জুন ০৭, ২০২১ ১১:৪০ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক!৭ জুন সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • বড় চোরদের দুর্নীতিতে মাথা হেঁট হয়ে যায়-প্রথম আলো
  • ভয়ংকর কিশোর গ্যাং ‘ডি কোম্পানি’ -ইত্তেফাক
  • ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ -কালের কণ্ঠ
  • খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ-১৭২১ কোটি টাকার প্রকল্প এখন ৪৩২৯ কোটিতে -যুগান্তর
  • সংসদে রুমিন ফারহানা আমলারা বেপরোয়া আচরণ করছেন –মানবজমিন
  • আলোচনা সভায় বিশিষ্টজন'এনআইডি নিবন্ধন মন্ত্রণালয়ে নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়' -সমকাল

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • পেট্রোল ও ডিজেলের দামে রেকর্ড বৃদ্ধি কলকাতায়!‌ চিন্তায় আমজনতা -আনন্দবাজার
  • মুকুলের বাড়িতে সৌমিত্র!‌ রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা -আজকাল
  • ফের বড়সড় সেনা সমাবেশ কাশ্মীরে, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উপত্যকার রাজনীতিবিদরা -সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু’টি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

বড় চোরদের দুর্নীতিতে মাথা হেঁট হয়ে যায়-প্রথম আলো

জাতীয় সংসদ ভবন

দুর্নীতি ও টাকা পাচার বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিতে এবার জাতীয় সংসদে দাবি তুলেছেন সরকারি দলেরই এক সাংসদ। এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিকখাত সংস্কার এবং ব্যাংক কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছেন সরকার–দলীয় আরেক সাংসদ।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ আলী আশরাফ বলেন, বড় চোরদের দুর্নীতি, অর্থ পাচারের কারণে ঘৃণা ও লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। এসব বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতা না বাড়ালে, দুর্নীতি বন্ধ করা না গেলে বাজেটের লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২০’ প্রতিবেদনের তথ্য এটি। যা চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়।

ভয়ংকর কিশোর গ্যাং ‘ডি কোম্পানি

লন্ডনফেরত দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে ‘অপরাধী’ বাহিনী-প্রথম আলোর অপরাধ বিষয়ক এ প্রতিবেদনের শিরোনাম। আর ইত্তেফাকের এ সম্পর্কিত খবরের শিরোনাম-ভয়ংকর কিশোর গ্যাং ‘ডি কোম্পানি। বিস্তারিত খবরে  লেখা হয়েছে,ভারতের মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের অনুসারীরা যে নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন, সেই ‘ডি-কোম্পানি’ নাম দিয়ে ঢাকার টঙ্গীতে গড়ে তোলা হয়েছিল কিশোর গ্যাং।

ছোটখাটো বিষয় নিয়ে লোকজনকে মারধর, মাদক বেচাকেনা, ছিনতাই, চাঁদাবাজির মাধ্যমে এলাকাবাসীর কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন এই গ্যাংয়ের সদস্যরা।

লন্ডনফেরত দুই ভাই রাজীব চৌধুরী বাপ্পী ওরফে লন্ডন বাপ্পী ও সজীব চৌধুরী ওরফে পাপ্পুর হাত ধরে কয়েক বছর আগে গড়ে ওঠে এই অপরাধী চক্র। সজীব চৌধুরী কয়েক মাস ধরে কারাগারে। রাজীবসহ এই চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ডিয়ারিং কোম্পানি বা ডি–কোম্পানি নামের এই গ্যাংয়ের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৫০ জন। তাঁদের সবার বয়স ২৫ বছরের মধ্যে। এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। তাঁদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলত না। রাজীব (৩৫) এই গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। প্রতি মাসে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে তাঁর হাতে দুই থেকে তিন লাখ টাকা আসত। অপর দিকে রাজীব প্রতি সপ্তাহে গ্যাংয়ের সদস্যদের ৩০০-৫০০ টাকা করে দিতেন।

‘টঙ্গীতে ৩০ কিশোর গ্যাং জড়াচ্ছে নানান অপরাধে’ শিরোনামে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই ৩০ কিশোর গ্যাংয়ের একটি ডি-কোম্পানি। ফেসবুকে এই নামে তাদের একটি গ্রুপও রয়েছে।

প্রথম আলোর সংবাদ প্রকাশের কিছুদিন পর আত্মসমর্পণ করেন সজীব চৌধুরী ওরফে পাপ্পু। অস্ত্র, মাদক, ডাকাতিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সজীবের অবর্তমানে পুরো গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাজীব।

স্থানীয়রা জানান, রাজীব ও সজীবের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে। টঙ্গীর ভূঁইয়াপাড়ায় বেড়ে উঠেছেন তাঁরা। লেখাপড়ার জন্য ২০০৮ সালের দিকে লন্ডনে যান দুই ভাই। দুই থেকে তিন বছরের মাথায় দেশে ফিরে তাঁরা কিশোর গ্যাং গড়ে তোলেন। টঙ্গীর মধুমিতা, ভূঁইয়াপাড়া, নদীবন্দর, বউবাজার, জামাইবাজারসহ আশপাশের এলাকায় বিচরণ রয়েছে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, লোকজনকে মারধর, মাদক কেনাবেচাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

সংসদে রুমিন ফারহানা আমলারা বেপরোয়া আচরণ করছেন-মানবজমিন

রুমিন ফারহানা

আমলারা বেপরোয়া আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। রোববার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ সালের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে আমলা ও আমলানির্ভর সরকারের হাতে চরম হেনস্তার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। আমলাদের বাড়াবাড়ি ও বেপরোয়া আচরণের শিকার হয়েছেন অনলাইন পত্রিকা বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক এবং খাবার চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করা ফরিদ আহমেদ। আমলা ও আমলানির্ভর এই সরকার চরম বেপরোয়া ও বাড়াবাড়ি আচরণ করছে।

রুমিন ফারহানা বলেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ক্রমাগত পেছাতে পেছাতে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম। মিয়ানমার, আফগানিস্তান এমনকি উগান্ডাও বাংলাদেশের ওপরে। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে বারবারই সংখ্যার ওপর জোর দেয়। কোনো গণমাধ্যমের ওপর যদি সত্য রিপোর্ট প্রকাশের জন্য নানা ধরনের নিবর্তন নেমে আসে, তখন কোনো গণমাধ্যমই আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না, তা সে সংখ্যা যা–ই হোক না কেন।

সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রুমিন ফারহানা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ছয় ঘণ্টা সাংবাদিক রোজিনাকে যারা আটকে রেখে অপদস্ত করেছেন তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম যখন ‘এখন এক কোটি দেব, পরে আরও পাবেন’, ‘৩৫০ কোটি টাকার জরুরি কেনাকাটায় অনিয়ম’, ‘পড়ে আছে জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী’, ‘কিটের ঘাটতি নিয়ে দুই রকমের তথ্য’, ‘উৎপাদনের নয়, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিটি গোপনীয়তার’ শিরোনামে নানা রিপোর্ট করে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেছেন।

খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ-১৭২১ কোটি টাকার প্রকল্প এখন ৪৩২৯ কোটিতে-যুগান্তর

খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প চলছে তো চলছেই। তিন বছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১০ বছর ধরে চলছেই। ১৭২১ কোটি টাকা প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৪৩২৯ কোটিতে। রেলে এ রোগ বেশ পুরোনো। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প সমাপ্তির বাণী নেই বললেই চলে। দুদফায় প্রকল্পটি সংশোধন করতে হচ্ছে। এতে ২৬০৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে। চলমান ৩৭ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা চলছে। বেঁধে দেওয়া সময় ও নির্দিষ্ট টাকায় প্রকল্প শেষ হবে-এমন আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছে না খোদ রেলপথ মন্ত্রণালয়ই।

খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। ১৭২১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার তারিখ ছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু এখন কাজ চলছে। বর্তমানে এর অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে সময় বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে ব্যয়ও। আরও দেড় বছর মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে ২৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ও বাড়ছে। অর্থাৎ ৩ বছরের প্রকল্প প্রায় ১ যুগ পর শেষ হতে পারে। সঙ্গে ব্যয় বাড়ছে ১৫২ শতাংশ। সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে আজ (সোমবার) প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পর্যালোচনার জন্য উপস্থাপন হবে।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ-কালের কণ্ঠ

আজ ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস

আজ ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের শুরুটা হয়েছিল ১৯৬৬ সালের এই দিনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে দিনটি অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ। 

পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বৈষম্যের নীতির বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের ডাকা জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে এসব দাবির পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন তিনি। 

বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ছয় দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু। বাংলার জনগণ এসব দাবির প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ছয় দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ। এমন পরিস্থিতিতে আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ মানুষ রাজপথে নেমে আসে। জনগণের বিক্ষোভ ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল কর্মসূচি পালনকালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) মানুষের ওপর গুলি চালায়। এতে শহীদ হন মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ জন। এ ঘটনায় আন্দোলন দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে গতকাল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, ছয় দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উত্স। তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, ছয় দফাসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ স্বাধীনতাসংগ্রামের সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

নিরপরাধ ব্যক্তির জেলখাটা দুর্ভাগ্যজনক: হাইকোর্ট-সমকাল

চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় অর্থের বিনিময়ে নিরপরাধ ব্যক্তির জেলখাটার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। হাইকোর্ট মন্তব্য করেছেন, অর্থের বিনিময়ে বা যে কোনো কৌশলে মূল আসামির নিজেকে বাঁচিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে জেলে রাখার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।

এদিকে ঝালকাঠির এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে 'ভুয়া মামলা' করে জেল খাটানোর ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট সিআইডিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঝালকাঠিতে ভুয়া মামলায় জেল খাটানোর ঘটনায় করা রিটের ওপর আদেশ দেন। আদেশে রুল জারির পাশাপাশি ঝালকাঠির মামলাটির কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি ৮ আগস্ট আবারও শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে।

আদালতে এ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে ঝালকাঠি থানার রাজাপুরের রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাকির হোসেন নামে একজনকে ভুয়া বাদী সাজিয়ে ধানমন্ডির ঠিকানা দিয়ে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬/৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠানো হয়। আট দিন পর জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি খোঁজ করে ওই ব্যক্তি ও তার ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব পাননি। বরং জানতে পারেন, ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকে কয়েকজন এ সাজানো মামলা করেছে।

পরে রফিকুল ইসলাম আদালতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন। পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানায়, বাদীর ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু মামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার বিষয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন রফিকুল। হাইকোর্ট এ আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার জড়িতদের শনাক্ত করার আদেশসহ রুল জারি করেন।

জেলে নিরপরাধ ব্যক্তি: 'একজনের নামে আরেকজন জেলে থাকছে- গত দুই বছরে দেশে এমন ২৬টি ঘটনা শনাক্ত হয়েছে। অথচ প্রকৃত আসামিকে শনাক্ত করার অনেক পদ্ধতি আছে।' রোববার আইনজীবী মো. শিশির মনির এ কথা জানান।

আলোচনা সভায় বিশিষ্টজন'এনআইডি নিবন্ধন মন্ত্রণালয়ে নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়'-সমকাল

গোল টেবিল বৈঠকে এনআইডি নিয়ে বিশদ আলোচনা

নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রমের সেবা সরিয়ে অন্য কোনো মন্ত্রণালয়, দপ্তর বা সংস্থার কাছে ন্যস্ত করা একেবারেই উচিত নয় বলে মত দিয়েছেন বিশিষ্টজন। তারা বলেছেন, প্রয়োজনে নিবন্ধন কমিশন নামে আরেকটি স্বাধীন কমিশন করা যেতে পারে। তবে কোনো মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে তা সার্বিকভাবে নেতিবাচক ফল বয়ে আনবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি এমনিতেই কেউ আস্থা রাখতে পারছে না। এ অবস্থায় এত বড় দায়িত্ব তাদের কাছে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। সরকার কেন, কী উদ্দেশে এ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সরিয়ে নিতে চাচ্ছে, সেটিও স্পষ্ট করেনি।

রোববার সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন আয়োজিত ভার্চুয়াল গোলটেবিল আলোচনায় বিশিষ্টজন এসব কথা বলেন। 'সরকার কর্তৃক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার উদ্যোগ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা' শিরোনামের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সুজনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য বিচারপতি এম এ মতিন। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তার লেখা প্রবন্ধ পড়ে শোনান সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।

আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স ও বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন তার প্রবন্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর প্রেক্ষাপট বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার সঙ্গে যুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পত্র অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে অর্পণ করা হলে নির্বাচন কমিশনের একটি বৃহৎ অংশ সরকারের উল্লিখিত মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত হবে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সত্তা স্পষ্টতই খর্ব হবে। এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা নিয়ে দেশে-বিদেশে সরকারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও ব্যবহারে বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হবে।

বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের ওপর কেউ আস্থা রাখতে পারছেন না। এটাই বাস্তবতা। এখন যে ক্ষমতাটা নির্বাচন কমিশনের আছে, সেটা সাংবিধানিক। আর আইন করে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ক্ষমতা দিলে সেটা সাবঅর্ডিনেট (অধীনস্থ) হয়ে যাবে। বড় ক্ষমতা থাকতে ছোট ক্ষমতায় কেন যেতে হবে, সেটাই ভেবে দেখার বিষয়।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রমের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানানো হয়নি কী উদ্দেশ্যে এটা করা হবে। কমিশনের হাতে থাকলে কী অসুবিধা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের কাছে গেলে কী সুবিধা- সে সম্পর্কেও সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে এটি পরবর্তী নির্বাচনের নতুন তরিকার পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ছবিসহ ভোটার তালিকা আমাদের গর্বের ধন। এ কাজ নির্বাচন কমিশন যেন আরও ভালোভাবে করতে পারে, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটিই যুক্তিযুক্ত এবং গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই কার্যক্রমে কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। সরকারের এ ধরনের নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। সরকারের মন্ত্রণালয়ের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ চলে গেলে নানা ধরনের কারসাজির মাধ্যমে ভোটার তালিকায়ও পরিবর্তন হতে পারে। এর ফলে দুর্নীতির সুযোগও সৃষ্টি হবে।

আবু সাঈদ খান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অবশ্যই কোনো স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা উচিত। এটাও মনে রাখতে হবে, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি কোনো কাজে সফলতা দেখায়, সেটাও ধরে রাখা উচিত। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম দেশে-বিদেশে সমাদৃত একটি সফল প্রকল্প। এ প্রকল্পের সফলতা ধরে রাখতে হবে।

সোহরাব হাসান বলেন, তিন বছর ধরে দেখা যাচ্ছে সরকার নির্বাচন কমিশনকে একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের বেশি কিছু মনেই করে না। এ কারণে প্রশ্ন ওঠে, নির্বাচন কমিশনটা আসলে কোথায়? নির্বাচন কমিশনকে আগে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এরপর সেই প্রতিষ্ঠানের অধিকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের বোঝা উচিত তারা নিজেদের কোথায় নামিয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থার সংকট আছে ঠিকই, কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে গেলে তা আরও বিপজ্জনক হবে। যে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পুলিশ নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি দেয়, ভোটের দিন এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়, সেই মন্ত্রণালয়ের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম গেলে নাগরিকদের জন্য কতটা ভীতিকর হতে পারে, তা খুব সহজেই বোঝা যায়।

সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজন হলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কমিশন নামে একটি স্বতন্ত্র কমিশন করা যেতে পারে। কিন্তু একটি মন্ত্রণালয়ের হাতে এই দায়িত্ব দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না।

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, সরকারের কর্মকাণ্ডে সবচেয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসছে। সরকার কি নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্ব বা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানি ও আর্থিক বাণিজ্য বাড়বে, এটা দেশের সবাই বোঝেন।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, গণতন্ত্রের জন্য একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা না বাড়িয়ে কমিশনের ক্ষমতা আরও খর্ব করা হলে তা ভবিষ্যতে কারও জন্যই সুফল বয়ে আনবে না।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

ফের বড়সড় সেনা সমাবেশ কাশ্মীরে, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উপত্যকার রাজনীতিবিদরা-সংবাদপ্রতিদিন

ফের বড়সড় সেনা সমাবেশ জম্মু ও কাশ্মীরে

ফের বড়সড় সেনা সমাবেশ জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir)। বিশেষ করে সন্ত্রাস জর্জরিত দক্ষিণ কাশ্মীরের জেলাগুলিতে বৃহৎ সংখ্যক সেনা মোতায়েন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রশাসিত প্রদেশটির স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।

যদিও সেনা সমাবেশের বিষয়টি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে প্রশাসন জানিয়েছে, রুটিন প্রক্রিয়া মেনেই আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা জম্মু-কাশ্মীরে ফিরছেন। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যেগুলিতে ওই জওয়ানদের ইলেকশন ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল। এবার তাঁরা ফের নিজের আগের জায়গায় অর্থাৎ উপত্যকায় ফিরছেন। এই বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষকর্তা আইজি বিজয় কুমার বলেন, “নির্বাচনের পর রাজ্যগুলি থেকে সেনারা ফিরছেন। নতুন করে কোনও সেনা সমাবেশ হচ্ছে না।” কিন্তু প্রশাসনের আশ্বাস সত্বেও স্থানীয় রাজনীতিবিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন ফের তাঁদের আটক করা হতে পারে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভোটের সময় কাশ্মীর থেকে প্রায় ২০০ কোম্পানি আধাসেনা পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। এক মাস আগে ৫০ কোম্পানি ফিরে এসেছে। এবার বাকিরা স্বস্থানে ফিরছে।ফলে এনিয়ে জল্পনার কিছু নেই।  

ইউহানের আগেও করোনার মতো সংক্রমণ ছড়িয়েছিল চিনে! চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানী দম্পতির-সংবাদপ্রতিদিন

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) জন্ম কোথায়? একথা বললেই বিশ্বের সিংহভাগ মানুষই অক্লেশে বলে দেবে চিনের (China) ইউহান শহরেই প্রথমবার দেখা মিলেছিল কোভিড-১৯ (COVID-19) তথা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির। সেটি ল্যাবরেটরিতে তৈরি, নাকি প্রাকৃতিক তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু উৎপত্তি যে ইউহানেই সে ব্যাপারে সকলেই প্রায় কমবেশি নিঃসংশয়। এমতাবস্থায় পুণের (Pune) এক বিজ্ঞানী দম্পতি অন্যরকম দাবি করলেন।

ড. রাহুল বাহুলিকার এবং ড. মোনালি রাহালকার নামে ওই দুই বিজ্ঞানী তুলে ধরেছেন ২০১২ সালের একটি ঘটনার কথা। তাঁরা জানিয়েছেন, সারা পৃথিবীর মানুষের দুর্ভোগ দেখেই তাঁরা ঠিক করেন খুঁজে বের করে দেখবেন এই মারণ ভাইরাসের উৎস। আর খুঁজতে খুঁজতেই তাঁরা খুঁজে বের করেন RATG13 ভাইরাসকে, যাদের নোভেল করোনা ভাইরাসের ‘নিকটাত্মীয়’ বলাই যায়।

ঠিক কী জানিয়েছেন তাঁরা? তাঁরা জানাচ্ছেন, খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা এমন নথি পেয়েছেন যা থেকে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে দক্ষিণ চিনের মোজিয়াংয়ের তামা খনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৬ জন খনিকর্মী। তাঁদের শরীরে যে উপসর্গ দেখা গিয়েছিল তার সঙ্গে করোনার উপসর্গ মিলে যায়। ওয়াল স্ট্রিটের এক জার্নাল থেকে তেমনটাই জানতে পেরেছেন ওই দম্পতি।

জানা গিয়েছে তাঁদের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল বাদুড়ের মল থেকে। বাদুড়ের মল শুকনো। ধরলেই তা গুঁড়ো হয়ে যায়। কেউ তার উপর দিয়ে হেঁটে গেলে তা উড়ে বাতাসে মিশে যায়। ওই খনিতে বাদুড়ের মল ভরে ছিল বলে জানা গিয়েছে।

মুকুলের বাড়িতে সৌমিত্র!‌ রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা-আজকাল

বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার কথা শোনা যাচ্ছে একাধিক হেভিওয়েটের। এহেন পরিস্থিতিতেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে গেলেন সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কয়েকদিন আগেই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। বৈঠকে না থাকার কারণ হিসাবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জানিয়েছিলেন, করোনা বিধিনিষেধ থাকায় বৈঠকে যেতে পারেননি। অথচ লকডাউনের মধ্যেই মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাসভবনে গেলেন সৌমিত্র খাঁ। মুকুল রায়ের বাসভবনে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। সেখানে মুকুল রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শুভ্রাংশু রায়। কয়েকদিন ধরেই শুভ্রাংশু রায় এবং মুকুল রায়ের বিজেপি ছাড়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। মুকুল পুত্রের সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জির। তাই রাজনৈতিক মহলের মতে, মুকুল পুত্রের তৃণমূলে ফেরা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘কাকিমা অসুস্থ রয়েছেন তাই খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। আর আমার রাজনৈতিক অভিভাবক মুকুল রায়। তাই রাজনৈতিক আলোচনাও করেছি আমরা।

পেট্রোল ও ডিজেলের দামে রেকর্ড বৃদ্ধি কলকাতায়!‌ চিন্তায় আমজনতা-আনন্দবাজার /আজকাল

ফের বাড়ল পেট্রোল–ডিজেলের দাম। রাজ্যে লাগাতার বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। তার জেরে বিপর্যস্ত গোটা রাজ্য। আর তারপরই বেড়ে গেল জ্বালানি তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় সোমবার দাম বাড়াল তেল কোম্পানিগুলো। শহর কলকাতায় পেট্রোলের দাম বেড়েছে ২৬ পয়সা। দাম বাড়ার ফলে আজ থেকে লিটার প্রতি পেট্রোল কিনতে হবে ৯৫ টাকা ২৮ পয়সা দিয়ে। ডিজেলের দাম বেড়ে দাঁড়াল ৮৯ টাকা ০৭ পয়সা। দাম বেড়েছে  ২৭ পয়সা। গত ১০ মে থেকে লাগাতার দাম বেড়েই চলেছে জ্বালানি তেলের দাম। এই নিয়ে টানা ২১ বার বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম। কলকাতার পাশাপাশি দেশের রাজধানী দিল্লিতেও পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে। দিল্লিতে আজ পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ৯৫ টাকা ৩১ পয়সা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ৮৬ টাকা ২২ পয়সা। দেশের বেশ কয়েকটি শহরে এই মুহূর্তে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে পেট্রোল-‌ডিজেলের দাম। বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে আজ পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ১০১ টাকা ৫২ পয়সা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ৯৩ টাকা ৫৮ পয়সা। পেট্রোল–ডিজেলের লাগাতার দাম বেড়ে যাওয়ার ভোগান্তির আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ। বাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যেভাবে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে সেইজন্য বাংলা সহ একাধিক রাজ্য চলছে  লকডাউন। লকডাউনের জেরে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছে। তার উপর বাস ভাড়া, ট্যাক্সিভাড়া বাড়লে সমস্যা আরও বাড়বে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। পেট্রোল–ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুললেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না এই বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা আবহে যখন বিপর্যস্ত দেশের মানুষ তখন আবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দাম কমানোর কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা ঠেকাতেও ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থনীতিবিদদের মতে, জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না কেন্দ্রীয় সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কেন্দ্রের।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৭

ট্যাগ