নভেম্বর ০৮, ২০২০ ১৮:৪০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! আজ ৮ নভেম্বর রোববারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার । আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো।

প্রথমে বাংলাদেশ:

  • ট্রাম্পের চেয়ে কতটা আলাদা হবে বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি?- দৈনিক প্রথমআলো। দৈনিকটি অপর শিরোনাম-বাইডেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জোরালো অবদান রাখবেন, আশা ফখরুলের
  • একদিনে আরও ১৮ প্রাণহানি, নতুন শনাক্ত ১৪৭৪'-দৈনিক যুগান্তর
  • বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে খাবার স্যালাইনের মতো: ওবায়দুল কাদের : দৈনিক ইত্তেফাক
  • দুশো বছর আগের দশা হবে ট্রাম্পের?: দৈনিক মানবজমিন
  • সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সদস্যরা এখন জলে স্থলে ও আকাশপথে বিচরণ করবেন : প্রধানমন্ত্রী:  দৈনিক নয়াদিগন্ত

কোলকাতার দৈনিকগুলোর কিছু শিরোনাম:

  • ট্রাম্প-ভোটবাক্সে কোভিড ‘সংক্রমণ’! নীতীশেরও কি একই পরিণতি? দৈনিক আানন্দ বাজার
  • এমন প্রেসিডেন্ট হতে চাইব যে জুড়বে, ভাঙবে না’‌, প্রথম ভাষণে বললেন বাইডেন- দৈনিক আজকাল
  • ওটা ছিল সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’, নোট বাতিলের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে তোপ রাহুলের -দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

ট্রাম্পের চেয়ে কতটা আলাদা হবে বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি?- দৈনিক প্রথমআলো।

আমেরিকা প্রথম’—এমনটাই বিশ্বাস করতেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক সব চুক্তিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই নীতি ছিল একতরফা, ব্যক্তিগত। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের ভিত্তিতেই ছিল তাঁর পররাষ্ট্রনীতি।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথাগত পররাষ্ট্রনীতিতেই ফিরিয়ে আনবেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও পশ্চিমা ডেমোক্র্যাটদের মূল্যবোধের ভিত্তিতেই পথ চলবেন তিনি।

আমেরিকার নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

বিবিসির বিশ্লেষণে জানা যায়, বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্ব পাবে জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ মোকাবিলার মতো বিষয়গুলো। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের দিকে থাকবে তাঁর মূল নজর। বাইডেন ন্যাটো ও বিশ্ব জোটের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় বিশ্বাসী। ফিরে যেতে চান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায়। অন্যদিকে, ট্রাম্প এ সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে একা চলার নীতি নিয়েছিলেন। বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতিগ্রস্ত ভাবমূর্তিকে পুনরুদ্ধার করতে চান। একনায়কতন্ত্রের বিপরীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান।

বাইডেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জোরালো অবদান রাখবেন, আশা ফখরুলের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সেই সঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী কমলা হ্যারিসকেও অভিনন্দন জানান। আজ রোববার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস গতকাল শনিবার নির্বাচনে বিজয়ী হন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ অভিনন্দনবার্তায় জো বাইডেনের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর এই ঐতিহাসিক বিজয়ে বন্ধুপ্রতিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণও আনন্দিত। বিএনপি মহাসচিব আশা প্রকাশ করে বলেন, জো বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হবেন। একই সঙ্গে বিশ্বে শান্তি, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জোরালো অবদান রাখবেন।

একদিনে আরও ১৮ প্রাণহানি, নতুন শনাক্ত ১৪৭৪'-দৈনিক যুগান্তর

করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৭৪ জন।

রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর এক বুলেটিনে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ১ হাজার ৪৭৪ জনকে নিয়ে দেশে আক্রান্তে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ২৩৮ জন। আরও ১৮ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৬৭ জন হয়েছে।

গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৫৭৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৪৫ জন হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।  গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে খাবার স্যালাইনের মতো: ওবায়দুল কাদের : দৈনিক ইত্তেফাক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে এই মূহুর্তে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই, সংকট চলছে বিএনপির রাজনীতিতে।বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলছে, তারা কোন গণতন্ত্রের কথা বলছে? তাদের ভাষায় গণতন্ত্র কি তাহলে হালুয়া- রুটির গণতন্ত্র, এমন প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে এক চিমটি লবণ, এক মুষ্টি গুঁড় আর আধাসের পানির মিশ্রনের মতো গণতন্ত্র। তিনি বলেন, গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে আরও অনেক পথ ধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আজ বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বিএনপির নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের যে অবিরাম যাত্রা তাতে তারা কী ভূমিকা রাখছে, তা জনগণ জানতে চায়। তিনি বলেন, বিএনপি অবিরাম অগণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে হঠানোর যে ঘোষণা তা কি তাদের গণতন্ত্র? নেতিবাচকতা, মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্র ছাড়া গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সুরক্ষায় বিএনপি কি করেছে তাও জানতে চান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

দুশো বছর আগের দশা হবে ট্রাম্পের?: দৈনিক মানবজমিন

১৮০১ সালের ৪ মার্চ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস ১৮০০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী টমাস জেফারসনকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেছিলেন।তাই অনেক বিশ্লেষক বলেন, ২০শে জানুয়ারির ''মধ্যাহ্নের নীতিটি'' তো এখনও ট্রাম্পের জন্য লেখা হয়নি। সেটি হলো, অ্যাডামস ট্রাম্পের মতোই একগুঁয়েমি করেছিলেন। তিনি অফিস ছাড়বেন না। তাই অফিসই তাকে তালাক দিয়েছিল।দৃশ্যটি ছিল এরকম- জেফারসন শপথ নিচ্ছিলেন। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন অ্যাডামস। তিনি বয়কট করেছিলেন। সেই মুহুর্তে যারা দায়িত্বরত ছিলেন হোয়াইট হাউসে, মানে সেখানকার কর্মচারীরা।তারা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।তারা বেয়াড়া ভাড়াটেকে উচ্ছদের মতোই হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্টের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন। অ্যাডামসই ছিলেন প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি নতুন সরকারি বাসভবন অর্থাৎ হোয়াইট হাউসের প্রথম বাসিন্দা ছিলেন। প্রেসিডেন্টের জন্য চলমান সমস্ত সুরক্ষা তুলে নেয়া হলো। সমস্ত অফিশিয়াল যোগাযোগ কেটে দেয়া হলো।প্রেসিডেন্টের সমস্ত কর্মচারীরা অ্যাডামসের নির্দেশনা গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এভাবেই অ্যাডামস পরে টের পেলেন, তিনি থেকেও '' নেই''।

ঢাকায় পর্যবেক্ষকরা কৌতূহলী হচ্ছেন এটা ভেবে যে, প্রায় সোয়া দুশো বছর পরে সেই একই ঘটনার কিংবা একই নাটক পুনরায় মঞ্চস্থ হতে চলেছে কিনা!সেই সময় থেকে হোয়াইট হাউসের সমস্ত দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ বিষয়টি মনে রেখে চলছেন। বিশেষ করে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের পরাজয়ের খবর পৌছামাত্র বাক্সপেটরা, লোটা কম্বল গোছানো শুরু করেন। কারো নির্দেশের অপেক্ষা করতে হয় না।কারণ ভোট গ্রহনের সিদ্ধান্তের মতো রাষ্ট্রের স্বতন্ত্র অঙ্গগুলো আপনা-আপনি কাজ শুরু করে দেয়। তাই সম্ভাব্য অপমান বা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে, হেরে যাওয়ার লক্ষণগুলো দেখলেই তাড়াতাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত হন। সেনা, সিক্রেট সার্ভিস , সিআইএ, এফবিআই এবং সমস্ত হোয়াইট হাউস কর্মচারী , তারা সকলেই একটি আইনের আওতায় কাজ করে । তারা সকলেই একজনের প্রতি অনুগত, জনগণ যাকে বেছে নিয়েছেন, তার প্রতি।জো বাইডেন ম্যাজিক নম্বর ২৭০ ভোট পাওয়া মাত্রই, এবং সেটা রিটার্নিং অফিসারদের দ্বারা ঘোষণা হওয়া মাত্রই, নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ঘটতে থাকবে:১. গোপনীয় পরিষেবা মানে সিক্রেট সার্ভিসের লোকেদের মনোযোগ ভাগ হবে। আগত প্রেসিডেন্টের দিকে তাদের নজর তীক্ষ্ণ হবে।২. সিআইএ উভয়কে ( বাইডেন ও ট্রাম্প) ব্রিফ করবে।

এটা সাধারণত কমাণ্ডার-ইন চিফ হিসেবে ট্রাম্পই পাওয়ার বিষয় ছিল।৩. সিআইএর কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স টিমও উভয়ের কাছে রিপোর্ট করা শুরু করবে।৪. ২০শে জানুয়ারির মধ্যাহ্নে হোয়াইট হাউস কর্মীরা সরকারি বাড়ি থেকে ট্রাম্পের সমস্ত জিনিসপত্র সরিয়ে নেবেন। এসময় তারা নতুন প্রেসিডেন্টের জিনিসপত্র নিয়ে আসবেন। এজন্য তারা কারও নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করেন না।৫. ট্রাম্পের বেতন নেয়ার ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউসে থাকা বাবদ ভাড়া কাটা বন্ধ হবে জানুয়ারিতে।৬. এর পরিবর্তে জো বাইডেনের প্রেসিডেন্টের বেতন থেকে হোয়াইট হাউসের ভাড়া জানুয়ারি থেকেই কাটা শুরু হবে।৭. মেলানিয়া ট্রাম্প ২০শে জানুয়ারি মধ্যাহ্ন থেকেই হোয়াইট হাউসের বসগিরি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে ধরে নেয়া হবে।৮. এর পরিবর্তে ডঃ জিল বাইডেন ২০শে জানুয়ারির মধ্যাহ্নেই হোয়াইট হাউস-এর নতুন বস হিসেবে মান্য হবেন।৯. ২০শে জানুয়ারির মধ্যাহ্নে সরকারের সমস্ত নেটওয়ার্ক ট্রাম্পের সঙ্গে কেটে দেবে। পেন্টাগন, সিআইএ, এফবিআই, অ্যাটর্নি জেনারেল, তারা আর কথা বলেবেন না ট্রাম্পের সঙ্গে।তবে একটা গোপনীয় পরিষেবার ন্যূনতম অঙ্গ যোগাযোগ বজায় রাখবে। যেহেতু ট্রাম্প তার সারাজীবনই এক্স-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিরাপত্তা রক্ষী পাবেন।১০. ২০শে জানুয়ারিতে দ্য বিস্ট এবং এয়ারফোর্স ওয়ান নামের প্রেসিডেন্টকে গত ৪ বছর ধরে বহনকারী বিমানবহর তাকে শেষ বারের মতো অভিবাদন জানাবে। এবং বাইডেনের দিকে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।আর ঐতিহ্য অনুসারে দি বিস্ট বাইডেনের রক্তের নমুনা বহন করা শুরু করবে। এবং এসব দায়িত্ব পালন করতে তারা কারও কাছ থেকে নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবে না।মার্কিন এই রীতি গত দুশো বছরেরও বেশি সময় ধরে বহাল রয়েছে। দেখা যাক ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এটা কিভাবে কাজ করে?

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সদস্যরা এখন জলে স্থলে ও আকাশপথে বিচরণ করবেন : প্রধানমন্ত্রী:  দৈনিক নয়াদিগন্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বিজিবি’কে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করে বলেছেন, হেলিকপ্টার সংযোজন কেবল শুরু মাত্র, এই যাত্রা বিজিবি’র সার্বিক কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্ব পালনে এখন থেকে বিজিবি সদস্যরা জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিচরণ করবেন।’ প্রধানমন্ত্রী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা সবসময় দেশপ্রেম, সততা ও ঈমানের সাথে দায়িত্ব পালন করে এই বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন। একদিন এ বাহিনী বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মর্যাদা লাভ করবে-এ আমার আশা।’ শেখ হাসিনা বিজিবি এয়ার উইং-এর জন্য ক্রয়কৃত দুটি এমআই-১৭১ই হেলিকপ্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দফতরে এ উপলক্ষে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

ভারতের বিস্তারিত তুলে ধরছি

করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফল ভুগতে হবে— এমন সাবধানবাণী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বহুবার দিয়েছেন আমেরিকার বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সতর্কবার্তা ছিল মূলত আমেরিকাবাসীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবেও যে তার এমন মাসুল দিতে হবে রিপাবলিকানদের, তা হয়তো ভাবেননি ট্রাম্প নিজেও। আমেরিকার ভোট পর্যবেক্ষকদের সিংহভাগ মোটামুটি এক মত, অন্য অনেক কারণের সঙ্গে ট্রাম্পের ভোটবাক্সেও কোভিড ‘সংক্রমণ’।

আর সাত সমুদ্র তেরো নদী পারে আমাদের দেশে নীতীশ কুমারের ক্ষেত্রেও কি একই কথা বলা চলে? অধিকাংশ ভোট পরবর্তী সমীক্ষায় কিন্তু নীতীশ কুমার, তথা এনডিএ জোটের হারের পূর্বাভাস। ভোট পরবর্তী সমীক্ষা সব সময় মিলে যায় এমন নয়, কিন্তু প্রায় সব সমীক্ষাতেই নীতীশের পিছিয়ে পড়ার ইঙ্গিতে অশনি সঙ্কেত দেখছে জেডিইউ-বিজেপির জোট। চূড়ান্ত ফল ১০ নভেম্বর। কিন্তু তার আগেই সমীক্ষার এই ফল বিশ্লেষণে বসে অনেকেই কিন্তু মনে করছেন, এনডিএ জোটের অন্যতম ‘ঘাতক’ হয়ে উঠতে পারে করোনাভাইরাস।

এমন প্রেসিডেন্ট হতে চাইব যে জুড়বে, ভাঙবে না’‌, প্রথম ভাষণে বললেন বাইডেন- দৈনিক আজকাল

আমেরিকার বিভাজন জুড়ে, সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করবেন। স্থানীয় সময় শনিবার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রথম ভাষণে বললেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয়কে ‘‌আত্মবিশ্বাসী জয়’‌ বলেও অভিহিত করেন তিনি। ডেলাওয়্যারে নিজের শহর উইলমিংটনে প্রকাশ্য জনসভায় বাইডেন বলেন, ‘‌এটা আমেরিকাকে সুস্থ করে তোলার সময়। আমি এমন প্রেসিডেন্ট হতে চাইব যে বিভাজন করতে না, একত্রিত করতে চাইবে।’‌ একযোগে কাজ করার জন্য ট্রাম্প সমর্থকদেরও আহ্বান জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘‌ওঁরা আমাদের শত্রু নন। ওঁরাও আমেরিকাবাসী। আমেরিকায় এই বিভাজনের নীতি এবারই শেষ হোক। আমি চাই এই অফিসটা আমেরিকার হৃদয় পুনরুদ্ধার করুক, মধ্যবিত্তরা যারা দেশের শিরদাঁড়া, তাদের পুনর্গঠন হোক এবং আমেরিকাকে সারা বিশ্ব আবার সম্মান করুক।’‌ বিজয়ী ঘোষিত হওয়ার পর তাঁকে নির্বাচনের জন্য বাইডেন আফ্রিকান–আমেরিকান সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। ভাষণ দেওয়ার আগে কমলা হ্যারিসের পরিচিতিও জনতাকে বলেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলা বাইডেন।  

ওটা ছিল সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’, নোট বাতিলের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে তোপ রাহুলের -দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

নোট বাতিলের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বেনজির কটাক্ষ কংগ্রেসের। চার বছর আগে মোদির নেওয়া ‘হটকারী’ সিদ্ধান্তকে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দেগে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর দাবি, নিজের কর্পোরেট বন্ধুদের ঋণ মকুব করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের টাকা ব্যাংকে ঢুকিয়েছেন মোদি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের, ৮ নভেম্বর রাত আটটায় ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের (Note Ban) সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য ছিল, সিস্টেম থেকে সমস্ত কালো টাকা ছেঁকে ফেলা এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের হাতেনাতে পাকড়াও করা। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, নোট বাতিলের ফলে সন্ত্রাসবাদীদের অর্থের সংস্থান বন্ধ হবে এবং সন্ত্রাস কমবে। বস্তুত পরে দেখা গিয়েছে এই উদ্দেশ্যগুলির কোনওটিই সেভাবে সাধিত হয়নি। উলটে সিস্টেম থেকে হঠাত মোটা অঙ্কের নগদ উধাও হয়ে যাওয়ায় অর্থনীতি স্লথ হয়েছে। বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। খোদ রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) নিজেদের রিপোর্টে স্বীকার করেছে, নোট বাতিলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি।

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ