জুন ০৪, ২০২০ ১৮:৩২ Asia/Dhaka
  • কথাবার্তা:যুক্তরাষ্ট্রে কারফিউয়ে থামছে না বিক্ষোভ

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৪ জুন বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

প্রথমে বাংলাদেশে:

  • অপপ্রচারবিভক্তি করোনাভাইরাসকে প্রাণশক্তি জোগাচ্ছে: কাদের-দৈনিক প্রথম আলো
  • মানুষকে সুরক্ষিত করতে প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রীদৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • করোনায় দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৫, সর্বমোট ৭৮১-’দৈনিক যুগান্তর
  • বিশ্বজুড়ে করোনায় মারা গেলেন প্রায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ-দৈনিক ইত্তেফাক-দৈনিক ইত্তেফাক
  • ট্রাম্প আমেরিকায় বিভক্তি সৃষ্টি করছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, নেতৃত্বে ব্যর্থ’- মাত্তিস- দৈনিক মানবজমিন
  • যুক্তরাষ্ট্রে কারফিউয়ে থামছে না বিক্ষোভ-দৈনিক সমকাল-দৈনিক নয়াদিগন্ত

ভারতের খবর:

  • নিয়মের থোড়াই কেয়ার, যেমন খুশি ভাড়া নিয়েই চলছে বাস-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার সেরা সময়,’ ‌অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম ভিডিও দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে মন্তব্য মোদির-দৈনিক আজকাল
  • লকডাউন তুলে দেওয়ার ফল! একদিনে দেশে মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই সংখ্যাতেই রেকর্ড বৃদ্ধি

অপপ্রচারবিভক্তি করোনাভাইরাসকে প্রাণশক্তি জোগাচ্ছে: কাদের-দৈনিক প্রথম আলো

বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, সরকারের সমালোচনাকে ‘রুটিন ওয়ার্কে’ পরিণত করবেন না। এ ধরনের অপপ্রচার ও বিভক্তি করোনার সংক্রমণ তথা ভাইরাসকে প্রাণশক্তি জোগাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অভিন্ন ও প্রাণঘাতী শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বিমত নয়, এক্যবদ্ধতাই সংকট সমাধানের শক্তি। এতে লড়াইয়ে থাকা যোদ্ধারা মনোবল পায়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর বাসভবন থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তদের সঙ্গে ভিডিও ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধিরি প্রতি উদাসীনতা সংকটকে ঘনীভূত করারই নামান্তর। এ সংকটকালে জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণকে সচেতনতায় উদ্বুদ্ধ করতে আহ্বান জানান তিনি। রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও করোনাযোদ্ধাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, অভিযোগ আছে, অনেক হাসপাতাল করোনা রোগীকে উপেক্ষা করছে। যথাযথ সেবা ও যত্ন দিচ্ছে না। এ সংকটে হাসপাতালে উপেক্ষিত হলে রোগীরা যাবে কোথায়?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

এ দুঃসময়ে যেসব গণপরিবহন অতিরিক্তি ভাড়া আদায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু গণপরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানান তিনি।

সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বে ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ ২১তম অবস্থানে। এ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। এ অবনতিশীল পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ‍শৈথিল্য প্রদর্শন পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।

মানুষকে সুরক্ষিত করতে প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক কালেরকণ্ঠ-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে সুরক্ষিত করতে প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করা, তাদের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া, সব দিক থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণ করার সময় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অনুদান গ্রহণ করেন তাঁর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এসময় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, যেহেতু অর্থনীতি একেবারে স্থবির অবস্থায় রয়েছে, তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখন উন্মুক্ত করছি। কারণ মানুষ তো বাঁচাতে হবে। এই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো না করলে, আমরা আর কতটা সহযোগিতা করব। তারপরও আমি বলব এই কয়মাসে এদেশের প্রায় প্রতি স্তরের মানুষকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা করেছি, আমাদের দলের পক্ষ থেকে করেছি। অনেক বিত্তশালী তারাও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মাঝে এই আন্তরিকতাটুকু আছে বলে এখনো তারা খেতে পারছে বা চলতে পারছে। এই সহানুভূতিটুকু মানুষ দেখাতে পারছে।

তিনি আরো বলেন, চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রত্যেকটা শ্রেণি পেশার মানুষ সকলের কাছে যেন আমরা কিছু না কিছু সহযোগিতা পৌঁছাতে পারি। যেন তারা কষ্ট না পায়। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চিকিৎসাসেবা ব্যাপকভাবে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি এবং আমরা দিয়ে যাচ্ছি। বিনে পয়সায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস এটা টেস্ট করা বা চিকিৎসা করা বেশ ব্যয়বহুল। তারপরও আমরা সেটা করে যাচ্ছি। এভাবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

করোনায় দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৫, সর্বমোট ৭৮১-- দৈনিক যুগান্তর

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে ৭৮১ জন মারা গেলেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে কোভিড-১৯ রোগ নিয়ে হালনাগাদ তথ্য জানাতে অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর এমন তথ্য দিয়েছে। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক(প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত একদিনে দুই হাজার ৪২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে শনাক্ত ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।

ডা. নাসিমা সুলতানা

তিনি বলেন, একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৫৭১ জন। সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৬১ জন। অর্থৎ আক্রান্তদের মধ্যে ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠছেন। নাসিমা সুলতানা বলেন, আমাদের খুব সচেতন হওয়া দরকার। সবারই মাস্ক পরা দরকার। তিনি বলেন, শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৬ শতাংশ। মৃত্যুর বিশ্লেষণ করে এই চিকিৎসক বলেন, পুরুষ ২৯ জন ও নারী ছয় জন। তাদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী তিন জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী দুজন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী একজন। বিভাগভিত্তিক হিসাবে, ঢাকায় ২১ জন, চট্টগ্রামে ৯ জন, সিলেটে দুজন, রাজশাহীতে একজন, বরিশালে একজন ও খুলনা বিভাগে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে হাসপাতালে ২২ জন, বাড়িতে ১২ জন ও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।

বিশ্বজুড়ে করোনায় মারা গেলেন প্রায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ-দৈনিক ইত্তেফাক

বৈশিক মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে লাগামহীন ভাবেই বেড়ে যাচ্ছে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও। ওয়ার্ল্ডও মিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫ হাজার লোকের। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ২১ হাজার ছাড়িয়েছে।

এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন লাখ ৮৭ হাজারে। মোট আক্রান্ত ৬৫ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ। বুধবার সর্বাধিক মৃত্যু দেখেছে ব্রাজিলে। দেশটিতে একদিনেই মারা গেছে প্রায় ১৩ শ মানুষ। যা করোনা আক্রান্তের পর থেকে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি। নতুন প্রায় ২৮ হাজার সংক্রমণে মোট আক্রান্ত ছয় লাখের কাছাকাছি। একদিনে যুক্তরাষ্ট্রেও মারা গেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। দেশটিতে এ যাবতকালীন মোট মৃত্যু এক লাখ ১০ হাজারের কাছাকাছি। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ লাখ। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে মারা গেছেন ২৫৯ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

ট্রাম্প আমেরিকায় বিভক্তি সৃষ্টি করছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, নেতৃত্বে ব্যর্থ- মাত্তিস- দৈনিক মানবজমিন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন তারই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাত্তিস। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে নিজের কর্তৃত্বের বা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রকাশ্যে দেয়া এমন বক্তব্যের ঘটনা বিরল। এতে তিনি আরো বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘পরিপক্ব নেতৃত্ব’ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকা- নিয়ে চলমান অসন্তোষ ট্রাম্প যেভাবে মোকাবিলা করছেন তাতে জেমস মাত্তিস ক্ষুব্ধ ও হতভম্ব। তার এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, জেমস মাত্তিস একজন অতিমাত্রার জেনারেল। তিনি তার পদ ছেড়ে গেছেন বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

২০১৮ সালে সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। এরপরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেন জেমস মাত্তিস। এ ঘটনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কড়া সমালোচনায় পড়ে। তখন থেকে এখন অবধি বেশির ভাগ সময়ই নীরব ছিলেন জেমস মাত্তিস। তবে বুধবার দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর তিনি তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তার এই সমালোচনার জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ধারাবাহিক টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, জেমস মাত্তিসকে তিনি বরখাস্ত করেছেন। তিনি লিখেছেন, তিনি যে ধরনের

নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং তার অন্যান্য যেসব কান্ড তা আমার পছন্দ হচ্ছিল না। তিনি চলে যাওয়াতে আমি খুশি।

মাত্তিস আসলে কি বলেছেন

দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনে জেমস মাত্তিস লিখেছেন, আমার জীবদ্দশায় ডনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টাই করেন নি। এমনকি তিনি এ জন্য কোনো উদ্যোগও নেন নি। পক্ষান্তরে তিনি আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। তার এই স্বেচ্ছাচারিতার পরিণতি আমরা তিন বছর ধরে প্রত্যক্ষ করছি। তিনটি বছর ধরে আমরা তার পরিকপক্বতাহীন নেতৃত্বের পরিণতি দেখছি।

এ মাসে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে পুলিশি নির্যাতনে নিহত হন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন যুবক জর্জ ফ্লয়েড। তাতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এ নিয়েও কথা বলেছেন জেমস মাত্তিস। ফ্লয়েড হত্যাকা- নিয়ে পুলিশের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাউভিনকে দ্বিতীয় ডিগ্রির হত্যার অভিযোগে বুধবার অভিযুক্ত করা হয়েছে। ৯ দিন ধরে এই বেক্ষাভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। বেশির ভাগ বিক্ষোভই শান্তিপূর্ণ। তবে কিছু বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। চলে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট। জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসে ছোড়ে। লাঠিচার্জ করে। কমপক্ষে ২৫টি শহরে কারফিউ দেয়া হয়। গ্রেপ্তার করা হয় বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীকে। এই বিক্ষোভ নিয়ে জেমস মাত্তিস লিখেছেন, আমরা অবশ্যই স্বল্প সংখ্যক আইন ভঙ্গকারীদের দ্বারা বিভ্রান্ত হবো না। এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের চেতনা হলো, আমরা আমাদের মূল্য নিয়ে বাঁচবো, একটি জাতি হিসেবে বাঁচবো।

বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ব্যবহার নিয়েও নিন্দা জানিয়েছেন অবরসরপ্রাপ্ত এই জেনারেল। তিনি লিখেছেন, নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারকে লঙ্ঘন করতে যেকোনো অবস্থায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের স্বপ্ন আমি কখনো দেখিনি। ওয়াশিংটন ডিসিতে আমরা যেমনটা প্রত্যক্ষ করেছি, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি একটি সংঘাত সৃষ্টি করবে। এই সংঘাত হবে সেনাবাহিনী ও নাগরিক সমাজের মধ্যে।

ওই লেখায় জেমস মাত্তিস এ সপ্তাহের শুরুর দিকের একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন। যেখানে হোয়াইট হাউসের কাছে একটি পার্কে সমবেত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। এরপরই ঐতিহাসিক একটি চার্চে ফটো তোলার জন্য ট্রাম্প ওই পার্ক অতিক্রম করেছেন। ওই চার্চটি বিক্ষোভের সময় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় শীর্ষ ডেমোক্রেট নেতারা ও ধর্মীয় নেতারা ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, শুধু ওই চার্চে ছবি তোলার জন্য আগ্রাসীভাবে বিক্ষোভকারীদের টার্গেট করিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এই ঘটনায় উদ্ভট ফটো তোলার সুযোগ বলে সমালোচনা করেছেন জেমস মাত্তিস। তিনি বলেছেন, পার্ক থেকে বিক্ষোভকারীদের এভাবে সরিয়ে দেয়া নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বার বার প্রশ্ন করা হয়েছে, ওই বেক্ষাভকারীরা ছিলেন শান্তিপূর্ণ কিনা। এর জবাবে তিনি টুইট করেছেন, উপাসনার ঐতিহাসিক স্থানে আমার হেঁটে যাওয়া লোকজন পছন্দ করেছে। প্রেসিডেন্টের চার্চ পরিদর্শনের পক্ষে বুধবার জোরালো অবস্থান নিয়েছেন সাবেক প্রেস সেক্রেটারি সিন স্পাইসার। তিনি বলেছেন, ভালভাবে ওই সময় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ধর্মীয় নেতারা এটাকে পছন্দ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে কারফিউয়ে থামছে না বিক্ষোভ-দৈনিক সমকাল

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নিপীড়ন, বৈষম্য ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছেই। টানা নবম দিনের মতো স্থানীয় সময় বুধবারও সবগুলো শহরে হয়েছে বিক্ষোভ। তবে এদিন বেশিরভাগ জায়গায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্দোলনকারীরা কারফিউয়ের পরোয়া না করেই রাজপথে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনের তুলনায় বুধবার কম সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় কারফিউ শুরু হওয়ার পরও আটলান্টা, ওয়াশিংটন, সিয়াটলের মতো শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। সিয়াটলের মেয়র কারফিউ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। নিউইয়র্কে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এদিন ৯০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলেছে, শহর আগের তুলনায় এখন অনেক শান্ত। এর আগে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সান ফ্রান্সিসকোতে পুলিশের গুলিতে এক তরুণ নিহত হয়েছেন।

মিনিয়াপোলিসে গত ২৫ মে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি পুলিশের হাতে খুন হওয়ার পর থেকে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। ডেরেক চাওভিন নামের যে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু চেপে রেখেছিলেন তাকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রায় ৯ মিনিট ধরে চাওভিন ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু চেপে রেখেছিলেন। এতে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান ফ্লয়েড। আরও তিন পুলিশ সদস্য এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন। তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা। বুধবার এদের প্রত্যেককেই ফ্লয়েড হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আটলান্টায় অতিরিক্ত বল প্রয়োগের অভিযোগে ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চলমান বিক্ষোভ দমনে সেনা অভিযানের ঘোষণা নিয়ে খোদ ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যেই বিভক্তি দেখা গেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একমত নন। অনেকে মনে করেন, এই মতবিরোধিতার জেরে এসপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন ট্রাম্প। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্যের বদলে বিভক্তি সৃষ্টি করেছেন।’ সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মতবিরোধের জেরে ম্যাটিসকে বহিষ্কার করেছিলেন ট্রাম্প।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লয়েডের ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে তার মৃত্যুতে ভাইরাসের কোনো প্রভাব ছিল না। এর আগে আরও দু’টি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে, ফ্লয়েডের মৃত্যুক হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, গত ৯ দিনের বিক্ষোভ থেকে  ৯ হাজার ৩০০ আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৭০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলসে। নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেড় হাজার বিক্ষোভকারী। এ ছাড়া ডালাস, হিউস্টন, ফিলাডেলফিয়ার মতো শহরগুলো থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শত শত মানুষকে। তবে প্রকৃত গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবার ভারতের বিস্তারিত খবর তুলে ধরছি

নিয়মের থোড়াই কেয়ার, যেমন খুশি ভাড়া নিয়েই চলছে বাস-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

পুরনো ভাড়াতেই পথে নামানো হবে বাস-মিনিবাস। মালিকদের সংগঠনগুলোর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছিল। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল একেবারে অন্য চিত্র। বৃহস্পতিবার যে সমস্ত বাস-মিনিবাস পথে নেমেছে, যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে যেমন খুশি ভাড়া। কোনও রুটে বাসে পা দিলেই দিতে হয়েছে ১০ টাকা, কোথাও আবার ১৫ বা ২০। সরকারি নির্দেশ ছাড়া এ ভাবে বেশি ভাড়া নেওয়া যায় কি? কনডাক্টরদের জবাব: যত আসন, তত যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হলে যাত্রীদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।

আর মালিকদের সংগঠনগুলোর দাবি, তারা পুরনো ভাড়াই নিতে বলেছে। এর পরেও যদি কেউ বেশি ভাড়া নিয়ে থাকে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবারের বৈঠকের পরেই বাসমালিকদের সংগঠনগুলো জানিয়ে দিয়েছিল, আজ বৃহস্পতিবার থেকেই শহর ও শহরতলির রাস্তায় নামবে বাস। সেই মতো এ দিন সকাল থেকেই রাস্তায় বাস-মিনিবাসনামতে দেখা যায়। যাত্রীদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, বাসে পা দিলেই ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া থেকে সল্টলেক— অধিকাংশ বাস-মিনিবাসের কনডাক্টরই এ দিন যেমন খুশি ভাড়া হাঁকিয়েছেন।

দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার সেরা সময়, ‌অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম ভিডিও দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে মন্তব্য মোদির-দৈনিক আজকাল

কোভিড১৯ মহামারীতে যুঝতে থাকা বিশ্বের এই সময়ই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা সুদৃঢ় করার সেরা সময়। কোভিড১৯এর ছায়ার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে প্রথমবার ভিডিও কনফারেন্সিংএ হওয়া দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন শেষে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বললেন, আমাদের কৌশলগত সমঝোতার ভূমিকা বিশ্ব মহামারীর এই সময়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। মহামারীর জন্য হওয়া অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সমস্যা মেটাতে সহযোগিতাপূর্ণ এবং মিলিত উদ্যোগ দরকার বিশ্বের। আমি মনে করি এটাই সেরা সময় এবং সেরা সুযোগ ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতী আরও মজবুত করার। তাঁর দাবি, সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংসহত সংশোধনী আনা হয়েছে। বিশ্বের ভালোর জন্য এই দুদেশ কীভাবে কাজ করছে তা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হবে এবং ইন্দোপেসিফিক অঞ্চলে এই দুদেশের সুসম্পর্কের প্রভাব পড়বে, ‌মনে করছেন মোদি। মহামারী যে সব ক্ষেত্রেই তার প্রভাব ফেলেছে, সেটা এদিনের ডিজিটাল আলোচনাতেই স্পষ্ট, বলে মন্তব্য করেছেন মোদি।

হুএর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানিয়ে মরিসন বলেন, আমার কোনও সন্দেহ নেই যে বিশ্ব সঙ্কটের এই সময়ে বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে ভারতের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ হবে।মরিসন বলেন, আগামী দিনে ইন্দোপেসিফিক অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। সম্প্রতি বাড়িতে তৈরি শিঙাড়া এবং আমের চাটনির ছবি দিয়ে টুইটারে মরিসন লিখেছিলেন তাঁর রবিবারের প্রাতঃরাশের কথা। সঙ্গে সঙ্গে জবাবে মোদি লেখেন, এই দুদেশ ভারত মহাসাগর আর শিঙাড়ার মাধ্যমে যুক্ত। সেই স্মৃতি উস্কে দিয়ে এদিন মরিসনের হাল্কা রসিকতা, এভাবে ভিডিও কনফারেন্সের জন্য তিনি মোদির আলিঙ্গন থেকে বঞ্চিত হলেন। তাই আগামী দিনে ভারতে এলে গুজরাটি খিচুড়ি খাওয়ানোর আবদার করেছেন মরিসন।

লকডাউন তুলে দেওয়ার ফল! একদিনে দেশে মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই সংখ্যাতেই রেকর্ড বৃদ্ধি

প্রায় আড়াই মাসের লকডাউন পেরিয়ে আনলকের (Unlock) পথে হাঁটছে ভারত। কিন্তু করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আসা তো দূরের কথা, উলটে প্রতিদিনই নিত্যনতুন রেকর্ড ভাঙছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়েছে ৯ হাজারেরও বেশি। যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৬০ জনের। এই সংখ্যাটাও এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক।

সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসেবে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সত্বেও লকডাউন প্রত্যাহার করেছে ভারত। এখন তারই ফল ভোগ করছে দেশবাসী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩০৪ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন প্রায় ১ লক্ষ ৬ হাজার ৭৩৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৪ হাজার ১০৭। এদিকে, ২৬০ জনের মৃত্যুর ফলে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৫ জনে। আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে এখনও সপ্তম স্থানে থাকলেও ৬ নম্বরে থাকা ইটালির থেকে অনেক দ্রুতহারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে এদেশে। যা পরিস্থিতি তাতে দ্রুত ইটালিকেও টপকে যাবে ভারত।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।