Pars Today
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের আল-আকসা তুফান দেখিয়ে দিয়েছে যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের পতন চিন্তার চেয়ে অনেক কাছাকাছি এবং সহজ।
গত ৭ অক্টোবর গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর ইসরাইল বিরোধী অভিযানে ইরানের অভ্যন্তরে ইহুদিবাদীদের গুপ্তচর নেটওয়ার্কের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। তেহরানে নিযুক্ত ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের প্রতিনিধি নাসের আবু-শারিফ এ খবর দিয়েছেন।
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর উপ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইহুদিবাদী ইসারইলের ভেতরে আল-আকসা তুফান নামে যে অভিযান চালিয়েছে তা ছিল অতি বিস্ময়কর এবং এর প্রভাব এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি তবে শিগগিরি জানা যাবে।
ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন বলেছে, লোহিত সাগর থেকে তারা ইসরাইলের যে জাহাজ আটক করেছেন সেটি ছিল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী বর্বরতার বিরুদ্ধে ইয়েমেনি নৌবাহিনীর প্রথম প্রতিক্রিয়া মাত্র।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ বলেছেন: আল-আকসা তুফান অভিযানে আমেরিকাসহ পশ্চিমা এবং ইহুদিবাদীদের সকল অর্জন ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার আবাসিক ভবন এবং চিকিৎসা কেন্দ্রে ইসরাইলি সেনাদের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইহুদিবাদী হানাদারদের সাথে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর প্রচণ্ড লড়াই এখনও চলছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন: আল-আহলি আরব হাসপাতালে যখন ইসরাইল হামলা চালালো তখন বিশ্ববাসী চুপ ছিল। তাদের ওই নীরবতার কারণেই বর্বর ইসরাইল শেফা হাসপাতাসেও হামলা চালাবার দু:সাহস দেখিয়েছে।
গাজার আবাসিক এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর হামলা ৩৪তম দিনে পড়লো। নতুন দফা আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে দুটি আবাসিক বাড়িতে বোমা হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনী শহীদ হয়েছে।
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ'র মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের 'আল-আকসা তুফান' অভিযান প্রমাণ করেছে দখলদার ইসরাইল মাকড়সার জালের চেয়েও দুর্বল। আজ (শুক্রবার) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক লাইভ ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান গাজার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর পাশবিক হামলা এবং অপরাধযজ্ঞের বিষয়ে মুসলিম দেশ বিশেষ করে আরব রাষ্ট্রগুলোর নিষ্ক্রিয়তা অবসানের প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় কাতার ও তুরস্কে সফরে গিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।