১৫ মার্চ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে নিয়মিত ক্লাস শুরু
(last modified Sat, 12 Mar 2022 09:14:07 GMT )
মার্চ ১২, ২০২২ ১৫:১৪ Asia/Dhaka
  • ১৫ মার্চ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে নিয়মিত ক্লাস শুরু

দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সব বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া শুরু হবে আগামী মঙ্গলবার ১৫ মার্চ থেকে। আজ শনিবার (১২ মার্চ) রাজধানীতে শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

করোনার কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘সীমিত আকারে’ শুরু করা হলেও ওমিক্রনের প্রভাবে ফের বন্ধ হয় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, যা দুই দফায় বেড়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। সবশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমিত আকারে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়। আর ২ মার্চ থেকে সীমিত আকারে প্রাথমিক স্তরের শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়।

প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম ১৫ মার্চ থেকে

এদিকে, প্রাক-প্রাথমিকের সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠাদান কার্যক্রম চালু হচ্ছে আগামী ১৫ মার্চ থেকে। প্রতি রবিবার ও মঙ্গলবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ধরনের সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে গত ২ মার্চ সরাসরি সব শ্রেণির কার্যক্রম চালু করা হলেও প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ আছে।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে পাঠানো রুটিনে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম ২০ মার্চ থেকে শিক্ষক সহায়িকায় দেওয়া রুটিন অনুসারে চালুর নির্দেশনা দেওয়া আছে। বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের হার বিবেচনা করে ২০ মার্চের পরিবর্তে আগামী ১৫ মার্চ সপ্তাহে দুই দিন (রবিবার ও মঙ্গলবার) প্রাক-প্রাথমিকের সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অফিস আদেশে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিভাগীয় উপ-পরিচালক (সকল), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সুপারিনটেনডেন্ট (সকল), প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই), উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা/থানা রিসোর্স সেন্টার, ইন্সট্রাক্টর, উপজেলা/থানা রিসোর্স সেন্টারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।#

 

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/বাবুল আখতার/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।