া এ রকম উপকূলীয় এলাকায় আরেক দেশের সীমানায় অভিযান চালানো যায় না।
তিন দিনে কোথাও পণ্য কিনতে পারেননি ক্রেতারা-পণ্যের দাম নির্ধারণ কেতাবে আছে, বাজারে নাই-ইত্তেফাক
গত বৃহস্পতিবার ২৯ ধরণের পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাজারে দেখা যাচ্ছে, এসব পণ্য বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তিন দিন হলো ২৯ ধরনের কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু তাদের নির্ধারিত দামে গত তিন দিনে কোথাও ওই পণ্য কিনতে পারেননি ক্রেতারা, এমন অভিযোগ রয়েছে। নির্ধারত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে।আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘অযৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে বিপণন অধিদপ্তর দেশের মানুষের সঙ্গে কৌতুক করছেন। ওই দামে পণ্য বিক্রি সম্ভব নয়।’
২০১৮ সালের কৃষি বিপণন আইনে কৃষিপণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়ন উভয় দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের। এটা বাস্তবায়নে বাধা দূর করতে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। কৃষি বিপণন বিধিমালা ২০২১-এ অধিদপ্তরকে জেলা, উপজেলা এবং বাজার ভিত্তিক সমন্বয় কমিটি গঠন করে পণ্যের দাম বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দুজনেই বলেছেন, ‘আইনে ওইসব পণ্যের দাম নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের। তারা বাস্তবায়ন করবে আশা করছি।’
জবাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, ‘আমরা বাস্তবায়নের জন্য অভিযান পরিচালনা করতে পারি না। এরজন্য সরকারের অনেক সংস্থা আছে। আমরা মামলা করতে পারি।’
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, ‘আমরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দুই মাস কাজ করে দাম নির্ধারণ করেছি। প্রতিটি পর্যায়ে কথা বলেছি। ওয়ার্কশপ করেছি। ওনারা যা বলছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সঠিক দামই নির্ধারণ করেছি।’
বাজারে ওই দামে পণ্য পাওয়া কেন যাচ্ছে না তার জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র ঘোষণা করেছি। প্রভাব পড়তে সময় লাগবে। এটা আগে ছিল না। এখন সবাই তো জানলো যে, যৌক্তিক দাম কোনটি। এখন বাজার মনিটরিং-এর মাধ্যমে ঠিক হবে। এই দাম আগেই নির্ধারণ করার ম্যান্ডেট আমাদের ছিল। তবে নানা কারণে আমরা করতে পারিনি।’
বাস্তবায়ন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের পুরো মেশিনারিজের ওপর নির্ভর করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মোবাইল কোর্ট, আমাদের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ আরো অনেক এজেন্সি আছে তাদের সবার দায়িত্ব।’
মনিটরিং জোরদার করলে কৃষিপণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার প্রভাব বাজারে পড়বে বলে মনে করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘তাদের এই কাজটি আগেই করা দরকার ছিলো, দেরিতে হলেও করেছেন। এখন মনিটরিং করতে হবে। কৃষি বিভাগের লোকবল অনেক। উপজেলা পর্যন্ত তাদের অনেক লোকবল আছে।’
একই রকম অভিযোগ আরেক শিক্ষার্থীর-বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অভিযোগ করেছিলেন অবন্তিকা-মানবজমিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রক্টরের কাছে। কিন্তু প্রতিকার পাননি তিনি। অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে শনিবার রাতে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দু’জনকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভালো নেই জবি শিক্ষার্থী খাদিজা, যা বললেন অবন্তিকা সম্পর্কে-মানবজমিন
শারীরিকভাবে ভালো নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। কিডনিতে পাথর, মেরুদণ্ডের হাড্ডি ক্ষয়, পায়ের লিগামেন্টে সমস্যাসহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। ১৫ দিন ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চিকিৎসা খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন খাদিজা এবং তার মা। এদিকে সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খাদিজা। খাদিজা বলেন, অবন্তিকাকে আমি একজন সাহসী শিক্ষার্থী বলে জানি। আমাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যখন কারাগারে নেয়া হয় তখন তিনি প্রতিবাদ ও আন্দোলন করেছিলেন। তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকেই বলেছেন, আলোচনায় আসতে কিংবা নেত্রী হতে তিনি এসব করেছেন। কিন্তু আমি তো জানি তিনি কতোটা প্রতিবাদী এবং সাহসী একজন শিক্ষার্থী।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে মৃত ২, আহত ১৫, আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মেয়রের আজকাল
মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে ঝুপড়ির ওপর নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় প্রাণ হারালেন ২ জন। মৃতেরা হলেন, ৪৭ বছরের সামা বেগম ও ৫৫ বছরের হাসিনা খাতুন।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫ জন। ৫ জন ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে, ১০ জন ভর্তি আছেন স্থানীয় হাসপাতালে। গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মেয়র ও ওই এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবার পিছু ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসুরা। সোমবার সকালে মেয়র জানালেন, ধ্বংসাবশেষে এখনও চাপা পড়ে আছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে ৭ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন উদ্ধারকারীরা।
মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই গার্ডেনরিচে মুখ্যমন্ত্রী, ‘বেআইনি নির্মাণ’, কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ-সংবাদ প্রতিদিন
মাঝরাতে গার্ডেনরিচে (Gardenrich) নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোশাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সোমবার সকালে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে নিজেই চলে গেলেন দুর্ঘটনাস্থলে। আজই তাঁর কপালের সেলাই কাটার কথা। কিন্তু তার আগে অসুস্থ শরীর নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী নেমে পড়লেন প্রশাসনিক কাজে। দুর্ঘটনার (Accident) খবর পেয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে চলে গেলেন নিজেই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”রমজান মাসে এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমরা সকলে অত্যন্ত মর্মাহত। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা এটা এবং বেআইনি কাজের জন্য এই ঘটনা ঘটল। উদ্ধারকাজ দ্রুত হচ্ছে।” স্বজনহারা পরিবারগুলির প্রতি শোকপ্রকাশ করলেন তিনি। এগুলো একদিনে তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে তৈরি হয়েছে। আমি সবটা ঘুরে দেখেছি। আমাদের পুলিশ টিম, মন্ত্রীরা সকলেই কাজ করেছে সারারাত। আমি মেয়রকে জিজ্ঞেস করছিলাম, এই বহুতল নির্মাণের অনুমতি ছিল কি না। ও জানাল, না ছিল না। বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছিল। সেই কারণেই এটা ঘটল।
এরপর এই এলাকা থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোজা পৌঁছে যান নিকটবর্তী নার্সিংহোমে। এখানে চিকিৎসাধীন ৭ জন। তাঁদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিবারের সদস্যদেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে ছয়, চলছে উদ্ধারকাজ, গার্ডেনরিচের ঘটনায় গ্রেফতার এক: ফিরহাদ-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, গার্ডেনরিচের বহুতলের ধ্বংসস্তূপের ভিতর এখনও ছ’জন আটকে রয়েছেন। এমনটাই জানানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তরফে। তবে সেই ছ’জনের মধ্যে এক জনের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বাকিদের থেকে কোনও সাড়া পাচ্ছেন না উদ্ধারকারীরা। ফলে তাঁরা কী অবস্থায় আছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। সোমবার সকলে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভিতরে ছ’জন আটকে আছেন। এক জনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আর কেউ সাড়া দিচ্ছেন না।’’ দমকলের তরফে জানানো হয়, ৮৫ শতাংশ উদ্ধারকাজ হয়ে গিয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকায় বহুতলটি এমন ভাবে ভেঙে পড়েছে, উদ্ধারে সময় লাগছে। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপর।
শুভেন্দুকে ভোট প্রচারে অনুমতি নয়! ‘খলিস্তানি’ মন্তব্যের প্রতিবাদে কমিশনে চিঠি শিখ সংগঠনের-আনন্দবাজার পত্রিকা
‘খলিস্তানি’ মন্তব্যের জের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে কড়া পদক্ষেপের আর্জি শিখ সংগঠনের। লোকসভা নির্বাচনী (West Bengal Lok Sabha Election 2024) প্রচারে শুভেন্দু কোনওভাবে যাতে অংশ নিতে না পারেন, সেই আর্জি জানানো হয়েছে। রবিবার নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে এই অনুরোধ জানায় ‘গুরুদ্বার বড়া শিখ সংগত’।
অশান্তি চলাকালীন উত্তপ্ত সন্দেশখালি পরিদর্শনে যায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধামাখালির কাছে বিজেপি প্রতিনিধিদলকে আটকায় পুলিশ। সেই দলে ছিলেন ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের স্পেশাল সুপার, আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিং। শিখ সম্প্রদায়ের ওই আইপিএসের মাথায় স্বভাবতই পাগড়ি ছিল। অভিযোগ, তা দেখেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাকি ‘ওটা খলিস্তানি’ বলে কটাক্ষ করেন। তাতে রেগে যান ওই পুলিশ অফিসার।
পালটা প্রশ্ন করেন, “আমার মাথায় পাগড়ি দেখে খলিস্তানি বলছেন? এ কেমন কথা?” উভয়ের তর্কবিতর্কে ধামাখালির কাছে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই ঘটনার জেরে শুভেন্দু অধিকারীকে নাকি সতর্কও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের তীব্র বিতর্কের ঝড় ওঠে। এই ইস্যুতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটযন্ত্র, ইডি, সিবিআই হলো মোদীর প্রাণভোমরা ন্যায় যাত্রার শেষে সমাবেশে রাহুল-গণশক্তি
‘‘নরেন্দ্র মোদী মুখোশ মাত্র। আসল লড়াই শক্তির বিরুদ্ধে।’’ রবিবার মুম্বাইয়ের শিবাজী পার্কে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শেষে এক সমাবেশে একথা বলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কী সেই ‘শক্তি’ তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘হিন্দুত্ববাদে শক্তি বলে একটা কথা আছে। তবে আমরা এমন এক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি যে সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে।’’ আবার মোদীর নাম মুখে না নিয়েই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘রাজার প্রাণভোমরা রয়েছে বৈদ্যুতিন ভোট যন্ত্রের মধ্যে। আর প্রাণভোমরা রয়েছে ইডি, সিবিআই এবং আয়কর দপ্তরে।’’ সাম্প্রতিককালের মধ্যে এদিন বিরোধীদের সর্ববৃহৎ সমাবেশের সাক্ষী থাকলো শিবাজী পার্ক। এদিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বামপন্থীরাও। তবে ইন্ডিয়া মঞ্চের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ভাষণ দিয়েছেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘আমরা কোনও নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি না। লড়াই করছি শক্তির বিরুদ্ধে।’’ উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘আপনারাই ভারতমাতা। আপনাদেরও ওই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের এবং এই দেশকে বাঁচানোর জন্য যে কোনও লড়াইয়ে প্রস্তুত। বিদ্বেষ ছড়াতে দেবেন না। ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকান খুলুন।’’#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৮