ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯ ২০:৩৫ Asia/Dhaka
  • ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
    ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে: প্রধান বিচারপতি-দৈনিক প্রথম আলো
  • র‍্যাগিংয়ের দায়ে বুয়েটের তিতুমীর হলের ৮ ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কার-বাংলাদেশ প্রতিদিন- বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে'-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • খালেদা জিয়ার জামিনে খোদ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ: মির্জা ফখরুল-দৈনিক যুগান্তর
  • রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে: টিআইবি-দৈনিক মানব জমিন
  • অরাজকতা করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে : ওবায়দুল কাদের-দৈনিক নয়াদিগন্ত

ভারতের শিরোনাম:  

  • বছরে ১৭ কোটির খাবার! অসন্তুষ্ট স্পিকার, সর্বসম্মতিতে ভর্তুকি উঠে যাচ্ছে সংসদের ক্যান্টিনে
  • ৮ থেকে জিডিপি–র হার নেমেছে ৪.‌৫ শতাংশে’, মুক্তি পেয়েই কেন্দ্রকে বিঁধলেন চিদম্বরম-দৈনিক আজকাল

বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে: প্রধান বিচারপতি-দৈনিক প্রথম আলো

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে। আমরা আপিল বিভাগে এমন অবস্থা আগে কখনো দেখিনি। অর্ডার দেওয়া হয়ে গেছে। এজলাসে বসে আদালতের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।’ খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল ও জামিনবিষয়ক শুনানির দিন ধার্যের আদেশ দেওয়ার পরও আদালতকক্ষে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান-হইচইয়ের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানিয়ে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে দাখিল হয়নি। এটিসহ দুটি প্রতিবেদন কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে সকালে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ১২ ডিসেম্বর বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় আসবে।

এই শুনানি চলাকালেই রাষ্ট্রপক্ষ ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে হইচই হয়। হইচইয়ের মধ্যেই আদালত আদেশ দেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতকক্ষে অবস্থান নেন। তাঁরা হইচই করতে থাকেন। সকাল ১০টার দিকে দিকে বিচারপতিরা আদালতকক্ষ ত্যাগ করেন। বিচারপতিরা চলে যাওয়ার পরও বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীরা আদালতকক্ষে বসে থাকেন।

বিরতির পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারপতিরা এজলাসে আসেন। অন্য মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। তখনো বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীরা আদালতকক্ষে বসে ছিলেন। তাঁরা হইচই করেন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ডায়াসে দাঁড়ান। এ সময় আদালত বলেন, তাঁরা আপিল বিভাগে এমন অবস্থা আগে কখনো দেখেননি। খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমি শেষবারের মতো কথা বলতে চাই।’

আদালত বলেন, ‘আমরা আদেশ দিয়েছি। আর কোনো কথা শুনব না।’খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার আরজি জানান।আদালত বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৃহস্পতিবার শুনব।’এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তুমুল হইচই করেন।হইচইয়ের মধ্যে আদালতের ক্রম অনুসারে মামলা ডাকা হয়। ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে শুনানির জন্য দাঁড়ান আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা টেবিল চাপড়ান। শুনানি করার চেষ্টা করেন আজমালুল হোসেন কিউসি।এ সময় বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ছাড়া আর কোনো শুনানি হবে না। একপর্যায়ে সরকার-সমর্থক ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।

দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী স্লোগান দেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তাঁরা ‘খালেদা জিয়া’, ‘খালেদা জিয়া’ বলেন স্লোগান দেন।

আজমালুল হোসেন কিউসি যে মামলা শুনানির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন, সেটির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন আদালত।

পরে বিচারপতিরা আদালতের এজলাস ত্যাগ করেন।

র‍্যাগিংয়ের দায়ে বুয়েটের তিতুমীর হলের ৮ ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কার-বাংলাদেশ প্রতিদিন

জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তিতুমীর হলের আট ছাত্রকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে হলের আরও ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য হল থেকে বহিষ্কার এবং একজনকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।  বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে

এমন শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বুধবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোট ১৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একাডেমিক কার্যক্রম (বিভিন্ন মেয়াদে) ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন মো. তানভীর হাসনাইন, মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুস্তাসিন মঈন, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ খান, মহিবুল্লাহ হক মুগ্ধ ও আনফালুর রহমান।

আবাসিক হল থেকে (বিভিন্ন মেয়াদে) বহিষ্কৃতরা হলেন মো. জাহিদুল ইসলাম, জিহাদুর রহমান, মো. এহসানুল সাদ, আবিদ–উল কামাল, মোহাম্মদ সায়াদ ও মাহমাদুল হাসান রবিনকে। এছাড়া মো. হাসিবুল ইসলামকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে'-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পর্কে ‘নেতিবাচক মানসিকতা’ পরিহার করার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কানাকে কানা আর খোঁড়াকে খোঁড়া বলো না শৈশব থেকে আমরা এই শিক্ষা পেয়েছি। শিশুদেরকে শৈশব থেকে এই শিক্ষা দিতে হবে যাতে তারা মানবিক হয় এবং যাতে তারা আমাদের সঙ্গে একত্রে চলতে পারে- এটিই সবচেয়ে বড় কথা। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমাদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে ২৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য সব মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে তাঁর সরকার বৈষম্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য স্বাধীনতা নিয়ে এসেছেন। আমাদের লক্ষ্য হলো এই স্বাধীন দেশের সকল জনগণ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে এবং আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি। অটিজম অথবা প্রতিবন্ধীতা কোন রোগ অথবা অসুস্থতা নয় এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে অটিজম অথবা প্রতিবন্ধীতায় যারা ভুগছেন তারা সমাজের মূলধারার সঙ্গে বসবাস করতে পারেন।

আমরা জানি যে, এ ধরনের প্রতিবন্ধীতায় যে সব শিশুরা ভুগছেন তাদের পিতা মাতার জন্য এটি খুবই বেদনাদায়ক। আমরা তাদের এই দুর্দশা নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।

দেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার এই উন্নয়নে প্রতিবন্ধীদের ওপর জোর গুরুত্ব দিয়েছে।তিনি বলেন,আমরা চাই দেশের উন্নয়ন এবং আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিচ্ছি যাতে তারা উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে না থাকে।

খালেদা জিয়ার জামিনে খোদ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ: মির্জা ফখরুল-দৈনিক যুগান্তর

খোদ সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন পিছিয়ে গেছে বলে মনে করছে বিএনপি। বিচারচলাকালীন মামলা ও বিবাদীর বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি আদালতের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। বিচারচলাকালীন মামলায় নগ্ন হস্তক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার চান না দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) জামিন হোক।

খালেদা জিয়ার জামিনে পদে পদে বাধার অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত বিস্ময় ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার শুরু থেকেই সাধারণ মানুষ যে সুযোগ-সুবিধা পান, তাকে সে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়নি। এ ধরনের মামলায় সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে জামিন হয়। কিন্তু তার ক্ষেত্রে এটা হয়নি। খালেদা জিয়ার জামিনে পদে পদে বাধা দেয়া হচ্ছে। তার জামিন না দেয়াটা প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধেই শুধু নয়, অমানবিকও বটে।’

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন আজ আদালতে উপস্থাপন না করার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত অবমাননা করেছেন বলে আমরা মনে করি।

তিনি আরও বলেন, ‘আনঅফিসিয়াল সূত্রের খবর, গত রাতে রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের কারণে এটা আজ জমা দেয়া হয়নি।’

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিষয়টি কাকতালীয় কি-না জানিনা। একদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করা হয়েছে, অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য। তার এই বক্তব্য ও এই ঘটনায় আদালতের ওপর থ্রেট (হুমকি) করা হয়েছে বলে মনে করি। এটা ফ্যাসিবাদের একটি রূপ। তারা ভয় দেখাতে চায়।’

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ৭ দিন পিছিয়ে দেয়ায় এবং তার আইনজীবীদের মৌখিক আবেদন গ্রহণ না করায় সমগ্র জাতি শুধু হতাশই নয়, বিক্ষুব্ধও হয়েছে বলে মন্তব্য করেন দলটির মহাসচিব। খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি পেছানোর ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা না হলে তার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। তার চিকিৎসার ক্রমাবনতি ও চিকিৎসা না হওয়ার দায়-দায়িত্ব এই সরকার প্রধানকে বহন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে: টিআইবি-দৈনিক মানব জমিন

নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে কক্সবাজারের স্থানীয়রা মানসিক চাপে পড়েছে। তাদের কারণে স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে অবস্থান : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায় শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসা এসব তথ্য তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদেও কারণে স্থানীয়রা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে। কারণ স্থানীয় অধিবাসী মোট জনসংখ্যা ৩৪ দশমিক আট শতাংশ আর  রোহিঙ্গারা ৬৩ দশমিক দুই শতাংশ। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট চাহিদার ২৫ শতাংশের অতিরিক্ত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবায় ব্যয় হচ্ছে।

এতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সামাজিক অবক্ষয়ের ঝুঁকি বৃদ্ধিসহ মাদক পাচার, নারী পাচার, পতিতাবৃত্তি  বৃদ্ধি পাচ্ছে।ফলে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, জমি দখলের মতো বিষয়গুলো বাড়ছে।টিআইবি আরো জানায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অর্থনৈতিক ঝুঁকির বিষয়ে টিআইবি বলছে, অল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের লবন চাষ, চিংড়ি হ্যাচারি, চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করছে। ফলে রোহিঙ্গা শ্রমিকদের সহজলভ্যতার কারণে স্থানীয়দের কাজের সুযোগ কমে যাচ্ছে। স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন পণ্যের হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা, মানবিক সহায়তায় নিয়োজিত কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের যানবাহন এবং ত্রাণবাহী ট্রাকের চলাচল ও চাপে রাস্তাঘাটের ক্ষতি ও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ৬ হাজার ১৬৪ একর বনভূমি উজাড়, জীববৈচিত্র ধ্বংস, ভূমি ধ্বসের ঝুঁকি, উখিয়া ও টেকনাফে ভূগর্ভস্ত পানির সংকট তৈরি হওয়া, হাতির চলাচলের পথ নষ্ট হওয়ার মতো বিষয়গুলোর কারণে কক্সবাজার পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ।

অরাজকতা করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে : ওবায়দুল কাদের-দৈনিক নয়াদিগন্ত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার সকালে হাইকোর্ট সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আদালত খালেদা জিয়ার জামিন না দিলে সরকারের কিছু করার নেই। বিএনপির আন্দোলন কি সরকারের বিরুদ্ধে? আওয়ামী লীগ এখন আগের চেয়ে অনেক সংগঠিত। অরাজকতা সৃষ্টি করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’

সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বের অসাধারণ বলিষ্ঠতা, দৃঢ়তা ও গুণাবলি জাতিকে সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা দিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার ও আইন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অসাধারণ অবদান রেখেছেন। গণতন্ত্রের জন্য তার যে সংগ্রাম সেটি এখনো আওয়ামী লীগ অনুসরণ করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতের এক হোটেল কক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

বছরে ১৭ কোটির খাবার! অসন্তুষ্ট স্পিকার, সর্বসম্মতিতে ভর্তুকি উঠে যাচ্ছে সংসদের ক্যান্টিনে-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

ক্যান্টিনে আর ভর্তুকিতে খাওয়াদাওয়া করতে পারবেন না সাংসদরা। সর্বসম্মতিতেই সাংসদরা তাঁদের এই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এর ফলে, সরকারের রাজকোষে বেঁচে যাবে ১৭ কোটি টাকা।

সংসদ ভবন সূত্রের খবর, লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে ভর্তুকি উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। এ ব্যাপারে তিনি অসন্তোষও প্রকাশ করেন। তখনই সাংসদরা সর্বসম্মতিতে মেনে নেন স্পিকারের প্রস্তাব।

ফলে, এখন সংসদের ক্যান্টিনে চিকেন কারি, ফিশ কারি আর মটন কারির দাম পড়বে যথাক্রমে ৫০, ৪০ এবং ৪৫ টাকায়। চিকেন কাটলেটরে প্রতি প্লেট মিলবে ৪১ টাকায়। তন্দুরি চিকেন ৬০ টাকা, ধোসা ১২ টাকা আর কফি ৫ টাকায়। হায়দরাবাদি চিকেন বিরিয়ানির দাম পড়বে ৬৫ টাকা।

বাজারের দামের চেয়ে ৮০ শতাংশ সস্তায় সংসদ ভবনের ক্যন্টিনে খাবার মিলছে বলে ২০১৫ সাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে, যখন অর্থাভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প দীর্ঘ দিন ধরে আটকে থাকছে, তখন কেন ভর্তুকিতে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে? সেখানে তো আমজনতা ঢুকতে পারেন না। যান শুধুই সাংসদ বা তাঁদের পরিচিতরা।

৮ থেকে জিডিপির হার নেমেছে ৪.‌৫ শতাংশে, মুক্তি পেয়েই কেন্দ্রকে বিঁধলেন চিদম্বরম-দৈনিক আজকাল

১০৬ দিন পর জামিনে মুক্ত হয়েই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদম্বরম। আর সেখানেই কড়া ভাষায় দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা এবং এসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধলেন তিনি। চিদম্বরম বলেছেন, ‘‌সরকার ভুল করছে। কারণ ওরা দিশাহীন। অর্থনীতি নিয়ে অস্বাভাবিকভাবে নীরব প্রধানমন্ত্রী। উনি এটা ওনার মন্ত্রীদের উপর ফেলে দিয়েছেন যাতে আরও গন্ডগোল পাকছে।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদম্বরম।

যার ফল, অর্থনীতিবিদদের মতে, অর্থনীতির বিষয়ে সরকার অদক্ষ ম্যানেজার হয়ে গিয়েছে।’‌ ‌বিমুদ্রাকরণ, ভুল জিএসটি, কর সন্ত্রাস, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের উপর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের মতো বিভিন্ন বিষয়ে অযথা একগুঁয়েমি এবং জেদের কারণেই দিশা পাচ্ছে না কেন্দ্র, মত চিদম্বরমের। এনডিএ সরকারের সমালোচনায় চিদম্বরম বলেছেন, ইউপিএ সরকার ২০০৪২০১৪ পর্যন্ত দারিদ্র‌্যসীমা থেকে ১৪০ মিলিয়ন মানু্ষকে টেনে তুলেছিল। আর ২০১৬ থেকে এনডিএ সরকার কয়েক কোটি মানুষকে দারিদ্র‌্যসীমার নীচে পৌঁছে দিয়েছে। অর্থনীতিকে এই অবস্থা থেকে তোলা সম্ভব। কিন্তু এই সরকার তা করতে ব্যর্থ। কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের মতো কিছু দলই অর্থনীতিকে টেনে তুলে আর্থিক বৃদ্ধ ঘটাতে পারে।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।