নভেম্বর ২৩, ২০২০ ১৭:৫২ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক! ২৩ নভেম্বর সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • একদিনে দেশে আরও ২৮ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৪১৯ -যুগান্তর
  • বাইডেন যুদ্ধ বাধাতে পারেন, আশঙ্কা চীন সরকারের উপদেষ্টার -প্রথম আলো
  • ক্ষমতা আজ আছে কাল নেই : কাদের -বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • এবার শত শত ইমাম-মুসলিম নেতাদের বন্দি করেছে চীন -ইত্তেফাক
  • একই রোল নিয়ে পরবর্তী ক্লাসে যাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা -কালের কণ্ঠ
  • অক্সফোর্ডের টিকা ৭০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে -সমকাল
  • ভ্যাকসিন না পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কঠিন: পরামর্শক কমিটি -মানবজমিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • বাংলার রাজ্যপাল ‘বিজেপির মুখপাত্র’, জগদীপ ধনকড়কে পালটা খোঁচা নুসরতের -সংবাদ প্রতিদিন
  • করাচি একদিন ভারতের অংশ হবে’, দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • বিহার ভোটের সুফল বিজেপি পাবে বাংলা এবং অসম বিধানসভা ভোটে, আশাবাদী হিমন্ত বিশ্বশর্মা -আজকাল

শিরোনামের পর এবার দুটি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. রাজউকে গোল্ডেন মনিরের বিকল্প প্রশাসন। কী বলবেন এই খবর সম্পর্কে?

২. সৌদি আরব বলেছে, জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলে পরমাণু সমঝোতায় না ফিরে বরং নতুন চুক্তির জন্য আলোচনা করা উচিত হবে এবং সে আলোচনায় সৌদি আরবকে রাখতে হবে। ইরান কী নতুন চুক্তিতে রাজি হবে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

ক্ষমতা আজ আছে কাল নেই : কাদের-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতা আজ আছে কাল নেই। এটি কচুপাতার শিশির বিন্দুর মতো। খারাপ আচরণ সব উন্নয়নকে ম্লান করে দেয়।সোমবার দুপুর ১২টায় বসুরহাট পৌরসভা হলরুমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাত নেতার স্মরণে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশের শান্তি-স্বস্তি নষ্ট করে। স্থিতিশীলতার পরিবর্তে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য এমন কোনো অপচেষ্টা নেই, যা তারা করছেন না। তবে নির্বাচন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে, কমছে মূল্যায়ন নম্বর-দৈনিক ইত্তেফাক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ( কার্জন হল)

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কথা বিবেচনায় রেখে নিজ নিজ বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় নম্বর বণ্টনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, সারাদেশের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ৮টি বিভাগীয় শহর তথা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। যে বিভাগের শিক্ষার্থী সে বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় ক, খ, গ ও ঘ এই চারটি ইউনিটে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ (বহু নির্বাচনী), ৪০ নম্বরের লিখিতসহ মোট ৮০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ১০ করে মোট ২০ নম্বরের মূল্যায়ন নম্বর প্রদান করা হবে। সর্বমোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাবি ভর্তি কমিটি। সময় ও বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনরা।

এছাড়াও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে তথা আগামী বছরের ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ ইউনিট আগের মতোই বহালের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর বাইরে ঘ ইউনিটের বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া, সভায় সিট কমানোর বিষয়ে কথা উঠলেও তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ এবং পরীক্ষার সময়সূচি যথাসময়ে জানানো হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং ভর্তি কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

এবার শত শত ইমাম-মুসলিম নেতাদের বন্দি করেছে চীন-ইত্তেফাক

ইমাম এবং মুসলিম নেতাদের বন্দি করেছে চীন

উইঘুরদের নির্যাতনের পাশাপাশি এবার ইমাম এবং মুসলিম নেতাদের বন্দি করেছে চীন। সম্প্রতি এক নির্বাসিত উইঘুর ভাষাতত্ত্ববিদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত মুসলিম এবং ধর্মীয় নেতাদের বন্দি করেছে চীন।

রেডিও ফ্রি এশিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইমামদের বন্দি করে রাখায় ঘটনায় সেখানকার পরিবেশ এমন হয়েছে যে তারা মৃত্যুর ভয় পাচ্ছে, কেননা তাদের জানাজা সম্পন্ন করার মত ইমাম নেই।

নরওয়ে ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সিটিস অফ রেফিউজি নেটওয়ার্ক ( আইসিওআরএন) সংস্থার এক্টিভিস্ট আব্দুলওয়ালি আইয়ুপ শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুরদের সাক্ষাতকার নিয়ে বলেন, অন্তত ৬১৩ জন ইমামকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ভিত্তিক উইঘুর মানবাধিকার সংস্থার 'ইমামরা কোথায়?' টাইটেল ওয়েবিনারে আইয়ুপ বলেন, আমরা ২০১৮ সালের মে মাস থেকে এই অনুসন্ধান শুরু করি ... এবং নভেম্বরে এই সাক্ষাতকার শেষ হয়। আমি লক্ষ করেছি বেশি সংখ্যক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় নেতাদের টার্গেট করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে তিনি গণহারে ইমামদের বন্দি করে রাখার প্রমাণাদি তুলে ধরেন।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বাংলার রাজ্যপাল ‘বিজেপির মুখপাত্র’, জগদীপ ধনকড়কে পালটা খোঁচা নুসরতের-সংবাদ প্রতিদিন

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়

পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। সময় যত এগোচ্ছে ততই চড়ছে ভোটের উত্তাপ। আপাতত শাসক-বিরোধী বাকযুদ্ধে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সোমবার তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন বসিরহাটের তারকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও একহাত নেন তিনি।

দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। কখনও প্রশাসনিক আবার কখনও শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ সুর চড়িয়েছিলেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। তাই রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে টুইট-পালটা টুইট এবং পত্রবোমা আদানপ্রদান লেগেই থাকে। সম্প্রতি গরুপাচার এবং কয়লা কাণ্ড নিয়ে জোরাল আক্রমণের পথে হেঁটেছেন রাজ্যপাল। একাধিক সংঘাতের প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে এদিন ‘বিজেপির মুখপাত্র’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নুসরত।

‘করাচি একদিন ভারতের অংশ হবে’, দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস

মুম্বইয়ের ‘করাচি সুইটস’ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল দিন কয়েক আগেই। এবার সেই বিতর্কে যোগ দিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। বিজেপির নেতা দেবেন্দ্র দাবি করে বসলেন, করাচিও একদিন অখণ্ড ভারতের অংশ হবে। বললেন, “আমরা অখণ্ড ভারতে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি, কএ দিকে রবিবার, মহারাষ্ট্র সরকারের জোট সঙ্গী এনসিপির মন্ত্রী নবাব মালিক এই অখণ্ড ভারতের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘দেবেন্দ্র ফডণবীস বলার অনেক আগে থেকেই আমরা বলছি ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের এক হয়ে যাওয়া উচিত। যদি বার্লিনের প্রাচীর ভাঙা পড়তে পারে, তা হলে কেন এই তিন দেশ এক হতে পারবে না? বিজেপি যদি চায় তিন দেশকে একসঙ্গে করে অখণ্ড ভারত তৈরি করতে, আমরা স্বাগত জানাব’’, সংবাদ সংস্থাকে বলেন তিনি। রাচিও একদিন অখণ্ড  ভারতের অংশ হবে।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন তিনি।

বিহার ভোটের সুফল বিজেপি পাবে বাংলা এবং অসম বিধানসভা ভোটে, আশাবাদী হিমন্ত বিশ্বশর্মা-দৈনিক আজকাল

হিমন্ত বিশ্বশর্মা

বিহার ভোটে জেডিইউ–কে সরিয়ে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। সেই সুফল আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্যই পাবে বিজেপি। এমনটাই মনে করছেন উত্তরপূর্ব ভারতে বিজেপির কাণ্ডারি হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় লোকসভা ভোটের ফলের প্রভাবই দেখা গিয়েছে কারণ মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিয়েছে। মোদির প্রতি জনতার বিশ্বাস অটুট রয়েছে। হিমন্তের মতে, এনআরসি–সিএএ এখন আর কোনও ইস্যুই নয় দেশবাসীর কাছে।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৩ 

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।


 

ট্যাগ