একনজরে ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১১ অক্টোবর সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো
- মানবিক সাহায্য দেবে যুক্তরাষ্ট্র, এখনই স্বীকৃতি নয়: তালেবান’-মানবজমিন
- আইএসের অন্যতম শীর্ষ নেতাকে আটক করলো ইরাকি বাহিনী -ইত্তেফাক
- ইসি নয়, মাহবুব তালুকদারই মানসিক রোগে আক্রান্ত: কাদের-যুগান্তর
- মানুষের সংসার চালানোই দায়, কিন্তু ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত-সংবাদ সম্মেলনে রিজভী-কালের কণ্ঠ
-
দেশের ২০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে’-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না, দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি অভিষেক-জায়া রুজিরার-আনন্দবাজার পত্রিকা
- দাবি যুক্তিহীন’, ভারতকেই দায়ী করে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে দিল চিন-সংবাদ প্রতিদিন
- লখিমপুর খেরি কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ মহারাষ্ট্র বন্ধ, মিশ্র প্রভাব বাণিজ্য নগরীতে –আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার প্রশ্ন (১১ অক্টোবর)
১. দেশে এখন ৮০ লাখ মাদকাসক্ত- এটি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম। কি বলবেন আপনি?
২. পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক কমেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে। বিষয়টিকে কীভাবে পর্যালোচনা করবেন আপনি?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সমর্থন-সহযোগিতা চেয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে শেখ হাসিনা এই সমর্থন-সহযোগিতা চান। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চাই। এ ব্যাপারে রাশিয়ার অব্যাহত সহযোগিতা প্রয়োজন।’ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। এতে রোসাটম সহযোগিতা দিচ্ছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি রোসাটমের মহাপরিচালককে স্থানীয় জনগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে তাঁরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) চালাতে পারেন। আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা পারমাণবিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে। ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হবে। আলেক্সি লিখাচেভ আরও বলেন, আরএনপিপি পরিচালনার জন্য তাঁরা বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ দেবেন। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে তাঁদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
মানবিক সাহায্য দেবে যুক্তরাষ্ট্র, এখনই স্বীকৃতি নয়: তালেবান’-মানবজমিন
কাতার আলোচনায় দারিদ্র্যে নিঃস্ব হয়ে পড়া আফগানিস্তানকে মানবিক সাহায্য দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তারা আফগানিস্তানের নতুন শাসক তালেবানদের রাজনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কাতারের দোহা’য় আলোচনা শেষে রোববার এমন দাবি করেছে তালেবানরা। তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই আলোচনা এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন তাদের নাগরিকদের রোববার রাতে রাজধানী কাবুলের হোটেলগুলো, বিশেষ করে সেরেনা হোটেল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়। ওই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সেরেনা হোটেল বা এর কাছাকাছি যেসব মার্কিনি আছেন, তারা যেন বিলম্ব না করে ওই স্থান ত্যাগ করেন। ওদিকে আফগানিস্তান সফরে ট্র্যাভেল এডভাইস আপডেট করেছে বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।তারা বলেছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামলার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে কেউ যাতে হোটেলগুলোতে, বিশেষ করে সেরেনা হোটেলে অবস্থান না করেন। কাবুলে বিলাসবহুল হোটেল হিসেবে পরিচিত সেরেনা হোটেল। বিদেশি পর্যটকদের কাছে এই হোটেলটি জনপ্রিয়।এ অবস্থায় কাতারের রাজধানী দোহা আলোচনা ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে তালেবানরা। বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের জন্য মানবিক সহায়তা মুক্ত করে দিতে রাজি হয়েছে ওয়াশিংটন। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রও পরিষ্কার করেছে যে, এই আলোচনায় তালেবানদের স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তালেবানদের রাজনৈতিক মুখপাত্র সুহেইল শাহিন বলেছেন, তাদের অন্তর্বর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনার সময় নিশ্চিত করেছেন যে, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশের বিরুদ্ধে হামলা করতে কোনো উগ্রবাদীকে অনুমোদন দেবে না তালেবানরা।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী-মানুষের সংসার চালানোই দায়, কিন্তু ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত
মানুষের ঘরে ঘরে চলছে বোবা কান্না। সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত। ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের প্রতি যে দায়িত্ব আছে, সেটি তাঁরা মনে করেন না।'
আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ব্যাংক লুট, অর্থপাচার ও দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে বর্তমান সরকার তাক লাগিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, 'তথাকথিত উন্নয়নের তাস দিয়ে মানুষের মন জেতা যাবে না।' তিনি বলেন, গতকাল (রবিবার) প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আসলেই তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন, তবে উন্নয়নে নয়- মানুষের ওপর অসহনীয় ঋণের বোঝা চাপিয়ে, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে, দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার ও ব্যাংক লুটের সুযোগ করে দিয়ে।'
রিজভী বলেন, 'বর্তমানে এক শাসরুদ্ধকর দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন। রাষ্ট্রীয় লুটেরা দস্যুদের পায়ের তলে অশ্রুপাত করছে মানবতা। একদিকে স্বেচ্ছাচারী একনায়ক শাসকের শোষণে নিষ্পেষিত জনগণ, অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতিতে অসহনীয় জীবনযাপন।'
রিজভী আরো বলেন, 'আয়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উল্লম্ফন ঘটায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ নীরবে আর্তনাদ করছে। ঘরে ঘরে চলছে বোবা কান্না। সংসার চালানোই এখন দায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত। ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের প্রতি এ সরকারের কোনো রকম যে দায়িত্ব আছে সেটি তারা মনে করে না। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দয়ামায়া নেই। তাই আজকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগার বা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত।'
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, 'করোনার অভিঘাতে মানুষের আয়-রোজগারে যখন টানাপড়েন অবস্থা তখন হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, তেল, লবণ, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, সবজি, মাছ-মাংস, ডিম, চিনি, দুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য সব দ্রব্যের দাম প্রতিদিন বাড়ছে এবং ক্রমে তা দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।'
রিজভী বলেন, 'গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলও বাড়ানো হচ্ছে পাল্লা দিয়ে। গতকালও (রবিবার) এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদে আওয়ামী লীগের কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুদদার সিন্ডিকেট।'
বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য তুলে ধরে রিজভী বলেন, 'সব কিছুর দাম এখন চড়া। বাজারে এক কেজি মোটা চালের দাম ৬০ টাকা। যা আগের চেয়ে কেজিতে বেড়েছে ৬-৭ টাকা। এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৫০ টাকা। কিছুদিন আগেও এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকায় কেনা যেত, এখন সেটা ১৭৫ টাকা। পেঁয়াজের দাম মোটামুটি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কোনো উৎসব বা উপলক্ষ নেই, তবু ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা ছুঁয়েছে, যা সাধারণত ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে থাকে। তেল, চিনি, পেঁয়াজে যেন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে, ছুঁলেই শক করে।'
বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, 'এ বছর ইলিশের দামও কমেনি। কারণ, দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে প্রতিবেশী দেশে ইলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে দাম কম, অথচ আমাদের দেশে আকাশছোঁয়া। সবজি রান্নার জন্য সামান্য ছোট চিংড়ি কিনতেও প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৬০০/৭০০ টাকা। কাঁচা মরিচের দামও অকল্পনীয়ভাবে বেড়েছে। দামে সেঞ্চুরি পার করেছে।'
রিজভী বলেন, 'গত এক মাসে গুঁড়া দুধের দাম কেজিতে বেড়েছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা। শিশুখাদ্যের মূল্যও একইভাবে বাড়ছে। এ ছাড়া ডাল, চিনিসহ নিত্য ভোজ্যসামগ্রীর দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। মূল্যবৃদ্ধির এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন খোদ ব্যবসায়ীরাই। এর কোনো প্রতিকার নেই। কে করবে প্রতিকার? বাজার সিন্ডিকেটের দাপট দেখে মনে হয়, সরকার ও প্রশাসন এর পৃষ্ঠপোষক। এ দেশের মানুষ ফতুর হয়ে গেছে, কিন্তু আওয়ামী রাজন্যবর্গ বিত্ত-বিলাসে মত্ত। অন্যদিকে দেশজুড়ে তারা সৃষ্টি করেছে অবিশ্বাস, অসহিষ্ণুতা ও বিদ্বেষের আবহ। এ সরকারের পতন ছাড়া জনগণের মুক্তি আসবে না।'
চলমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে দেশের মানুষকে আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, 'দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ করে ছাত্র-তরুণ-যুবসমাজকে উপলব্ধি করতে হবে, খুনি লুটেরা চক্র এভাবেই কী ব্যর্থ করে দেবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশকে? নাকি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় আগের মতো আবারও ঘুরে দাঁড়াবে ছাত্র-যুবসমাজ। সুতরাং আসুন, আপনার-আমার-আমাদের সবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় আবারও ঐক্যবদ্ধ হই।'
ইসি নয়, মাহবুব তালুকদারই মানসিক রোগে আক্রান্ত: কাদের-যুগান্তর
নির্বাচন কমিশন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত, তাকে বাঁচাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে হবে’-নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘অবাক লাগে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কমিশনার মাহবুব তালুকদার একটি দলের হয়ে যেভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন; তাতে মনে হয় ইসি নয়- তিনি নিজেই জটিল ও কঠিন মানসিক রোগে আক্রান্ত। বর্তমান ইসির মূল সমস্যা হচ্ছেন তিনি নিজেই।’
সোমবার রাজধানীর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে মোহাম্মদপুর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের পাঁচটি ইউনিটের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই আন্দোলনের ডাক দেন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, অথচ বিএনপি আমাদের চেয়ে ছয়ঘণ্টা পিছিয়ে আছে। কারণ আমাদের নেত্রী ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠেন। আর দুপুর ১২টার আগে বিএনপির কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা সন্ধ্যায় নয়, গভীর রাতে বিবৃতি দেয়। এরা অন্ধকারের পার্টি; অন্ধকারে কাজ করতে তাদের ভালো লাগে।
বিএনপিতে এখন বিচ্ছেদের সানাই বাজছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘একে একে নেতারা দল ছেড়ে যাচ্ছে। তাদের ২০ দলীয় জোটেও দেখা দিয়েছে ভাঙনের বিষাদের সুর। কাজেই বিএনপি নিজেরাই বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। এখন শুনছি কেন্দ্রীয় সম্মেলন না করে ঘরে বসেই কমিটি করবে। সম্মেলন নাই এ দলে। নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র কী করে করবে?
সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না, দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি অভিষেক-জায়া রুজিরার-আনন্দবাজার পত্রিকা
দিল্লি হাইকোর্টে স্বস্তি রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার অর্থাৎ সপ্তমীর দিন তাঁর পটিয়ালা হাউস আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সোমবার দিল্লি হাই কোর্ট নির্দেশ দিল, সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে। পরিবর্তে তাঁর আইনজীবীই হাজির থাকবেন আদালতে।গত ৩০ সেপ্টেম্বর দিল্লির পটিয়ালা হাউস কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, কয়লা-মামলায় ১২ অক্টোবর অর্থাৎ দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন সশরীরে হাজিরা দিতে হবে অভিষেক-জায়াকে। আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।রুজিরার অভিযোগ ছিল, কোনও মহিলাকে অন্য রাজ্যে তলব করার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মানেনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাই পটিয়ালা হাউস কোর্টের দেওয়া সশরীরে হাজিরার নির্দেশ খারিজ করা হোক। সোমবার সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাই কোর্ট।
দাবি যুক্তিহীন’, ভারতকেই দায়ী করে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে দিল চিন-সংবাদ প্রতিদিন
টানটান উত্তেজনা ছিলই। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ভারত-চিনের (India-China) বৈঠক কতটা ইতিবাচক হবে, তা নিয়ে সংশয়ের বাতাবরণও ছিল। বাস্তবে সেই সংশয়, অনিশ্চয়তাই সত্যি হল। ভারত-চিন সেনা পর্যায়ের প্রায় আটঘণ্টা আলোচনার পরও মিলল না সমাধান সূত্র। সেনা সরানো নিয়ে দু’পক্ষই অনড়। ফলে ভেস্তে গেল বৈঠক। উলটে ভারতের দাবিকে ‘যুক্তিহীন’ অ্যাখ্যা দিয়ে এই আলোচনার পথে বাধা হিসেবে দেখিয়েছে চিন। তাতে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি (New Delhi)।
গত বছর থেকেই লাদাখে গালওয়ান (Galwan), প্যাংগং লেক, দেপসাংয়ের মতো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া এলাকা নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। তারপর LAC থেকে সেনা সরানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একাধিকবার আলোচনার টেবিলে বসেছে ভারত-চিন। কিন্তু সমাধান বেরয়নি। রবিবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
লখিমপুর খেরি কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ মহারাষ্ট্র বন্ধ, মিশ্র প্রভাব বাণিজ্য নগরীতে –আজকাল
নবরাত্রির উৎসবের মাঝেই আজ স্তব্ধ থাকছে বাণিজ্য নগরী সহ গোটা মহারাষ্ট্র। গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে যে কৃষক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েই আজ মহারাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি জোট।শিবসেনা, কংগ্রেস ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি–র মিলিত সরকার মহা বিকাশ আগাড়ির তরফে এই বন্ধকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করা হয়েছে। সরকারের জোটের এই তিন দলের তরফেই সাংবাদিক বৈঠক করে এই বনধের ঘোষণা করা হয়েছে।মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক রাজ্যবাসীকে বন্ধ সমর্থনের অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি মহারাষ্ট্রের ১২ কোটি মানুষকেই অনুরোধ করছি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। একদিনের জন্য কাজ বন্ধ রেখে এই বনধ্কে সমর্থন করুন।’ রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত দোকানপাট, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বনধের সমর্থনে সবজি মান্ডিগুলিও বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।#
পার্সটুডে/এমবিএ/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।