নভেম্বর ১৬, ২০২০ ১৮:০৭ Asia/Dhaka
  • একনজরে ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১৬ নভেম্বর সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • করোনার রোগী ৭১ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি-দৈনিক প্রথম আলো
  • বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তিকে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • বাইডেনের জয় মেনে নেয়ার এখনই সময়: ট্রাম্পকে ওবামা - দৈনিক যুগান্তর
  • মাস্ক পরা নিশ্চিতে কঠোর হচ্ছে সরকার- দৈনিক ইত্তেফাক
  • করোনা পরবর্তী বিশ্বে অত্যন্ত সাহসী পরিকল্পনার প্রয়োজন: ড. মুহাম্মদ ইউনূস-দৈনিক মানবজমিন
  • গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে : মেজর হাফিজ-দৈনিক নয়াদিগন্ত

ভারতের শিরোনাম:   

  • সপ্তম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নীতীশের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • বাইডেন জিতেছে’‌, এই প্রথমবার মেনে নিয়েও ট্রাম্প বলছেন, ‘‌হার স্বীকার করিনি’‌–দৈনিক আজকাল
  • ভোটের সময় রাহুল সিমলায় পিকনিক করছিলেন,’ ‌বিহারে হারের দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপালেন RJD নেতা-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার আসরে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

কথাবার্তার প্রশ্ন

১. কথাবার্তার প্রশ্ন
১. করোনায় প্রণোদনার অর্থ বিতরণে হ-য-ব-র-ল। এমন খবর দিয়েছে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা। কেন এই অবস্থা?
২. ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য চাপে আছে পাকিস্তান- একথা জানিয়েছেন দেশট্রি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রশ্ন হচ্ছে পাকিস্তান কী এই চাপ উপেক্ষা করতে পারবে?

করোনার রোগী ৭১ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি-দৈনিক প্রথম আলো

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত) নতুন করোনা রোগী শনাক্ত বেড়েছে, তবে মৃত্যু এর আগের দিনের মতোই রয়েছে। এই সময় ২ হাজার ১৩৯ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে করোনায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল রোববার নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৮৩৭ জন। আর মৃত্যু হয়েছিল ২১ জনের। গত শনিবার ১ হাজার ৫৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ১৪৬ জন।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আজ যত রোগী শনাক্ত হয়েছেন এর চেয়ে বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৭ সেপ্টেম্বর। ওই দিন শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২০২ জন। অর্থাৎ ৭১ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে আজ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৭৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তিন সপ্তাহ ধরেই সংক্রমণ ও শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

দেশে করোনায় সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে চলতি বছরের ৮ মার্চ।

প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় ১৮ মার্চ। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর মধ্যে সরকার আশঙ্কা করছে, শীতে আবার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তিকে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন। পরিদর্শনকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং এ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি মন্তব্য করেন বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কেবল শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে চায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন

গত শুক্র ও শনিবার পররাষ্ট্রসচিবসহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের সমমান ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে ওৎপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের ভিয়েনা ও মস্কো মিশনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের বিষয়ে আইএইএ ও রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন, নিরাপত্তা রক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কূটনীতিক ও সম্ভাব্য রাষ্ট্রদূতদের জন্য সরেজমিনে এ পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়। এছাড়া পারমাণবিক শক্তিকে ইতিবাচক কাজে ব্যবহারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়।

বাইডেনের জয় মেনে নেয়ার এখনই সময়: ট্রাম্পকে ওবামা - দৈনিক যুগান্তর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেনকে মেনে নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।  তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে বলেছেন– জো বাইডেনের জয় মেনে নেয়ার এখনই সময়। সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট ওবামা এও বলেন, মার্কিনিরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। খবর এনডিটিভির। সিএনবিসি নিউজের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে ওবামা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অবশ্যই বাইডেনকে মেনে নেয়ার এখনই সময়। কোনো কোনো রাজ্যের ভোটের ফল জানা না গেলেও প্রকাশিত ফলে এই আভাসই মিলেছে যে, বাইডেন পপুলার ও ইলেকটোরাল ভোটে জয়ী হয়েছেন। ট্রাম্প যেসব অভিযোগ করেছেন, সেগুলো ধোপে টেকেনি। নির্বাচনের ফল উল্টে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই ট্রাম্পের উচিত আর দেরি না করে বাইডেনকে মেনে নেয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের চরম বিভক্ত সমাজ নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির সমাজের চরম বিভক্তি প্রকাশ পেয়েছে। শুধু এক নির্বাচনের মধ্য দিয়েই মার্কিন সমাজের এ বিভক্তি দূর হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।  

এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ওবামা বলেন, যখন আপনার সময় শেষ হয়ে গেছে, তখন দেশের স্বার্থেই আপনার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। নিজের একগুঁয়েমি, স্বার্থ ও হতাশার ঊর্ধ্বে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখা উচিত।

এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার নতুন গ্রন্থ ‘এ প্রমিজড ল্যান্ড’ নিয়ে বিবিসি, সিবিএসসহ বেশ কিছু প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসব সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনপরবর্তী সময়ের উৎকণ্ঠা ফুটে উঠেছে।  

৩ নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে উভয় প্রার্থী কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন। বারাক ওবামা বলেন, দুই প্রার্থীর সাত কোটির বেশি ভোট পাওয়া প্রমাণ করে আমেরিকার সমাজ কতটা বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

এ নিয়ে তার মধ্যে কোনো উদ্বেগ কাজ করছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বারাক ওবামা বলেন, অবশ্যই। এমন বাস্তবতায় গণতান্ত্রিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া বেশ দুরূহ হয়ে ওঠে।

বারাক ওবামা এবারের নির্বাচনে এ প্রথা থেকে বেরিয়ে এসে সরাসরি বাইডেনের পক্ষে মাঠে কাজ করেছেন। এ নিয়ে এক প্রশ্নে নিজের পছন্দে এ কাজ করেননি বলে জানিয়েছেন ওবামা। এবারের পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানাতে চাই এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কোনো জরুরি নিয়মের লঙ্ঘন ঘটেনি।’

এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে সঠিক ভূমিকা না রাখার জন্য রিপাবলিকান দলের দায়িত্বশীল নেতৃত্বের কঠিন সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। 

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের পরাজয় না মানার পর রিপাবলিকান দলের মূল নেতৃত্ব তাকে কার্যত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। ওবামা বলেন, সময় আসে, যখন নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রাখতে হয়। ক্ষমতা একটা অস্থায়ী বিষয় উল্লেখ করে ওবামা বলেন, এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

জো বাইডেনকে সর্বাত্মক সমর্থন দেবে জানিয়ে ওবামা বলেন, জো বাইডেনকে যখনই সম্ভব, সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত। তবে এও বলেন যে, বাইডেনের প্রশাসন চালাতে তার সমর্থন লাগবে না।

বারাক ওবামা কৌতুক করে বলেন, তিনি আবারও হোয়াইট হাউসের কর্মচারীদের সঙ্গে কাজ করা শুরু করে দিলে মিশেল ওবামা হয়তো তাকে ছেড়েই যাবেন। সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল হয়তো বলবেন, এ কী করছ তুমি?

মাস্ক পরা নিশ্চিতে কঠোর হচ্ছে সরকার- দৈনিক ইত্তেফাক

মাস্ক পরার নির্দেশনা থাকলেও তা না মানায় কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযান চালাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিড নিয়ে আরেকটু স্ট্রিক্ট ভিউতে যেতে হবে। করোনা সংক্রমণ একটু বেড়েও যাচ্ছে মনে হচ্ছে। সেজন্য সতর্কতা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অলরেডি আমরা বলে দিয়েছি যাতে ঢাকাতেও বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট বা ল-এনফোর্সিং এজেন্সি আরেকটু স্ট্রং হয়।’কবে ভ্রাম্যমাণ আদালত নামবে, সেই প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে দেখা যাবে।’

করোনা পরবর্তী বিশ্বে অত্যন্ত সাহসী পরিকল্পনার প্রয়োজন: ড. মুহাম্মদ ইউনূস-দৈনিক মানবজমিন

করোনার পরবর্তী সমাজব্যবস্থায় শ্রমিকদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে নতুন ধরনের ব্যাংক গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ তাঁর মতে, এই মহামারীর কারণে যে লাখো-কোটি শ্রমিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাদের সহায়তার জন্য এমন ব্যাংক তৈরি করা দরকার৷ করোনা পরবর্তী বিশ্বের জন্য অত্যন্ত সাহসী ও দৃঢ় চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি৷‘গরিবের ব্যাংকার' নামে পরিচিত এই বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘‘এই সংকট আমাদের জন্য সুন্দর, সবুজ ভবিষ্যতের পথ তৈরি করছে৷'' তবে বর্তমান সময়ে এটিকে টাইম বোমার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি৷করোনা পরবর্তী সমাজে তিনটি ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলেছেন তিনি:এক. জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করাদুই. সম্পদের সুষ্ঠু বন্টনএবং তিন. গণ বেকারত্ব প্রতিরোধ করা, যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে অনেক মানুষ চাকরি হারাচ্ছে৷ থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের বার্ষিক আয়োজন ‘ট্রাস্ট কনফারেন্সে' ইউনূস বলেন, ‘‘করোনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থার দুর্বলতা৷'' তবে সবচেয়ে সংকটের মুহূর্তে সবচেয়ে সুন্দর ভাবনাগুলো বেরিয়ে আসে বলে মনে করেন তিনি৷

শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস

তিনি বলেন,‘‘আমাদের উচিত পুরোনো চিন্তাগুলোকে দূরে ঠেলে সাহসের সাথে নতুন ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করা, যেগুলো আগে কখনো করা হয়নি৷''অনলাইন এই সম্মেলনে ৮০ বছর বয়সি এই অর্থনীতিবিদ করোনা পরবর্তী সমাজ গঠনের ক্ষেত্রেসামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলো সমাধানের উপর জোর দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘মানুষ কোন অর্থ বানানোর রোবট নয়, মানুষকে বাণিজ্যখাতে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে, কেবল লাভের কথা ভাবলে হবে না৷'' বলেন,‘‘বাংলাদেশে ৭০ ভাগ শ্রমিকের কোন সঞ্চয় নেই, করোনার কারণে এই শ্রমিকরা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছে৷'' তাই এই শ্রমিকদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ‘স্যোশাল বিজনেস মাইক্রো-অন্তপ্রনেরিয়াল ব্যাংক' প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

ধনী দেশগুলোর করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিক্রির সমালোচনা করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘‘বিশ্বের একজন ব্যক্তি যদি অরক্ষিত থাকে, তাহলে সবার সুরক্ষিত থাকা সম্ভব নয়৷''এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেছেন, ‘‘সময় এসেছে বিকেন্দ্রীকরণের৷ বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে কেনো গ্রামগুলোতে কল সেন্টার স্থাপন করা সম্ভব নয়?'' অর্থাৎ শহরমুখী যে অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি সেটাকে বিকেন্দ্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ করোনার আগের বিশ্বকে বৈশ্বিক উষ্ণতা, ধনী-গরীব বৈষ্যমের বিশ্ব বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘‘সেই সময়ে ফিরে যাওয়ার কোন দরকার নেই৷ কেননা সেটা এমন একটা ট্রেন যা আমাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো৷'' তাই তিনি ‘ওয়ার্ল্ড অফ থ্রি জিরোস' এর উপর জোর দিয়েছেন৷ অর্থাৎ কার্বন নির্গমনের হার শূন্যে নিয়ে আসা, সম্পদের বৈষম্য শূন্যে আনা এবং বেকারত্বের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটাই সময় এগুলোকে বাস্তবায়ন করার৷

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে : মেজর হাফিজ-দৈনিক নয়াদিগন্ত

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, ভোটে নয়, রাজপথে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জ্বল হোসেন মানিক মিয়া হলে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য এবং গৃহবন্দি থেকে নিঃশর্ত মুক্তির করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

মেজর হাফিজ বলেন, `জনগণের যেহেতু ভোটের মাধ্যমে আর পরিবর্তনের সুযোগ নেই। যত দিন এই সরকার আছে ততদিন ভোট কেন্দ্রে সাধারণ নাগরিক যেতে পারবে না। সুতরাং একমাত্র উপায় গণঅভ্যুত্থান।'

‘জনগন যদি রাস্তায় নেমে আসে। ওই যে আমি বলেছি, দুই লাখ লোক দুইদিন রাস্তায় থাকেন পালিয়ে যাবে তারা(আওয়ামী লীগ সরকার)। সেই সাহস সঞ্চয় করে আসুন আমরা আগামী দিনে এই সরকারকে বিতাড়িত করতে রাজপথে আবার নেমে আসি।’

চলমান ব্যবস্থায় দলের নির্বাচনে অংশ গ্রহণে নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘কেন আমরা এই ধরনের নির্বাচনে যাই? যখন নির্বাচনে যাওয়া উচিত না তখন যাই, যখন যাওয়া উচিত তখন যাই না। যে দিন সংসদে যাওয়া উচিত না সেই সংসদে গিয়ে আমরা বসে থাকি। যার জন্য আজকে বিএনপিকে চার‘শ ভোট দেয়। তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ওদের প্রার্থী পেয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ভোট আর আমাদের প্রার্থী পেয়েছে ৪‘শ ভোট।'

‘আরে বিএনপির এজেন্টই তো হাজারের বেশি। আমাদের কোনো এজেন্ট ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন না, কোনো ভোটার ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে না এমনকি আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে না-এই হলো বাংলাদেশের গণতন্ত্র।'

সাবেক এই সেনাকর্মকর্তা বলেন, ‘যদি আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শের অনুসারী হয়ে থাকি তাহলে আমাদের দলেও তার প্রতিফলন থাকতে হবে। জিয়াউর রহমানের মতো সৎ হতে হবে, তার মতো সাহসী হতে হবে এবং দেশের স্বার্থে কখনো কোনো ধরনের আপোষ করা যায় না।’

‘বেগম খালেদা জিয়া আপোষ করেননি। কিন্তু আমরা অনেকে আপোষ করে বসে আছি। আজকে দূঃখের বিষয় খালেদা জিয়ার মতো নেত্রী বছরের পর বছর জেলে কাটালেন আমরা কী করতে পেরেছি?।'

`উগ্রবাদীদের উত্থানে উদ্বেগ'বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবচাইতে বড় অশনিসংকেত আমি দেখতে পারছি- বিএনপি তো এখন ডাক দিলে রাস্তায় নামাতে পারে না। আমাদের এতো শক্তিশালী ছাত্রদল ছিলো তাদেরকে রাস্তায় নামাতে পারে না। কেন তাদের নামাতে পারেন না আমি জানি না। কারণ আমি এই দলের এত বিরাট নেতাও না। কিন্তু অন্যদিকে যে, তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে। ইসলামী দলগুলোর মিছিল দেখেন, তাদের সংখ্যা দেখেন রাজপথে।'

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা সক্রিয় হই। এই সরকার তো যাবে, আওয়ামী জাহিলাতের অবসান হবেই । এই ধরনের একটা নষ্ট পঁচা সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ বেশি দিন সহ্য করবে না। কিন্তু তার পরিবর্তন কীভাবে আসবে? কারা এদেরকে সরাবে-এটাই দেখার বিষয়। আমরা যেটা দেখতে পারবো, এটা বেশি দূরে নয়।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুঃখ লাগে এই সামরিক বাহিনী আমরা সৃষ্টি করেছি। কত সন্মানের পাত্র ছিলো তারা। নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনী যেখানে যেতো দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যেতো। আর এ্খন। গত নির্বাচনের আগের রাতে সব ভোট দিয়ে ফেললো আর সেনা প্রধান বললেন, এতো ভালো ভোট আমি জীবনে দেখিনি। সুতরাং আমাদের যে শেষ ভরসার স্থল সেটিও চিন্তাভাবনার বিষয় তাদের অবস্থান কী? অত্যন্ত দুঃখ লাগে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাক, এই সেনাবাহিনীর জন্য কষ্ট লাগে- আমরা এই সেনা বাহিনী সৃষ্টি করেছি একাত্তর সালে। ২৫ জন সেনা কর্মকর্তারা পাকিস্তান আর্মিতে আমরা যারা ছিলাম আমরা বিদ্রোহ করে মুক্তিবাহিনী এবং বাংলাদেশ সেনা বাহিনী গড়ে তুলেছি। গত ৫/৭ বছরে এরা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখনো সাধারণ সৈনিকেরা ভালো আছে, জুনিয়র অফিসার-মিড লেভেল অফিসাররা ভালো আছে। শীর্ষ পর্যায় কয়েকজন নষ্ট হয়ে গিয়ে্ছে। আমরা সেনাবাহিনীকে রাজনীতি মুক্ত চাই। সেনাবাহিনী যেন বাংলাদেশের কোনো দলের সেনাবাহিনী নয়, জনগনের সেনাবাহিনী হয়-এটাই আমরা আশা করি।'

‘অটো প্রমোশন প্রসঙ্গে’

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ করোনা আক্রান্ত, যুক্তরাষ্ট্রে ১১ লাখ লোক মারা গেছে, এক কোটির উপরে লোক আক্রান্ত, যুক্তরাজ্যের কত লোক আক্রান্ত। কোনো দেশে পরীক্ষা বন্ধ হয় নাই, সব দেশে পরীক্ষা হয়েছে। এই এক অভাগা বাংলাদেশ। বিনা পরীক্ষায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দিয়ে দিলো। মানে এমনই মেধা শূণ্যতা এসেছে আমাদেরকে গ্রাস করেছে, এমনই অপদার্থের দেশ বাংলাদেশ-একটা লোক মাথা খাটিয়ে বললো না, একটা লোককে জিজ্ঞাসাও হয়ত করে নাই যে, ভাই কিভাবে আমরা পরীক্ষাটা নিতে পারি?'

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে পরীক্ষা চলছে, যাদের লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাচ্ছে তারা পরীক্ষা নিতে পারছে। আর আমাদের সরকারি হিসেবে ৬ হাজার লোক মারা গেছে- আমরা কেনো পরীক্ষা নিতে পারছি না। আমাদের জাতিকে মূর্থের জাতিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কি শিক্ষা ব্যবস্থা এদে্শে এখন আছে। পরিকল্পিভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। এক অদ্ভুত উটের পীঠে চলছে বাংলাদেশ। মেধাশূণ্য করতে তারা(সরকার) এই অটোপ্রমোশন দিলেন।’

‘মেধাবী লোক সরকারের শত্রু’হাফিজ বলেন, ‘মেধাবী লোক হচ্ছে এদের শত্রু। ড. মুহাম্মদ ইউনুস(নোবেল বিজয়ী)কে সারা বিশ্ব কত সন্মান করে। পৃথিবীর যেখানে যাবেন রাষ্ট্রপতি বাড়ির বাইরে এসে গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের দেশে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়, তাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়, তাকে সুদখোর বলা হয়।’

সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন,প্রফেসর শাহ আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা একেএম আবুল কালাম আজাদ ও কৃষকদল নেতা কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন বলেন, আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। অনেকে মনে করেন বিএনপি নিস্তেজ হয়ে পড়েছে, এটা সঠিক নয়। বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল।দিন দিন আওয়ামী লীগের জনসমর্থন কমছে আর বিএনপির বাড়ছে। দেশের নব্বই ভাগ মানুষ বিএনপির সাথে আছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একবার ক্ষমতাচ্যূত হলে আর জীবনে আর ক্ষমতার মুখ দেখবে না।কাদের গনি চৌধুরী বলেন,পুরনো ব্যবস্থাকে দুমড়ে মুছড়ে নতুন রাজনৈতিক সমাজ গড়ার উদ্যোগই হল বিপ্লব।সাত নভেম্বর তেমনি একটি বিপ্লব। ৭নভেম্বরের পরের বাংলাদেশ তার আগের বাংলাদেশ থেকে স্বতন্ত্র হয়ে ওঠে। এ স্বাতন্ত্র্য সুন্দর ও মজবুত হয় অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে। সুন্দর হয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। ৭ নভেম্বরের আগের বাংলাদেশে বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক একদলীয় বাকশালের ঘন কুয়াশা ৭ নভেম্বরের পরের বাংলাদেশে কেটে গেছে। বহদলীয় গণতন্ত্রের অনুসারী দলগুলো ক্রমেই বিকশিত হতে শুরু করেছে। সংবাদপত্রের মুখে নতুনভাবে কথা ফুটেছে। আগের বন্ধ চোখে দৃষ্টি ফিরেছে। কান খাড়া হয়েছে। নির্বাহী কর্তৃত্বের নিয়ন্ত্রণ থেকে সরে ক্রমেই বিচার বিভাগ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের পর থেকেই রুশ-ভারতের অন্ধকার কক্ষপথ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মুক্তিলাভ করে বিশ্বময় বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ লাভ করে।৭ নভেম্বরের আগে যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছিল নিঃসঙ্গ, বন্ধুবিহীন, একাকী সেই বাংলাদেশ বিশ্বময় বহুসংখ্যক সুহৃদ ও শুভানুধ্যায়ীর গতিশীল হতে থাকে। ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তি পায়।

সমাজতন্ত্রের নামে দেশে যে অপচয়প্রবণ দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কাঠামো বিদ্যমান ছিল তার অবসান ঘটতে থাকে। ব্যক্তি উদ্যোগ এবং সৃজনশীল প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়। হেনরি কিসিঞ্জারের সেই নির্মম অভিধা- ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র শতছিদ্র একে একে বন্দ হতে থাকে।৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্যের আর একটি দিক হলো সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরে আসে।

সপ্তম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নীতীশের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

কার্যত বিজেপির কাঁধে ভর দিয়ে সপ্তম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন  নীতীশ কুমার। সোমবার রাজভবনে শপথ নিলেন নীতীশ। এই নিয়ে টানা চতুর্থ বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন নীতীশ। 

কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিহারে। উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির তারকিশোর প্রসাদ এবং রেণু দেবী। বিহারের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা বিধায়ক উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।  ফলে মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁকে বিজেপির চাপেই থাকতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। 

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আগেই বয়কটের ঘোষণা করেছিল আরজেডি। ফলে তেজস্বী যাদবের দলের কেউ নেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। অন্য দিকে জোট শরিক বিজেপির পক্ষ থেকে অমিত শাহ, জে পি নড্ডারা রয়েছেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। 

বাইডেন জিতেছে’‌, এই প্রথমবার মেনে নিয়েও ট্রাম্প বলছেন, ‘‌হার স্বীকার করিনি’‌–দৈনিক আজকাল

ভাঙলেন তবু মচকাবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে নিজেই বলছেন, ‘‌নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বাইডেন’‌। তবে তার সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন, ‘‌রিগিং–ও হয়েছে।’‌ আগাম জানিয়ে রাখছেন, শেষ থেকে ছাড়বেন। আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। রবিবার ট্রাম্প টুইটারে স্পষ্ট লেখেন, ‘‌ফেক নিউজ মিডিয়ার চোখে বাইডেন জিতেছে। এখনও হার স্বীকার করিনি। দীর্ঘ লড়াই রয়েছে সামনে। এই নির্বাচনে রিগিং হয়েছে।’‌ বাইডেনের নাম না করে আরও একটি টুইটে বলেন, ‘‌ভোট গোনার সময়ে পর্যবেক্ষকদের সামনে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। একটি বেসরকারী র‌্যাডিক্যাল বামপন্থী কোম্পানি, ডোমিনিয়ন ভোট গণনার কাজ করেছে। তাদের নাম বাজারে খুব খারাপ। যন্ত্রপাতিতে ত্রুটি থাকে। এত কিছুর পরও টেক্সাসে আমিই জিতলাম। আর তা নিয়ে ফেক মিডিয়াগুলো একেবারে চুপ।’‌ 

এমন পরিস্থিতিতে ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের হাতে কীভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর সুষ্ঠুভাবে হবে, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মার্কিন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। উল্টোদিকে ডেমোক্র‌্যাটদের অভিযোগ, বাইডেনের এই জয় এবং আমেরিকার ভোট প্রক্রিয়ার ওপর নাগরিকদের যে বিশ্বাস রয়েছে, তা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ভোটের সময় রাহুল সিমলায় পিকনিক করছিলেন,’ ‌বিহারে হারের দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপালেন RJD নেতা-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে বিহার নির্বাচন। অল্পের জন্য ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে NDA জোট। তবে দুর্দান্ত লড়াই করে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে তেজস্বী যাদবের RJD। মহাজোটে থাকা বামেরাও ভাল ফল করেছে। তবে একেবারেই আশানুরূপ ফল করেনি কংগ্রেস (Congress)। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের খারাপ ফলই মহাজোটের হারের অন্যতম কারণ। এই পরিস্থিতিতে হারের জন্য সরাসরি কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দুষলেন আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি। তাঁর অভিযোগ, বিহার ভোটে জেতার জন্য পুরোদমে ঝাঁপায়নি কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা আসেননি। রাহুলও কেবল তিনটি মাত্র সভা করেছেন।

সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি বলেন, ‘‌‘‌বর্তমানে মহাজোটের পায়ের শিকলে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস। ওরা ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৭০টি জনসভাও করেনি। রাহুল গান্ধী তিনদিনের জন্য এসেছিলেন। প্রিয়ঙ্কা আসেননি। এটা ঠিক নয়।’‌’‌ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘‌‘‌আমার মনে হয় শুধুমাত্র বিহারেই এই ঘটনা ঘটছে না। অন্যান্য রাজ্যেও কংগ্রেস বেশি জোর দেয় প্রার্থী দেওয়ার দিকেই, কিন্তু কীভাবে সেই প্রার্থীদের জেতাতে হবে সেই নিয়ে তাঁদের কোনও পরিকল্পনা থাকে না। কংগ্রেসের এই বিষয়ে অবশ্যই ভাবা উচিত।’‌’‌

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ