আগস্ট ২৮, ২০২১ ১৬:১৭ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২৮ আগস্ট শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী : নৌ প্রতিমন্ত্রী -কালের কণ্ঠ
  • কাবুলে ‘কেয়ামত’, বদলার হুমকি আমেরিকার -মানবজমিন
  • আফগানিস্তানের ওপর তালেবানের নিয়ন্ত্রণ মেনে নেয়নি রাশিয়া, স্বীকৃতির বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • কাবুল বিমানবন্দরে নিহত বেড়ে ১৭৫-ইত্তেফাক
  • আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় এক আইএস জঙ্গি নিহত-যুগান্তর
  • দেশে দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ৪% মানুষ-প্রথম আলো

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • ভারতে খিলাফাত প্রতিষ্ঠাই মুল লক্ষ্য আইএস খোরাসানের, আশঙ্কা গোয়েন্দাদের -আনন্দবাজার
  • ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু দুয়ারে রেশন! নেই পরিকাঠামো, নির্ধারিদ দিনে হচ্ছে না প্রকল্পের ট্রায়াল-আজকাল
  • মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনের হুমকি, বিপাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক -সংবাদ প্রতিদিন

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

আফগানিস্তান সম্পর্কিত খবর এখনও বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বমিডিয়ার প্রধান খবর হিসেবে পরিবেশিত হচ্ছে।

কাবুল বিমানবন্দরে নিহত বেড়ে ১৭৫-ইত্তেফাক

কাবুল বিমানবন্দরে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে চালানো এই হামলায় আরো ১৫০ জন আহত হয়েছে বলে কাবুলের একজন ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার বরাতে জানা যায়, তালেবানের এক সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের গেটের বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৭৫ প্রাণ হারিয়েছেন। জানা গেছে, কমপক্ষে ২৮ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া মার্কিন নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর ১৩ সদস্য, দুজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আরেকজন ব্রিটিশ নাগরিকের শিশু মারা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশত্যাগের জন্য বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছিলেন আফগানরা। আফগানদের কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলো ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যেই বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের বাইরে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এ সময় সেখানে প্রায় পাঁচশ মানুষ ছিলেন। প্রথম বিস্ফোরণের পর দূর থেকে গুলি চালায় আরেক হামলাকারী। এর কিছুক্ষণ পরই পাশের ব্যারন হোটেলের বাইরে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে।

কাবুল হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০, ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-মানবজমিনের খবর

কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবারের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৭০। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনা সদস্য রয়েছে। ওই হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রও আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আইএসের একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে ডোন হামলা চালিয়েছে। এতে এই গ্রুপের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, নাঙ্গাহার প্রদেশে আইএস-কে গ্রুপের একজন ‘পরিকল্পনাকারী’কে টার্গেট করে এই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার ওই বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলা চালায় আইএস-কে। এর কড়া জবাব দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপরই ড্রোন হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলছে যে, তাদের এ হামলায় আইএসের ‘টার্গেটে’ হিট করা গেছে। এতে আইএস-কে’র এক সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে কোনো বেসামরিক লোকজন নিহত হননি। এর আগে বৃহস্পতিবারের হামলার দায় স্বীকার করে আইএস-কে, যা ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স হিসেবে পরিচিত। মূল আইএস থেকে এই গ্রুপের উদ্ভব। আফগানিস্তানে যেসব জিহাদি গ্রুপ আছে, তার মধ্যে এরা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও সহিংস।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এখনও কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থান করছে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন সেনা। যেসব আফগান দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন, তারা তাদেরকে সহায়তা করছে।

কাবুলে ‘কেয়ামত’, বদলার হুমকি আমেরিকার-মানবজমিন

ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। কানফাটানো শব্দ। চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মানুষের মাথার খুলি বা বিচ্ছিন্ন হাত। কেউ রাস্তায় আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছে, কেউ বা প্রিয়জনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নালায় রক্ত মিশে পানি হয়ে উঠেছে রক্তে রঞ্জিত। গত বৃহসপতিবার কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর পরিস্থিতির এমন বর্ণনা দিয়েছেন ভাগ্যজোরে বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শীরা। পর পর দুটি শক্তিশালী বোমায় কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের রাজধানী শহরটি।

এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১০ জন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। নিহতের মধ্যে রয়েছে ১৩ মার্কিন সেনাও। আফগানদের উদ্ধার করতে যাওয়াই কাল হলো তাদের। এমন বর্বর হামলায় হতভম্ব পুরো বিশ্ব। তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকেও। হামলার দায় স্বীকার করেছে জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-খোরাসান। এরইমধ্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বদলা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ: কাবুল বিমানবন্দরের ওই হামলার ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলার পর চারদিকে শুধু লাশ পড়ে ছিল। বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন জানান, কাছেই এক নালায় লাশ, মাংসপিণ্ড এবং মানুষকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। আরেকজন জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর সেখানে পুরো ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ‘এ যেন কেয়ামত’: কাবুলের মানুষের জন্য বিস্ফোরণ অপরিচিত কিছু না। তারপরও গত বৃহসপতিবারের এই হামলা সবাইকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলার জন্য যথেষ্ট ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল এমন মানুষরা ওই ঘটনাকে তুলনা করেছেন কেয়ামতের সঙ্গে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার এক সাবেক কর্মী। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ভিসাধারী এই ব্যক্তি হামলার সময় সেখানেই ছিলেন।

ডেডলাইন তালেবান-মানবজমিন

পরাজয়ের জায়গা থেকে সমঝোতায় কখনও জেতা যায় না। বারবার ছাড় দিতে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা জোটের সেরকম একটা ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। তালেবান তাদের বৈধ এবং শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্র দুই দশকের যুদ্ধে তালেবানকে সামাজিক শক্তি থেকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। সন্ত্রাসবাদের তকমা দিয়েও তাদের পরাভূত করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র যেখান থেকে শুরু করেছিল দুই দশক আগে আবার সেখানেই ফিরে এসেছে ।পুনরায় তালেবানের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে আফগানিস্তান থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। এসব প্রমাণ করে, তালেবান আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তালেবান একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি যারা দীর্ঘ দুই দশক যাবত বিদেশী আক্রমণের হাত থেকে আফগানিস্তানকে রক্ষা করার জন্য প্রতিনিয়ত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে।

যুদ্ধের মাধ্যমেই তালেবান আফগান জনগণের সমর্থন কুড়িয়েছে এবং নিজেরা বৈধ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা শক্তি মুখে বলুক আর না বলুক তাদের বৈধতার প্রথম স্বীকৃতি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দোহা চুক্তির মাধ্যমে । যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবান নেতৃত্ব পরস্পরের কাছাকাছি এসে একটি চুক্তি সম্পন্ন করে। এর মাধ্যমে তালেবান বৈধতা পায় এবং যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করার সকল নৈতিকতা এবং যৌক্তিকতা হারিয়ে ফেলে।আফগানিস্তানের সরকার গঠনে তালেবান তাই একমাত্র বৈধ শক্তি। আফগানিস্থানে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্রেরই প্রথম দায়িত্ব হওয়া উচিত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর দেশ আফগানিস্তানের জনগণই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে কোন বিদেশী শক্তি নয়।

কাবুল এয়ারপোর্ট থেকে উদ্ধার প্রক্রিয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা আরো কিছুটা বাড়তি সময় চায়। অপ্রকাশিত দোহা চুক্তি থেকে বিস্তারিত কিছু না জানা গেলেও সময়ে সময়ে এর কিছু কিছু অংশ নানাভাবে উন্মোচিত হচ্ছে।৩১শে অগাস্ট ডেডলাইন। অর্থাৎ এরমধ্যে পশ্চিমা জোটকে আফগানিস্তান থেকে চলে যেতে হবে ।এ রকমই একটা সমঝোতা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানদের মধ্যে। তালেবানদের তরফ থেকে ডেডলাইন অতিক্রম করলে কঠোর পরিণতি হবে বলে ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। তালেবান ডেডলাইনকে এখন রেডলাইন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বরিস জনসনের এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইভাকুয়েশন প্রসেসের সময়সীমা দীর্ঘায়িত করার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। জরুরী ভিত্তিতে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পন্থা বের করার জন্য ইতিমধ্যে জি সেভেনের একটা ভার্চুয়াল বৈঠকও সম্পন্ন হয়।জি সেভেন হচ্ছে পশ্চিমা ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর পরিচালিত বিশ্ব ব্যবস্থার বর্তমান সময়ের একটি কাগুজে সংগঠন । প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, তিনি ডেডলাইন অতিক্রমের পক্ষে নয় কারণ এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে ।যত তাড়াতাড়ি আফগানিস্তান থেকে চলে আসা যায় ততই মঙ্গল বলে মন্তব্য করেন।

বাস্তবতা হলো গত সোমবার সিআইএর পরিচালক এবং তালেবানের উপপ্রধান ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান আব্দুল গনি বারাদারের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রে খবর প্রচারিত হয়। এক সময় এই দুই শক্তি একে অপরকে সন্ত্রাসবাদি হিসেবে চিহ্নিত করলেও বর্তমানে তাদের বেশ সময় কাটে আলোচনার টেবিলে। বৈঠক থেকে কোন সবুজ সঙ্কেত না পাওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এখন ৩১ আগস্ট কে এই ডেডলাইন হিসেবে পুনরায় ব্যক্ত করেছেন। তার ভাষায় আফগানিস্তানে রয়েছে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠন যেমন আল-কায়েদা এবং আইএস, এবং ডেডলাইন অতিক্রম করলে কাবুল এয়ারপোর্টে থাকা মার্কিন সেনাদের উপর মারমুখো জঙ্গি আক্রমণ হয়ে যেতে পারে।

এৱপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিমানবন্দর কে এড়িয়ে যেতে অনুরোধ করে খবর প্রচার করতে থাকে। এই সতর্কতার মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ হামলায় প্রায় শতাধিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।আহত হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক।হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এই হামলা একটা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ এবং আফগানিস্তানে তালেবানের অর্জনকে দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।ডেডলাইনের আগে এ রকম হামলার আরো আশঙ্কা আছে।

বর্তমান অবস্থায় আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেখানে আপাতত তাদের কোনো সরকার নেই।অন্য দিকে কাবুল এয়ারপোর্ট ন্যাটো সহ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তারা ক্ষণিক সময়ের জন্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে যার ডেডলাইন ৩১অগাস্ট। অন্য কথায় বলা যায়, মার্কিন সামরিক সেনারা বর্তমানে আফগানিস্তানে কোন তালেবান সরকারের সার্বভৌমত্বের মধ্যে নয়। সরকার গঠনের পর কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ সরকারি বাহিনী নিয়ে নেবে সেটাই স্বাভাবিক ।সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে পাশাপাশি মার্কিন সেনাবাহিনী থাকলে সরকারের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।দোহা সমঝোতার মাধ্যমেই এই শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ডেডলাইন ৩১ শে অগাস্ট নিশ্চিত করা আছে।ডেডলাইন পিছিয়ে যাওয়া মানেই তালেবানদের সরকার গঠনে বিলম্ব হওয়া। সম্ভবত এই কারণেই তালেবানদের হুঁশিয়ারি যে , ডেডলাইন অতিক্রম করলেই পরিণাম হবে ভয়বহ। তালেবান আর সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে চায় না ।দেশকে পুনর্গঠন করা খুবই জরুরি।

রাশিয়া চীনসহ আঞ্চলিক শক্তি গুলো যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পুনর্গঠন এবং তার জনগণের উন্নয়নের জন্য তালেবান সরকারের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। এ প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রতিবেশী ভারত নেই। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি এই অঞ্চলে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। এর মূল কারণ বাস্তবতাকে প্রাধান্য না দিয়ে তারা দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি দিয়ে দেখেছে। কাশ্মীর তালেবানের মাথাব্যথার কারণ নয় এই মর্মে নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও মোদি সরকার সহযোগিতার কথা বলেনি বরং তালেবানদের বিরুদ্ধে অশালীন ও বিরূপ মন্তব্য করেছে। ভারত দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টিয়ে আধুনিকায়ন না করলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের ব্যর্থ পররাষ্ট্রনীতির রেশ অনেক দিন ধরেই চলবে। এবং এর রেশ ধরে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের পররাষ্ট্র নীতির সফলতার মুখ দেখা প্রায় অসম্ভব।

রাশিয়া ও চীন আফগান ইস্যুতে একই ধরণের অবস্থানে রয়েছে।গত বুধবার চীন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে একমত হয়ে বলেন, তারা আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে, তারা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার উপর জোর দেয় এবং আফগান সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের ক্ষেত্রে তারা সবসময় গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও দীর্ঘদিনের পরিবর্তনগুলি দেখায় যে, বাইরের কোনো রাজনৈতিক মডেলগুলিকে জোর করে কোন দেশে চাপিয়ে দেয়া যায় না। তা কেবল ধ্বংস ও দুর্যোগে বয়ে আনে। প্রতিটি দেশেই অপ্রতিম (unique) তাই ভিন্নতা থাকবে।প্রতিটি দেশের সামাজিক প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক কাঠামো এবং আদর্শ গড়ে উঠবে সে দেশের ইতিহাস আঞ্চলিক অবস্থান সংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং জনগনের আশা-আকাঙ্খার উপর ভিত্তি করে। বিদেশী সংস্কৃতি সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও রাজনৈতিক আদর্শ অন্যদেশের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা গোটা বিশ্বকে অস্থিতিশীল করবে এবং তা কোন দেশের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

আফগানিস্তান-তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে পরিকল্পনা তালেবানের-প্রথম আলো

তালেবান বলছে, নতুন সরকারেরও বিভিন্ন পদে নারীরা কাজ করার সুযোগ পাবেন। বিশেষত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেশি থাকবে।

সহায়তা বন্ধ, ব্যাংক বন্ধ, হাতে অর্থ নেই আফগানদের-প্রথম আলো

তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দেশটিতে। নিরাপত্তার অভাব, সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ—এগুলো কাঁধে নিয়ে চলছে আফগানরা। দিন গড়ানোর সঙ্গে তারা এবার নতুন এক সমস্যার মুখে পড়েছে—অর্থের অভাব। আফগানদের হাতে থাকা নগদ অর্থ ফুরিয়ে আসছে।

‘বিদেশে যেতে হলে খালেদাকে জেলে গিয়ে আবেদন করতে হবে’-ইত্তেফাক

চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল লা ভিঞ্চিতে ল রিপোর্টার্স ফোরাম ও এমআরডিআই'র আয়োজনে এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

দৈনিকটির অপর এক খবরের শিরোনাম- ‘জিয়াউর রহমানের সমাধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন’বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্যই জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও সমাধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন। শনিবার (২৮ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিতাস ট্রাজেডি-১৪ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি নৌকা, ২১ লাশ হস্তান্তর-মানবজমিন/ইত্তেফাক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধার হয়নি ১৪ ঘণ্টা পরও। শুক্রবার বিকেল ৬টার দিকে বিজয়নগরের চম্পকনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরমুখী একটি যাত্রীবাহী নৌকা অনুমান এক-দেড়শো যাত্রী নিয়ে লইসকাবিলে ডুবে যায়। বালুভর্তি নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। ধারণা করা হচ্ছে, নৌকার ভেতর আরো মরদেহ থাকতে পারে। কিন্তু আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নৌকা উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি ডুবুরি দল নৌকা ডুবে যাওয়ার স্থলে সকাল ৮টার পর কাজ শুরু করে। 

ফার্মগেটে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন ক্রিকেটার-যুগান্তর

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন উদীয়মান এক ক্রিকেটার।  তার নাম - শহীদুল ইসলাম (নীরব)। তিনি কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের প্রথম বিভাগের ক্রিকেটার ছিলেন।

শুক্রবার রাতে বেপরোয়া গতির একটি বাস মোটরসাইকেল আরোহী শহীদুলকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহন হন শহিদুল। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী : নৌ প্রতিমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল দেশে পদার্পন করেছে। ২০০০ ডলারের বেশি আমাদের মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এর দিকে অর্থ ঋণের জন্য তাকিয়ে থাকে না। বাংলাদেশ আজ নিজস্ব অর্থায়নে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পদ্মাসেতু,পায়রা বন্দর, মাতারবাড়ী বন্দর, মোংলা বন্দর, বে টার্মিনালের মতো প্রকল্প বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংক আমাদের পেছনে পেছনে ঘুরে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। পৃথিবীর বিস্ময়। করোনা মহামারীতেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে নাই।

সুখবর-চলল মেট্রো রেল : এ শুধু স্বপ্ন নয়, সত্যি-কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশে উড়াল পথে ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে স্বপ্নের মেট্রো রেল চলল প্রথমবারের মতো। রাজধানী ঢাকার কিছু এলাকার মানুষ মুগ্ধ হয়ে দেখল মেট্রো রেলের চলাচল।

গতকাল শুক্রবার সকালে ট্রেনটি ছয়টি বগি নিয়ে উত্তরার দিয়াবাড়ী ডিপো থেকে মিরপুরের পল্লবী পর্যন্ত চারটি স্টেশনে চলাচল করে।

যদিও আগামীকাল রবিবার মেট্রো রেলে আনুষ্ঠানিক পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখানো হবে ট্রেন, গতকাল নেওয়া হলো তারই প্রস্তুতি।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে দলীয় নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

বিব্রতকর হলেও ঐতিহাসিক সত্য প্রকাশ করবে আ. লীগ-কালের কণ্ঠ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রেক্ষাপটে দলীয় ওই নেতারা কর্তব্য পালন থেকে পিছু হটেছিলেন বলে তাঁরা এ হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারেন না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা বলছেন, বিব্রতকর হলেও এই ঐতিহাসিক সত্য জাতির সামনে তুলে ধরা দলের দায়িত্ব।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ওই নেতারা কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ১৫ আগস্ট দলের কার কী ভূমিকা ছিল, তা আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রজন্মের নেতাকর্মীদের জানা দরকার। এ জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের পাশাপাশি নিজ দলের যেসব নেতা সেদিন তাঁদের দায়িত্ব পালন করেননি, তাঁদের কথাও প্রচার করবে দলটি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার এক আলোচনাসভায় দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা দলের প্রয়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাক, বর্তমান উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময়ের সেনাপ্রধান ও পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কে এম সফিউল্লাহর নাম ধরে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ প্রশ্ন দেশের নিস্তরঙ্গ রাজনীতিতে খানিকটা হলেও আলোড়ন তুলেছে। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে এ নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওই সময় রক্ষীবাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নীরবতা পালন করেছেন। অথচ তাঁদের ওপর ভরসা করে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলেন। তাঁদের এই নিষ্ক্রিয়তা বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগকে অনেক পিছিয়ে দেয়। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ওই ব্যর্থতা ও দায় নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরে তেমন কোনো আলোচনা এত দিন হয়নি। এখন এই আলোচনা প্রকাশ্যে করা হবে। জাতির সামনে বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। দলের বর্তমান প্রজন্মের নেতাকর্মীদেরও দলীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জানা থাকা দরকার। এটি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের পথচলার জন্য সহায়ক হবে।

জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কবিগুরু বলেছেন—সত্যরে লও সহজে। তিনি আরো বলেছেন—সত্য যে কঠিন/কঠিনেরে ভালবাসিলাম। বেশির ভাগ সময়ই সত্য তিক্ত হয়। কিন্তু এ জন্য তো আর সত্য গোপন করা যাবে না। সত্য যেটা সেটা সত্যই। এটা চাইলেও গোপন করা যায় না অথবা টেনে বড় করা যায় না। বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁর বেদনার কথা বৃহস্পতিবারের আলোচনাসভায় তুলে ধরেছেন।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ইতিহাসের সত্য ঘটনাকে মেনে নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এতগুলো লোক মোশতাকের মন্ত্রিসভায় গেল! এরা ভয়ে গেছে, নাকি লোভে গেছে, সেটা জানার অধিকার জাতির আছে, আওয়ামী লীগের এই প্রজন্মের নেতাকর্মীদের আছে। আমাদের নেতাদের কার কী ভূমিকা ছিল, তা সামনে আনা দরকার। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের হাতের রান্না যাঁরা বেশি খেয়েছেন, তাঁরাই আবার বেঈমানি করেছেন। ইতিহাসে এঁদের ভূমিকা পরিষ্কার হওয়া দরকার।’

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমরা চাই, যে ফর্মেই হোক যাঁরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেঈমানি করেছেন, যাঁরা সামনে এসেছেন বা আড়ালে থেকে ষড়যন্ত্র করেছেন, যাঁরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেননি, তাঁদের সবারই যেকোনো ফর্মেই হোক বিচার হওয়া দরকার। শুধু ফাঁসি বা জেল দিলেই শাস্তি হয় এমন নয়। ইতিহাসে তাঁদের ভূমিকা তুলে ধরাও একটি শাস্তি। এতে কিছুটা হলেও তাঁদের প্রায়শ্চিত্ত হয়।’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ভূমিকা আলোচিত হলে তা দলটির বতর্মান নেতৃত্বের জন্য বিব্রতকর হবে কি না জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি, জামায়াত, সিভিল প্রশাসনসহ অনেকের ভূমিকাই সামনে আসবে। আওয়ামী লীগের জন্য ভয়ের কিছু নেই। জনগণের দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে ঐতিহাসিক সত্য সামনে আনতে হবে।’

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যে ভোরে হত্যা করা হলো, সেদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ছিল। ছাত্রলীগের ব্যাপক জমায়েতের প্রস্তুতি ছিল। কোনো দায়িত্বশীল নেতা যদি সেদিন প্রতিরোধের ডাক দিতেন, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় মিছিলের ঢল নেমে যেত। এই মিছিল ৩২ নম্বরের দিকে এগোলে বিপথগামী সেনারা ভয়ে পালাত। হয়তো বঙ্গবন্ধুকে বাঁচানো যেত না, কিন্তু সেদিন বাংলাদেশ বেঁচে যেত।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে বিভিন্ন পর্যায় থেকে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সে সময়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বুঝে বা না বুঝে ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষে গেছেন। তাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তা করেছেন। প্রকৃত গবেষণার মাধ্যমে ঐতিহাসিক সত্য উন্মোচন করা দরকার। সত্য বেরিয়ে আসুক। প্রত্যেকের চরিত্র উন্মোচিত হোক। দু-চারজন নেতার চরিত্রের ওপর আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নির্ভর করে না। আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণের দল। জনগণের স্বার্থেই সত্য প্রকাশ জরুরি।’

দেশে দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ৪% মানুষ-প্রথম আলো

সরকার দেশের মানুষের ৮০ শতাংশকে করোনার টিকা দিতে চায়। স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত মাত্র ৪ শতাংশের কিছু বেশি মানুষকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকা দিতে পেরেছে। বর্তমান ধারায় টিকাদান চলতে থাকলে বাকি ৭৬ শতাংশকে টিকা দিতে ১০ বছরের বেশি সময় লেগে যাবে।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চূড়ান্ত করা জাতীয় করোনার টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনায় জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার বিষয়টি বিশদভাবে বর্ণনা করা আছে। দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার। এ হিসাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৩ কোটি ৫১ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দিতে চায়। পূর্ণ দুই ডোজ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সন্তোষজনক নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শুধু মিয়ানমারের ওপরে। এরই মধ্যে হঠাৎ গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। বাকি সাড়ে ৫ কোটির বেশি মানুষ কবে নাগাদ টিকা পাবেন, মন্ত্রীর বক্তব্যে তার উল্লেখ ছিল না।

ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হলে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়ার সংখ্যাও বাড়াতে হবে। বর্তমান হারে টিকা দেওয়া চলতে থাকলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৮ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারবেন না বলে অনেকেই মনে করছেন।

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

কোভিড  ১৯- দেশে ফের বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, রেকর্ড টিকাকরণে ভারতের প্রশংসায় WHO-সংবাদ প্রতিদিন/আজকাল

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানির মাঝেই প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টাতেও যার ব্যতিক্রম হল না। একদিনে লাফিয়ে বাড়ল অ্যাকটিভ কেসও। সংক্রমণ মোকাবিলাতে টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। গতকাল যেমন ভ্যাকসিন দেওয়ায় নয়া রেকর্ড গড়ল দেশ। একদিনে টিকা পেলেন এক কোটিরও বেশি মানুষ। আর তাতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশংসা কুড়োল ভারত। দেশের ১৮ বছরের উর্ধ্বে ৯৪ কোটি পূর্ণ বয়স্কর মধ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাকসিন এর দুটো ডোজ নিয়েছেন। ৫১ শতাংশের একটি ডোজ হয়েছে।ভারত পূর্ণ ভ্যাকসিনেটেড হওয়াটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুনের হুমকি, বিপাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-সংবাদ প্রতিদিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) খুনের হুমকি! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে দায়ের হল অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারীরা। তাঁর অভিযোগ, ২৬ আগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফেসবুক ব্যবহারের সময় একটি পোস্ট দেখতে পান তিনি। তাতে কমেন্ট করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অরিন্দম ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন পুলিশের দ্বারস্থ হন তমাল।

অভিযোগকারীর কথায়, ওই পোস্ট দেখার পর থেকেই তাঁর মনে হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রাণ সংশয় রয়েছে সেই কারণেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। প্রমাণ হিসেবে জমা দেন অরিন্দম ভট্টাচার্যের কমেন্টের স্ক্রিনশট। পুলিশের সহয়োগিতা প্রার্থনা করেছেন তমাল। দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্তের শাস্তির।

বিষয়টা ঠিক কী? শুক্রবার লালবাজার সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন এক যুবক। তাঁর নাম তমাল দত্ত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তিনি। এদিন অরিন্দম ভট্টাচার্য নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই (University of Calcutta) এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্র।

ভারতে খিলাফাত প্রতিষ্ঠাই মুল লক্ষ্য আইএস খোরাসানের, আশঙ্কা গোয়েন্দাদের-আনন্দবাজার পত্রিকা

খোরাসানে মুল উদ্দেশ্যই ভারতের সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো এবং এ দেশের তরুণদের মগজধোলাই করা। ভারতে ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করেছে দিয়েছে।কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণের নেপথ্যে যে জঙ্গি সংগঠন, তাদের নজর ভারতের দিকেও রয়েছে। এ দেশেও তারা খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করতে চায়। গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি ওই সূত্রের দাবি, খোরাসন শাখা সংগঠনের পায়ের তলার মাটি অনেক শক্ত। তাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে চায়। সেজন্য তরুণদের মগজধোলাই করছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৮

ট্যাগ