মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন ডা. মুরাদ, গ্রেফতার দাবি রিজভীর
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i100948-মন্ত্রিসভা_থেকে_পদত্যাগ_করলেন_ডা._মুরাদ_গ্রেফতার_দাবি_রিজভীর
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা মাত্রই কেবিনেট থেকে তার পদত্যাগ কার্যকর হয়ে যাবে।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ডিসেম্বর ০৭, ২০২১ ১৩:০৩ Asia/Dhaka
  • ডা. মুরাদ হাসান
    ডা. মুরাদ হাসান

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা মাত্রই কেবিনেট থেকে তার পদত্যাগ কার্যকর হয়ে যাবে।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ইমেইলে প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র আসে। পদত্যাগের জন্য তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণের’ কথা বলেছেন। ওই পদত্যাগপত্রে তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের তারিখ ২০২১ সালের ১৯ মে উল্লেখ করেছেন। পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা তারিখটি ঠিক থাকলেও সালটি ভুল। প্রতিমন্ত্রীকে আসলে ২০১৯ সালের ১৯ মে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে বর্ণ ও নারী বিদ্বেষী বক্তব্যের পর এক চিত্র নায়িকার সঙ্গে অশালীন ফোনালাপের অডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তার এ নির্দেশনার পরই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন মুরাদ।

পদত্যাগের পর নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মুরাদ হাসান লিখেছেন, "আমি যদি কোন ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবো আজীবন।"

এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচি রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “শুধু পদত্যাগ নয়, তাকে (মুরাদ হাসান) গ্রেফতার করতে হবে, তার বিচার করতে হবে।”

আজ সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে  এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এই ধরনের ব্যক্তির রাজনীতি করার অযোগ্য। সে যে কুরুচিপূর্ণ অশ্রাব্য কথা বলেছেন সে রাজনীতি করার অযোগ্য। তাকে দলের সকল পর্যায়ের তার যে পদ বা অবস্থান তা থেকে তাকে সরিয়ে দিতে হবে। শুধু মন্ত্রিপরিষদ থেকে নয়।”

রিজভী বলেন, “সে যে অন্যায় কথা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। তার বিচার করতে হবে, তার শাস্তি দিতে হবে, তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) আসন থেকে প্রথমবার সংসদে যান নবম সংসদে। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বার জয়ী হওয়ার পর তাকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ দফায় সরকার গঠনের পাঁচ মাসের মাথায় ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে মুরাদকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া জীবনবৃত্তান্ত অনুযায়ী, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় ২০০০ সালে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি হন মুরাদ হাসান। তিন বছর পর আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পান।

৪৭ বছর বয়সী মুরাদ তার নিজের এলাকা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ‘স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক’। তার বাবা অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকাকালে মুরাদ বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখার প্রচার সম্পাদক ছিলেন বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।