কথাবার্তা: ভারতে কৃষক আন্দোলনের নতুন মাত্রা-সিল করা হলো দিল্লির সীমানা, উদ্বেগে বিজেপি
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৩০ অক্টোবার সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- করোনার টিকা মানুষ বিনামূল্যে পাবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব-দৈনিক প্রথম আলো
- পার্বত্যাঞ্চলে হত্যা করা হচ্ছে মূল ধারার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের -দৈনিক ইত্তেফাক
- ডিএনএ রিপোর্টে ৪ আসামির জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে-দৈনিক নয়া দিগন্ত
- মানবপাচার: ৬ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিস -দৈনিক যুগান্তর
- পৌর নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির-কালের কণ্ঠ
- আলেমদের কটু কথা বলবেন না, তাদের বলতে দিন : জাফরুল্লাহ-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- ২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু-মানবজমিন
ভারতের শিরোনাম:
- কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মধ্যরাতে অমিতের বৈঠক, সিল করা হল দিল্লির সীমানা -আনন্দবাজার পত্রিকা
- ভারতের দূষিত জলেই জন্ম করোনা ভাইরাসের! চিনের দাবি ঘিরে তুমুল শোরগোল -সংবাদ প্রতিদিন
- এক দেশ এক বাজার’ তত্ত্ব মিথ্যে, কর্পোরেটদের খুশি করতেই নয়া কৃষি আইন, দাবি কৃষকদের -আজকাল
শিরোনামের পর এবার দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার আসরে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। জনাব সিরাজুল ইসলাম
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে থেকে বলা হয়েছে বিবেক হারিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন এই বক্তব্য?
২. ইরানকে উসকানি দিতেই পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে- এ কথা বলেছে রাশিয়া। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
সব অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে: দীপু মনি-দৈনিক ইত্তেফাক
বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে অনেক অস্ত্র ব্যবসায়ীর লাভ। তারা এখানে অস্ত্র ব্যবসা করবে। যেমন করে আফগানিস্তানে । আমরা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান হতে দেবো না। শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নগরের চান্দগাঁও এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন।
ইত্তেফাকের অন্য একটি খবরের শিরোনাম-'বাংলাদেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান হতে দেবো না'
বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে অনেক অস্ত্র ব্যবসায়ীর লাভ। তারা এখানে অস্ত্র ব্যবসা করবে। যেমন করে আফগানিস্তানে । আমরা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান হতে দেবো না। শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নগরের চান্দগাঁও এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন।
এদিকে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারকে আমি বলবো অকারণে আলেম সমাজকে কটু কথা বলবেন না। তাদের কথা বলতে দেন। আমাদের দরকার ভালোভাবে বেঁচে থাকা। অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি না করে আপনি বরং যে কাজটা করতে পারেন, আপনার উন্নয়নের জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন তারা যেনো ফুটপাত থেকে, রিক্সাচালক ও দিনমজুরের কাছ থেকে ঘুষ না খেতে। তাতে অনেক লাভবান হবেন। সোমবার দেশে ধর্ষণ-শিশু নির্যাতন ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবে সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনের তিনি এ আহ্বান জানান।
মানবপাচার: ৬ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিস-দৈনিক যুগান্তর
লিবিয়ায় মানবপাচারে জড়িত থাকার মামলার ছয় পলাতক আসামির সন্ধান চেয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করা হয়েছে।পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অনুরোধে ইন্টারপোল এই রেড নোটিস জারি করেছে। পলাতক ছয় আসামি হল- তানজিরুল, স্বপন, ইকবাল জাফর, নজরুল ইসলাম মোল্লা, শাহাদাত হোসেন ও মিন্টু মিয়া। তারা সবাই বিদেশ আছেন। এদের মধ্যে নজরুলের বাড়ি মাদারীপুরে, শাহাদাতের ঠিকানা ঢাকায়। বাকি চারজনই কিশোরগঞ্জের বলে ইন্টারপোলের নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচার, আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় এবং হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাদের সবার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক। ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে একদল মানব পাচারকারী। এ ঘটনায় চার আফ্রিকান অভিবাসীও নিহত হন।
ডোপ টেস্ট: মাদকাসক্ত ৮ পুলিশ সদস্যকে অপসারণ-দৈনিক প্রথম আলো/যুগান্তর
ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত প্রমাণিত হওয়ায় কুষ্টিয়ার আট পুলিশ সদস্যকে অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত। জানা যায়, গত দেড় বছরে ১১ পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানো হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনের পজিটিভ এসেছে। আর বাকি একজনের কাছে ইয়াবা ও গাঁজা পাওয়া গেছে। অপসারণ করা ওই আট পুলিশ সদস্যের দুজন উপপরিদর্শক, দুজন সহকারী উপপরিদর্শক ও বাকিরা কনস্টেবল। এদের একজনের বিষয় তদন্তাধীন রয়েছে। আর বাকিদের অপসারণ করা হয়েছে চাকরি থেকে
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মধ্যরাতে অমিতের বৈঠক, সিল করা হল দিল্লির সীমানা-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
বিক্ষোভকারীরা দেশের রাজধানী অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতেই সিল করা হল দিল্লির সীমানা। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও। কৃষক সংগঠনগুলি কেন্দ্রীয় আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর রবিবার গভীর রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে দেশের শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করছেন। রবিবার তাঁর ‘মন কি বাত’ বক্তৃতা থেকেও মোদী বার্তা দিয়েছিলেন কৃষকদের। কিন্তু কোনও কিছুতেই দমছে না বিক্ষোভ। সোমবার গুরু নানকের জন্মদিনেও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। বরং দেশের রাজধানীর সীমানায় কৃষকদের মিছিলের ভিড় যত লম্বা হচ্ছে ততই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। গত সপ্তাহেই আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বেগতিক দেখে রবিবার গভীর রাতে নয়াদিল্লিতে দলের সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকে বসেন অমিত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-ও। সূত্রের খবর, তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলীয় সভাপতির ওই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ৩ কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আনন্দবাজারের অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, খলিস্তানি ও মাওবাদীরাই কৃষি আইনের বিরোধিতা করছে, দিল্লি ছারখারে মদত দিচ্ছেন কেজরী দাবি বিজেপির। আন্দোলনের নামে পরিস্থিতি তাতিয়ে তুলছে খলিস্তানি জঙ্গিরা। রাজধানীতে পাঁচ দিন ব্যাপী কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে এত দিন এমনই অভিযোগ করছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এ বার তার সঙ্গে মাওবাদী সংযোগের ‘অভিযোগ’ও উঠল। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল তাতে মদত জোগাচ্ছেন বলেও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি।
কৃষক আন্দোলনে কেজরীবালের নাম টেনে এনেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। সোমবার টুইটারে তিনি লেখেন, ‘২৩ নভেম্বর নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল অরবিন্দ কেজরীবাল নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকার। তা কার্যকর করতেও শুরু করে দিয়েছিল তারা। কিন্তু খলিস্তানি এবং মাওবাদীরা আইনের বিরোধিতায় এগিয়ে আসতেই, রাজধানীকে ছারখার করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন। কৃষকদের নিয়ে কখনওই মাথাব্যথা ছিল না। গোটাটাই রাজনীতি’।
এক দেশ এক বাজার’ তত্ত্ব মিথ্যে, কর্পোরেটদের খুশি করতেই নয়া কৃষি আইন, দাবি কৃষকদের-দৈনিক আজকাল
এক দেশ এক বাজারের তত্ত্ব বাজে কথা, পুঁজিপতিদের খুশি করতেই নয়া কৃষি আইন’, বলছেন দিল্লি–হরিয়ানা সীমানায় বিক্ষোভরত কৃষকরা। কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতেই নয়া কৃষি আইন আনতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র, এই মর্মেই প্রচার চালাচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপি নেতা–মন্ত্রীরা। এদিন সন্ধ্যের সাংবাদিক বৈঠকে এক কৃষক নেতার প্রশ্ন, ‘কোন কৃষক এই আইন আনতে বলেছে?’ কৃষক নেতাদের বক্তব্য, গোটা দেশের সব কৃষকরাই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এই আন্দোলনকে পাঞ্জাবের আন্দোলন বলে দাগিয়ে দেওয়া বৃথা। দেশজুড়ে যে আন্দোলন দানা বাঁধছে, সেটা মোদি সরকার মেনে নিতে পারছে না, কটাক্ষ তাঁদের।
ভারতের দূষিত জলেই জন্ম করোনা ভাইরাসের! চিনের দাবি ঘিরে তুমুল শোরগোল-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) ‘আঁতুরঘর’ হিসেবে এতদিনে বিশ্বে পরিচিত হয়ে গিয়েছে চিন (China)। তাকে এমন দুয়ো দেওয়ায় অন্যান্য দেশগুলির উপর বেজায় খাপ্পা তারা। নিজেদের দায় এড়াতে কম প্রচেষ্টা করেনি জিনপিংয়ের দেশ। তবে এবার করোনা সংক্রমণে দায়ী করে তাদের দিকে ধেয়ে যাওয়া তির সোজা ভারতের দিকে ঘুরিয়ে দিল চিন! চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের দাবি, ইউহান নয়, ভারতের দূষিত জল থেকেই করোনা ছড়িয়েছে। মানুষ এবং প্রাণীদেহের সংক্রমণের মাধ্যমে তা দ্রুত গোটা বিশ্বে মহামারীর আকার ধারণ করেছে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে চিনের ইউহানে প্রথম নভেল করোনা ভাইরাস চিহ্নিত হয়। কিন্তু চিনা বিজ্ঞানীদের দাবি, জীবাণুটির জন্ম আরও আগে – ২০১৯ সালের গ্রীষ্মে এবং তার জন্মস্থল ভারত। এই দাবির স্বপক্ষে তাঁদের যুক্তি, প্রবল গ্রীষ্মে ভারত ও ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জলকষ্ট দেখা দেয়। মানুষের সঙ্গে জলকষ্টে ভুগছিল প্রাণীরাও। সেসময় একে অন্যের সংস্পর্শে আসায় ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। শুধু তাইই নয়, ভারতের ‘দুর্বল’ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর জন্য ভাইরাসের ভয়াবহতা চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় এতটা খারাপ পরিস্থিতি বলেও দাবি করেন চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকৃতি সম্পর্কে পড়াশোনা করে বিজ্ঞানীরাই জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত গরমে COVID-19 বাঁচতে পারে না। আর তাই চিনা বিজ্ঞানীদের এই যুক্তি একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলি। ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকের মতে, গ্রীষ্মে ভারত থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অপ্রাসঙ্গিক। মারণ করোনা ভাইরাসের মূল কেন্দ্র কী, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। যদিও সর্বাধিক প্রচলিত ধারণা, ইউহানের বাজার, যেখানে মূলত সামুদ্রিক প্রাণীদের মাংস ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনা ভাইরাস। আবার আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশের অভিযোগ, ইউহানের ল্যাবরেটরিতেই এই মারণ জীবাণু নিয়ে গবেষণা চলছিল। এক বিজ্ঞানীর শরীর থেকে তা ছড়িয়েছে। কারও আবার অভিযোগ, জীবাণু অস্ত্র তৈরির ষড়যন্ত্র ছিল চিনের।
তবে এসবের মাঝেই আচমকা ভারতকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য দায়ী করে ফেললেন চিনের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের এই ভূমিকায় তীব্র আপত্তি তুলেছে ভারতের বন্ধু দেশগুলি। অনেকের মতে, লাদাখ সংঘর্ষে পিছু হঠার প্রতিশোধ স্বরূপ এখন জীবাণু নিয়ে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা জিনপিং বাহিনীর। কিন্তু তাঁদের এমন দাবি যে ধোপেই টিকছে না, আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের প্রতিবাদই তা বুঝিয়ে দিচ্ছে।
OIC-তে কাশ্মীর কথা, ‘ভুল তথ্য’ পরিবেশন নিয়ে মুসলিম দেশের সংগঠনকে তোপ ভারতের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
কাশ্মীর নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ পরিবেশন করায় মুসলিম দেশগুলির সবথেকে বড় সংগঠন Organisation of Islamic Cooperation (OIC)-কে তুলোধোনা করল ভারত। অত্যন্ত কড়া ভাষায় নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তানের হয়ে ভারত বিরোধী কাজে লিপ্ত হচ্ছে সংগঠনটি। কাশ্মীর নিয়ে কোনও কথা বলার অধিকার নেই OIC-র।
গত শুক্রবার বা নভেম্বরের ২৭ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত নাইজেরের রাজধানী নিয়ামে শহরে অনুষ্ঠিত হয় OIC দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের (Council of Foreign Ministers) ৪৭তম বৈঠক। জানা গিয়েছে, সেখানে কাশ্মীর নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করে ৫৭টি সদস্য দেশের সংগঠনটি। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) বিশেষ মর্যাদা সম্পূর্ণ ‘একতরফা ও অবৈধভাবে’ রদ করেছে ভারত। শুধু তাই নয়, ভারতের কাছে এই পদক্ষেপ ফিরিয়ে নেওয়ার আরজিও জানিয়েছে OIC। তারপরই রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে ভারতের বিদেশমন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার OIC-র নেই। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ভারতের বিষয়ে OIC-তে গৃহীত প্রস্তাবে যে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র বিরোধিতা করছি আমরা। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে লাগাতার একটি দেশের (পাকিস্তান) হয়ে ভারত বিরোধী এজেন্ডার মঞ্চ হয়ে উঠেছে OIC”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই OIC)-তে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠবে না বলেই খবর প্রকাশিত হয়। এটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছিলেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু কুটনীতিকদের একাংশের আশঙ্কা সত্যি করে, বৈঠকের প্রথমদিনেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন সৌদি আরব, তুরস্ক ও নাইজেরের বিদেশমন্ত্রী।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩০
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।