'যুক্তরাষ্ট্র-ভারত জোটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে সঙ্গে চায় চীন'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১ মে শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- মানববন্ধনে শ্রমিক সংগঠনগুলো-শ্রমিকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছে-দৈনিক প্রথম আলো
- লকডাউনের পর-ঈদের আগে গণ পরিবহন চালুর চিন্তা করছে সরকার-কাদের-মানবজমিন
- বিশেষ শর্তে ৩৮ দেশে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হচ্ছে আজ-দৈনিক ইত্তেফাক
- শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়: ফখরুল-কালের কণ্ঠ
- ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতা মাওলানা নিয়াজুলসহ ৬ জন গ্রেপ্তার-দৈনিক যুগান্তর
- শ্রমিকদের জন্য ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী -বিডি প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- ৪ লক্ষ পেরিয়ে গেল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, মৃত্যুও সাড়ে ৩ হাজারের বেশি-আনন্দবাজার পত্রিকা
- গণনাকেন্দ্র ছেড়ে আসবেন না, জিতে ফিরছেই তৃণমূল', বৈঠকে প্রার্থীদের মনোবল বাড়ালেন মমতা -সংবাদ প্রতিদিন
- ভ্যাকসিনের অভাবে শুরুতেই ধাক্কা, রাজ্যে চালু হল না ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ -আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার আসরে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. আসলামুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঢল নামতে যাচ্ছে। এমন খবর দিয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?
২. আমেরিকা যদি পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসে তাহলে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে ইসরাইল। এমন হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের গোয়েন্দামন্ত্রী এলি কোহেন। এই হুমকি সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
শ্রমিকদের জন্য ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী-বাংলাদেশ প্রতিদিন
মহান মে দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মহান মে দিবস বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক।
মহান মে দিবসে (১ মে) দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি জানান, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সরকার শ্রমজীবী মানুষের পাশে থেকে ত্রাণ বিতরণসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকার সংকট মোকাবিলায় শ্রমিকদের বেতনের জন্য ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রপ্তনিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাশিল্পে কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা, ২০২০ বাস্তবায়নের জন্য শ্রম অধিদপ্তরের অনুকূলে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা চালু রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে।’
মানববন্ধনে শ্রমিক সংগঠনগুলো-শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন-প্রথম আলো
ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। শ্রমিকনেতারা বলছেন, করোনায় কাজ হারিয়ে হাজার হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কাজ হারানো শ্রমিকদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীতে সকাল নয়টার পর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ, বিএনপির অঙ্গসংগঠন শ্রমিক দল, বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর শ্রমিক সংগঠন মিছিল নিয়ে আসে।
পরে শ্রমিক দলের নেতারা বলেন, এক বছর আগে দেশে করোনা শনাক্ত হয়। করোনায় টানা ৬৬ দিন জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। কাজ হারান হাজার হাজার শ্রমিক। সেই থেকে শ্রমিকেরা চরম বিপদে আছেন। অধিকাংশ শ্রমিকের কাজ নেই। আর যাঁরা কাজ করছেন, ঈদের আগে তাঁদের বেতন–ভাতা দিতে হবে।
শ্রমিক দলের মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, করোনায় লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। কাজ হারানো শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।
বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। চালু করতে হবে ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রির ব্যবস্থা। আর করোনায় যদি কোনো শ্রমিক মারা যান, তাহলে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আরেক প্রবীণ শ্রমিক নেতা আবুল হাসান বলেন, যুগের পর যুগ শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন চলছে করোনা। শুরু হয়েছে লকডাউন। অধিকাংশ শ্রমিক বেকার। আয় না থাকায় তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।
ভূরাজনীতি বিষয়ক এক প্রতিবেদনে প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত জোটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে সঙ্গে চায় চীন
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে কোয়াড নিয়ে বেইজিংয়ের অস্বস্তির কথা জানান। বেইজিংয়ের প্রস্তাবে মত দেয়নি ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ভারতসহ চারটি দেশের কৌশলগত অনানুষ্ঠানিক নিরাপত্তা সংলাপ বা কোয়াড নিয়ে চীন তার উদ্বেগের কথা বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাইরের শক্তির এমন ‘সামরিক জোটের’ বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে পাশে পেতে চায় চীন। তবে চীনের প্রস্তাবে বাংলাদেশ কোনো সাড়া দেয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফরের সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে কোয়াড নিয়ে বেইজিংয়ের অস্বস্তির কথা জানান। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে কোয়াড যাতে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও বেইজিংয়ের প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়েছে।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’ নামে পরিচিত।
গত মঙ্গলবার প্রায় সাত ঘণ্টার সফরে ঢাকায় আসেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সফরের শুরুতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এই প্রথম চীনের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন। এমনকি ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে এলেও তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি। এবার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী চীনের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রীর প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাওয়াটা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
ঢাকা সফরের সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোয়াড নিয়ে কোনো আলোচনা করেছিলেন কি না, তা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ২৭ এপ্রিল রাতে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ঢাকা থেকে ‘বাংলাদেশ, চীন সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাইরের কোনো শক্তির সামরিক জোট গঠনের চেষ্টা এবং আধিপত্য বিস্তার রুখতে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে দুই পক্ষের যৌথ প্রয়াস চালানো উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত বৃহস্পতিবার তাঁর দপ্তরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে কোয়াডের প্রসঙ্গটি আলোচনায় তুলেছেন বলে জেনেছি। তিনি চীনের অবস্থানের কথা বলে গেছেন। তিনি যা বলেছেন, তা বাংলাদেশ সমর্থন করে এমনটা নয়। তিনি যা বলেছেন বাংলাদেশ শুনেছে। কৌশলগত উদ্যোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সব সময় বলে আসছে দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপাদান থাকলে বাংলাদেশ তাতে যুক্ত হবে। কোনো উদ্যোগে নিরাপত্তার বিষয়টি থাকলে বাংলাদেশ তাতে যুক্ত হবে না।’
মে দিবস আজ-করোনায়ও শ্রমিকের ভোগান্তিই বেশি-করোনার এ সময়ে কাজ হারানোর তালিকায় ওপরে আছেন গৃহশ্রমিকেরা, তাঁদের কাজ হারানোর হার সর্বোচ্চ ৩২ শতাংশ-প্রথম আলো
গাজীপুরের কাশিমপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন বুলবুল আহমেদ। ‘ছিলেন’ বলা হলো, কারণ এখন তাঁর চাকরি নেই। গত বছরের ডিসেম্বরের ঘটনা। কারখানার গ্যাস-সংযোগ সারাইয়ের কথা বলে সব শ্রমিককে সাত দিনের ছুটি দেওয়া হয়। সাত দিন পর শ্রমিকেরা কাজে গেলে আরও ১৫ দিন পর যেতে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময় পর শ্রমিকেরা কারখানায় যান। কিন্তু তাঁদের আর সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যে কিছু শ্রমিককে বেছে চাকরিতে রাখা হয়, তাঁদের মধ্যে বুলবুল ছিলেন। কিন্তু মার্চ মাসে তিনিও চাকরিচ্যুত হন। এক দফায় ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন বুলবুল। তিনি গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলছিলেন, ‘স্ত্রী, ছেলেমেয়ে নিয়ে এক দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছি। চাকরি নেই। প্রাপ্য এক লাখের বেশি টাকা, তা-ও দেয়নি।’
বুলবুলের কারখানা বন্ধের কারণ হিসেবে করোনার প্রভাবকে উল্লেখ করা হয়েছিল। বুলবুলের মতো হাজার হাজার শ্রমিক করোনাকালে কর্মহীন হয়েছেন। করোনা সংক্রমণের বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো পেশায় ফিরতে পারেননি অনেকেই। আবার এই সময় কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় শ্রমিকের হতাহতের সংখ্যাও কমেনি। এমন এক সময়ে আজ এসেছে মহান মে দিবস। শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য সংগ্রামের স্বাক্ষর বহন করা দিন।
করোনার ধাক্কায় দারিদ্র্যের আরও জটিল ফাঁদে পড়ল শ্রমজীবী মানুষেরা। এর প্রভাব তাদের শরীর ও মন সবখানে পড়বে। দুঃখজনকভাবে এসব শ্রমিকের কোনো সংগঠিত কণ্ঠস্বর নেই।
করোনাকালে পেশা হারিয়েছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে শ্রমিকদের মধ্যে এ সংখ্যা অনেক বেশি। তাঁদের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। একাধিক গবেষণায় সে চিত্র পাওয়া গেছে।
করোনাকালের আর্থসামাজিক প্রভাব নিয়ে গত বছর দুবার আর চলতি বছর একবার—মোট তিন দফা জরিপ করে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। এসব জরিপের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের জুনে পেশাভিত্তিক কাজ হারানোর তালিকায় ওপরে আছেন গৃহশ্রমিকেরা। চলতি বছরের মার্চে সর্বশেষ জরিপেও তাঁদের কাজ হারানোর হার সর্বোচ্চ, ৩২ শতাংশ। এরপরই আছে দক্ষ শ্রমিক এবং বেতনভুক্ত নিম্ন আয়ের মানুষ।
করোনা আসার পর করোনা-পূর্ব আয়ের মুখ আর দেখতে পাচ্ছেন না শ্রমজীবী মানুষ। পিপিআরসি-বিআইজিডির জরিপে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চে গৃহকর্মীদের আয় কোভিড-পূর্ব সময়ের চেয়ে ৬১ শতাংশ কমে গেছে। এরপরই আছে অদক্ষ শ্রমিক। তাঁদের আয় কমেছে ৫০ শতাংশ। পরিবহনশ্রমিক ও রিকশাচালকদের আয়ও ৪৮ শতাংশ কমে গেছে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:
৪ লক্ষ পেরিয়ে গেল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, মৃত্যুও সাড়ে ৩ হাজারের বেশি-আনন্দবাজার পত্রিকা
চার লক্ষ ছাড়িয়ে গেল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে তৈরি হল নতুন রেকর্ড। দেশে তো বটেই, গোটা বিশ্বে এই প্রথম কোনও একটি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনে ৪ লক্ষ ছাড়াল। দৈনিক আক্রান্ত ৩ লক্ষ ছাড়ানোর ৯ দিনের মাথায় তা পৌঁছে গেল ৪ লক্ষে। এই পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দিচ্ছে গত এক সপ্তাহে কী ভাবে বেড়েছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ।দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে দেশে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য পরিষেবাতে তৈরি হয়েছে বিপুল চাহিদা। শয্যার পাশাপাশি অক্সিজেনের অভাবও দেশে প্রকট।
গণনাকেন্দ্র ছেড়ে আসবেন না, জিতে ফিরছেই তৃণমূল', বৈঠকে প্রার্থীদের মনোবল বাড়ালেন মমতা-সংবাদ প্রতিদিন
গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই কেন্দ্রেই থাকতে হবে। পড়ে থাকতে হবে টেবিল আঁকড়ে। কোনও অবস্থাতেই গণনার স্থল অথবা কেন্দ্র ছেড়ে চলে আসা যাবে না। শেষ পর্যন্ত থাকতেই হবে। দুই-তৃতীয়াংশ আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরবেই তৃণমূল। বিশেষ নজর দিতে হবে পোস্টাল ব্যালটে। ভোটপর্ব শেষে গণনার ঠিক আগে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করে কড়াভাবে এই নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকী গণনাকেন্দ্রে অন্য কোনও দলের কারও কাছ থেকে কোনও খাবার না নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই কেন্দ্রেই থাকতে হবে। পড়ে থাকতে হবে টেবিল আঁকড়ে। কোনও অবস্থাতেই গণনার স্থল অথবা কেন্দ্র ছেড়ে চলে আসা যাবে না। শেষ পর্যন্ত থাকতেই হবে। দুই-তৃতীয়াংশ আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরবেই তৃণমূল। বিশেষ নজর দিতে হবে পোস্টাল ব্যালটে। ভোটপর্ব শেষে গণনার ঠিক আগে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করে কড়াভাবে এই নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকী গণনাকেন্দ্রে অন্য কোনও দলের কারও কাছ থেকে কোনও খাবার না নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
গণনা পিছোলে আকাশ ভেঙে পড়বে না, যোগীরাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের-আনন্দবাজার পত্রিকা
উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা রবিবার। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সেই গণনা পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। কোভিড পরিস্থিতিতে গণনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কমিশনকে ভর্ৎসনাও করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
শনিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে বলে, ‘‘এই মুহূর্তে কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তার মধ্যেই আপনারা গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দু’সপ্তাহ পরে কি আপনারা গণনা করতে পারতেন না? এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা একটু উন্নত করা সম্ভব হত।’’
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, ‘‘সব রকমের সমস্যার পরেও আপনারা এগিয়ে গিয়েছেন। ভোট গণনা ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে গেলে কারও মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না।’’
ভ্যাকসিনের অভাবে শুরুতেই ধাক্কা, রাজ্যে চালু হল না ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ -আজকাল
শুরুতেই ধাক্কা। ভ্যাকসিনের অভাবে শুরু হল না ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ। এমনকি রাজ্য জানিয়েছিল ৫ তারিখ থেকে টিকাকরণ শুরু করবে তারা। তবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় টিকাকরণ শুরু করতে পারবে না তারা বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের জেরে গতকাল আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য। একাধিক জনবহুল এলাকা বন্ধের পাশাপাশি বাজারহাটেও নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়েছে রাজ্য। সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা এবং বিকেল ৩ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত, দিনে মোট ৫ ঘণ্টা বাজার খোলা রাখার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ সকাল ৭ টা থেকে বাজার বসলেও ১০ টা বাজার পরেও খোলা রইল রাজ্যের একাধিক বাজার। জেলায় জেলায় মিলল একই চিত্র।
আর আনন্দবাজার পত্রিকার একটি খবরে লেখা হয়েছে, ভারতে এখনই কয়েক সপ্তাহের জন্য লকডাউন চালু করা উচিত বলে জানাল আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।