অক্টোবর ৩০, ২০২০ ১৭:৫৪ Asia/Dhaka
  •  কথাবার্তা:  বাবার সব সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা ছিল ইরফানের

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৩০ অক্টোবর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • এক মাসে রাজধানীতে রোগী বেড়েছে ২০%-দৈনিক প্রথম আলো
  • সরকারের কোনো কাজ নেই বলেই বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে''-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • ফরাসিদের শাস্তি দেওয়ার ‍অধিকার মুসলমানদেরও আছে: মাহাথির- দৈনিক যুগান্তর
  • পুলিশের চার কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন- দৈনিক ইত্তেফাক
  • বাবার সব সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা ছিল ইরফানের-দৈনিক মানবজমিন
  • ফ্রান্সে মহানবীকে (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-দৈনিক নয়াদিগন্ত

ভারতের শিরোনাম:   

  • তথ্য কমিশনে নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব অধীর-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মুঙ্গেরে ভাসানে হামলা হিন্দুত্বের উপর আঘাত, তারপরেও বিজেপি চুপ?‌ প্রশ্ন তুলল শিবসেনা-দৈনিক আজকাল
  • মাস্ক না পরলে জরিমানা, নয়তো পরিষ্কার করতে হবে রাস্তা! অভিনব ‘শাস্তি’ মহারাষ্ট্রে-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

এক মাসে রাজধানীতে রোগী বেড়েছে ২০%-দৈনিক প্রথম আলো

দেশে করোনা মহামারির শুরু থেকেই রাজধানী ঢাকায় সংক্রমণ বেশি। এখনো সে ধারা অব্যাহত আছে। গত এক মাসে নতুন রোগী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি রাজধানীতে। এ সময়ে ঢাকায় নতুন রোগী বেড়েছে ২০ শতাংশ। অবশ্য রাজধানীতে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের পরীক্ষাও বেশি হচ্ছে। এখন সারা দেশে মোট যে পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, তার ৭০ শতাংশই ঢাকার ভেতরে।

দেশে এখন করোনা সংক্রমণের অষ্টম মাস চলছে। মাস দুয়েক ধরে পরীক্ষার তুলনায় নতুন রোগী ও সংক্রমণ শনাক্তের হার কমেছে। এখন সে হার ১১ শতাংশের মতো। তবে দেশের সব জায়গায় রোগী শনাক্তের হার সমান নয়। সাতটি জেলায় এখন রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের কথা নিশ্চিত করে সরকার। ক্রমে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এখন সংক্রমণ কমতে থাকলেও আসন্ন শীতে তা আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার। দুদিন ধরে রোগী শনাক্তের হার সামান্য বাড়তে দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, যদি আগামী দুই সপ্তাহে শনাক্তের হার বাড়তে থাকে, তাহলে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলে ধরা যাবে।

সরকারের কোনো কাজ নেই বলেই বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে''-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনে বিশ্বাসী মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার স্বৈরাচারী সরকার, তারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। সরকারের কোনো কাজ নেই বলেই বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে।

আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। তারা আগে বলেছে বিএনপি নেই। বিএনপি নাকি একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের সাধারণ সম্পাদকের এখন প্রত্যেক দিন একটাই কাজ, তা হলো বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলা।

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিএনপি এত বেশি করে আছে, এত প্রবলভাবে আছে যে আপনি প্রত্যেক দিন বিএনপিকে নিয়েই কথা বলেন। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এগ্রিকালচারিস্টস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত ‘কভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে কৌশল' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

এখন চতুর্দিকে দুর্নীতি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার একটা কথাও সত্য বলে না। সরকার যে ভাষ্য দেয়, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। চতুর্দিকে দেখি যে সবাই কভিডে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। আমার ভাই, চাচা-খালা-বোন সবাই আক্রান্ত হয়েছে। খবর নিয়ে দেখবেন খুব কম পরিবার আছে যাদের কেউ না কেউ আক্রান্ত হয়নি। ঢাকা উত্তরের মেয়রের পরিবারের ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলাগুলোতে এখন কোনো টেস্ট হয় না। ওই যে ট্রাম্প বলেছে, ‘নো টেস্ট নো করোনা’।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য যে আজকে ভারত স্বীকার করে যে তাদের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ কমে গেছে, অথচ এরা বলে প্রবৃদ্ধি ১০ ভাগ বেড়ে গেছে। একবার ভাবুন, একটা সরকার কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে জনগণের সাথে মিথ্যা কথা বলে। এর একমাত্র কারণ জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সরকার সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন, সে কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে জিডিপির ১৮ শতাংশ আর কৃষি ক্ষেত্রে ১.৮ শতাংশ। কেন? কারণ হলো জনগণের প্রতি যদি স্টিম রোলার চালাতে হয়, তাহলে তাদের এই পাবিলক এডমিনিস্ট্রেশন বাড়াতে হবে। তাদের খুশি রাখতে হবে। সবাইকে একটার পর একটা প্রণোদনা দিতে হবে। গাড়ি দিতে হবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিশেষ বাহিনীর লোকদের গাড়ি কেনার জন্য ৩০ লাখ করে টাকা দিয়েছে। এখন উপ-সচিব পর্যন্ত গাড়ি কেনার টাকা পায়। সেই গাড়ি মেইনটেনেন্সের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা পাবে। আর আমার কৃষক ভাই খাবার পাবে না। ভ্যান চালক খাবার পাবে না।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কখনই হতাশার কথা বলবেন না। হতাশা দিয়ে কখনো লড়াই করা যায় না। যা করবেন আশা নিয়ে করতে হবে। সামনে সেই আশার লক্ষ্য রাখতে হবে। গণতন্ত্রের সূর্য উঠবেই।

ফরাসিদের শাস্তি দেওয়ার ‍অধিকার মুসলমানদেরও আছে: মাহাথির- দৈনিক যুগান্তর

ফ্রান্স প্রেসিডেন্টে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের বিরুদ্ধে এরদোগানের তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর এবার নতুন করে বিশ্ব মিডিয়ার আলোচনায় এসেছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। 

তিনি বলেছেন, ‘অতীতের গণহত্যার কারণে লাখ লাখ ফরাসিকে হত্যা করার অধিকার মুসলমানদের আছে, কিন্তু মুসলমানরা তা করেনি। যেহেতু আপনারা (পশ্চিমা বিশ্ব) একজন ক্ষুদ্ধ ব্যক্তি কী করেছেন, সেটার জন্য সব মুসলমান ও মুসলমানদের ধর্মের ওপর দোষ চাপিয়ে যাচ্ছেন, তাই মুসলমানদেরও ফরাসিদের শাস্তি দেওয়ার ‍অধিকার আছে। বেশিরভাগ মুসলমান প্রতিশোধ নিতে ‘চোখের বদলে চোখ’ উপড়ে নেওয়ার আইন প্র্রয়োগ করে না।  মুসলমানরা এটা করে না।  তাই ফরাসিদের এটা করা উচিত হবে না’। 

বৃহস্পতিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে তিনি ওই মন্তব্য করেন।  ৯৫ বছর বয়সী মাহাথির মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা।  নিজের টুইটার একাউন্টেও একই মন্তব্য পোস্ট করেছিলেন মাহাথির। অবশ্য, টুইটার কর্তৃপক্ষ তাদের ‘বিদ্বেষ বিরোধী নীতি’-এর আওতায় এনে মাহাথিরের ওই টুইটবার্তাটি মুছে দিয়েছে। তবে টুইটে ‘ফরাসিদের শাস্তি’ দেওয়ার কথা বললেও ফ্রান্সের বিদ্রুপাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি এবদুতে ছাপা হওয়া মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর ব্য‍াঙ্গচিত্র ক্লাসে দেখানোর কারণে এক ফরাসি শিক্ষককে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থন করেন না মাহাথির মোহাম্মদ। 

ফ্রান্সের এক ক্লাসে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাঙ্গচিত্র দেখানোয় চলতি মাসেই ফ্রান্সের ওই শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়।  ওই হত্যাকাণ্ডের পর ফ্রান্সজুড়ে ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের নেতাদের নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্রগুলোর প্রদর্শনী করছে। এতে আরও উত্তেজনা বাড়ছে। 

পুলিশের চার কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন- দৈনিক ইত্তেফাক

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ঘটনায় এক মাসেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশের চার কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। তাদের বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক যৌক্তিক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন :

ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী মিছিল

বেগমগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, এসআই হাবিবুর রহমান ও এএসআই মফিজুল ইসলাম, একলাশপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম ভূঞা, ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও এলাকার চৌকিদার আলী আজগর।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্কেল এএসপি চার বছর ধরে সেখানে কর্মরত আছেন। ঐ এলাকায় সুমন ও সম্রাট বাহিনী সম্পর্কে তিনি অবগত থাকলেও নারীকে বিবস্ত্র করার ঘটনা জানতেন না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। এতে তিনি পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছেন।

বাবার সব সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা ছিল ইরফানের-দৈনিক মানবজমিন

ক্ষমতার প্রতাপ শুধু বাইরে নয়, পরিবারের মধ্যেও চালিয়েছিলেন ইরফান। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুরো পরিবারের অশান্তির কারণ ছিলেন তিনি। ইরফান দুই ভাইকে বাদ দিয়ে একাই বাবা হাজী সেলিমের সব সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় ছিলেন। এর প্রতিবাদ করার কারণে বড় ভাই সোলেমান সেলিমের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেননি তিনি। তার সম্পত্তি দখলে ছোট ভাই আশিক সেলিম যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ান এজন্য তাকে কৌশলে অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়ে দিয়েছেন। দেশে এসে যাতে আশিক ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে এজন্য তাকে অতিরিক্ত টাকা পাঠান। আর বড় ভাই সোলেমান সেলিম অনেকটা ইরফানের কাছে জিম্মি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

এরফান সেলিম

সূত্রমতে, ২০১৮ সালের জুন মাসে ইরফান তার বাবার কাছে সমস্ত সম্পত্তি লিখে নেয়ার জন্য চাপ দেন।কিন্তু অপর দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি তা করতে রাজি হননি। যে কারণে হাজী সেলিমকে বেশ কিছুদিন বাড়ির বাইরে বের হতে দেননি ইরফান। এতে তিনি সন্তান ইরফানের ওপর আরো ক্ষিপ্ত হন। সন্তানের এমন অপকীর্তির কারণে লোকলজ্জায় হাজী সেলিম বাইরে কাউকে কিছু বলতে চাননি।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইরফান নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে পিটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি রেখে পালিয়ে যান। পরে যখন বিষয়টি চাউর হয়ে যায়, তখন নিজে বাঁচার জন্য তাদের প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের কর্মকর্তাকে ধানমণ্ডি থানায় পাঠান, যেন বিষয়টি আপসের মাধ্যমে সমাধান হয়ে যায়। যাতে ওই কর্মকর্তা কোনো মামলা না করেন। শুধু থানায় নয়, তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন আপসের জন্য। কিন্তু পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ধানমণ্ডি থানায় সিগন্যাল যায় যে, ভিকটিম যে পদক্ষেপ নিতে চাইবে সেই পদক্ষেপে যাতে পুলিশ সায় দেয়। অভিযোগ নিতে যেনো পুলিশ গড়িমসি না করে। পুলিশের শক্ত অবস্থান এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কড়া সিগন্যালের কারণে ইরফানের আপসের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের ধানমণ্ডি জোনের এডিসি আব্দুল্লাহিল কাফি মানবজমিনকে জানান, নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের মারধরের ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় এসেছিল। পরে ভিকটিমের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তিনি মামলা করবেন। পুলিশ তার মামলা নিয়েছে। বিষয়টি পুলিশ সুষ্ঠুভাবে তদারকি করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, হাজী সেলিম অসুস্থ হওয়ার আগে পুরো ব্যবসার ভার তিনি একাই সামলাতেন। যখনই তিনি স্ট্রোক করে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন তখনই মদিনা গ্রুপের পুরো ব্যবসা নিজে কব্জা করার চেষ্টা করেন ইরফান। তার এই অপকর্মে দুই ভাই ছিলেন বড় অসহায়। অনেকটা বাধ্য হয়ে সোলেমান সেলিম চুপ হয়ে যান। মদিনা গ্রুপের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা তার ভয়ে তটস্থ থাকতেন। তার দ্বারা একাধিক কর্মকর্তা মানসিক নির্যাতনের কারণে চাকরি ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।পুলিশ জানায়, বাসা বা অফিস থেকে যখন তিনি বের হতেন তখন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীরা এবং প্রাইভেট বাহিনীর সদস্যরা গাড়ির হুইসেল বাজিয়ে পুরো রাস্তা ফাঁকা করতেন। হুইসেল শোনার পর যদি কারও গাড়ি রাস্তা থেকে দ্রুত না সরতো তাহলে তাদের কপালে তাৎক্ষণিক শনির দশা নেমে আসতো। তার প্রাইভেট বাহিনী তাকে সেখানেই পিটিয়ে জখম করে দিতো। ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং সাধারণ মানুষ বিষয়গুলো দেখেও না দেখার ভান করতো।  সূত্র জানায়, প্রতিদিন গভীর রাতে ইরফান তার ক্যাডার বাহিনীকে নিয়ে চকবাজার এলাকায় হাঁটতে বের হতেন। রাতে ব্যক্তিগত কাজে কেউ বের হলে তিনি তাদের অযথা জেরা করতেন। কোনো ধরনের তর্কে জড়ালেই তাকে ধরে নিয়ে যেতেন টর্চার সেলে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল হলেও সাধারণ মানুষ তার কাছে সমস্যা নিয়ে গেলে তাকে পেতো না। তার বডিগার্ড জাহিদ অঘোষিত কাউন্সিলর ছিলেন। এলাকার সব বিষয়াদি তিনি দেখভাল করতেন। এরকম নানা অভিযোগ রয়েছে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে।

ফ্রান্সে মহানবীকে (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-দৈনিক নয়াদিগন্ত

ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশের বিরুদ্ধে সারাদেশে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন। বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে দেশের সব মসজিদ থেকে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

ফ্রান্সে মহানবীকে (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

এসব বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশ করে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে চরম আঘাত হেনেছে। এ জন্য ফ্রান্সকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ঈমানদার মুসলমানরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জন করে ওদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।

ভিন্ন ভিন্ন বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিলে বক্তারা বলেন, ‘ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবী (সা.)-এর অবমাননাকর কার্টুন প্রদর্শন করায় বিশ্বের দুইশ’ কোটি মুসলমান ব্যথিত হয়েছেন। ফ্রান্সের এহেন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের হৃদয়ের ক্ষত মুছতে হলে ফ্রান্সকে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। জাতীয় সংসদে মহানবী (সা.)-এর অবমাননার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে।’

তথ্য কমিশনে নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব অধীর-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

চাকরির জন্য আবেদনও করতে হচ্ছে না আজকাল। সরকারের  বদান্যতায় আপনা আপনিই তা জুটে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশাবলীরও ধার ধারছে না মোদী সরকার। নিজেদের পছন্দ মতো প্রার্থীকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে বসিয়ে দিচ্ছে তারা। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনে (সিআইসি) নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এ বার এমনই অভিযোগ তুললেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা সিআইসি-র নিয়োগ কমিটির সদস্য অধীররঞ্জন চৌধুরী

কেন্দ্রের বাছাই করা কিছু প্রার্থীর নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছেন তিনি।তথ্য জানার আধিকার আইনে (আরটিআই) ২০০৫ সালে সিআইসি গঠিত হয়। আরটিআই-এর মাধ্যমে নাগরিকরা সঠিক তথ্য পাচ্ছেন কি না, তাঁদের কী অভাব অভিযোগ রয়েছে, তা দেখাই সিআইসি-র দায়িত্ব। কোনওরকম গাফিলতি চোখে পড়লে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস ধরাতেও পারে তারা। আরোগ্য সেতু অ্যাপ কারা বানিয়েছে, তার সদুত্তর দিতে না পারায় সম্প্রতি মোদী সরকারকে নোটিস ধরিয়েছে সিআইসি।

মুঙ্গেরে ভাসানে হামলা হিন্দুত্বের উপর আঘাত, তারপরেও বিজেপি চুপ?‌ প্রশ্ন তুলল শিবসেনা-দৈনিক আজকাল

বিহারের মুঙ্গেরে প্রতিমা বিসর্জনের সময় গুলি চালানোর ঘটনা হিন্দুত্বের উপরে আঘাত। তাহলে কেন এক্ষেত্রে বিজেপি নেতারা নীরব? এমনই প্রশ্ন তুলে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করল শিবসেনা। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মতে, এই ঘটনা মহারাষ্ট্র কিংবা পশ্চিমবঙ্গে হলে বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসন‌ জারির দাবি করত।এদিন সাংবাদিকদের সামনে সঞ্জয় বলেন, ‘মুঙ্গেরে গুলি চালা‌নোর ঘটনা হিন্দুত্বের উপরে আঘাত। এমন ঘটনা মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ কিংবা রাজস্থানে ঘটলে রাজ্যপাল ও বিজেপি নেতারা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাত। তাহলে এখন কেন বিহারের রাজ্যপাল ও বিজেপি নেতারা কোনও প্রশ্ন তুলছেন না?’ একই সুর লক্ষ করা গিয়েছে শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’–তেও।

পত্রিকার সম্পাদকীয়তে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার বিজেপি নেতৃত্বের। শিবসেনার অভিযোগ, ‘বিজেপি সবসময় দেখাতে চায় এই সব রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যত সমস্যা তা মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থানে।’ মুঙ্গেরের ঘটনার উল্লেখ করে সেখানেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এক্ষেত্রে গেরুয়া নেতারা নীরব রয়েছেন কেন?’‌প্রসঙ্গত, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মুঙ্গের। পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল এক যুবকের। ৩০ জন জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার রাতের সেই ঘটনায় মুঙ্গেরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসক ও পুলিশ সুপারের অফিসে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুরের পর দুই অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এলাকায় শান্তি ফেরাতে টহল দিতে হচ্ছে পুলিশকে।

মাস্ক না পরলে জরিমানা, নয়তো পরিষ্কার করতে হবে রাস্তা! অভিনব ‘শাস্তি’ মহারাষ্ট্রে-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

করোনার (Coronavirus) হাত থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব কিংবা বারবার হাত ধোয়ার মতোই জরুরি হল মাস্ক (Mask) পরা। কিন্তু বারবার প্রশাসনিক স্তরে সতর্ক করার পরেও গাছাড়া মনোভাব নিয়ে চলতে দেখা যায় অনেককেই। এবার সেই ঢিলেমিকে রুখতেই কড়া পদক্ষেপ করল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার।

রাজ্যের প্রশাসন জানিয়েছে, মাস্ক না পরে ট্রেনে চড়লেই গুনতে হবে ২০০ টাকা জরিমানা। আর সঙ্গে টাকা না থাকলে? সেক্ষেত্রে তাঁদের অপেক্ষায় রয়েছে খাটনির ভোগান্তি। তাঁদের দিয়ে রাস্তা ঝাঁট দেওয়ার মতো সমাজসেবামূলক কাজ করানো হবে! ইতিমধ্যেই বৃহন্মুম্বই পুরসভা এমন নিয়ম চালু করে দিয়েছে। এবার ট্রেনে চড়ার ক্ষেত্রেও সেই নিয়মই লাগু হচ্ছে। জিআরপিকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই পালন করতে হবে এই নতুন নিয়ম। অন্য জনবহুল স্থানের ক্ষেত্রেও বলবৎ থাকবে নিয়মটি।#

পার্সটুডে/এমবিএ/৩০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।