নভেম্বর ০৭, ২০২১ ১৯:২৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৭ নভেম্বর রোববারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • তৃতীয় দিনেও ধর্মঘট অব্যাহত, অচল সারা দেশ-যুগান্তর
  • পথে পথে দুর্ভোগ-মানবজমিন
  • সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির মাথায় গুলির চিহ্ন-ইত্তেফাক
  • স্ত্রী সন্তানকে হত্যার পর রিকশাচালকের আত্মহত্যা-যুগান্তর
  • গণপরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার-কালের কণ্ঠ
  • মতামত-শাবাশ হুদা কমিশন!-প্রথম আলো

ভারতের শিরোনাম:

  • দল ছাড়লে গুপ্তকথা ফাঁস করতেন! বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি তথাগত রায়ের-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • এবার বিজেপি ছাড়ছেন জয় ব্যানার্জি, মোদিকে চিঠি দিয়ে জানালেন অভিনেতা- আজকাল-আজকাল 
  • পুরভোটে ফের বাম-কংগ্রেস জোট? বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন বিমান বসু–সংবাদ প্রতিদিন

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. দেশটা যেন মগের মুল্লুক- দৈনিক মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। কী বলবেন আপনি?

২. সিরিয়ায় বারবার ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘উদ্বেগজনক’ -এমন মন্তব্য করেছে রাশিয়া। আপনার পার্যবেক্ষণ কী?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির মাথায় গুলির চিহ্ন-ইত্তেফাক

ভারতের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে চারদিন পড়ে থাকার পর উদ্ধার করা নিহত দুই বাংলাদেশির একজনের মাথা ও অন্যজনের কপালে গুলি ভেদ করে বের হয়েছে। বিজিবি লাশ উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তরের পর কানাইঘাট থানা-পুলিশের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

কানাইঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে দুজনের শরীরে গুলির চিহ্ন আছে। একজনের মাথা ও অন্যজনের কপালে গুলি ভেদ করে বের হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আর কোথাও কোনো গুলি আছে কি না তা বলা যাবে।

গত বুধবার সকালে সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকার নোম্যান্স ল্যান্ডের ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কানাইঘাট উপজেলার এড়ালিগুল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আসকর আলী ও একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র আরিফ হোসেনের পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরিবারের অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে এই দুজনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ ডোনা সীমান্তে ফলে যায় ভারতীয়রা। এরপর বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে অবগত করা হয়।

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক করলেও দুজনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে না পারায় ওইদিন লাশ উদ্ধার হয়নি। অবশেষে শুক্রবার বিকেল ৪টায় বিজিবি-বিএসএফ ফের পতাকা বৈঠক করে। ওই বৈঠকের পর ওইদিন বিএসএফ লাশ দুটি উদ্ধার করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

মতামত-শাবাশ হুদা কমিশন!-প্রথম আলো

প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান তার ঐ শিরোনামের মতামত কলামে লিখেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন বিব্রত ও উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি বলেন, সহিংসতা ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠপর্যায়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁর এ সতর্কবাণী যে কোনো কাজে লাগেনি, তার প্রমাণ নির্বাচনী সংঘর্ষে গত এক সপ্তাহে নরসিংদী জেলায় ছয়জনের প্রাণহানি।

গত ২০ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর দুই দফায় প্রথম ধাপে ৩৬৫টি ইউপির নির্বাচন হয়। দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৮৪৬টি ইউপিতে ভোট হবে ১১ নভেম্বর। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের ১ হাজার ৭ ইউপিতে ভোট হবে ২৮ নভেম্বর। সহিংসতার পাশাপাশি এবার ভোট ছাড়াই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার হিড়িক পড়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ২১১ ইউপির মধ্যে ১৫৪টিতে চেয়ারম্যান পদে ভোট ছাড়া নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার তৃতীয় ধাপের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল। এই ধাপেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইউপিতে ভোট হবে না একক প্রার্থী থাকার কারণে।

যেকোনো নির্বাচনের নিয়ামক শক্তি হলো জনগণ বা ভোটার। অধুনা বাংলাদেশে সেই ভোটারদের ভূমিকাই গৌণ হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের যেসব বিধিবিধান আছে, সেগুলো নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী কেউ মানছেন না। বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বরাবর নির্দলীয় ভিত্তিতে হতো। কিন্তু কে এম নূরুল হুদা কমিশনের মাথায় হঠাৎ ভূত চাপল যে ইউপি থেকে সিটি করপোরেশন সব স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে তাঁরা নির্বাচনী ব্যবস্থাটিই ধ্বংস করে দিয়েছেন।

যেকোনো খেলার একটা নিয়ম আছে। খেলাটি হয় মাঠে। নির্বাচন হয় ভোটকেন্দ্রে। কিন্তু হুদা কমিশন মাঠ অর্থাৎ ভোটকেন্দ্রের খেলাটি মাঠের বাইরে নিয়ে এসেছে। ভোটের দিন কী হবে না হবে, কতজন ভোটার কেন্দ্রে যাবেন, কতজন পোলিং এজেন্ট কেন্দ্রে থাকবেন, সেসব নিয়ে ইসির কোনো মাথাব্যথা নেই। এরশাদ আমলে একটি জনপ্রিয় স্লোগান ছিল, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।’ এবারের ইউপি নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে সংঘাত ও সংঘর্ষ চলছে, তাতে মনে হয় ভোটারদের প্রয়োজন নেই। ভোটকেন্দ্রের প্রয়োজন নেই। ভোটকেন্দ্রের বাইরে এক পক্ষকে বন্দুক, চাপাতি, কিরিচ, দা-বঁটি ও লাঠি দিয়ে পরাস্ত করেই নির্বাচনী রায় ছিনিয়ে নেবে।

সিইসি নূরুল হুদা আশা করছেন ‘নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, প্রতিযোগিতামূলক হবে, কিন্তু প্রতিহিংসামূলক হবে না।’ বাস্তবে নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক না হয়ে প্রতিহিংসামূলকই হচ্ছে। নির্বাচন তখনই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়, যখন সব দল তাতে অংশ নেয়, সব প্রার্থী প্রচারণার সমান সুযোগ পান। ইসি সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেনি। বিএনপিসহ বেশ কিছু দল আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। তাদের অভিযোগ, এই ইসির অধীনে ভোট ও ভোটার নিরাপদ নয়। ভোটের অধিকার নিরাপদ না হলে নির্বাচনও নিরাপদ থাকতে পারে না।

নির্বাচনটি যেহেতু দলীয়ভাবে হচ্ছে, সব দলকে নির্বাচনী মাঠে নিয়ে আসাও কমিশনের দায়িত্ব ছিল। সরকারি দল আওয়ামী লীগ বলছে, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী। নির্বাচনটি কেমন হবে সে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব ইসির। সেই দায়িত্ব পালনে কিছুই করেনি মাঝেমধ্যে টিভিতে চেহারা দেখানো ছাড়া।

ক্ষোভ-বেদনার কথা অনেকবার বলেছি। এবার লজ্জার কথা বলছি। এ লজ্জা নির্বাচন কমিশনের পদাধিকারীদের স্পর্শ করবে না জানি। আবার বিবেকের তাড়নায় কেউ সত্য কথা বললে তাকে ‘মানসিক রোগী’ বানানো হবে। আজকাল মন্ত্রীরাও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু তাদের বোধ হয় জানা নেই অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না।

 ‘শাকিলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব –মানবজমিন

সবকিছু হারিয়েছি। নতুন করে আমার এখন হারানোর কিছু নেই। আমার চাকরি গেছে। আমার তো সংসার আগে থেকেই ছিল না। এখন তো চূড়ান্তভাবে কিছুই নেই। এখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে একমাত্র লড়াই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ভুক্তভোগী এই নারী চিকিৎসক। সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভি’র বার্তা প্রধান (হেড অব নিউজ) শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।

দুবাইভিত্তিক মানব পাচার সিন্ডিকেট-নাঈমের হাত ধরেই পাচার ৫০০-মানবজমিন

২০১২ সালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে দুবাই যান নাঈম খান ওরফে লোটাস (৩১)।সেখানে কয়েক বছর কাজ করার পর জড়িয়ে পড়েন মানব পাচারে। দুবাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমশক্তি আমদানি বন্ধ থাকলেও দুবাই শ্রম বাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা ছিল। সেখানকার কিছু প্রতিষ্ঠান ভ্রমণ ভিসায় দুবাইয়ে অবস্থানকারীদের ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে বৈধতা দিচ্ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নাঈম অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষকে দুবাইয়ে পাচার করেছেন। যাদের প্রত্যকের কাছ থেকে দুই লাখ থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকা করে নিয়েছেন। ওয়ার্ক পারমিট পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে দুবাই নিয়ে গেলেও পরবর্তীতে তাদের অনেকেই কোনো কাজ পাননি। কাজ না পেয়ে অনেকে মানববেতর জীবনযাপন করছেন।

টাকা না থাকার কারণে তারা দেশেও ফেরত আসতে পারছেন না।আবার তার মাধ্যমে দুবাই যাওয়ার জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ভুয়া ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড নিয়ে অনেকে বিমানবন্দরে ধরা পড়েন। এ রকম বেশকিছু ভুক্তভোগীর অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে র‌্যাব’র হাতে ধরা পড়েন নাঈম।  

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

দল ছাড়লে গুপ্তকথা ফাঁস করতেন! বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি তথাগত রায়ের-আনন্দবাজার পত্রিকা

তিনি নিজে দল ছাড়ছেন না। তবে দল ছাড়লে অনেক গুপ্তকথাই ফাঁস করে দিতেন। বিজেপি নেতৃত্বকে উদ্দেশ করে এমনই মন্তব্য করলেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে চলতি বিতর্কের মধ্যে তাঁর এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি ইতিমধ্যে এ নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়ে গিয়েছে।

রবিবার তথাগত টুইটে লেখেন, 'গতকাল থেকে ফোনে ফোনে জর্জরিত হয়ে গেলাম। সকলকে আশ্বস্ত করছি এই বলে যে, আমি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছি না। আমি আপাতত এখন সাধারণ সদস্য। এই অবস্থাতেই যাত্রার বিবেকের ভূমিকা পালন করে যাব।' তিনি আরও বলেন, 'দল ছাড়তে পারলে সব গুপ্তকথাই ফাঁস করতে পারতাম, কিন্তু এখনই তা হচ্ছে না।' অর্থাৎ তিনি দল ছাড়লে দল দলীয় নেতৃত্বের অনেক গোপন কথাই জনসমক্ষে নিয়ে আসতেন। যে হেতু তিনি এখন দল ছাড়ছেন না, তাই সে সম্ভাবনা এখন নেই।

পুরভোটে ফের বাম-কংগ্রেস জোট? বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন বিমান বসু-সংবাদ প্রতিদিন

উপনির্বাচনে জোট হয়নি। তাতে অবশ্য সাফল্যও আসেনি। তাই রাজ্যের পুরভোটে ফের কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পথে হাঁটতে পারে বামেরা। আগামী সপ্তাহেই কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে ফ্রন্টের অন্দরে আলোচনায় বসতে পারে বাম দলগুলি। রবিবার এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভোট শেষ, জোট শেষ। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট আসলে ছিল নির্বাচনী সমঝোতা।রবিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পুরভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কিনা, সেটা ঠিক হবে আলোচনার মাধ্যমে। আগামী সপ্তাহেই তাঁরা বৈঠকে বসবেন, এবং তখনই জোট নিয়ে আলোচনা হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিমানবাবুর মন্তব্য।কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য জোটের ব্যাপারে আগেই হযবরল নীতি নিয়েছে।

এবার বিজেপি ছাড়ছেন জয় ব্যানার্জি, মোদিকে চিঠি দিয়ে জানালেন অভিনেতা- আজকাল

বিজেপি ছাড়ছেন অভিনেতা জয় ব্যানার্জি। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে জানালেন সেই কথা। জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। দু’বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার সত্ত্বেও সেই ভাবে কাজের সুযোগ পাননি তিনি। মোদিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন খুব শিগগিরই বিজেপি ছাড়বেন তিনি। নরেন্দ্র মোদিকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি লিখেছেন জয়। সেখানে বারংবার অভিমান ফুটে উঠেছে।

আরিয়ানকে অপহরণ করে ১৮ কোটি মুক্তিপণ, পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় এক নিজস্বী!-আনন্দবাজার পত্রিকা

শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খানকে কি অপহরণ করা হয়েছিল? মহারাষ্ট্রের দাপুটে মন্ত্রী তথা প্রবীণ এনসিপি নেতা নবাব মালিকের নবতম অভিযোগ এমনই। রবিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে নবাব অভিযোগ করেন, ‘আরিয়ান প্রমোদতরীর টিকিট কেনেননি। প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালাই আরিয়ানকে ওখানে ডেকে আনেন।’ তার পরই নবাব বলেন, ‘‘আমি স্পষ্ট বলতে চাই, এটা একটা অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনা। বিস্ফোরক অভিযোগ করে নবাব বলেন, ‘‘বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ ফাঁদ পেতেছিলেন। সেই পরিকল্পনামাফিক আরিয়ানকে সেখানে ডেকে আনা হয়। তার পর অপহরণ করে ২৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পালা। ১৮ কোটি টাকায় চুক্তি চূড়ান্ত হয়। তার মধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি নিজস্বী সব গোলমাল করে দিল।’’#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৭

ট্যাগ