একুশে বইমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সারাদেশে সংস্কৃতিচর্চা আরো বাড়ানোর পাশাপাশি সকলকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান ও পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২২’-এর উদ্বোধন করেছেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রাজধানীর বাংলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণে সংযুক্ত হয়ে ভার্চুয়ালি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের অমর একুশে বইমেলা-২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
বাংলা একাডেমির সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি সচিব মো: আবুল মনসুর। আরো বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার -২০২১’ তুলে দেন। এ বছর ১৫ জন বিশিষ্ট লেখক-কবি-সহিত্যিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
প্রথা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে বইমেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার কাঙ্ক্ষিত অমর একুশে বইমেলা দু’সপ্তাহ পিছিয়ে শুরু হয়েছে।
সোমবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ৩৮তম এই বইমেলা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা জানিয়েছিলেন। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে মেলার মেয়াদ বাড়ানোর আভাসও দিয়েছিলেন।
আজ প্রধানমন্ত্রী তার মেলা উদ্বোধনকালের ভাষণে সকলের সাথে আলোচনাসাপেক্ষ একে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলার সম্মতি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই বইমেলা খোলা থাকবে। রাত ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় মোট ৩৫টি প্যাভিলিয়নসহ একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিটসহ মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বইমেলায় প্রবেশ ও বাহির পথে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেলার এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে। প্রবেশ ও বাহির পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ।
বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে চারটি প্রবেশপথ ও তিনটি বাহির পথ জনসাধারণের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য থাকছে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো ও রাষ্ট্রীয় সম্মানপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৫