Pars Today
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক সংসদীয় কমিশনের সদস্য জালিল রাহিমি জাহানাবাদি বলেছেন, মার্কিন চাপের কথা বলে দক্ষিণ কোরিয়া ইরানের অর্থ আটকে রেখেছে, এটা আন্তর্জাতিক দস্যুতা। তিনি দ্রুত ইরানের অর্থ ছাড়ের দাবি জানান।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে পড়া ইরানের ৭০০ কোটি ডলারের অংশবিশেষ ছাড়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে আমেরিকা। পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে যে অন্যায় এবং অমানবিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন তার আওতায় ইরানের এ বিপুল পরিমাণ অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকগুলোতে আটকা পড়ে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের যে অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকা পড়েছে তা ছাড়ের ব্যাপারে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করছে সিউল। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ গতকাল (বুধবার) এ খবর দিয়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে বার্ষিক যে অর্থ বিশ্ব সংস্থায় জমা দিতে হয় তা বাকি পড়েছে আমেরিকার বাধার কারণে। ইরানি সদস্য পদের জন্য বকেয়া অর্থ পরিশোধের বাধা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে থাকা ইরানি অর্থের একটা অংশ ছাড় পেয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান আব্দুন নাসের হেম্মাতি।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্বতো পালন করেইনি বরং মার্কিন অপরাধে শরিক হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, রাজনীতিবিদরা নয়, বিদেশে বড় অংকের অর্থ পাচারীদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের সংখ্যাই বেশি। গতকাল (বুধবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে যে, ফেডারেল বাজেটে রেকর্ড পরিমাণ ঘাটতি হয়েছে এবং তা ৩.১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পাওনা অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।
ইরান বিপুল অংকের অর্থ পায় বলে অবশেষে স্বীকার করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, ইরানের পাওনা রয়েছে। তারা ইরানের অর্থ ফেরত দিতে আইনি পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।